• Colors: Green Color

ইংলিশ ফুটবল লিগ (ইএফএল) চ্যাম্পিয়নশিপের প্লে-অফ ফাইনালে সান্ডারল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হেরে প্রিমিয়ার লিগে নাম লেখাতে ব্যর্থ হলো গেল হামজা চৌধুরীর শেফিল্ড ইউনাইটেড। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে দারুণ এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েছে ব্ল্যাক ক্যাটস। এর মধ্য দিয়ে ২০১৭ সালের পর প্রিমিয়ারে ফিরল তারা।

এদিন ম্যাচের ২৫ মিনিটে টাইরেস ক্যাম্পবেলের গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় শেফিল্ড। এই গোলের জোরেই এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধেও সে দাপট ছিল তাদের। গোলের ভালো সুযোগ তৈরির দিক দিয়ে এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু ভালো ফিনিশিংয়ের অভাবে এক গোলের লিড নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।

ম্যাচের যখন আরে মোটে ১৪ মিনিট বাকি, ঠিক সে সময়ই তাদের লিড খোয়া যায়। স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড এলিজার মায়েন্দার গোলে সমতায় ফেরে সান্ডারল্যান্ড।

আর যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে থমাস ওয়াটসনের গোলে প্রিমিয়ার লিগে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত হয় দলটির।

এর ফলে মৌসুমটা মোটামুটি ভালো কাটালেও তীরে এসে তরী ডুবল শেফিল্ডের। চ্যাম্পিয়নশিপে সদ্যসমাপ্ত মৌসুমের একটা বড় সময় ধরে দলটা ছিল শীর্ষস্থানে। শেষ দিকে এসে টানা হেরে তাদের সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ গচ্চা যায়। এরপর প্লে অফের সেমিফাইনালে বড় জয় নিয়ে যাও একটা আশা জেগেছিল দলটার, ফাইনালে সে আশা গেল ভেস্তে। যার ফলে দলটাকে এখন আগামী মৌসুমে আবারও খেলতে হবে চ্যাম্পিয়নশিপেই।

একই ভাগ্য হামজা চৌধুরীরও। চলতি মৌসুম শেষে তিনি ফিরে যেতে পারেন লেস্টার সিটিতে। সে দলটাও প্রিমিয়ার লিগ থেকে নেমে গেছে চ্যাম্পিয়নশিপে, এখন শেফিল্ডও ব্যর্থ হলো প্রিমিয়ার লিগে নাম লেখাতে। ফলে ইংল্যান্ড না ছাড়লে আগামী মৌসুমে আবারও এই চ্যাম্পিয়নশিপেই খেলতে হবে হামজাকে।

আগামী ১০ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের বহুল আকাঙ্খিত হোম ম্যাচের টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইটটি সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। এ কারণে সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে টিকিফাই ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

শনিবার (২৪ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বাফুফে এ তথ্য জানায়। টিকিট বিক্রির বিষয়ে নতুন আপডেট খুব শীঘ্রই জানানো হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে আগামী ১০ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়ে ঘরের মাঠে অভিষেক হবে হামজা চৌধুরী ও সমিত সোমের। ভক্তদের তুমুল আগ্রহের এই ম্যাচের টিকিট শনিবার দুপুর ১২টা থেকে টিকিফাই ডট লাইভ ওয়েবসাইটে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ বাফুফে জানায়, বাংলাদেশ বনাম সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট অনলাইনে রাত ৮টা থেকে ছাড়া হবে।

নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই টিকিফাই ডট লাইভের ওয়েবসাইটে ঢু মারতে থাকেন ভক্তরা। শুরুর দিকে কয়েক মিনিট বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ অপশনে ক্লিক করে ভেতরে প্রবেশ করা গেলেও পরে আর তা করা যায়নি। মূলত টিকিট বিক্রির টিকিফাই ওয়েবসাইটটি সাইবার আক্রমণের শিকার হওয়ায় টিকিট কাটতে পারননি সমর্থকরা।

উল্লেখ্য, এক সময় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর পর কানাডা প্রিমিয়ার লিগে খেলা সমিত সোম ও ইতালির চতুর্থ বিভাগে খেলা ফাহমিদুল ইসলামেরও বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হতে যাচ্ছে আগামী ১০ জুন। ঘরের মাঠে এবারই প্রথম একসঙ্গে খেলতে নামবেন হামজা-সমিত সোমরা। গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে ড্রয়ের পর সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচেও ভালো ফলের প্রত্যাশায় সমর্থকরা।

ক্যারিয়ারে বহু গোল করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। তবে, এতো গোলের মধ্যে কোন গোলটি তার প্রিয়— এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে, খেলার মাঠ কিংবা টিভির সামনে ভক্তদের মধ্যে চলে তুমুল তর্ক-ঝগড়া। অবশেষে, মেসি নিজেই বৃহস্পতিবার (২২মে) এক বিবৃতিতে বলে দিয়েছেন; কোন গোলটি তার সবচেয়ে প্রিয়।

মেসি বলেন, ‘আমার অনেক গোল ছিল যা সম্ভবত সুন্দর পরিস্থিতি অনুযায়ী বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে ২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে হেড দিয়ে যে গোলটি করেছিলাম, সেটি সবসময় আমার প্রিয় ছিল।’

২৭ মে, ২০০৯! স্টুডিও অলিম্পিকো স্টেডিয়ামে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে মাঠে নামে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। সেসময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যাচের মাত্র ৯ মিনিটের মাথায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জালে গোল করেন বার্সা তারকা স্যামুয়েল ইতো। এরপর ম্যাচের ৭০ মিনিটে বার্সা মিডফিল্ডার জাবি’র পাসে হেড করে গোল করেন মেসি। আর তাতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতে বার্সেলোনা।

সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শরাফু-আসিফের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে আমিরাত। শরাফুর ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। এতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বুধবার (২১ মে) শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দু’দল।

নির্দিষ্ট রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মুহাম্মদ ওয়াসিমকে হারায় স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। দলীয় ১৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় আমিরাত।

এরপর মুহাম্মদ জোহাইবকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন আলিশান শরাফু। ব্যক্তিগত ২৯ রানে রিশাদের বলে সাজঘরে ফেরেন জোহাইব। ক্রিজে আসেন রাহুল চোপড়া। তার ব্যাট খুব একটা হাসেনি। মাত্র ১৩ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। দলীয় ৭৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যান শরাফু। তাকে সঙ্গ দেন আসিফ খান। শেষ পর্যন্ত শরাফুর ৬৮ ও আসিফের ৪১ রানের সুবাদে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই ম্যাচ জেতে আমিরাত।

বাংলাদেশের পক্ষে ১টি করে উইকেট তুলে নেন শরিফুল, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।

এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ‘মাঝারি’সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। শুরুতে দেখেশুনে খেলতে থাকে দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমন। প্রথম ওভারেই দলীয় স্কোরবোর্ড জমা হয় ১০ রান।

এরপরই ছন্দপতন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে সাজঘরে ফেরেন ইমন। ক্রিজে আসেন অধিনায়ক লিটন দাস। ১০ বলে ১৪ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।

আরেক ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটও হাসেনি এদিন। শুন্য রানেই ফেরেন তিনি। ব্যক্তিগত ২ রানে হায়দার আলীর তৃতীয় শিকার হয়ে ক্রিজ ছাড়েন মেহেদী।

পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে বাংলাদেশ। একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন তানজিদ তামিম।

৪০ রানের ইনিংস খেলে আকিফ রাজার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার তানজিদ। তার ব্যাট থেকে আসে ৪টি করে চার ও ছক্কার একেকটি দৃষ্টিনন্দন শট।

জাকের আলীর ব্যাটে ভর করে শতরান পেরোয় সফরকারীরা। তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। শেষ দিকে, হাসান মাহমুদ খেলেন ১৫ বলে ২৬ রানের ইনিংস। শরিফুলের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। বাকি ব্যাটারদের সবাই বিদায় নেন অঙ্কের রানে।

অতিরিক্ত রান আসে ৬টি। শেষ পর্যন্ত ১৬২ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

স্বাগতিকদের পক্ষে ৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট তুলে নেন হায়দার আলী। ২টি উইকেট পান মতিউল্লাহ খান ও সাগির খান।

উল্লেখ্য, আরব আমিরাত সফর শেষে পাকিস্তানে উড়াল দেবে লিটন দাসের দল। সেখানে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে তারা। ২৮ মে প্রথম ম্যাচের পর বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ৩০ মে ও ১ জুন। সবগুলো খেলা-ই অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।

জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর সামাজিকমাধ্যমে ‘নো মোর ক্রিকেট’ লিখে আলোচনায় এসেছিলেন নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। মাঝে সুযোগ পেলেও আবারও বাদ পড়েন। গত তিন বছর ধরে কোনো দলেই সুযোগ পাননি এই টাইগ্রেস অলরাউন্ডার। এবার ক্যারিয়ার ধ্বংসের অভিযোগ এনে এক পোস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে ন্যায়বিচার চাইলেন তিনি।

মঙ্গলবার (২০ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এমন দাবি করেন ক্রিকেটার রুমানা।

খোলা চিঠির মতো করে বিসিবির কাছে তিনি লেখেন, বিসিবির সম্মানিত অভিভাবকগণ। আমি খেলি কিংবা না খেলি, এই অনৈতিকতা ও অরাজকতা চলতে পারে না। দয়া করে নির্দিষ্ট করে কিছু বলুন। কোনো কারণ ছাড়াই তিন বছর (না খেলানো) মজার কিছু নয়!

রুমানা আরও যোগ করেন– আমার রেকর্ড বলছে, আমি বাজে ক্রিকেট খেলি না এবং অনৈতিক কিছুও করিনি। সিনিয়রিটি কখনও অভিশাপ হতে পারে না। আমার উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ধংসের পেছনে যারা জড়িত, তাদের বিচার করতেই হবে।

২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক রুমানার। ফিটনেস ইস্যু টেনে বছর তিনেক আগে দল থেকে বাদ পড়েন এই অলরাউন্ডার। এরপর আর সুযোগ পাননি বাংলাদেশ নারী দলের হয়ে ৫০ ওয়ানডে ও ৮৪ টি-টোয়েন্টি খেলা এই ক্রিকেটার।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব