Aliquam dui nulla, fermentum sit amet ante et, tempor facilisis metus. Aenean aliquam ultricies tellus at elementum. Morbi quis cursus tortor, id vulputate felis.

Aliquam dui nulla, fermentum sit amet ante et, tempor facilisis metus. Aenean aliquam ultricies tellus at elementum. Morbi quis cursus tortor, id vulputate felis.

কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় একজন রাষ্ট্রপতি প্রার্থীকে তিনবার গুলি করা হয়েছে, যার মধ্যে তার মাথায় গুলি লাগে দুই বার। তার নাম মিগুয়েল উরিবে টারবে (৩৯)। তিনি দেশটির রাজনৈতিক দল ‘সেন্ট্রো ডেমোক্রেটিক পার্টি’র সাথে জড়িত।

শনিবার (৭ জুন) একটি পার্কে বক্তৃতা দেয়ার সময় আক্রমণের শিকার হন তিনি। স্থানীয় গণমাধ্যমের সূত্রমতে, ঘটনাস্থল থেকে ১৫ বছর বয়সী এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (৮ জুন) সকালে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

অনলাইনে শেয়ার করা ফুটেজে দেখা যায়, বক্তৃতার মাঝখানে যখন তাকে মাথায় গুলি করা হয়েছিল। তখন উপস্থিত লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, প্যারামেডিকদের মতে তার হাঁটুতে এবং মাথায় দু’বার গুলি করা হয়েছে। পরে তাকে সান্তে ফে ক্লিনিকে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়। আর তার সমর্থকরা জাগরণের জন্য বাইরে জড়ো হচ্ছিলেন।

উরিবের স্ত্রী মারিয়া ক্লডিয়া তারাজোনা জানান, মিগুয়েল বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এ সময়, তিনি জাতির কাছে তার স্বামীর জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধও জানান।

উরিবের ‘সেন্ট্রো ডেমোক্রেটিক পার্টি’ এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি ‘কলম্বিয়ার গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতা’ বিপন্ন করে তুলেছে।

অপরদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই গুলিবর্ষণের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং একে ‘গণতন্ত্রের জন্য সরাসরি হুমকি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, উরিবে আগামী বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তার প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। তিনি কলম্বিয়ার একটি বিশিষ্ট রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য, যার সম্পর্ক রয়েছে দেশটির লিবারেল পার্টির সাথে। তার বাবা ছিলেন একজন ইউনিয়ন নেতা এবং ব্যবসায়ী। আর তার মা ডায়ানা টার্বে ছিলেন একজন সাংবাদিক।

মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে আজ শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। এরইমধ্যে তাবুর শহর হিসেবে পরিচিত মিনায় পৌঁছাতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা। এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এ তথ্য জানায়।

নিয়ম অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার (৭ জিলহজ) সন্ধ্যার পর মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম বা নিজ আবাসন থেকে হজের নিয়ত করে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনার উদ্দেশে রওনা হবেন হজযাত্রীরা।

ইতিমধ্যে ‘তাবুর শহর’ খ্যাত মিনায় পৌঁছেছেন লাখো মুসল্লি। সৌদি কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪ লক্ষাধিক হাজী মিনায় অবস্থান করছেন। ‘লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক’ ধ্বনিতে মুখরিত মিনা উপত্যকা, যা হজের পবিত্র আবহকে আরও গভীর করছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতেই ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা হন ধর্মপ্রাণ অনেক মুসলমান। রাত্রি যাপন শেষে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রওনা হবেন আরফাতের ময়দানের উদ্দেশে। সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে হজের খুতবা।

আরাফাতে অবস্থানকেই মূলত হজ হিসেবে ধরা হয়। এবার বিশ্বের নানা প্রান্তের প্রায় ১৫ লাখ মুসল্লী হজ পালন করছেন। মুসল্লিদের হজ পালন নির্বিঘ্ন করতে কড়া নিরাপত্তাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি সরকার।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতাগুলো সম্পন্ন করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীরা চার দিনের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন।

সৌদি আরবের ধর্মীয় বিষয়ক প্রেসিডেন্সি রবিবার (২৫ মে) ঘোষণা করেছে যে এ বছর হজে আরাফার দিনের ঐতিহাসিক খুতবা প্রদান করবেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শেখ সালেহ বিন হুমাইদ।

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এক রাজকীয় ফরমানে তাকে আরাফাহর দিনে খুতবা দেয়ার অনুমোদন দেন। আগামী ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবাহ দেবেন তিনি।

পাকিস্তানের করাচির একটি কারাগার থেকে স্থানিয় সময় সোমবার (২ জুন) রাতে ২শ’-এর বেশি বন্দি পালিয়ে গেছে। স্থানীয় কর্মকর্তা ও পুলিশ জানিয়েছেন, দেশটিতে একাধিক ভূমিকম্পের পর আতঙ্কে বন্দিদের তাদের নিজ নিজ সেল থেকে বের হতে দেয়া হলে সুযোগ বুঝে তারা জেল গার্ডদের ওপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

দেশটির প্রাদেশিক আইনমন্ত্রী জিয়া-উল-হাসান লঞ্জার মঙ্গলবার (৩ জুন) ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ভূমিকম্পের কম্পনের কারণে জেল কর্তৃপক্ষ বন্দিদের মালির জেলা কারাগারের আঙিনায় নিয়ে যাওয়ার পর রাত ১২টার আগেই পালানোর ঘটনা শুরু হয় এবং তা মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত চলতে থাকে।

পুলিশ জানায়, কয়েদিরা জেল কর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় এবং গুলিবিনিময়ের পর মূল গেট ভেঙে প্যারামিলিটারি বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে যায়। .

প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান গোলাম নবী মেমন বলেন, এতে অন্তত একজন কয়েদি নিহত ও তিনজন গার্ড আহত হয়েছেন।

কারাগারের বিপরীতের একটি আবাসিক কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা কর্মী বখ্শ বলেন, ‘আমি বেশ কিছুক্ষণ গুলির শব্দ শুনেছি, তারপর কিছুক্ষণ পর দেখি কয়েদিরা সব দিকে ছুটে পালাচ্ছে।

তিনি এও বলেন, কিছু কয়েদি পুলিশের হাতে আটক হওয়ার আগে আবাসিক কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেছিল।

মঙ্গলবার (৩ জুন) কারাগার পরিদর্শনকালে একজন রয়টার্স প্রতিবেদক ভাঙা কাচ ও ক্ষতিগ্রস্ত ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম দেখতে পান। কয়েদিদের পরিবারের সাথে দেখা করার একটি কক্ষ লুটপাটের শিকার হয়েছিল। উদ্বিগ্ন আত্মীয়স্বজনরা কারাগারের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন।

লঞ্জার বলেন, এটি পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জেল পালানোর ঘটনাগুলোর একটি। করাচির মালির জেলাটিতে ৬,০০০ কয়েদি রয়েছে।

স্থানীয় টিভির ফুটেজে দেখা গেছে, সারারাত ধরে কয়েদিরা এলাকায় ছুটে বেড়াচ্ছিল, কেউ কেউ খালি পায়ে, আর পুলিশ তাদের পিছু নিয়েছিল। প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ বলেন, পালানো কয়েদিদের মধ্যে প্রায় ৮০ জনকে আটক করা হয়েছে।

জেল সুপারিনটেন্ডেন্ট আরশাদ শাহ সাংবাদিকদের বলেন, রাতে ২৮ জন জেল গার্ড ডিউটিতে ছিলেন এবং এতো বিপুল সংখ্যক কয়েদির মধ্যে মাত্র কয়েকজন পালাতে পেরেছে।

তবে তিনি স্বীকার করেন যে ওই কারাগারে নিরাপত্তা ক্যামেরা নেই।

জেল কর্মকর্তারা জানান, অনেক বন্দি হেরোইন ব্যবহারকারী ছিল এবং ভূমিকম্পের কারণে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। লঞ্জার বলেন, ‘ভূমিকম্পের কম্পনের কারণে এখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।’

প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েদিদের সেল থেকে বের হতে দেয়া জেল কর্তৃপক্ষের একটি ভুল ছিল। তিনি এখনও পালিয়ে থাকা কয়েদিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান, নতুবা জেল ভেঙে পালানোর জন্য তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হবে। শাহ বলেন, ‘ছোট অপরাধের অভিযোগও সন্ত্রাসবাদ মামলার মতো বড় হয়ে দাঁড়াবে।’