• Colors: Blue Color

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর এই সফর তার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা-র সঙ্গে একদিনের বৈঠকের পর লি স্থানীয় সময় রোববার (২৪ আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছান। সেখানে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি।

এই বৈঠক এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন জুলাই মাসে একটি অপ্রকাশিত বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর তার পাল্টা শুল্কহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামাতে সম্মত হয়।

এই বৈঠকটি দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের সামরিক আইন জারির ঘোষণার পর দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিঘ্নিত হয়েছিল।

বৈঠকে মূল আলোচনা হবে জুলাই মাসের সেই মৌখিক চুক্তিকে কেন্দ্র করে, যার আওতায় দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি কেনার এবং ৩৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এই বিপুল বিনিয়োগ ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর সরাসরি বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হবে—যা ট্রাম্প ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট লি একটি বিশাল প্রতিনিধি দল নিয়ে এসেছেন, যেখানে রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার চারটি প্রধান শিল্পগোষ্ঠীর প্রধানরা: স্যামসাং ইলেকট্রনিকস, এসকে গ্রুপ, হুন্দাই মোটর এবং এলজি গ্রুপ।

দক্ষিণ কোরিয়ার দৈনিক মেইল বিজনেস পত্রিকার মতে, এই চার কোম্পানি ইতোমধ্যেই ৯১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করছে।

সূত্র: আল জাজিরা।

অস্ট্রেলিয়ার ২০টির বেশি শহরে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ। দেশটির ব্রিসবেন শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে হাজারো মানুষ স্থানীয় সময় রোববার (২৪ আগস্ট) ভিক্টোরিয়া ব্রিজ অতিক্রম করে মিছিল করছে। তারা গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ, যুদ্ধবিরতি এবং দুর্ভিক্ষ ও অনাহার বন্ধের দাবি জানাচ্ছে।

এই বিক্ষোভটি অস্ট্রেলিয়া জুড়ে অনুষ্ঠিত বহু বিক্ষোভের একটি, যাকে ‘ডে অফ অ্যাকশন’ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার রাজধানীসহ ২০টিরও বেশি শহর এই অভিযানে অংশ নিয়েছে।

শহরগুলোতে পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো হলেও, পুরো বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২২ আগস্ট) প্রথমবারের মতো গাজা সিটি এবং এর আশপাশের এলাকাগুলোতে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। গাজা উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি দুর্ভিক্ষের পঞ্চম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ ধাপে চরম ক্ষুধায় বহু মানুষ মারা যেতে পারে। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ দুর্ভিক্ষের এই চরম রূপ খান ইউনিস ও দেইর আল-বালাহসহ আরও কিছু এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে গাজাজুড়ে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে।

সূত্র: আল জাজিরা।

বাংলাদেশসহ এশিয়ার পাঁচটি দেশে নির্ধারিত সফর আপাতত বাতিল করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।তার এ সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।

এশিয়ার পাঁচটি দেশে সফরের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে ৩০ আগস্ট ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির ঢাকায় আসার কথা ছিল। পরদিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত ছিল।

মেলোনির সফর বা‌তিলের কারণ জানতে চাইলে এক কূটনী‌তিক গণমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশসহ এশিয়ার পাঁচটি দেশে সফর বাতিল করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ দিয়ে তার সফর শুরুর কথা ছিল। এরপর সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে যাওয়ার কথা ছিল মেলোনির।

ত‌বে ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনায় ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর অন্যতম শীর্ষ নেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন কর‌ছে ইতা‌লি। সেই ব্যস্ততার কারণে এ‌শিয়া সফর বা‌তিল করেছে তি‌নি।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে অংশগ্রহণকারী উত্তর কোরিয়ার সেনাদের ‘বীর’ আখ্যা দিয়েছেন সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেসিএনএ’তে প্রচার করা হয় এ খবর।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, উত্তর কোরীয় সেনা কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন কিম। ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিদেশে দায়িত্ব পালনকারী সেনা কর্মকর্তাদের। রাশিয়ার কুরস্কে যেভাবে উত্তর কোরীয় সেনারা বিভিন্ন কমব্যাট ইউনিটের নেতৃত্ব দিচ্ছে, তার প্রশংসা করেন কিম।

এর আগে, ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত উত্তর কোরীয় সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানানো হয় নিহত সেনাদের প্রতি।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ১০ হাজারের বেশি উত্তর কোরীয় সেনাকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। আরও একটি বহর পাঠানোর পরিকল্পনার কথাও শোনা গেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠক চলাকালে ধনকুবের ইলন মাস্কের প্রশংসা করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। আর এতেই যেন মুখ গোমড়া হয়ে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে সোমবার (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি ও গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বৈঠকেই ঘটে ঘটনাটি।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’ -এর এক প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ায় মাস্কের মালিকানাধীন স্টারলিংককে ধন্যবাদ জানান মেলোনি। আর সেকথা শোনার সাথে সাথেই মলিন হয়ে যায় ট্রাম্পের চেহারা। মেলোনির বক্তব্যের পুরোটা সময় মুখ কালো করে নিঃশব্দে বসে থাকতে দেখা যায় তাকে।

এ সময়, ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া দেখে বিষয়টা সম্ভবত আঁচ করতে পারেন মেলোনি। এরপর মাস্ককে ধন্যবাদ দেওয়ার কারণ সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা করেন তিনি।

ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শুরু করলেও, পরিস্থিতি সামাল দিতে পরে আরেক দফা ধন্যবাদ জানান মেলোনি।

উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিলেন মাস্ক। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর ও ব্যয় সংক্রান্ত বিল নিয়ে দূরত্ব বাড়ে একসময়ের ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধুর সম্পর্কে।

ফাঁস হওয়া এক অডিওতে ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল অ্যারন হালিভাকে শোনা গেছে গাজায় হাজারো ফিলিস্তিনির মৃত্যুকে ‘প্রয়োজনীয় ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অপরিহার্য’ বলে মন্তব্য করতে।

ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-এর প্রকাশিত রেকর্ডিংয়ে হালিভা বলেন, ‘৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালে যা ঘটেছে, তার প্রতিটি মানুষের বিনিময়ে ৫০ ফিলিস্তিনির মরতে হবে।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘গাজায় ইতোমধ্যেই ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, আর এই সংখ্যাটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দরকারি ও অপরিহার্য।’

রেকর্ডিংয়ের সময়কাল স্পষ্ট নয়, তবে মার্চেই গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। হালিভা বলেন, ‘কোনো বিকল্প নেই—সময়-সময় তাদের একটি ‘নাকবা’র মুখোমুখি হতে হয়, যেন তারা মূল্যটা বুঝতে পারে।’ (নাকবা বা ‘বিপর্যয়’—১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সময় প্রায় ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে ঘরছাড়া বা বিতাড়িত করার ঐতিহাসিক ঘটনা।)

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের সময় হালিভা ছিলেন সামরিক গোয়েন্দা প্রধান। ওই হামলায় ১ হাজার ২শ’ জন নিহত ও ২৫০ জন অপহৃত হন। নেতৃত্বের দায়িত্ব স্বীকার করে তিনি ২০২৪ সালের এপ্রিলে পদত্যাগ করেন, প্রথম উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা হিসেবে।

চ্যানেল ১২ জানায়, রেকর্ডিংগুলো দীর্ঘ আলাপচারিতার অংশ, তবে যার সঙ্গে হালিভা কথা বলেছেন তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এসব কথোপকথনে তিনি দায় চাপান শুধু সেনাবাহিনীর ওপর নয়, ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত-এর ওপরও, যারা বিশ্বাস করেছিল হামাস বড় আকারে আক্রমণ চালাবে না।

চ্যানেল ১২-কে দেওয়া বিবৃতিতে হালিভা বলেন, এসব মন্তব্য ছিল ‘একটি বন্ধ বৈঠকে করা আংশিক কথাবার্তা, যা পুরো প্রেক্ষাপট তুলে ধরে না।’

এদিকে, গাজা দখলের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েল ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাক্সন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ‘বাস্তবতা থেকে সরে গেছেন’ এবং গাজা নগরী দখল ‘সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য’। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন মন্তব্য করেন, ‘নেতানিয়াহুই এখন নিজেই একটি সমস্যা’।

হামাস এক বিবৃতিতে হালিভার মন্তব্যকে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি প্রমাণ করে যে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অপরাধগুলো ইসরায়েলের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা নেতৃত্বের উচ্চ পর্যায়ের নীতির অংশ।

জাতিসংঘের একটি বিশেষ কমিটি গত নভেম্বরে এক প্রতিবেদনে জানায়, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। গত মাসে দুটি ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থাও একই অভিযোগ তোলে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এসব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে।

সূত্র: সিএনএন নিউজ, নিউজ-১২।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব