আজ ২০ মে ঐতিহাসিক চা শ্রমিক বা মুল্লুকে চলো দিবস। সিলেটসহ সারাদেশের চা বাগানগুলোতে নানা আয়োজনে পালিত হবে দিবসটি।

১৯২১ সালের এই দিনে ব্রিটিশদের অত্যাচার থেকে মুক্ত হতে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার চা-শ্রমিক নিজেদের জন্মস্থানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় চাঁদপুরের মেঘনাঘাটে গুলি চালিয়ে নির্বিচারে হত্যা করা হয় চা শ্রমিকদের। এরপর থেকে চা-শ্রমিকরা ‘চা-শ্রমিক দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন এই দিনটি।

চা শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে চীন ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোথাও চায়ের প্রচলন ছিল না। ১৮৫৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে সিলেটের মালিনীছড়া চা বাগানে চা চাষ শুরু করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। সেসময় বৃহত্তর সিলেটে চা বাগান তৈরির জন্য ভারতের আসাম, উড়িশা, বিহার, উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকদের নিয়ে আসা হয়। ‘গাছ হিলেগা, রুপিয়া মিলেগা’ এমন প্রলোভনে শ্রমিকরা বাংলাদেশে এলেও তাদের ভুল ভাঙতে বেশি সময় লাগেনি। বিশাল পাহাড় পরিষ্কার করে চা বাগান করতে গিয়ে হিংস্র পশুর কবলে পড়ে কত শ্রমিকের জীবন গেছে তার কোনো হিসাব নেই। এছাড়া ব্রিটিশদের অত্যাচার তো ছিলই।

তাদের অব্যাহত নির্যাতনের প্রতিবাদে তৎকালীন চা শ্রমিক নেতা পণ্ডিত গঙ্গাচরণ দীক্ষিত ও পণ্ডিত দেওসরণ ‘মুল্লুকে চল’ (দেশে চল) আন্দোলনের ডাক দেন। ১৯২১ সালের ২০ মে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার চা শ্রমিক সিলেট থেকে পায়ে হেঁটে চাঁদপুর মেঘনা স্টিমার ঘাটে পৌঁছান। তারা জাহাজে চড়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে চাইলে ব্রিটিশ গোর্খা সৈনিকরা গুলি চালিয়ে শত শত চা শ্রমিককে হত্যা করে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। যারা পালিয়ে এসেছিলেন তাদেরও আন্দোলন করার অপরাধে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। চা শ্রমিকদের পরানো হয় একটি বিশেষ ট্যাগ। পায়নি তারা ভূমির অধিকার। এরপর থেকেই প্রতি বছর ২০ মে চা শ্রমিক দিবস হিসেবে দিনটি পালন করছেন চা শ্রমিকরা।

রাজধানীর মাটিকাটা এলাকা থেকে ‘হিটলু বাবু গ্যাং’র ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ সময় ৪টি অবৈধ স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৮টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (২০ মে) ভোরে এক বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাত ২টা থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৮৬ স্বতন্ত্র সিগন্যাল ব্রিগেডের ভাষানটেক সেনা ক্যাম্প থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। ভোর ৫ টার দিকে অভিযান চলাকালে গ্যাং সদস্যরা গ্রেফতার টহল দলের ওপর হামলার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা দল সতর্কতামূলক ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরবর্তীতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থাকা অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান এখনও চলমান রয়েছে।

২০২৪ সালে ডামি নির্বাচনের আয়োজন এবং ভোট চুরির অভিযোগে টাঙ্গাইলে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯৩ জনের নামে মামলা হয়েছে। সোমবার (১৯ মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ভূঞাপুর থানা আমলী আদালতে বিএনপি নেতা কামরুল হাসান মামলাটি দায়ের করেন। পরে ম্যাজিস্ট্রেট রুমেলিয়া সিরাজাম মামলাটি আমলে নিয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী কামরুল হাসান (৫৫) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ভারই গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে এবং অলোয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আদালত সূত্র জানায়, মামলায় ১৯৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫০–২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর) আসনের সাবেক এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী আব্দুল আওয়াল, তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং টাঙ্গাইলের সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামসহ পুলিশ ও প্রিজাইডিং অফিসার, আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের নাম।

বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, ভারতের নির্দেশক্রমে শেখ হাসিনা অন্যান্য আসামিদের সাথে যোগসাজশ করে বিগত ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি একটি ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেন। বাদী কামরুল হাসান ভূঞাপুরের অলোয়া ইউনিয়নের ভারই উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার ছিলেন। তিনি অন্যান্য ভোটারদের সঙ্গে ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। আসামিরা তাকে মারধর করে এবং হত্যার হুমকি দেয়। নির্বাচনে পুলিশ ও প্রিসাইডিং অফিসারের সহায়তায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভোট কেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক নৌকা মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে। এভাবে অন্যের ভোট চুরি করে টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তানভীর হাসান ছোট মনিরকে এমপি পদে নির্বাচিত করা হয়। এতে দেশ ও জনগণের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী, টাঙ্গাইল বার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু রায়হান খান বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মোট ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা রুজু করা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে ভূঞাপুর থানার ওসিকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে বেঁধে দেয়া ৪৮ ঘণ্টা সময় শেষে, ফের শাহবাগ থানা ঘেরাও করেছে শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৮ মে) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে শাহবাগ থানা ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও সংহতি জানান।

ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, রাজনীতির উর্ধ্বে থেকে, সাম্য হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করার বিষয়ে অর্থের লেনদেন এবং রাজনৈতিক চাপের অভিযোগ তুলেছেন সাম্যের সহপাঠিরা।

যদিও পুলিশ বলছে, সাম্যের কিলিং মিশনে অংশ নেয়া সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। গেলো মঙ্গলবার রাতে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন ঢাবি শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে বাংলা একাডেমি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের শিক্ষার্থী ও এফ রহমান হলে ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য। তারপর থেকে উত্তপ্ত হয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তৎসংলগ্ন এলাকা। এরপর ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১৮ মে) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার পর আজ রোববার অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে কমিশন। দুদকের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমানকে এই অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অনুসন্ধানকারী দল শেখ হাসিনার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব ও তার আয়কর নথির যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করবে।

এদিকে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বার্জ মাউন্টেড দুর্নীতি মামলা সচলেরও উদ্যোগ নিয়েছে দুদক। এ বিষয়ে আগামী ১৫ জুলাই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্লট জালিয়াতি, বিদেশে অর্থ পাচার, প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের একাধিক অনুসন্ধান দুদকে চলমান রয়েছে। এরইমধ্যে পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতির মামলায় চর্জশিট দাখিল করলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

গত ১০ মার্চ পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেয়ার প্রমাণ পাওয়ায় শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারে সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন ও জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এটি আমলে নিয়েই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

অন্যদিকে, গত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে শেখ হাসিনা, সাবেক বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোকাম্মেল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক।

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি) এবং বাংলাদেশ বায়োসেফটি ও বায়োসিকিউরিটি সোসাইটি (BBBS)-এর যৌথ আয়োজনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক কনফারেন্স অ্যান্ড বায়োসায়েন্স কার্নিভাল (ICBC)। গতকাল দুপুরে রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে এই সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে রাবিপ্রবি’র উপাচার্য এবং কনফারেন্সের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মোঃ আতিয়ার রহমান বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে এমন একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যেমন গৌরবের, তেমনি এ অঞ্চলের মানুষের জন্যও তা বড় অর্জন।” তিনি শিক্ষার্থীদের মনস্তত্ত্বে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে পরিচ্ছন্ন ও সময়নিষ্ঠ ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যের কথাও তুলে ধরেন।

 

কনফারেন্সের প্লেনারি সেশনের প্রথম বক্তা হিসেবে আইসিডিডিআরবি’র বায়োসেফটি প্রধান ও BBBS সভাপতি ড. আসাদুল গণি বলেন, “টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মাল্টিডিসিপ্লিনারি পদ্ধতির প্রয়োজন। বিশ্ব এখন ল্যাব অটোমেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে বায়োসেফটি লেভেল ফোর ল্যাব পরিচালনায় রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মনিরা আহসান তাঁর বক্তব্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) মাধ্যমে ঔষধ আবিষ্কারে এর কার্যকারিতা এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোকপাত করেন।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বলেন, “দেশে মেধার অভাব নেই, তবে গবেষণার পরিকাঠামো এবং ল্যাব সুবিধার ঘাটতি রয়েছে। একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করতে পারলে উদ্ভাবনের পথ খুলবে।”

বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ও ‘বহুব্রীহি ধান’-এর আবিষ্কারক ড. আবেদ চৌধুরী পার্বত্য চট্টগ্রামে খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু অভিযোজন এবং পঞ্চব্রীহি ধান চাষের সম্ভাবনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “এই অঞ্চলে সারাবছর ফসল উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি আগর গাছের চাষ ও জলবায়ু-বান্ধব চাষাবাদ এ অঞ্চলের উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে।”

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “রাবিপ্রবির সম্প্রসারণ এবং মানসম্মত শিক্ষার নিশ্চয়নে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কাপ্তাই হ্রদ শুধু জীবিকার উৎস নয়, এটি ফলজ ও বনজ পণ্য পরিবহনের সুযোগও তৈরি করেছে। মৎস্য উৎপাদন বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ সাইদুর রহমান, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিব উল্লাহ এবং পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন।

 

সমাপনী বক্তব্য রাখেন BBBS-এর সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ রাকিবুল ইসলাম এবং ফরেস্ট্রি ও এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ও আইসিবিসি’র সেক্রেটারি ড. নিখিল চাকমা।

সম্মেলনের টেকনিক্যাল সেশনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ এবং মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ বখতিয়ার উদ্দীন চেয়ার ও কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সেশনে ছয়টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়, যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘Current Challenges in the Control and Eradication of Emerging and Reemerging Infectious Diseases in Humans’।

বরিশাল ৫ আসনের সাবেক এমপি জেবুননেসা আফরোজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) রাজধানী ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার জেবুননেসা বর্তমানে ডিবি হেফাজতে আছেন।

জেবুন্নেসা আফরোজ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ১০তম জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য ছিলেন। এই আসনে তার আগে সংসদ সদস্য ছিলেন তার স্বামী শওকত হোসেন হিরন। বরিশাল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং শহরের প্রাক্তন মেয়রও ছিলেন তিনি।

পরে ২০১৪ সালে ৯ এপ্রিল হিরন মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়ে পড়ে। তখন সেই আসনে উপনির্বাচন আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয় লাভ করেন জেবুন্নেসা।

নতুন মোড়কে পুরোনো জিনিস চালানোর একটি গোপন আত্মবিশ্বাস বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে থাকে। এটি পরিবর্তন করতে হবে। এক্ষেত্রে কার সাথে ঐক্য আছে সেটি দেখব না। পরিবেশ রক্ষায় বড় রাজনৈতিক দল ও ক্ষমতায় যারা বসবে তাদের জবাবদিহি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

শনিবার (১৭ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে পরিবেশবান্ধব নগর গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবনা শীর্ষক এক আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।

সাকি বলেন, বাংলাদেশে আইন করা হয়, কিন্তু কোনও আইন কার্যকর হয় না। আগামী দিনের এই পরিস্থিতি বদলের চ্যালেঞ্জ দলগুলোর সামনে। নতুন প্রজন্ম কথা ও কাজে মিল দেখতে চায়। বিশ্বকে প্রাণ প্রকৃতির উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পরিবেশ নিয়ে জনগণ সচেতন না হলে রাজনৈতিক দলগুলোও সচেতন হবে না। মানুষ সচেতন হলে দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশ গুরুত্ব পাবে।

তিনি আরও বলেন, নদীবাহিত পলির মাধ্যমে এই বদ্বীপ গড়ে উঠেছে। উজানে বাঁধের ফলে পলিপ্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর প্রভাবে ভূপ্রকৃতি হুমকির মধ্যে রয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, একটি দেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকে। তা মোকাবেলা ও সমাধানের জন্য রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প নেই। অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টি বোঝে। কিন্তু তাদেরকে নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে।

শুক্রবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টির আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপি পরিপূর্ণ সংস্কারের পক্ষে। তবে সংস্কার একবারে শেষ করার বিষয় নয়। এটি অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে হবে। সংস্কারের বিষয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রস্তাব দিয়েছে। আগামী জুন বা জুলাইয়ের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনে বাঁধা কোথায়? এ সময় কাউকে সুযোগ দিতেই নির্বাচন পেছানো হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সব অঞ্চলের মানুষ ফ্যাসিবাদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো অনেক আগে থেকেই এক দফার দাবি জানিয়ে আসছিল। এই গণঅভ্যুত্থান বিএনপির দীর্ঘ লড়াইয়ের ফলাফল।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মোড়েই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে জবিয়ান সমাবেশ করতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে অধিকার আদায়ে শুক্রবার জুম্মার নামজের পর গণ অনশন ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে ‌‘জবি ঐক্যের’ পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীন এ ঘোষণা দেন। 

অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, আমরা সরকারের নিকট আমাদের অধিকার আদায়ের দাবি জানিয়েছিলাম। তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মেরেছে কিন্তু আমাদের অধিকারের বিষয়ে কোন কর্ণপাত করেনি। এমনকি ৩৫ ঘন্টা পার হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোন বার্তা আসেনি।

শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে পুলিশ কর্তৃক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস পালনের ঘোষণা দিয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, দাবি আদায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাল জুম্মার পরে গণ অনশন শুরু করবে। এতে সকল সাবেক ও বর্তমান জবিয়ানদের অংশ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিন শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে আন্দোলন স্থলে শুরু হবে জবিয়ান সমাবেশ শুরু হবে। 

তিনি আরও বলেন, এই রাজপথেই আমরা কাল জুম্মার নামাজ আদায় করবো। আমি সকল সাবেক বর্তমান জবিয়ানদের আহ্বান জানাই এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার। 

প্রসঙ্গত, তিন দফা দাবিতে গত বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার অভিমুখে লংমার্চ নিয়ে যাওয়ার সময় কাকরাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা। এ সময় ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অর্ধশত শিক্ষক–শিক্ষার্থী আহত হন।

তিন দফা দাবি পূরণের সুস্পষ্ট ঘোষণা ছাড়া অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। এছাড়া তথ্য উপদেষ্টার ওপর বোতল ছোড়ার ঘটনায় শিক্ষক ও ছাত্রদের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

বুধবার (১৪ মে) দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি ও আন্দোলন চালিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে গেলে সেখানেও অপ্রীতিকর এক ঘটনা ঘটে। পরে তিনি কথা থামিয়ে দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।

এর আগে, তিন দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনমুখী আন্দোলনরত জবি শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় পুলিশ। পরে শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোড়ে অবস্থান নেন। অবস্থান কর্মসূচির মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরেও সড়ক ছেড়ে যাননি তারা। 

৪ ঘণ্টা বৈঠকের পর ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে বের হবার কথা জানিয়েছিলো শিক্ষক সমিতি। তবে উপদেষ্টার প্রতি বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে সহযোগিতার কথা বলেন তারা।

এদিকে, বোতল নিক্ষেপের ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল সদস্য সচিব সামছুল আরেফিন বলেন, এর জন্য পুরো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার দায়ী নয়। এর দায় সরকারকে নিতে হবে।

পাশাপাশি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একসাথে মাঠে থাকবে বলেও জানান আন্দোলনকারীরা।

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ঘাসুড়িয়া সীমান্তের ধান ক্ষেত থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ড্রোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৪ মে) রাত ১০টার দিকে ওই ড্রোনটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

স্থানীয়রা জানান, এক কৃষক ওই ধান ক্ষেতে কাজ করার সময় একটি ড্রোন পরে থাকতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে সেটি উদ্ধার করে।

হাকিমপুর থানার ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপজেলার খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়নের ঘাসুড়িয়া সীমান্তের ৪শ’ গজ অভ্যন্তরে ধান ক্ষেতে ওই গ্রামের কৃষক প্রফুল্ল টপ্পু কাজ করছিলেন। এ সময় ধান ক্ষেতে পড়ে থাকা অবস্থায় একটি ড্রোন পরে থাকতে দেখে সেটি নিয়ে বাসায় নিয়ে যান।

পরে সে নিজেই থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ও বিজিবি তার বাড়িতে থেকে ড্রোন ক্যামেরাটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

উল্লেখ্য, সীমান্তের পাশ থেকে ড্রোনটি উদ্ধার হওয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। ড্রোনটি কে বা কারা উড়িয়েছে এবং এটি কিভাবে বা কোথা থেকে এসেছে তা তদন্ত করে জানানো হবে।