সান্তোসের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করলেন নেইমার। নতুন চুক্তিতে ব্রাজিলের ক্লাবটিতে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবেন তিনি।
সান্তোস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো তেইশেইরা ও নেইমারের বাবার মধ্যে মঙ্গলবার (২৪ জুন) এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর নতুন চুক্তি সম্পন্ন হয়। ক্লাবের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নেইমারের চুক্তি নবায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সান্তোস।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছে, ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত নেইমারের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে চেয়েছিল সান্তোস। দুই পক্ষের প্রাথমিক আলাপও ওই দিকে গড়িয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আরও ছয় মাসের জন্য নেইমারকে পাওয়া নিশ্চিত করতে পেরেছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি।
সান্তোসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে ৩৩ বছর বয়সী নেইমার বলেন, আমি হৃদয়ের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সান্তোস শুধু একটা দল নয়; আমার ঘর, আমার শেকড়, আমার ইতিহাস ও জীবন। এখানে আমি পরিণত হয়ে উঠেছি এবং এখানে সত্যিকারের ভালোবাসাটা পাই।
সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ছেড়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে এসেছিলেন নেইমার। জানুয়ারির ৩১ থেকে এখন পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে ১২ ম্যাচ খেলে ৩ গোলের পাশাপাশি ৩ অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি।
২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আপাতত নিজেকে প্রস্তুত করছেন নেইমার। ডিসেম্বরে সান্তোসের সঙ্গে চুক্তি শেষে তিনি আবার ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন। বিশ্বকাপের আগে ইউরোপে ফেরার জন্য ফের সুযোগ থাকবে তার সামনে।
লিডস টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৩৭১ রানের টার্গেট দিয়েছে ভারত। জবাবে ৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিনে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ৩৬ রান তুলেছে ইংলিশরা।
এর আগে, নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৯০ রান নিয়ে আগের দিন শুরু করে ভারত। মাত্র ৮ রান করে ফেরেন শুভমান গিল। তবে ১৮৫ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেন কেএল রাহুল ও রিশাভ পান্ত। টানা দ্বিতীয় ইনিংসে শতক তুলে নেন পান্ত। ১১৮ রান করে ফেরার পথে করেন নতুন রেকর্ড। দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। ১৩৭ রান করে আউট হন রাহুল। শেষ ৩১ রানে টেল এন্ডের ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রানে থামে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস।
লিডসের এই টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ভারতীয় ব্যাটারদের কাছ থেকে এসেছে ৫ সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে সফরকারীদের মাঠে এক টেস্টে ৫ সেঞ্চুরির ঘটনা এর আগে ঘটেছিল মাত্র একবার। দ্বিতীয় দেশ হিসেবে এমন কিছু করে দেখালো ভারত।
জয়ের জন্য ৩৭১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ২১ রান করে চতুর্থ দিন শেষ করে স্বাগতিকরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইংলিশদের সংগ্রহ ৩৬। জ্যাক ক্রলি ১৯ রানে এবং বেন ডাকেট ১৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
শেষ দিনে জেতার জন্য দলটিকে করতে হবে আরও ৩৩৫ রান। আর ভারতের দরকার ১০ উইকেট।
চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের মতো ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামকেও শুধু নিজেদের ব্যবহারের জন্য সরকারের কাছে চেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন— বাফুফে। এমনটাই জানিয়েছেন সংস্থাটির সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী।
এদিকে, বাফুফের চাওয়ার সঙ্গে একমত পোষণ করেছে সরকার। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব যমুনা টেলিভিশনকে জানান, বাফুফের চাওয়ার প্রেক্ষিতে প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা থাকলেও ঢাকার ভেতরে নানা সুবিধার কারণে বাফুফের ‘সবেধন নীলমণি’ জাতীয় স্টেডিয়াম। এটাকে হোম অব ফুটবল বললেও ভুল হবে না। তবে বিভিন্ন খেলার ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এটাকে শুধুই নিজেদের জন্য চেয়েছে ফুটবল ফেডারেশন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, আর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বাফুফের সঙ্গে একমত পোষণ করে কাজও শুরু করে দিয়েছে।
অপরদিকে, জাতীয় স্টেডিয়ামের অবকাঠামো নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম। ফুটবল মাঠের সঙ্গে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক থাকা, তবে এতে সমস্যাও দেখেন না তিনি। বলেন, মাঠের পাশেই তো অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক! নিয়মিত মাদার অব অল গেমস খ্যাত অ্যাথলেটিক্সের বিভিন্ন এভেন্টও আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। বাফুফের এতে আপত্তি নেই। ফিফার গাইড লাইনেও এতে নেই কোনো বাঁধা। বিশ্বের অনেক বড় বড় ফুটবল মাঠের পাশেই যে রয়েছে এমন অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় স্টেডিয়াম অতীতে আবাহনী ও মোহামেডানের হোম ভেন্যু ছিলো। বাফুফে চাইলে আগামীতেও প্রিমিয়ার লিগের কোনো ক্লাবকে হোম ভেন্যু হিসেবে দিতে পারবে।
খেলা তখন সমতায়। মেসি-ম্যাজিকের অপেক্ষায় ছিল ইন্টার মায়ামি। ফ্রি কিক থেকে দারুণ এক গোল করে সমর্থকদের আস্থার প্রতিদানও দিলেন লিওনেল মেসি। আর তাতেই মায়ামি জয় তুলে নিল পর্তুগিজ দল পোর্তোর বিপক্ষে।
রাতে ক্লাব বিশ্বকাপের এই ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে মেসির মায়ামি। এর ফলে গ্রুপ ‘এ’ থেকে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার দারুণ সম্ভাবনা তৈরি হলো মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দলটির।
ম্যাচের শুরুতেই স্যামু আগেহোয়ার করা এক পেনাল্টিতে এগিয়ে যায় পোর্তো। কিছুক্ষণ বাদে সমতায় ফেরার সুযোগ পায় মায়ামি কিন্তু মেসির দারুণ থ্রু বলে গোলকিপারকে ওয়ান-টু-ওয়ানে পেয়েও গোল করতে পারেননি লুইস সুয়ারেজ। ফলে এক গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মার্কিন ক্লাবটি।
বিরতি থেকে ফিরেই ভিন্ন চেহারায় মেসির দল। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে গোল করেন সেগোভিয়া। ৫৪ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে মেসিকে ফাউল করেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার রদ্রিগো মোরা। সেই ফ্রি কিক থেকে দারুণ গোল করে মায়ামিকে এগিয়ে দেন মেসি। ঐ এক গোলের লিডেই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জেতে মেসির দল। ইউরোপের কোনো ক্লাবের বিপক্ষে এটাই প্রথম জয় মায়ামির।
এই নিয়ে ফ্রি-কিকে ৬৮টি গোল করলেন মেসি। ফ্রি কিকে সবচেয়ে বেশি গোল করাদের তালিকায় মেসির চেয়ে এগিয়ে ৭০ গোল করা পেলে এবং ৭৭ গোল করা জুনিনিও। পাশাপাশি, ফিফা আয়োজিত যেকোনো টুর্নামেন্টে ২৫ গোল করা মেসিই এখন সবচেয়ে বেশি গোলদাতা।
২ ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে মায়ামি। শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে টেবিল টপ পালমেইরেসের। এর আগে, উদ্বোধনী ম্যাচে সৌদি ক্লাব আল আহলির সঙ্গে ড্র করে মেসির দল।
দীর্ঘ ২৭ বছরের শিরোপা খরা কাটাতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শিরোপা জয়ের খুব কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দলটা দক্ষিণ আফ্রিকা বলেই হয়তো এখনও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হওয়া যাচ্ছে না। বড় ম্যাচে চাপ সামলাতে না পারার নজির আছে তাদের। ইংল্যান্ডের লর্ডসে চলমান বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিততে প্রোটিয়াদের প্রয়োজন আর মাত্র ৬৯ রান, হাতে আছে আরও ৮ উইকেট।
যদিও তাদের লক্ষ্যটা সহজ ছিল না। টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ২৮২ রানের লক্ষ্যটা বড় স্কোরই বটে, আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনাল হিসেবে সেটির মাহাত্ম্য আরও বেশি। তবে একেবারেই যে অসম্ভব নয় সেটাই যেন প্রমাণে মরিয়া ১৯৯৮ সালের পর কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট না জেতা দক্ষিণ আফ্রিকা।
এমনকি যেকোনো ফরম্যাটের বিশ্বকাপেই শীর্ষ চারের লড়াইয়ে হেরে নামের পাশে তারা ‘চোকার’ তকমাও জুটিয়েছিল। সেটি ঝেড়ে ফেলে এবার ইতিহাস গড়ার সুযোগ হাতছানি দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে।
ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে ২৮২ রানের বড় লক্ষ্যকে প্রায় হাতের নাগালে নিয়ে এসেছেন এইডেন মার্করাম ও টেম্বা বাভুমা। ম্যাচের তৃতীয় দিনে এইডেন মার্করাম তার টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। আর এই সেঞ্চুরি তাকে যুক্ত করেছে ইতিহাসের পাতায়। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কোনো ব্যাটার হিসেবে যেকোনো আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে সেঞ্চুরি করলেন মার্করাম।
মার্করাম-বাভুমার ১৪৩ রানের জুটিতে জয়ের খুব কাছাকাছি দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে যেকোনো আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ছিল ৬১। হ্যান্সি ক্রনিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেই রান করেন। ঢাকায় অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টটি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম আসর। এরপর আর কোনো আইসিসি ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।
অজিদের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখানো মার্করামের সেঞ্চুরিতে বেশ কয়েকটি রেকর্ড হয়েছে। ঐতিহাসিক লর্ডসে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সেঞ্চুরি করেছেন। আগের দুটি ম্যাজিক ফিগার ছিল অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ ও ট্রাভিস হেডের।
এছাড়া একই ভেন্যুতে আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে সেঞ্চুরি করা ব্যাটারদের মধ্যে মার্করাম তৃতীয়। আগের দুই সেঞ্চুরিয়ান দুই ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ক্লাইভ লয়েড ও ভিভিয়ান রিচার্ডস।
বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে লর্ডসে টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ষষ্ঠ ব্যাটার মার্করাম। এর আগে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটাররা হচ্ছেন গর্ডন গ্রিনিজ (২১৪, ১৯৮৪), রয় ফ্রেডরিকস (১৩৮, ১৯৭৬), মাইকেল ক্লার্ক (১৩৬, ২০০৯), অজিত আগারকার (১০৯, ২০০২) ও স্যার ডন ব্র্যাডম্যান (১০২, ১৯৩৮)।
এছাড়া টেস্টে ওপেনারদের মধ্যে চতুর্থ ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি করা ব্যাটারদের তালিকায়ও নাম লেখালেন মার্করাম। চতুর্থ ইনিংসে ৪টি করে সেঞ্চুরি আছে সুনীল গাভাস্কার ও গ্রায়েম স্মিথের। আর মার্করামসহ ৩টি করে সেঞ্চুরি করেন হার্বার্ট সাটক্লিফ, গফ্রি বয়কট, গর্ডন গ্রিনিজ ও গ্রাহাম গুচ।
লর্ডসে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ডাক (শূন্য রানে আউট) নিয়ে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে ৯ জনের। নতুন করে সেই দলে নাম লেখালেন মার্করাম। এছাড়া তিনি পঞ্চম প্রোটিয়া ব্যাটার হিসেবে ইংল্যান্ডের মাটিতে এই কীর্তি গড়লেন।
চলমান টেস্টে ১৫৯ বলে ১১ চারে ১০২ রানে অপরাজিত আছেন মার্করাম। শিরোপা জয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত রানের অঙ্কটা বাড়িয়ে তার সামনে আরও বড় ইতিহাসের পাতায় যুক্ত হওয়ার হাতছানি দিচ্ছে।
বাভুমার ক্যাচ ফেলে দেয়ার সময় আঙুলে চোট পাওয়া স্মিথকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে কিছুদিন।
এদিকে ব্যাটিংয়ে নামার আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা জেনে গিয়েছিল তাদের লর্ডসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লক্ষ্য তাড়া করতে হবে। অথচ ওপেনিংয়ে এলেন আগের ইনিংসে ডাক নিয়ে আউট হওয়া মার্করাম। তবে এবার আর তিনি গড়বড় করেননি। রায়ান রিকেলটন দ্রুত ফিরে গেলেও মার্করাম প্রথমে মুল্ডার (৬১ রানের জুটি) ও পরে বাভুমার সঙ্গে দৃঢ় জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন।
উল্লেখ্য, বাভুমা ইনজুরির মধ্যেও খেলেছেন, অন্যদিকে স্টিভ স্মিথ ক্যাচ মিস করার সময় চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান, যা অস্ট্রেলিয়ার জন্য দুশ্চিন্তার বিষয়।
আজ শনিবার চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই নিশ্চিত হতে পারে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের শিরোপা।লর্ডসের ঝলমলে আলোয় দক্ষিণ আফ্রিকা যেন এগিয়ে যাচ্ছে একটি নতুন ইতিহাস গড়ার দিকে…..
১৯১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই চার মেরে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দেন পাঞ্জাব ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য। ওভারের শেষ বলে ছক্কা মারেন আরেক ওপেনার প্রভসিমরান সিং। এরপর দ্বিতীয় ওভারে দুই চারে আসে ১০ রান। এরপর খানিকটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার। তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে আসে যথাক্রমে ৫ ও ৪ রান। পঞ্চম ওভারে পর পর দুই চার মেরে ঝড়ের ইঙ্গিত দিলেও শেষ বলে ব্যক্তিগত ২৪ রানে সাজঘরের পথ ধরেন প্রিয়াংশ। পাঁচ ওভারে পাঞ্জাবের সংগ্রহ দাড়ায় এক উইকেটে ৪৩ রান।
এরপর প্রভসিমরানকে সাথে নিয়ে পাঞ্জাবের রানের চাকা সচল রাখেন জশ ইংলিস। নবম ওভারে ক্রুনালের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন প্রভসিমরান। এর পরের ওভারে একই পথ ধরেন শ্রেয়াস আইয়ার। মাত্র ১ রান করে শেফার্ডের বলে কাটা পড়েন তিনি। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালাতে থাকেন ইংলিস। ১৩ তম ওভারে ক্রুনালের বলে আউট হওয়ার আগে চারটি চার ও একটি ছক্কার মারে ২৩ বলে ৩৯ রান নেন তিনি। ইংলিসের বিদায়ে খানিকটা চাপে পড়ে পাঞ্জাব।
ক্রিজে তখন শশাঙ্ক সিং ও নেহাল ওয়াধেরা। এরপর দুই ওভার দেখেশুনে খেললেও পনেরোতম ওভারে গিয়ে হাত খুলে ব্যাট করতে থাকেন দুই ব্যাটার। যোলোতম ওভারে ভুবনেশ্বরের বলে আউট হন নেহাল। এরপর প্রথম বলে ছক্কা মেরে দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন মার্কাস স্টয়নিস। শেষ ১৮ বলে পাঞ্জাবের তখন ৪৭ রান দরকার। ১৮ তম ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয় আউট হন। সেই ওভারে আসে মাত্র ৫ রান।
জিততে হলে শেষ ১২ বলে পাঞ্জাবের তখন ৪২ রান প্রয়োজন । পরের গল্পটা শুধু শশাঙ্ক সিংয়ের। শেষ দুই ওভারে চারটি ছক্কা ও দুইটি চারের মারে ৩৫ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করেন। তবে তার ব্যাটিং শুধু পাঞ্জাব ভক্তদের আফসোস বাড়িয়েছে। ম্যাচটি ছয় রানে হারে পাঞ্জাব কিংস। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান নেন শশাঙ্ক।
এর আগে, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খানিকটা ঝড়ো গতিতে ব্যাট করতে থাকে বেঙ্গালুরু। ব্যক্তিগত ১৬ রানে ফিল সল্ট সাজঘরে ফেরেন। এরপর একপ্রান্ত আগলে ব্যাট চালাতে থাকেন বিরাট কোহলি। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বেঙ্গালুরু। তবে ইনিং বড় করতে না পারলেও ছোট ছোট ক্যামিওতে ১৯০ রানের বড় সংগ্রহ পায় দলটি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ বলে ৪৩ রান নেন কোহলি। এছাড়া, রজত পাতিদার ২৬, লিভিংস্টোন ২৫, মায়াঙ্ক আগরওয়াল ২৪, জিতেশ শর্মা ২৪ ও রোমারিও শেফার্ড ১৭ রান নেন।