সব জাতিগোষ্ঠী নিয়ে অর্ন্তভুক্তিমূলক নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপি বদ্ধপরিকর এমনটাই জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিকেলে ময়মনসিংহে জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের জাতীয় প্রতিনিধি সমাবেশে এ কথা জানান তিনি। বলেন, পাহাড় বা সমতলে সবার অধিকার সংরক্ষণের জন্য বিএনপিতে সব কমিটিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিএনপি বিশ্বাস করে বাংলাদেশ শুধু বাঙালির নয় বরং বৈধভাবে বসবাসকারী সকল জাতিগোষ্ঠীর। সকল জাতিগোষ্ঠী নিয়ে অন্তবর্তীমূলক নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপি বদ্ধপরিকর। পাহাড় বা সমতলে সবার অধিকার সংরক্ষণের জন্য বিএনপির সকল কমিটিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কীভাবে সহজ করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করবে।

তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে। নিরাপদ বাংলাদেশ নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সহযোগিতা চায়। পাহাড়ি – সমতলের উন্নয়নে ৩১ দফা রূপরেখা দেয়া হয়েছে।

ক্রীড়া ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বেতনের বিভাজন কমাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনাগুলোর ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে একথা জানান তিনি।

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, নারী ক্রিকেটারদের বেতন এরইমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে। সামনে নারী ফুটবলারদের বেতনও বাড়ানো হবে। অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ক্রীড়া অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের আন্তর্জাতিক মানের স্পোর্টস ইন্সিটিউট করার পরিকল্পনা রয়েছে। তরুণরা খেলাধুলায় যুক্ত হলে মাদকসহ অনেক কিছু থেকে দূরে রাখা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির কাছে আসন না চাওয়ার কথা জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ। সব আসনে প্রার্থী দেয়ার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মঞ্চের নেতারা।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় এই নির্দেশনা দেয়া হয়।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিএনপি আমাদের সঙ্গে আসন নিয়ে সমঝোতা করবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আলোচনা না করেই বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবুও দলটির সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা আছে।

অপরদিকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারি জোনায়েদ সাকির অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন পেছাতে একটি দল ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে আজ মধ্যরাত বা সকালে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন খালেদা জিয়া। কাতারের দেয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা ছাড়বেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই কথা জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, লন্ডনে নির্ধারিত হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলবে। যাত্রাপথে প্রতিকূলতার মধ্যেও চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শের বাইরে অন্য কোনও চিন্তা করা হচ্ছে না। মেডিকেল বোর্ড নিয়মিত মিটিং করেছে। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক খালেদা জিয়াকে দেখেছেন। 

 
এদিকে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে চিকিৎসকসহ মোট ১৬ জন সফরসঙ্গী থাকবেন। তারা হলেন, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শমীলা রহমান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দীন আহমদ, ডা. রিচার্ড জন বিলি, ডা. জিয়াউল হক, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন। আরও থাকবেন, হাসান শাহরিয়ার ইকবাল, সৈয়দ শামীন মাহফুজ, আব্দুল হাই মল্লিক, মাসুদার রহমান।
 
এছাড়াও খালেদা জিয়ার পরিচর্যাকারী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদারও সঙ্গে থাকবেন।
গ্রাফিক্স: এআই জেনারেটেড
 
বর্তমানে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। তবে, তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি।
 
এরইমধ্যে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য ও চীন থেকে বেশকয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকার এসেছেন। তারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দিয়েছেন।
 
গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয়। পরে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এ সময় জাতির কাছে তার জন্য দোয়া ও প্রার্থনারও আহ্বান জানানো হয়।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের একটি বিশেষ বৈঠকে এই সভার আয়োজন করা হয়। 

সভায় খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় হাসপাতালে তার নির্বিঘ্ন চিকিৎসা, প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা, নিরাপত্তা ও যাতায়াতের সুবিধা এবং উচ্চ মর্যাদা বিবেচনায় তাকে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকরের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার পরিবার এবং দল অবগত রয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঢাকা আসার বিষয়ে এখনো অন্তর্বর্তী সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।

তিনি জানান,এখনও ট্রাভেল পাস চাননি তারেক রহমান। তিনি ট্রাভেল পাস চাওয়া মাত্র ইস্যু করা হবে।

উপদেষ্টা আরও জানান,  দল বা পরিবার সিদ্ধান্ত নিলে খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার।

এদিকে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে, তবে তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। দেশবাসীকে কোনো ধরনের গুজবে কান না দেয়ার অনুরোধ করে সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয়। এরপর মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে, তবে তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। দেশবাসীকে কোনো ধরনের গুজবে কান না দেয়ার অনুরোধ করে সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতলের সামনে এক আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

ডা. জাহিদ বলেন, আশা করছি, এই যাত্রায় সবার দোয়ায় খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিক তার চিকিৎসার তদারকি করছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, অন্তর্বর্তী সরকার ও হাসপাতাল কতৃপক্ষসহ সবাই যথাসাধ্য সহায়তা করছেন।

দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে তিনি আরও বলেন, আজ যুক্তরাজ্য থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আসবেন। সমন্বিত চিকিৎসক দলের মতামতের ভিত্তিতে লন্ডনে নেয়ার বিষয় বিবেচনা করা হবে বলেও জানান ডা. জাহিদ।

এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয়। এরপর মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

পিলখানায় সংঘটিত বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ তদন্তের জন্য গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্ত কমিশন বলেছে, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে দলগতভাবে জড়িত আওয়ামী লীগ। আর মূল সমন্বয়কারী ছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস।
কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান ও অন্য সদস্যরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছে।
কমিশনের প্রধান ফজলুর রহমান বলেন, তদন্তকাজ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ত্রুটিমুক্ত করার স্বার্থে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব বজায় রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কাজ শুরু করি, তখন ১৬ বছর আগের এই ঘটনার বহু আলামত ধ্বংস হয়ে গেছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেকে বিদেশে চলে গেছেন। আমরা দুটো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছি। সাক্ষীদের ডাকলাম, কারও কারও আট ঘণ্টা পর্যন্ত বক্তব্য শুনেছি। যতক্ষণ তিনি বলতে চেয়েছেন। যাঁরা তদন্তে জড়িত ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের তদন্তের রিপোর্ট সংগ্রহ করেছি, অন্যান্য উপাদান সংগ্রহ করেছি।’
ফজলুর রহমান বলেন, এই তদন্তের মাধ্যমে বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে জনমনে থাকা প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে, উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করা হয়েছে কার কী ভূমিকা ছিল। কেন সেনাবাহিনী দাঁড়িয়ে থাকল, অ্যাকশন নিল না?
কমিশন প্রধান বলেন, তদন্তে বিডিআর হত্যাকাণ্ডে বহিঃশক্তির সরাসরি সম্পৃক্ততা ও তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সরাসরি জড়িত থাকার শক্তিশালী প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ সময় তদন্তে কী পাওয়া গেছে, তা নিয়ে কমিশনের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, এই ঘটনার কিছু বাহ্যিক ও প্রকৃত কারণ বের করেছে কমিশন। এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত এবং এর পেছনে প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের রক্ষা করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সরাসরি ভূমিকা রেখেছে। তারা ২০-২৫ জনের একটি মিছিল নিয়ে পিলখানায় ঢুকেছে এবং বের হওয়ার সময় সেই মিছিলে দুই শতাধিক মানুষ ছিলেন।
জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, পুরো ঘটনাটি সংঘটিত করার ক্ষেত্রে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ছিল। তিনি এই ঘটনার দায় নিরূপণের ক্ষেত্রে বলেন, দায় তৎকালীন সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে সেনাপ্রধানেরও। এ ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে সমাধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও র্যাব এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোরও রয়েছে চরম ব্যর্থতা।
জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, ওই ঘটনার সময় কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং কয়েকজন সাংবাদিকের ভূমিকা ছিল অপেশাদার। ওই হত্যাকাণ্ডের সময় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় (তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন) যেসব বিডিআর সদস্যের সঙ্গে শেখ হাসিনা বৈঠক করেন, তাঁদের সঠিক নাম–পরিচয় ও তথ্য সংরক্ষণ করা হয়নি।
কমিশন তাদের প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ করে, যাতে করে ভবিষ্যতে বাহিনীগুলোয় এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যায় এবং এ ঘটনার ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পান।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতি দীর্ঘদিন ধরে অন্ধকারে ছিল। আপনারা সত্য উদ্‌ঘাটনে যে ভূমিকা রেখেছেন, জাতি তা স্মরণে রাখবে। জাতির পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ইতিহাসের এই ভয়াবহতম ঘটনা নিয়ে জাতির অনেক প্রশ্ন ছিল, এই কাজের মধ্য দিয়ে সেসব প্রশ্নের অবসান ঘটবে। এই প্রতিবেদনে শিক্ষণীয় বহু বিষয় এসেছে। জাতির জন্য মূল্যবান সম্পদ হয়ে থাকবে এটি।
মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমানের নেতৃত্বাধীন এ কমিশনের সদস্যরা হলেন মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার (অব.), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. সাইদুর রহমান বীর প্রতীক (অব.), মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, এম আকবর আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শরীফুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল হাফিজ ও স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি।

জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের নবম অবস্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। আর বিশ্বের জনবহুল শহরের মধ্যে শীর্ষে এখন ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা।

জাতিসংঘের নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে গতিতে শহরটির জনসংখ্যা বাড়ছে, তাতে ২০৫০ সাল নাগাদ ঢাকাই হবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর। খবর কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার।

এতে বলা হয়, জাকার্তা দ্বিতীয় স্থান থেকে শীর্ষ জনবহুল শহরে পরিণত হয়েছে। নিম্ন-উপকূলীয় শহরটিতে ৪ কোটি ১৯ লাখ মানুষ বসবাস করে। এরপরেই রয়েছে ঢাকা, যেখানে তিন কোটি ৬৬ লাখ মানুষ বসবাস করে।

এর আগে, জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের বৃহৎ শহরের শীর্ষে ছিল টোকিও। নতুন তালিকায় ঢাকার পরেই রয়েছে জাপানের রাজধানী। তৃতীয় অবস্থানে থাকা শহরটির মোট জনসংখ্যা ৩ কোটি ৩৪ লাখ।

জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগ প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড আরবানাইজেশন প্রসপেক্টস ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বিশ্বের জনসংখ্যা দ্রুত শহরকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। বর্তমানে ৮.২ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে ৪৫ শতাংশই শহরে বসবাস করে।

যেসব শহরে ১ কোটির বেশি মানুষ থাকেন, সেগুলোকে মেগাসিটি বলা হয়। বিশ্বের ৩৩টি মেগাসিটির মধ্যে ১৯টি এবং শীর্ষ ১০টির মধ্যে নয়টিই এশিয়ায় অবস্থিত। শীর্ষ দশে থাকা অন্যান্য এশীয় শহরগুলো হলো– ভারতের নয়াদিল্লি (৩ কোটি ২ লাখ), চীনের সাংহাই (২ কোটি ৯৬ লাখ), চীনের গুয়াংজু (২ কোটি ৭৬ লাখ), ফিলিপাইনের ম্যানিলা (২ কোটি ৪৭ লাখ), ভারতের কলকাতা (২ কোটি ২৫ লাখ) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল (২ কোটি ২৫ লাখ)।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর মধ্যে শুধুমাত্র মিসরের রাজধানী কায়রো এশিয়ার বাইরে থাকা শীর্ষ ১০ মেগাসিটির একটি, যেখানে বাস করেন ৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ।

আমেরিকা অঞ্চলে সবচেয়ে বড় শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো (১ কোটি ৮৯ লাখ বাসিন্দা)। আর সাব-সাহারান অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর নাইজেরিয়ার লাগোস।

তিন ক্যাটাগরিতে লটারির মাধ্যমে এসপি নিয়োগ করা হয়েছে। এতে মেধাবী কেউ বাদ পড়েননি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা বলেন, ৬৪ জেলার মধ্যে ১৮ জেলায় নতুন এসপি দেয়া হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ছিলেন। তাদের শীগগিরই পদায়ন করা হবে।

উপদেষ্টা জানান, পুলিশ সুপারদের মতো ওসিদেরও শিগগিরই বিভিন্ন জেলায় পদায়ন করা হবে।

এসময় তিনি বলেন, সার নিয়ে নীতিমালা হচ্ছে। সেখানে রাজনৈতিকভাবে ডিলার নিয়োগের কোন সুযোগ থাকবে না। গ্যাসের দাম বাড়লেও সারের দাম আর বাড়বে না বলে জানান উপদেষ্টা।

পেয়াজের সংকট নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, নতুন পেয়াজ আসতেছে, দাম বাড়ার আর সম্ভাবনা নেই। ব্যবসায়ীরা আমদানি করতে চাইলেও কৃষকের স্বার্থে আমদানির অনুমতি দেয়া হয়নি। 

বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিগত দিনে দেশে লুটপাটের মহোৎসব চলেছে। দলীয় বিবেচনায় ব্যাংক বীমা দেয়া হলে, সেই অর্থনীতি টিকে থাকতে পারে না।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, ২০ এর অধিক বীমা কোম্পানি টাকা দিতে পারছে না। অথচ গ্রাহক তার পরিবারের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য বীমা করে। দুর্নীতি-লুটপাটের কারণে বীমার টাকা ফেরত না পেয়ে পরিবারগুলোর অবস্থা দুর্বিষহ।

এসময় তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে বীমা ও ব্যাংক খাতে লুটপাট চলতে দেয়া হবে না। আনা হবে বড় ধরনের সংস্কার। আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হলে সকলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।

ক্ষমতায় আসার আগে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নারী পলিসি নিয়ে জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে এমজেএফ আয়োজিত জাতীয় সংলাপে এ মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর আলাদা নারী শাখা থাকায় নারীরা কখনোই মূল ধারায় আসতে পারেন না।

অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, রাজনৈতিক ইশতেহারে নারীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য কী কী থাকবে তা উল্লেখ থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রিফর্ম ট্র্যাকার অ্যাপ তৈরি হচ্ছে। এতে সব সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা, বা কোন পর্যায়ে আছে সেটা নাগরিকরা সরাসরি জানতে পারবেন।