• Colors: Blue Color

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠক চলাকালে ধনকুবের ইলন মাস্কের প্রশংসা করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। আর এতেই যেন মুখ গোমড়া হয়ে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে সোমবার (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি ও গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বৈঠকেই ঘটে ঘটনাটি।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’ -এর এক প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ায় মাস্কের মালিকানাধীন স্টারলিংককে ধন্যবাদ জানান মেলোনি। আর সেকথা শোনার সাথে সাথেই মলিন হয়ে যায় ট্রাম্পের চেহারা। মেলোনির বক্তব্যের পুরোটা সময় মুখ কালো করে নিঃশব্দে বসে থাকতে দেখা যায় তাকে।

এ সময়, ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া দেখে বিষয়টা সম্ভবত আঁচ করতে পারেন মেলোনি। এরপর মাস্ককে ধন্যবাদ দেওয়ার কারণ সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা করেন তিনি।

ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শুরু করলেও, পরিস্থিতি সামাল দিতে পরে আরেক দফা ধন্যবাদ জানান মেলোনি।

উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিলেন মাস্ক। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর ও ব্যয় সংক্রান্ত বিল নিয়ে দূরত্ব বাড়ে একসময়ের ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধুর সম্পর্কে।

ফাঁস হওয়া এক অডিওতে ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল অ্যারন হালিভাকে শোনা গেছে গাজায় হাজারো ফিলিস্তিনির মৃত্যুকে ‘প্রয়োজনীয় ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অপরিহার্য’ বলে মন্তব্য করতে।

ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-এর প্রকাশিত রেকর্ডিংয়ে হালিভা বলেন, ‘৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালে যা ঘটেছে, তার প্রতিটি মানুষের বিনিময়ে ৫০ ফিলিস্তিনির মরতে হবে।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘গাজায় ইতোমধ্যেই ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, আর এই সংখ্যাটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দরকারি ও অপরিহার্য।’

রেকর্ডিংয়ের সময়কাল স্পষ্ট নয়, তবে মার্চেই গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। হালিভা বলেন, ‘কোনো বিকল্প নেই—সময়-সময় তাদের একটি ‘নাকবা’র মুখোমুখি হতে হয়, যেন তারা মূল্যটা বুঝতে পারে।’ (নাকবা বা ‘বিপর্যয়’—১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সময় প্রায় ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে ঘরছাড়া বা বিতাড়িত করার ঐতিহাসিক ঘটনা।)

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের সময় হালিভা ছিলেন সামরিক গোয়েন্দা প্রধান। ওই হামলায় ১ হাজার ২শ’ জন নিহত ও ২৫০ জন অপহৃত হন। নেতৃত্বের দায়িত্ব স্বীকার করে তিনি ২০২৪ সালের এপ্রিলে পদত্যাগ করেন, প্রথম উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা হিসেবে।

চ্যানেল ১২ জানায়, রেকর্ডিংগুলো দীর্ঘ আলাপচারিতার অংশ, তবে যার সঙ্গে হালিভা কথা বলেছেন তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এসব কথোপকথনে তিনি দায় চাপান শুধু সেনাবাহিনীর ওপর নয়, ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত-এর ওপরও, যারা বিশ্বাস করেছিল হামাস বড় আকারে আক্রমণ চালাবে না।

চ্যানেল ১২-কে দেওয়া বিবৃতিতে হালিভা বলেন, এসব মন্তব্য ছিল ‘একটি বন্ধ বৈঠকে করা আংশিক কথাবার্তা, যা পুরো প্রেক্ষাপট তুলে ধরে না।’

এদিকে, গাজা দখলের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েল ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাক্সন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ‘বাস্তবতা থেকে সরে গেছেন’ এবং গাজা নগরী দখল ‘সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য’। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন মন্তব্য করেন, ‘নেতানিয়াহুই এখন নিজেই একটি সমস্যা’।

হামাস এক বিবৃতিতে হালিভার মন্তব্যকে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি প্রমাণ করে যে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অপরাধগুলো ইসরায়েলের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা নেতৃত্বের উচ্চ পর্যায়ের নীতির অংশ।

জাতিসংঘের একটি বিশেষ কমিটি গত নভেম্বরে এক প্রতিবেদনে জানায়, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। গত মাসে দুটি ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থাও একই অভিযোগ তোলে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এসব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে।

সূত্র: সিএনএন নিউজ, নিউজ-১২।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে কোনও চুক্তি না হওয়ার পর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয়ে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছেন।

গতকাল শনিবার (১৬ আগস্ট) প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি আগামী সোমবার (১৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে সাক্ষাৎ করবেন।

তবে, ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার পূর্বে তিনি পুতিনকে নিয়ে সমালোচনা করেন। অবশ্য, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্পের অবস্থানে বড় পরিবর্তন দেখা গেছে—তিনি আর কেবল যুদ্ধবিরতি চান না, বরং সরাসরি একটি স্থায়ী শান্তিচুক্তি করতে চান।

সূত্র: বিবিসি নিউজ।

বহুল প্রতীক্ষিত প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে আলাস্কা ছাড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। করমর্দনের মাধ্যমে বিদায় নেন এই দুই নেতা। খবর রয়টার্সের।

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের অ্যাঙ্কোরেজ শহরের এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে দুইজন একে অপরকে আন্তরিকভাবে ‘শুভ বিদায়’ বলেন ট্রাম্প-পুতিন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও সংবাদ সম্মেলনের পরে দোভাষীর মাধ্যমে কথা বলতে এবং বিদায়ী করমর্দন করতে দেখা গেছে তাদের। এয়ার ফোর্স ওয়ানে করে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে, মস্কোর উদ্দেশ্যে উড়াল দেন রুশ প্রেসিডেন্টও।

বড় কোনো ‘ব্রেকথ্রু’ ছাড়াই শেষ হয় ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বহুল আলোচিত এই বৈঠক। যদিও আলোচনাকে ইতিবাচক আখ্যা দিয়েছে দুই পক্ষই। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি না হলেও খুব ভালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। তবে ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সংঘাতের প্রাথমিক কারণগুলো আগে দূর করতে হবে। পরবর্তী আলোচনার জন্য ট্রাম্পকে মস্কোতে দাওয়াত দিয়েছেন তিনি।

এর আগে, পুতিনকে বিমানবন্দরে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাকে গ্রহণ করার জন্য উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দুই প্রেসিডেন্টই একই সময়ে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার পর) বিমান থেকে অবতরণ করেন। তারা দুজনই লালগালিচা দিয়ে হেঁটে পরস্পরের কাছে এসে করমর্দন করেন।

প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সপ্তমবারের মতো মুখোমুখি বৈঠক ছিল। এ বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। আর পুতিনের সঙ্গে ছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং পুতিনের সহকারী ও মুখপাত্র ইউরি উশাকভ।

‘আর্মি রকেট ফোর্স’ নামে সামরিক বাহিনীর নতুন ইউনিট গঠনের ঘোষণা দিলো পাকিস্তান। দেশটির স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। বিভিন্ন ধরণের রকেট, হাইপারসনিক ও ব্যালিস্টিক মিসাইলের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবে এই রকেট ফোর্স। শত্রুপক্ষের যেকোনো আগ্রাসন ঠেকানোর পাশাপাশি পাল্টা আঘাত হানতে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠন করা হবে এই উইং।

গেল মে মাসে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে পাল্টাপাল্টি হামলা বিভিন্ন ধরণের রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে দুই পক্ষই। ভারতীয় ভূখণ্ডে ফাতাহ মিসাইল হামলার দাবিও করে পাকিস্তান।

এর জেরে ‘আর্মি রকেট ফোর্স’ গঠনের ঘোষণা দিলো ইসলামাবাদ। চিরবৈরী ভারতের সাথে পাল্লা দিতে নতুন এ সংযোজন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীতে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, এটি আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত হবে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যুদ্ধ-ক্ষমতা জোরদার করার ক্ষেত্রে এই বাহিনী বিরাট ভূমিকা রাখবে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, আমি পাকিস্তানের আর্মি রকেট ফোর্স গঠনের ঘোষণা করছি। আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত সামরিক বাহিনীর এ ইউনিট পাকিস্তানের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে মাইলফলক সৃষ্টি করবে বলে আমার বিশ্বাস।

ধারণা করা হচ্ছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির রকেট ফোর্সের আদলে তৈরি করা হবে এ সামরিক বাহিনীর এ ইউনিট। যাদের কাজ হবে ব্যালিস্টিক, হাইপারসোনিক ও ক্রুজ মিসাইলের পাশাপাশি বিভিন্ন পাল্লার রকেটের তদারকি করা। যা পাকিস্তানের সামরিক নীতিতে লক্ষ্যনীয় পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই পাল্লা দিয়ে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে যাচ্ছে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই দেশ পাকিস্তান ও ভারত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বাংলাদেশের আদালতে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিচার চলছে। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে রাজধানীর পূর্বাচলে মা, ভাই, বোনকে অনিয়মের মাধ্যমে প্লট পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। নিজের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া বিচার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেছেন টিউলিপ।

নিজেকে নির্দোষ ও এ বিচারকে প্রহসন হিসেবে দাবি করে টিউলিপ বলেন, ঢাকায় এখন যে তথাকথিত বিচার চলছে, তা একটি প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি বানানো অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দ্বারা পরিচালিত।

সরকারের সাড়া পাননি জানিয়ে তিনি বলেন, গত এক বছরে, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বারবার পরিবর্তিত হয়েছে, তবু বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ একবারও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমি কখনও কোনো আদালতের সমন পাইনি, বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া পাইনি।

তিনি বলেন, যদি এটি একটি প্রকৃত আইনি প্রক্রিয়া হতো, তাহলে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমার বা আমার আইনি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করত, আমাদের আনুষ্ঠানিক চিঠিপত্রের জবাব দিত এবং তাদের কাছে থাকা প্রমাণ পেশ করত। এর পরিবর্তে, তারা মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক অভিযোগ ছড়িয়েছে, যা সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে কিন্তু তদন্তকারীরা কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আমার কাছে উপস্থাপন করেনি।

টিউলিপ সিদ্দিক জানান, তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ড. ইউনূস এতে সাড়া দেননি। এ বিষয়টি আজ আবারও উল্লেখ করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, লন্ডনে ড. ইউনূসের সাম্প্রতিক সফরের সময় তার সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম আমি। তবে, এটি প্রত্যাখ্যান করা হয়।

নিজেকে নির্দোষ দাবি করে টিউলিপ বলেন, আমি শুরু থেকেই স্পষ্ট যে আমি কোনো ভুল করিনি এবং আমার কাছে উপস্থাপন করা যেকোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের জবাব দেব।

এদিকে দুদকের তদন্তে উঠে আসে, রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানদের নামে মোট ছয়টি প্লট বরাদ্দ নেয়া হয়েছে।

তার মধ্যে একটি শেখ হাসিনার নিজের নামে, আরেকটি তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে, অপর একটি তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে।

অপরদিকে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার নামে, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে ও অপরটি তার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর নামে। টিউলিপের নামে প্লট না থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে নিজের মা, বোন ও ভাইকে প্লট পাইয়ে দেয়ার অভিযোগে তাকে আসামি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিচার শুরুর প্রক্রিয়ায় আসামি হিসাবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও তা নিয়ে শঙ্কিত নন টিউলিপ। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো বন্দি কিংবা আসামি বিনিময় চুক্তি না থাকাটাই হয়ত স্বস্তি দিচ্ছে তাকে।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব