মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক‍্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (২১ জুলাই) এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনায় বিমানসেনা ও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারীসহ অন্যান্যদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। জাতির জন্য এটি একটি গভীর বেদনার ক্ষণ। 

তিনি বলেন, আমি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসহ সব কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ প্রদান করছি।

সরকার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষার্থী।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।  বিমানটির পাইলট ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর। বিমানে তিনি একাই ছিলেন।

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার সীমান্তবর্তী তং এলাকায় বিজিবি ও ইউপিডিএফের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২০ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় অভিযান চালিয়ে ২টি রাইফেল, ১টি পিস্তল, ১টি শর্টগান ও ১৬ রাউন্ড গুলিসহ অন্যন্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে বিজিবি। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

তবে এ বিষয়ে বিজিবির যামিনী জোনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানা যায়নি। বিজিবি ও স্থানীয় সুত্রে এ জানায়, মাটিরাঙ্গার সীমান্তবর্তী পুং পাড়া ইউনিয়নের তং পাড়া এলাকায় যামিনী পাড়া জোনের আওতাধীন বিজিবির একটি টহল দলের সাথে ইউপিডিএফ মূল সংগঠনের (প্রসীত) সাথে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এসময় ঘটনাস্থলের আশপাশে অভিযান চালায় বিজিবি। ঘটনাস্থল থেকে রাইফেল, পিস্তল, শর্টগান, গুলিসহ ইউপিডিএফর ফেলে যাওয়া বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। বিকেলে এ বিষয়ে বিজিবি যামিনী পাড়া জোন থেকে একটি ব্রিফিং করার কথা রয়েছে।

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বেলা ১টা নাগাদ বিমানটি আছড়ে পড়ে। এটি বিমান বাহিনীর F-7 BGI (701) মডেলের বলে জানা গেছে। বিধ্বস্ত হওয়ার সাথে সাথে প্রশিক্ষণ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।

ঘটনার পর আশপাশের এলাকার মানুষ ছুটে যায়। বিমানটিতে স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ওই বিমানে আর কেউ ছিলেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

বিমানটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখানে কয়েকজন বেসমারিক ব্যক্তিও আহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে দেখা যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ নিহত হয়েছেন কিনা, তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, খবর পেয়েই উত্তরা, টঙ্গী, পল্লবী, কুর্মিটোলা, মিরপুর, পূর্বাচল ফায়ার স্টেশনের ৮ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করে। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে।

ক্রমান্বয়ে অন্তর্বর্তী সরকার একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে যাচ্ছে। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রিজভী আহমেদ।

সোমবার (২১ জুলাই) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দলের আরব আমিরাতের নেতা-কর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এ সময় তিনি বলেন- বাংলাদেশ ছিল শেখ হাসিনার বানানো একটি কারাগার। গোটা বাংলাদেশটাই তিনি আয়নাঘরে পরিণত করেছিলেন। আত্মগোপন করে থাকা বাংলাদেশে সম্ভব ছিল না। যারা টাকা পাচারকারী তারা প্রতাপের সাথে ঘুরাফেরা করেছে। যারা খুনী হত্যাকারী তাদের পিঠে আওয়ামী লীগের সিল থাকলে তারা সমাজের সবচেয়ে মর্যাদাবান ব্যক্তি হয়ে গেছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র এখনও নিরাপদ নয়, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন কবে হবে এটি নিয়ে নানা ধরণের গোজামিল দেখতে পাচ্ছি। এটা হওয়ার কথা নয়। শেখ হাসিনার দুঃশাসন্মুক্ত বাংলাদেশে আমরা দেখবো গণতন্ত্রের শর্তগুলো পূরণ হচ্ছে। এখানে রাজনৈতিক দলগুলো সভা-সমাবেশ করবে, স্বাধীনভাবে কথা বলবে, স্বাধীনভাবে সংগঠন করবে। এটার জন্যই এই লড়াই এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। এখানে কোণও গুন্ডামি সন্ত্রাসীর আশ্রয় থাকবে না। যেটা শেখ হাসিনা করেছিলেন।

রিজভী বলেন, কয়েকটি রাজনৈতিক দল যারা আন্দোলনের সমর্থন করেছেন, তারা অবশ্যই আন্দোলনে ছিল, কিন্তু সেভাবে কী তারা ছিলেন? এটাও প্রশ্ন। তবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাদের সমর্থন ছিল। আমাদের ছাত্র ভাইরা একটা দল করেছেন-এনসিপি। এটা করতেই পারেন। এজন্যই তো আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। যতদিন আপনারা সাধারণ ছাত্র দিলেন এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন ততদিন আমরা আপনাদের আমাদের ছোটভাই বা সন্তান হিসেবে দেখেছি। এখন আপনাদের মনে করি গণোতান্ত্রিক শক্তির একটা অংশ। কিন্তু আপনারা সবকিছু বাদ দিয়ে যখন রাজনৈতিক দল করলেন, করলে নিশ্চয়ই আমাদের সমালোচনা করবেন। আমাদেরও আপনাদের ব্যাপারে সমালোচনা থাকবে সেটা হলো এত ছাত্রের যে জীবন চলে গেলো এদের তো বিচার সম্পন্ন হলো না। বিচার সম্পন্ন না করে আপনারা মন্ত্রীত্ব, উপদেষ্টা পদ নিয়েছেন দল গঠন করলেন। এই পার্টি আরও পরে করা যেত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ক্রমান্বয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নানা ধরনের দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। সমাজের মধ্যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলার প্রচণ্ড অবনতি দেখা যাচ্ছে, অর্থনৈতিক অবস্থা জটিল হচ্ছে। শুল্কহার ৫০ শতাংশ হয়ে গেছে। নির্বাচনের মাধ্যমে একটা সরকার গঠন না করলে এসব সমস্যা আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।

পুলিশি সেবা ডিজিটালাইজেশন ও সহজীকরণের অংশ হিসেবে যশোরের ৯টি থানায় অনলাইন জিডি (সাধারণ ডায়েরি) সেবা চালু করা হয়েছে।

রোববার (২০ জুলাই) দিবাগত রাতে জেলার কোতোয়ালি মডেল থানায় এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার রওনক জাহান।

এ সেবা উদ্বোধন শেষে পুলিশ সুপার রওনক জাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশি সেবা অতি দ্রুত ও সহজে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এই কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। এতে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, যে কেউ ঘরে বসেই অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন জিডি করতে পারবে। আগে শুধু হারানো জিডি করা যেত। এখন নিখোঁজ ব্যক্তিসংক্রান্ত তথ্যসহ মোট ২৯টি অধর্তব্য অপরাধের বিষয়ে অনলাইন জিডি করতে পারবে মানুষ। এই অ্যাপটিতে সব তথ্য রয়েছে। এতে সহজেই মানুষ জিডি করতে পারবে, ফলে ভোগান্তিও কমবে।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে অনলাইনে শুধু হারানো এবং প্রাপ্তিসংক্রান্ত জিডি করা যেত, এখন থানায় সশরীরে উপস্থিত না হয়েও ঘরে বসে সব ধরনের জিডি করা যাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবুল বাশার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) আহসান হাবীব, যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত, ওসি তদন্ত কাজী বাবুল প্রমুখ।

পাহাড়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বনাঞ্চল সুরক্ষায় কাজ করার আহ্বান জানিয়ছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, বনসম্পদ বিনষ্ট না করেও সেখান থেকে সম্পদ আহরণ করা সম্ভব।

রোববার (২০ জুলাই) বনবিনাশ, বনায়ন অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও ভূমিগ্রাস থেকে বনজীবী মানুষের সুরক্ষা নিয়ে সিরডাপ মিলনায়তনে এক কর্মশালায় তিনি একথা জানান। সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড) এই কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, পাহাড়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বনাঞ্চল সুরক্ষায় কাজ করতে হবে। বনসম্পদ বিনষ্ট না করেও সেখান থেকে সম্পদ আহরণ করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে। অনুমোদিত কয়েকটি ‘আমব্রেলা প্রকল্প’ পার্বত্য ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করবে। এছাড়া দুর্গম এলাকায় আবাসিক স্কুল চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।

আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগোনোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, যে ভুলগুলো আমরা অতীতে করেছি, এইসব প্রকল্পের মাধ্যমে যেন সেগুলো আর না ঘটে, সে দিকে বিশেষ নজর রাখা হবে।

কর্মশালায় পরিবেশবাদী, উন্নয়নকর্মী, গবেষক ও সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার-বান্দরবানের পর দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার ২০তম দিনে রাঙামাটিতে পদযাত্রা করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রোববার (২০ জুলাই) শহরের শিল্পকলা একাডেমি, বনরূপা পুলিশবক্স প্রাঙ্গন ও বাজার এলাকায় জনসংযোগ করবে তারা।

এদিন চট্টগাম থেকে রওনা দিয়ে বেলা ১টার পর রাঙামাটি শহরে পোঁছায় এনসিপি নেতারা। দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানান, জুলাই শহীদ ও আহতদের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান সেল গঠন করা হচ্ছে। এনসিপি জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শহীদ পরিবারের পাশে আছে এবং সবসময় থাকবে।

পাঁচ আগস্টের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকেই জুলাই ঘোষণাপত্র দেয়া হবে বলেও এসময়য় আশাবাদ প্রকাশ করেন এনসিপির আহ্বায়ক। তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র হলে গণঅভ্যুত্থান একটি আইনি স্বীকৃতি পাবে।

রাঙামাটিতে পদযাত্রা শেষে আবারও চট্টগ্রামে ফিরবেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। বিকেলে চট্টগ্রামে পদযাত্রা ও পথসভা করবে দলটি।

শুধু নির্বাচন হবে শোনা গেলেও দিন-তারিখ ঘোষণা হয়নি। কিন্তু এখনই সবাই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের (পিআর) দাবিতে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করছে— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর বনানীতে এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ৫ আগস্টের আগে আমরা সবাই এক থাকলেও এখন সবাই ভাগ হয়ে গেছে। তবে দিল্লীতে ওরাই শান্তিতে আছে। এ সময় নির্বাচন দিন-তারিখ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা নেই বলেও মন্তব্য করে তিনি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে গুজব ও অপপ্রচার তত বাড়বে। রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে বিএনপিকে নিয়ে অপপ্রচার চলছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।

হাসপাতালে ভর্তি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে দেখতে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির মহাসচিবের সাথে রয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে যান তারা।

প্রসঙ্গত, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের সমাবেশে অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান শফিকুর রহমান। শেষ পর্যন্ত তিনি মঞ্চে বসে বক্তৃতা শেষ করেন।

হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল বলেছেন, রাজনৈতিক শিষ্টাচার হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা জামায়াত আমিরকে দেখতে এসেছি। তারেক রহমানের নির্দেশেই উনাকে দেখতে এসেছি। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পেক্ষাপটে জামায়াত আমিরের সুস্থ থাকা প্রয়োজন।আগের চেয়ে তিনি বেশ সুস্থ অনুভব করছেন।

এরপর রাজধানীর একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়। পরে চিকিৎসকরা জানান, তার রক্তচাপ ও সুগার লেভেল স্বাভাবিক আছে।

রাত সাড়ে আটটার দিকে দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানিয়েছেন, গরমের কারণে ডা. শফিকুর রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি এখন ভালো আছেন। তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য সমস্যা নাই। চিকিৎসকরা তত্ত্বাবধান করছেন।

বিশাল সমাবেশে বড় ধরনের কোনও অঘটন ঘটেনি উল্লেখ করে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, প্রোগ্রাম স্থগিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু আমির সাহেব তা চাননি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা সেনাবাহিনীর বাস দিয়ে রাজনৈতিক দলকে সহায়তার দাবিটি মিথ্যা বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। শনিবার (১৯ জুলাই) আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য বাস সরবরাহ করেছে। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর, যা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার সুস্পষ্ট অপচেষ্টা।

বাস্তবতা হলো, সেনাবাহিনী পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বহির্ভূত উৎস থেকে অস্থায়ীভাবে কিছু বেসরকারি গণপরিবহন ভাড়া নেওয়া হয়। অনেক সময় এসব বাসে অস্থায়ীভাবে ‘Bangladesh Army’ লেখা বা লোগো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে কিছু গণপরিবহন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সড়কে কিছুটা সুবিধা পাওয়ার উদ্দেশ্যে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সেনাবাহিনীর নাম বা লোগো ব্যবহার করে, যা একটি আইন বহির্ভূত কাজ।

আরও বলা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে, সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য শেয়ার না করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সংবিধান, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও পেশাদারিত্বের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক মো. তৌহিদ হোসেন। 

শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে রাঙামাটির পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির সভায় এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, সমস্যা আছে বলেই দীর্ঘ সময়ে চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি। ভূমি কমিশনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া, ছোট ছোট বিষয় দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যৌতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গৌতম চাকমা।

এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, এই সভা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে যে, যদি সব পক্ষ সম্মিলিতভাবে চুক্তির বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে তাহলে পার্বত্য অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও উন্নয়ন সম্ভব।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, কমিটি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সুপারিশ প্রদান করবে এবং প্রয়োজনে সাব-কমিটি গঠন করে কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, পাহাড়ে রক্তপাত বন্ধে তৎকালীন সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

নির্বাচন দেরিতে হওয়ায় গণঅভ্যুত্থান বিরোধী শক্তি সুসংগঠিত হবার সুযোগ পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে প্রেসক্লাবে ‘গণ-অভ্যুথানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, জনগণের অগ্রযাত্রায় বিশ্বাস করেনা, তা আবার সক্রিয় হচ্ছে। অযথা বিলম্ব না করে সরকারকে রাজনৈতিক দল গুলোর সাথে আলোচনা করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

বিরনপির এই নেতা বলেন, সংস্কার বিএনপিই করেছে, প্রস্তাবও বিএনপিই দিয়েছে, তাই অযথা বিলম্ব না করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে পরিস্থিতি ঠিক করার আহ্বান জানাই। এই দায়িত্ব এখন অন্তর্বর্তী সরকারের, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।

তিনি বলেন, ‘সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। হারিয়ে ফেললে অনেক বছর পিছিয়ে যাবে দেশ। প্রতিবার ছেলেরা প্রাণ দেবে, আন্দোলন হবে, তাই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। রাজনৈতিক দলগুলো প্রমাণ করেছে সবাই দেশকে ভালোবাসে। তাই তারা ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছে ত্যাগ স্বীকার করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের প্রতিটি পর্যায়ের যারা আছেন, তারা সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি বন্দোবস্ত দেবেন। সবাই মিলে দেশ গড়তে সেই বন্দোবস্ত নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। সবাই যেনো একটি বিষয়ে একমত হই, যেনো কেউ ফ্যাসিবাদের কাছে দেশকে ছেড়ে না দেই।

তিনি আরও জানান, বিপ্লব করে ক্ষমতায় যাওয়ার সামর্থ নেই, ইচ্ছেও নেই। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের সমর্থনে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠন করতে চায় বিএনপি। কোনো বাধাই থামাতে পারবে না। ’৭১- আর স্বাধীনতা মূল কথা, সেখানে কোনো ছাড় নেই। গণতন্ত্রের দিকে যেতে হবে।