• Colors: Green Color

অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। মাত্র ৯০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২০৯ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় টাইগার যুবারা।

হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইয়ং টাইগারদের বোলিং তোপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ২২.৩ ওভারে মাত্র ৮৯ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ওপেনার নাথানায়েলের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ২৬ রান। ২৭ রানের খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন পেসার ইমন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খেলেও দ্রুতই পরিস্থিতি সামাল দেয় বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে তামিম ও রিজানের ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি জয়ের বন্দরে নিয়ে যায় লাল সবুজদের।

এক ওভারে একজন বোলার কতগুলো ওয়াইড দিতে পারেন? দুই, তিন, চার এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকার কথা। তবে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নস লিগে যা ঘটেছে তা রীতিমতো পাগলামি। অস্ট্রেলিয়ান এক বোলার এক ওভারে বল করেছেন ১৮টি। যার ১২টিই ওয়াইড এবং একটি নো বল। সেই ইতিহাস গড়া বোলার হলেন জন হ্যাস্টিংস।

ইংল্যান্ডে চলছে সাবেকদের মিলনমেলা। সূচি অনুযায়ী লেস্টারে চলছিল পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ। অজিদের দেয়া ৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে পাকিস্তান। ৭ ওভারে বিনা উইকেটে স্কোর বোর্ডে পাকিস্তানের রান তখন ৫৫। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হ্যাস্টিংসের হাতে বল তুলে দেন ব্রেট লি। বল হাতে শুরুতেই হ্যাস্টিংস দেন ৫টি টানা ওয়াইড। প্রতিটা বলই বেরিয়ে যায় অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়ে।

এরপর দুই বলে সিঙ্গেল ও চার হজম করেন হ্যাস্টিংস। এরপর আবার লাইনচ্যুত হন এই বোলার। আবার একটা নো বল এবং ওয়াইড। এবার দুটি বলই ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। লাইন নিয়ে সমস্যা হওয়ায় সমাধান হিসেবে বেছে নেন রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করার। অবশ্য তাতেও লাভ হয়নি। পর পর তিনটি ওয়াইড। আবারো পার্শ্ব পরিবর্তন। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে ওভার শেষ করতে পারলে হাফ ছেড়ে বাচেন হ্যাস্টিংস। কিন্তু ভাগ্য বিধাতা যেন সেদিন খেলছিলেন তার সাথে।

অদ্ভুতুড়ে ওভারে হ্যাস্টিংস ১৮ বল করলেও ওভারটি শেষ করা সম্ভব হয়নি। এই ওভারে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেছেন দুই ওপেনার শারজিল ও মাকসুদ।

উল্লেখ্য, ম্যাচে ১০ উইকেটে হারের পরও অবশ্য সেমিফাইনালে নাম লিখিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যেখানে তারা মুখোমুখি হবে ডি ভিলিয়ার্সের দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

উরুগুয়েকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে নারী কোপা আমেরিকার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাজিল। একইসঙ্গে, ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে জায়গা নিশ্চিত করেছে সেলেসাওরা।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ইকুয়েডরের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দারুণ দাপট দেখিয়ে জয় তুলে নেয় ব্রাজিলের মেয়েরা। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নেয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

এই ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন ২৪ বছর বয়সী অ্যামান্ডা গুতিয়েরেস। একটি করে গোল করেছেন গিও গারবেলিনি, মার্তা ও দুদিনিয়া।

মেয়েদের কোপা আমেরিকায় বরাবরই ফেভারিট ব্রাজিল। নয় আসরের মধ্যে আটবারই শিরোপা উৎসব করেছে দলটা।

ফাইনালে আগামী শনিবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত তিনটায় কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল, যাদের বিপক্ষে ২০২২ সালের ফাইনালে জিতেছিল সেলেসাওরা।

টাইব্রেকারের নাটকীয়তায় মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে স্পেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড। ১২০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে অমিমাংসীত থাকার পর পেনাল্টি শ্যুটআউটে ৩-১ গোলে ফাইনালে জিতে শিরোপা উৎসবে মাতে ইংলিশ নারীরা।

সেন্ট জ্যাকব পার্কে দাপট দেখিয়ে ম্যাচে আধিপত্য দেখায় স্পেন। নিজেদের স্বপ্ন পূরণের মঞ্চে দাঁড়িয়ে গোল করে এগিয়েও যায় তারা।

খেলার ২৫ মিনিটে ক্রস থেকে বল পেয়ে হেডের মাধ্যমে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন মারিওনা ক্যালডেন্টে। বিরতি থেক ফিরে ম্যাচের ৫৭ মিনিটে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। দলকে ১-১ গোলে সমতায় ফেরান অ্যালেসিয়া রুশো।

এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের খেলায় নির্ধারিত সময় পেরিয়ে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও ফলাফল না এলে টাইব্রেকারে স্বপ্ন ভাঙে স্পেনের নারীদের।

প্রথমবারের মত বিদেশি লিগে খেলতে গিয়ে আলো ছড়িয়েছেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। বুধবার (২৩ জুলাই) ভুটানে রয়েল থিম্পু কলেজের (আরটিসি) হয়ে অভিষেক ম্যাচেই হয়েছেন ম্যাচসেরা।

শামসুন্নাহার ও তহুরা খাতুনের নৈপুণ্যে উগেন একাডেমিকে ৪-০ গোলে হারায় আরটিসি।

প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিল শামসুন্নাহারের দল। শুরুতে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। অন্য দুটি গোল করেন ভুটানিজরা। দ্বিতীয়ার্ধে তহুরা করেন চতুর্থ গোল।

এক গোল করেও ম্যাচসেরা হয়েছেন বাংলাদেশের শামসুন্নাহার। তার মতো তহুরা খাতুনেরও বিদেশির মাটিতে ছিল প্রথম ম্যাচ। অভিষেক রাঙ্গিয়েছেন দুজনই গোল করে।

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বল পায়ে জাদু দেখিয়েছেন শামসুন্নাহার জুনিয়র ও তহুরা খাতুন। দুজনের পা থেকে এসেছিল ৬ গোল। বাংলাদেশি দুই তারকাই জাতীয় দলের অন্যতম অংশ। তারা দুজনেই আবার খেলছেন ভুটান নারী লিগে।

আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরবর্তী তিন আসরের ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে ইংল্যান্ডকে। সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে নেয়া হয় এই সিদ্ধান্ত।

২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতার প্রথম তিনটি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় ইংল্যান্ডে। এবার ২০২৭, ২০২৯ ও ২০৩১ সালের আসরগুলোর ফাইনালের আয়োজক হিসেবে থাকছে তারা।

যদিও ২০২৭ সালের আসরে ভেন্যু হিসেবে শোনা গিয়েছিল ভারতের নাম। তবে সাম্প্রতিক সময়ের সফল আয়োজনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় আইসিসি। সেই সাথে নিরপেক্ষ ম্যাচেও পূর্ণ দর্শক উপস্থিতি বড় শক্তির জায়গা হিসিবে বিবেচিত হয়েছে ইংল্যান্ডের।

ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমরা দারুণ খুশি যে পরবর্তী তিনটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিত হবে। এটি প্রমাণ করে, এই ফরম্যাটের প্রতি দর্শকদের গভীর ভালোবাসা রয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে সমর্থকদের এই দেশ সফরের আগ্রহ প্রবল। এত বড় একটি আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।

ইংল্যান্ডের বড় একটি শক্তির জায়গা হলো নিরপেক্ষ ম্যাচেও পূর্ণ গ্যালারি নিশ্চিত করতে পারার ক্ষমতা। ২০২৩ সালে ওভালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল এবং ২০২১ সালে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও হ্যাম্পশায়ারে ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ, উভয় ক্ষেত্রেই দর্শকের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।

উল্লেখ্য, আগের তিন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব