• Colors: Green Color

দীর্ঘ ২৭ বছরের শিরোপা খরা কাটাতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শিরোপা জয়ের খুব কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দলটা দক্ষিণ আফ্রিকা বলেই হয়তো এখনও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হওয়া যাচ্ছে না। বড় ম্যাচে চাপ সামলাতে না পারার নজির আছে তাদের। ইংল্যান্ডের লর্ডসে চলমান বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিততে প্রোটিয়াদের প্রয়োজন আর মাত্র ৬৯ রান, হাতে আছে আরও ৮ উইকেট।

যদিও তাদের লক্ষ্যটা সহজ ছিল না। টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ২৮২ রানের লক্ষ্যটা বড় স্কোরই বটে, আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনাল হিসেবে সেটির মাহাত্ম্য আরও বেশি। তবে একেবারেই যে অসম্ভব নয় সেটাই যেন প্রমাণে মরিয়া ১৯৯৮ সালের পর কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট না জেতা দক্ষিণ আফ্রিকা।

এমনকি যেকোনো ফরম্যাটের বিশ্বকাপেই শীর্ষ চারের লড়াইয়ে হেরে নামের পাশে তারা ‘চোকার’ তকমাও জুটিয়েছিল। সেটি ঝেড়ে ফেলে এবার ইতিহাস গড়ার সুযোগ হাতছানি দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে।

ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে ২৮২ রানের বড় লক্ষ্যকে প্রায় হাতের নাগালে নিয়ে এসেছেন এইডেন মার্করাম ও টেম্বা বাভুমা। ম্যাচের তৃতীয় দিনে এইডেন মার্করাম তার টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। আর এই সেঞ্চুরি তাকে যুক্ত করেছে ইতিহাসের পাতায়। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কোনো ব্যাটার হিসেবে যেকোনো আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে সেঞ্চুরি করলেন মার্করাম।

মার্করাম-বাভুমার ১৪৩ রানের জুটিতে জয়ের খুব কাছাকাছি দক্ষিণ আফ্রিকা।

এর আগে যেকোনো আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ছিল ৬১। হ্যান্সি ক্রনিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেই রান করেন। ঢাকায় অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টটি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম আসর। এরপর আর কোনো আইসিসি ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।

অজিদের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখানো মার্করামের সেঞ্চুরিতে বেশ কয়েকটি রেকর্ড হয়েছে। ঐতিহাসিক লর্ডসে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সেঞ্চুরি করেছেন। আগের দুটি ম্যাজিক ফিগার ছিল অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ ও ট্রাভিস হেডের।

এছাড়া একই ভেন্যুতে আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে সেঞ্চুরি করা ব্যাটারদের মধ্যে মার্করাম তৃতীয়। আগের দুই সেঞ্চুরিয়ান দুই ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ক্লাইভ লয়েড ও ভিভিয়ান রিচার্ডস।

বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে লর্ডসে টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ষষ্ঠ ব্যাটার মার্করাম। এর আগে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটাররা হচ্ছেন গর্ডন গ্রিনিজ (২১৪, ১৯৮৪), রয় ফ্রেডরিকস (১৩৮, ১৯৭৬), মাইকেল ক্লার্ক (১৩৬, ২০০৯), অজিত আগারকার (১০৯, ২০০২) ও স্যার ডন ব্র্যাডম্যান (১০২, ১৯৩৮)।

এছাড়া টেস্টে ওপেনারদের মধ্যে চতুর্থ ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি করা ব্যাটারদের তালিকায়ও নাম লেখালেন মার্করাম। চতুর্থ ইনিংসে ৪টি করে সেঞ্চুরি আছে সুনীল গাভাস্কার ও গ্রায়েম স্মিথের। আর মার্করামসহ ৩টি করে সেঞ্চুরি করেন হার্বার্ট সাটক্লিফ, গফ্রি বয়কট, গর্ডন গ্রিনিজ ও গ্রাহাম গুচ।

লর্ডসে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ডাক (শূন্য রানে আউট) নিয়ে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে ৯ জনের। নতুন করে সেই দলে নাম লেখালেন মার্করাম। এছাড়া তিনি পঞ্চম প্রোটিয়া ব্যাটার হিসেবে ইংল্যান্ডের মাটিতে এই কীর্তি গড়লেন।

চলমান টেস্টে ১৫৯ বলে ১১ চারে ১০২ রানে অপরাজিত আছেন মার্করাম। শিরোপা জয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত রানের অঙ্কটা বাড়িয়ে তার সামনে আরও বড় ইতিহাসের পাতায় যুক্ত হওয়ার হাতছানি দিচ্ছে।

বাভুমার ক্যাচ ফেলে দেয়ার সময় আঙুলে চোট পাওয়া স্মিথকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে কিছুদিন।

এদিকে ব্যাটিংয়ে নামার আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা জেনে গিয়েছিল তাদের লর্ডসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লক্ষ্য তাড়া করতে হবে। অথচ ওপেনিংয়ে এলেন আগের ইনিংসে ডাক নিয়ে আউট হওয়া মার্করাম। তবে এবার আর তিনি গড়বড় করেননি। রায়ান রিকেলটন দ্রুত ফিরে গেলেও মার্করাম প্রথমে মুল্ডার (৬১ রানের জুটি) ও পরে বাভুমার সঙ্গে দৃঢ় জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন।

উল্লেখ্য, বাভুমা ইনজুরির মধ্যেও খেলেছেন, অন্যদিকে স্টিভ স্মিথ ক্যাচ মিস করার সময় চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান, যা অস্ট্রেলিয়ার জন্য দুশ্চিন্তার বিষয়।

আজ শনিবার চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই নিশ্চিত হতে পারে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের শিরোপা।লর্ডসের ঝলমলে আলোয় দক্ষিণ আফ্রিকা যেন এগিয়ে যাচ্ছে একটি নতুন ইতিহাস গড়ার দিকে…..

ইন্ডিয়ার প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ব্যাঙ্গালুরুর দেয়া ১৯১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৮৪ রানে শেষ হয় পাঞ্জাবের ইনিংস।

মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই দল।

১৯১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই চার মেরে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দেন পাঞ্জাব ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য। ওভারের শেষ বলে ছক্কা মারেন আরেক ওপেনার প্রভসিমরান সিং। এরপর দ্বিতীয় ওভারে দুই চারে আসে ১০ রান। এরপর খানিকটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার। তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে আসে যথাক্রমে ৫ ও ৪ রান। পঞ্চম ওভারে পর পর দুই চার মেরে ঝড়ের ইঙ্গিত দিলেও শেষ বলে ব্যক্তিগত ২৪ রানে সাজঘরের পথ ধরেন প্রিয়াংশ। পাঁচ ওভারে পাঞ্জাবের সংগ্রহ দাড়ায় এক উইকেটে ৪৩ রান।

এরপর প্রভসিমরানকে সাথে নিয়ে পাঞ্জাবের রানের চাকা সচল রাখেন জশ ইংলিস। নবম ওভারে ক্রুনালের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন প্রভসিমরান। এর পরের ওভারে একই পথ ধরেন শ্রেয়াস আইয়ার। মাত্র ১ রান করে শেফার্ডের বলে কাটা পড়েন তিনি। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালাতে থাকেন ইংলিস। ১৩ তম ওভারে ক্রুনালের বলে আউট হওয়ার আগে চারটি চার ও একটি ছক্কার মারে ২৩ বলে ৩৯ রান নেন তিনি। ইংলিসের বিদায়ে খানিকটা চাপে পড়ে পাঞ্জাব।

ক্রিজে তখন শশাঙ্ক সিং ও নেহাল ওয়াধেরা। এরপর দুই ওভার দেখেশুনে খেললেও পনেরোতম ওভারে গিয়ে হাত খুলে ব্যাট করতে থাকেন দুই ব্যাটার। যোলোতম ওভারে ভুবনেশ্বরের বলে আউট হন নেহাল। এরপর প্রথম বলে ছক্কা মেরে দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন মার্কাস স্টয়নিস। শেষ ১৮ বলে পাঞ্জাবের তখন ৪৭ রান দরকার। ১৮ তম ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয় আউট হন। সেই ওভারে আসে মাত্র ৫ রান।

জিততে হলে শেষ ১২ বলে পাঞ্জাবের তখন ৪২ রান প্রয়োজন । পরের গল্পটা শুধু শশাঙ্ক সিংয়ের। শেষ দুই ওভারে চারটি ছক্কা ও দুইটি চারের মারে ৩৫ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করেন। তবে তার ব্যাটিং শুধু পাঞ্জাব ভক্তদের আফসোস বাড়িয়েছে। ম্যাচটি ছয় রানে হারে পাঞ্জাব কিংস। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান নেন শশাঙ্ক।

এর আগে, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খানিকটা ঝড়ো গতিতে ব্যাট করতে থাকে বেঙ্গালুরু। ব্যক্তিগত ১৬ রানে ফিল সল্ট সাজঘরে ফেরেন। এরপর একপ্রান্ত আগলে ব্যাট চালাতে থাকেন বিরাট কোহলি। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বেঙ্গালুরু। তবে ইনিং বড় করতে না পারলেও ছোট ছোট ক্যামিওতে ১৯০ রানের বড় সংগ্রহ পায় দলটি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ বলে ৪৩ রান নেন কোহলি। এছাড়া, রজত পাতিদার ২৬, লিভিংস্টোন ২৫, মায়াঙ্ক আগরওয়াল ২৪, জিতেশ শর্মা ২৪ ও রোমারিও শেফার্ড ১৭ রান নেন।

বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তো বটেই, পরবর্তী বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে ইতোমধ্যেই নাম লিখিয়েছে আর্জেন্টিনা। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এখনও দুটি ম্যাচ খেলতে হবে আলবিসেলেস্তেদের। চিলি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ উপলক্ষে ২৮ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছে আর্জন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। খেলোয়াড়দের নাম ঘোষণায় এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছে দেশটির ফুটবল বোর্ড।

গত মার্চে আর্জেন্টিনার পোর্ট সিটি বাহিয়া ব্লাঙ্কায় ভয়াবহ বন্যা হয়। এতে ১৬ জন মারা যায়, সেইসাথে হাজারেরও বেশি মানুষ বাড়িঘর হারায়। তাদের স্মরণে নতুন এই পন্থা এএফএ’র। ওই শহরের নানা বয়সী ও পেশার নাগরিকদের মুখে শোনা গেলো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বাকি দুই ম্যাচের আর্জেন্টিনা স্কোয়াড।

আর্জেন্টিনার প্রাথমিক স্কোয়াড: এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, ওয়াল্টার বেনিতেজ, জেরোনিমো রুলি, মারিয়ানো ট্রয়লো, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওতামেন্ডি, নাহুয়েল মোলিনা, লিয়েনার্দো বালের্দি, ভ্যালেন্টিন বার্কো, জন ফয়েথ, কেভিন লোমোনাকো, নিকোলাস তালিয়াফিকো, ফাকুন্দো মেদিনা, লিয়েন্দ্রো পারেদেস, এনজো বারেনেচিয়া, এনজো ফার্নান্দেজ, এজাকুয়েল প্যালাসিওস, থিয়েগো আলমাদা, নিকো পাজ, রদ্রিগো ডি পল, জিওভান্নি লো সেলসো, নিকোলাস গঞ্জালেস, ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়োনো, লিওনেল মেসি, লাউতারো মার্টিনেজ, জিউলিয়ানো সিমিওনে, আনহেল কোরেয়া ও হুলিয়ান আলভারেজ।

উল্লেখ্য, আগামী ৬ জুন ন্যাশনাল জুলিও মার্টিনেজ স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনাকে আতিথ্য দেবে চিলি। ১১ জুন ঘরের মাঠে আলবিসেলেস্তেদের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বুয়েন্স এইরেসের মাস মনুমেন্তালে।

সরকারি হস্তক্ষেপে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে অপসারণ করা হচ্ছে জানিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) অভিযোগ জানিয়েছেন ফারুক আহমেদ।

শুক্রবার (৩০ মে) সকালে যমুনা টেলিভিশনকে ফারুক আহমেদ এ তথ্য জানান। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মনোনয়ন বাতিল করার সঙ্গে সঙ্গেই আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।

এর আগে, ২৮ মে রাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেন ফারুক। সেখানেই তাকে জানানো হয়, সরকার আর তাকে বিসিবির নেতৃত্বে দেখতে চায় না। তবে ফারুক আহমেদ স্পষ্টভাবে জানান, তিনি পদত্যাগ করবেন না।

এরইমধ্যে বিসিবি সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জানিয়ে চিঠি দেন বোর্ডের ৮ পরিচালক। সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি।

২৯ মে রাতে পরিচালকদের অনাস্থা প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে এক অফিস আদেশে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এই বিজ্ঞপ্তির পর বিসিবি সভাপতির পদ শূন্য হয়। এখন নিয়মানুযায়ী নতুন কেউ বিসিবি সভাপতি হবেন বলেই ধরে নেয়া যাচ্ছে।

এদিকে আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী, একটি দেশের ক্রিকেট বোর্ড হবে স্বায়ত্বশাসিত এবং বোর্ড প্রশাসনের ওপর সরকারের কোনো ধরনের প্রভাব থাকবে না। কোনো ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসনে সরকারি হস্তক্ষেপ হলে তা সদস্যপদ স্থগিতের কারণ হতে পারে।

এক্ষেত্রে যদি বিসিবি সভাপতির অপসারণে সরকারি হস্তক্ষেপ প্রমাণিত হয়, তবে আইসিসি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে। যার মধ্যে সদস্যপদ স্থগিত করা, আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা, বা আর্থিক সহায়তা বন্ধ করা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। তবে, আইসিসি সাধারণত এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিস্তারিত তদন্ত করে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে।

২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড এবং ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে আইসিসি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তগুলোর পেছনে আইসিসির মূল যুক্তি ছিল, ক্রিকেট বোর্ডের স্বায়ত্তশাসনে সরকারি হস্তক্ষেপ আইসিসির নীতিমালার পরিপন্থী।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক পাকিস্তানের কাছে ৩৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের দেয়া ২০২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে হাসান আলির দুর্দান্ত বোলিং তোপে ১৬৪ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ৩০ রানের খরচার ৫ উইকেট তুলে নেন হাসান।

নির্দিষ্ট রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। জোড়া আঘাত হানেন হাসান আলি। দলীয় ১৪ ও ব্যক্তিগত ৪ রানেই হ্যারিস রউফের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার ইমন। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসানকেও সাজঘরে ফেরান হাসান। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৩৭ রানেই ২ উইকেট হারায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

ব্যক্তিগত অর্ধশতকে পৌঁছানোর মাত্র ২ রান আগে ফখর জামানের তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অধিনায়ক লিটন দাস। তাওহিদ হৃদয়ও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি ক্রিজে। খুশদিল শাহর লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন হৃদয়।

দলের বাকি ব্যাটাররা সবাই বিদায় নেন এক অঙ্কের রানে। শেষ পর্যন্ত, ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় বাংলাদেশ।

হাসান আলির ফাইফারের পাশাপাশি পাকিস্তানের পক্ষে ২টি উইকেট তুলে নেন সাদাব খান। এছাড়া ১টি করে উইকেট পান ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ ও সালমান আগা।

এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে খেই হারালেও দলীয় অধিনায়ক সালমান আগার অর্ধশতকে ২০১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিক পাকিস্তান।

শুরুতেই স্বাগতিকদের দুই ওপেনিং ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান মেহেদী-শরিফুল। ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই পাক শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদী। শূন্য রানে ফেরেন সাইম আইয়ুব। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই শরিফুলের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন আরেক ওপেনার ফখর জামান। দলীয় ৫ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।

এরপর দলের হাল ধরেন সালমান আগা ও মোহাম্মদ হ্যারিস। দুজনের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৩১ ও ৫৬ রান। দলীয় ৫৩ ও ব্যক্তিগত ৩১ রানে তানজিমের বলে তানজিদের তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন হ্যারিস। হাসান নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক আগা।

মাত্র ২৯ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটির দেখা পান আগা। তবে হাসানের বলে তানজিদের ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। রিশাদের বলে বিদায় নেয়ার আগে ২২ বলে দুর্দান্ত ৪৪ রানের এক ইনিংস খেলেন নওয়াজ। ২টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে।

সাদাব খানের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে ফাহিম আশরাফ ও খুশদিল শাহ করেন যথাক্রমে ১১ ও ৫ রান। শেষ পর্যন্ত ২০১ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস।

বাংলাদেশের পক্ষে ৩২ রানের খরচায় ২টি উইকেট তুলে নেন শরিফুল। ইনিংসে বোলিং করা বাকি পাঁচজনই পান ১টি করে উইকেট।

উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবার একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দু’দল।

বার্সেলোনার সাথে চুক্তি বাড়লো তরুণ তারকা লামিন ইয়ামাল। রেকর্ড মূল্যে ২০৩১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এই স্প্যানিশ তারকার সঙ্গে।

২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বার্সার সঙ্গে চুক্তি ছিল লামিন ইয়ামালের। তবে, এই ফুটবলার বহুবারই বলেছেন বার্সাতেই থাকতে চান তিনি। এখান থেকেই হতে চান মহাতারকা। ক্লাবটাকে দিয়েছেনও অনেক কিছু।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বার্সা প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তার উপস্থিতিতে চুক্তি নবায়নপত্রে স্বাক্ষর করেন ইয়ামাল। বার্সার হয়ে এখন পর্যন্ত তিনি খেলেছেন ১০৬ ম্যাচ। যেখানে ২৫ গোল ও ৩৪ অ্যাসিস্ট রয়েছে ইয়ামালের।

এবারের মৌসুমে বার্সার ট্রেবল জয়ের অন্যতম কারিগর তিনি। ফুটবল পায়ে বিস্ময়ের জন্ম দেয়া ইয়ামালকে আরও ছয় বছর নিজেদের করে রাখলো কাতালান ক্লাবটি।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব