বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেছেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারলে আগামী নির্বাচন বিপজ্জনক হবে। অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করার আহ্বান জানান তিনি।

রোববার (২৪ আগস্ট) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘জিয়া পরিষদ’ আয়োজিত রিকশা ও ভ্যান চালকদের মধ্যে রেইনকোট বিতরন কর্মসূচীতে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তরিকতা অভাব নেই। তবে, সুযোগ পেলেই ফ্যাসিবাদী শক্তি অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করবে।

অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে রিজভী জানান, সংবিধান কিংবা আইন সংশোধন করবে নির্বাচিত সরকার।

কাউকে গায়ের জোরে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে বাঁধা সৃষ্টি না করার আহ্বান জানান বিএনপির এ সিনিয়র নেতা।

সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তির শুনানি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। রোববার (২৪ আগস্ট) বেলা বারোটায় নির্বাচন ভবনে এই শুনানি শুরু হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব এতে উপস্থিত রয়েছেন।

প্রথমদিনে, শুনানি চলাকালীন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ-র সাথে রুমিন ফারহানা গ্রুপের সাথে হট্টগোল হয়।

শুনানির সূচি অনুযায়ী, প্রথম দিনে থাকছে কুমিল্লা অঞ্চলের ১৮টি আসন। বেলা ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ৩ ও ৫; আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা কুমিল্লা-৬, ৯, ১০ ও ১১; সাড়ে ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নোয়াখালী-১, ২, ৪, ৫ এবং চাঁদপুর-২, ৩, ফেনী-৩, লক্ষ্মীপুর-২, ৩ আসনের শুনানি নেওয়া হবে।

এর আগে, নির্বাচন কমিশনে মোট ৮৩টি আসনের সীমানা পরিবর্তনে ১ হাজার ৭৬০টি আবেদন জমা পড়ে। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়ে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে ৬৮৩টি। সবচেয়ে কম আবেদন ছিল রংপুর অঞ্চলে ৭টি। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়ে একক আসন হিসেবে কুমিল্লা-১ আসনে, ৩৬২টি। পিরোজপুর-১, পিরোজপুর-২ ও পিরোজপুর-৩ আসন থেকে আবেদন পড়ে ২৮৭টি। সিরাজগঞ্জ ৫ ও সিরাজগঞ্জ ৬ আসন থেকে আবেদন পড়ে ২২০টি। এদিকে ঢাকার মধ্যে ঢাকা-১ আসনে আবেদন পড়ে সবচেয়ে বেশি ৭৯টি।

পরবর্তীতে গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় ১টি আসন বাড়িয়ে ৬টি করা হয়। এবং বাগেরহাটের আসন ৪টি থেকে কমিয়ে ৩টির প্রস্তাব করা হয়।

এছাড়া পরিবর্তন আনা হয় ৩৯টি আসনে। এগুলো হলো- পঞ্চগড় ১ ও ২; রংপুর ৩; সিরাজগঞ্জ ১ ও ২; সাতক্ষীরা ৩ ও ৪; শরীয়তপুর ২ ও ৩; ঢাকা ২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯; গাজীপুর ১, ২, ৩, ৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ ৩, ৪ ও ৫; সিলেট ১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩; কুমিল্লা ১, ২, ১০ ও ১১; নোয়াখালী ১, ২, ৪ ও ৫; চট্টগ্রাম ৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট ২ ও ৩ আসন।

মালয়েশিয়া সফর থেকে ফিরেই চীনে সফর করবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সফরে তিনি আট সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।

আগামী মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এনসিপির আট সদস্যের এই প্রতিনিধিদল চীন যাবেন। ৩০ আগস্ট তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

নাহিদ ইসলাম ছাড়াও এনসিপি থেকে যারা চীন সফরে যাবেন তারা হলেন— দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিভা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্য সচিব তাহসীন রিয়াজ।

এর আগে ১১ থেকে ১৫ জুলাই জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল চীন সফর করে। জুন মাসে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলও বেইজিং সফরে যায়।

চীন সফরের আগে নাহিদ ইসলাম ২২ থেকে ২৪ আগস্ট মালয়েশিয়া সফর করবেন। ওই সফরের আয়োজন করছে এনসিপি ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্স-মালয়েশিয়া চ্যাপ্টার।

মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক টম অ্যান্ড্রুজ। এসময় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে অগ্রাধিকার দেয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যান্ড্রুজ স্মরণ করিয়ে দেন, প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগেই জাতিসংঘ সদরদফতরে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহায়তা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের আশাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ড. ইউনূসের প্রতি বিশ্ব কৃতজ্ঞ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জাতিসংঘের এই সম্মেলন দীর্ঘায়িত সংকটের একটি সুস্পষ্ট সমাধানের পথ তৈরি করবে এমন আশা প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য সাম্প্রতিক আর্থিক সহায়তা হ্রাসের ফলে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সেবায় বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। তিনি অ্যান্ড্রুজকে পর্যাপ্ত তহবিল নিশ্চিত করতে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।

অ্যান্ড্রুজ সংকট সমাধানে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন। তবে তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে এবং শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগটি দুরভিসন্ধিমূলক প্রচারণার কারণে ব্যর্থ হয়েছে। তবুও অ্যান্ড্রুজ আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর অব্যাহত প্রচেষ্টা দ্রুত ও স্থায়ী সমাধান এনে দিতে পারে এবং এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

অ্যান্ড্রুজ রোহিঙ্গা ইস্যুতে আগামী ২৫ আগস্ট কক্সবাজারে অনুষ্ঠিতব্য স্টেকহোল্ডার সংলাপে অংশ নিতে বাংলাদেশ সফর করছেন। ওই সংলাপের উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা।

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনদিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে পাল্লা দিয়ে। বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। সবশেষ সপ্তাহজুড়ে যেমন কিছু মুদ্রা স্থিতিশীল ছিল, আবার দামে উত্তরণ-অবনমনও হয়েছে অনেক মুদ্রায়। চলতি সপ্তাহে মার্কিন ডলারের দাম কমেছে কিছুটা। অপরদিকে, স্থিতিশীল বেশিরভাগ মুদ্রার বিনিময়মূল্য।

গত সপ্তাহের তুলনায় মার্কিন ডলারের দাম প্রায় ৩০ পয়সার মতো কমেছে। তবে ইউরো ছাড়া তেমন কোনো পরিবর্তন ছিলোনা, কমেছে বেশিরভাগ মুদ্রার বিনিময় দর।

এনসিসি ব্যাংকের তথ্যমতে সর্ব্বোচ্চ ১২২ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার এই মুদ্রাটি লেনদেন হয়, সর্বোনিম্ন ১২২ টাকা ৪০ পয়সায়।

তবে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ২ টাকার মতো বেড়েছে পাউন্ড। পাউন্ড লেনদেন হয় সর্বোচ্চ ১৬৮ টাকা ৬৬ পয়সায়। সর্বনিম্ন দর ছিলো ১৬৭ টাকা ০৭ পয়সায়।

ইউরো সর্বোচ্চ ১৪৫ টাকা ৪১ পয়সা দরে বিনিময় হয়। সর্বনিম্ন দর ছিলো রোববার ১৪৪ টাকা ৫১ পয়সা। পরিবর্তন ছিল অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিনিময়মূল্যে। সর্ব্বোচ্চ দর ছিল ৮০ টাকা ১৭ পয়সা। ৭৯ টাকা ৯১ পয়সা সর্ব্বনিম্ন ছিল এই মুদ্রাটি। আর সপ্তাহজুড়েই ২৮ থেকে ২৯ টাকার মধ্যেই লেনদেন হয়েছে মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের দরে।

বেড়েছে সিঙ্গাপুর ডলারের দর। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ৯৭ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয় মুদ্রাটি। রোববার সর্বনিম্ন দর ছিলো ৯৬ টাকা ৯০পয়সা।

তেমন পরিবর্তন ছিল না সৌদি রিয়ালের দরে। ৩২ টাকার মধ্যই লেনদেন হয়েছে। আর ভারতীয় রুপির জন্য গুনতে হয়েছে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৪৪ পয়সা।

আগামী ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে গুরুত্ব দিয়ে স্থান পাচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস। এতে গণহত্যাকারী হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে (অ্যাডমিন পোস্ট) এ তথ্য জানান।

এতে বলা হয়েছে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এ দেশের মানুষের সংগ্রামের গল্প পৌঁছে দিতে পাঠ্যপুস্তকে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে।

পোস্টে আরও বলা হয়, বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস এবং সাম্প্রতিক চারটি জাতীয় নির্বাচনের (নবম থেকে দ্বাদশ) তথ্য।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভেরিফায়েড পেজে করা পোস্টের স্ক্রিনশট।

পোস্টে যুক্ত করা ছবিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন শ্রেনির পাঠ্যবইয়ে গণহত্যাকারী হিসেবে যুক্ত হচ্ছে শেখ হাসিনার নাম।

সরকারি সফরে চীন গমন করলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারী সফরে আজ (২১ আগস্ট) চীন গমন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সফরকালে সেনাপ্রধান চীনের সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সামরিক বাহিনীর সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা উন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় করবেন।

সফর শেষে সেনাবাহিনী প্রধান আগামী ২৭ আগস্ট বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান চার দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন।

বুধবার (২০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টায় তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। 

বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।

২১ আগস্ট থেকে আগামী ২৪ আগস্ট পর্যন্ত পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের এ সফরের লক্ষ্য দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করা। একইসঙ্গে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা করবেন তিনি।

সফরকালে জাম কামাল খান বাংলাদেশি ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতার নতুন পথ অন্বেষণ করবেন। আলোচনায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা অনুসন্ধান এবং বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।

কূটনৈতিক মহল আশা করছে, এ সফরের মাধ্যমে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে।

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আশুলিয়ায় ছয়জনের মরদেহ পোড়ানোসহ সাতজনকে হত্যার মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন।

এর আগে, গত ১৩ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

এদিন সকালে এই মামলায় গ্রেফতার ৮ আসামিকে হাজির করা হয় ট্রাইব্যুনালে। এই মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৬ জনকে। এর মধ্য সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ ৮ জন পলাতক আছেন। তাদের পক্ষে ইতোমধ্যেই আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে, আজ নিজের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে আবেদন করেছেন আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানো মামলার আসামি পুলিশের সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আফজালুল হক।

গত ২ জুলাই এ মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেন প্রসিকিউশন।

গত বছরের ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় পাঁচজনের মরদেহ ও জীবিত একজনকে পুড়িয়ে দেয়া এবং চার আগস্ট একজনকে হত্যার এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের ৫ম দিনের শুনানি চলছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চে পঞ্চম দিনের মতো শুনানি হয়।

এর আগে, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে গত বছরের ১ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। পরে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন। এরপর হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়।

২০১৮ সালের রায়ে, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারা ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরী, মাসুকা বেগম ও মাহফুজা খানম মানবতা ও সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল, দুই ছেলে আদিল রশিদ ও আয়ান রশিদ, বোন মেহেতাজ চৌধুরী, ভাই মুনাফ মজিব চৌধুরী ও নিকট আত্মীয় কাওসার হোসেন চৌধুরী; শিক্ষক মাসুকা বেগমের বোন পাপড়ি রহমান ও ভগ্নিপতি খলিলুর রহমান এবং শিক্ষক মাহফুজা খাতুনের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা, বোন মুরশিদা খাতুন, ভাগ্নে মো. মাইদুল ইসলাম ও নিকট আত্মীয় হুমায়ূন কবির।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বেশ কিছুদিন পার হলেও এই স্মৃতি এখনও সবার মধ্যে দগদগে হয়ে আছে। আমি ঘটনা জানা মাত্রই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনারা যে দুঃসময়ের মধ্যে ছিলেন, সেসময়ে দেখা করা সমীচীন হতো না। আমরা আপনাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করতে পারি, কিন্তু এই দুঃসহ স্মৃতি মুছে দেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, এ শোক আপনাদের একার নয়। জাতি হিসেবে আমরা এই শোককে ধারণ করি।

এসময় তিন শিক্ষক পরিবারের কাছে তাদের স্মৃতিকথা শুনতে চান প্রধান উপদেষ্টা।

শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল বলেন, তাকে যখন হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিল তখন ফোনে আমার সাথে কথা হয়। সেদিন বার্ন ইনস্টিটিউটে যে দৃশ্য দেখেছি, তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। জীবনে যেন কারও সেই অভিজ্ঞতা না হয়। আমি তাকে দেখলাম, একপাশ পুরোটা পুড়ে গেছে। সেখানে কয়েকজন সামান্য দগ্ধ বাচ্চা চিকিৎসা নিতে নিতে আমাকে বলল, ‘মিসই আমাদের টেনে টেনে বের করে আনল! মিস তো সুস্থ ছিল! এমন হলো কেন!’ আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি বের হয়ে এলে না কেন? তোমার নিজের দুই সন্তানের কথা একবারও ভাবলে না?’ সে আমাকে বলল, ‘ওরাও তো আমার সন্তান। ওদের একা রেখে আমি কী করে চলে আসি?’ পৃথিবীর সকল মানুষ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে তার জন্য দোয়া করেছে। সবার জন্যই সে নিবেদিত প্রাণ ছিল।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ২৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন শিক্ষক মাহফুজা খাতুন। মায়ের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা।

তিনি বলেন, আমার মা অনেকখানি সুস্থ হয়ে উঠেছিল। আমি ভেবেছিলাম, মা’কে নিয়ে বাড়ি ফিরব। মাকে যেদিন হুইলচেয়ারে বসাই সেদিন মনে হলো আমি বিশ্বজয় করেছি। মা ছাড়া একেকটা দিন আমার স্বপ্নের মতো মনে হয়। আমার তো বাবা নেই, এখন মাও চলে গেল। আমি এতিম হয়ে গেলাম। এখন পর্যন্ত নিজের বাসায় ফিরতে পারিনি। মা ছাড়া সে বাসায় ফিরব কী করে?

শিক্ষক মাসুকা বেগমের ভগ্নিপতি খলিলুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অনেক দিন ধরেই তার বোন অসুস্থ। চোখে কিছুটা কম দেখেন। মাসুকা সবসময় তার বাবা ও বোনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত, তাদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চটুকু দেয়ার চেষ্টা ছিল। বাবাকে নিয়মিত হাতখরচ পাঠাত। আমার ছেলে-মেয়েদের ও নিজের সন্তানের মতো মনে করত। প্রতিদিন তাদের সঙ্গে ওর কথা হতো। আমরা আর তার স্কুল—এই ছিল তার জীবন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাদের কথা শুনতে কষ্ট লাগে। একইসঙ্গে গর্ববোধ হয় যে আমাদের দেশে এমন নাগরিক আছে যারা অন্যের জীবন বাঁচাতে আগুনে ঝাঁপ দিয়েছে। মানবতার এই দৃষ্টান্ত তারা প্রমাণ করে গেছে। আমরা ক্ষুদ্র মানব ছিলাম, তারা আমাদের বড় করেছে। সবার ভেতরে নাড়া দিয়েছে। সবাই এটা নিজের মধ্যে অনুভব করেছে যে, ‘আমি যদি সেই অবস্থানে থাকতাম, আমি কী করতাম? আমি কি জীবনের পরোয়া না করে এভাবে ছোট শিশুদের প্রাণ বাঁচাতে আত্মবিসর্জন দিতাম? এই প্রশ্ন সবার মনে এসেছে।’

তিনি বলেন, এই শিক্ষকগণ আমাদের গর্ব, আমাদের আদর্শ। তাদের স্মৃতি আমাদের ধরে রাখতে হবে। এজন্য যা কিছু করা প্রয়োজন, আমরা তা করব।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও এর সদস্যদের বিরুদ্ধে চলমান অপপ্রচারের বিষয়ে বাহিনীর সকলকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের বিভিন্ন স্বার্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে এমন কাজ (অপপ্রচার) করছে। এসবের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে পেশাদারী আচরণ করাই শ্রেয়। তবে এই সকল অপরাধ যথাযথভাবেই লিপিবদ্ধ থাকছে এবং উপযুক্ত সময়ে এই সকল দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে সেনাসদস্যদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে পদস্থ কর্মকর্তারা সরাসরি উপস্থিত ছিলেন এবং দেশের অন্য সব সেনা স্থাপনার কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে সেনাপ্রধান সকল সেনানিবাস ও জাতিসংঘ মিশনে মোতায়েন সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রায় ৩৮ মিনিট বক্তব্য রাখেন। দ্বিতীয় অংশে প্রায় ১ ঘণ্টা কর্মকর্তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

সেনাসদস্যদের উদ্দেশে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, দেশের মানুষ এখন সেনাসদস্যদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে এবং বাহিনীর চেইন অব কমান্ড অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।
তখন তিনি উল্লেখ করেন, এই ঐতিহাসিক ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের মানুষ সেনাবাহিনী ও এর প্রত্যেক সদস্যের প্রতি সবসময়ই কৃতজ্ঞ থাকবে।

এ সময় সেনাপ্রধান বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেন। যার মধ্যে সেনা সদস্য কর্তৃক সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যক্রম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অযাচিত প্রচারণার বিষয়ে তিনি বলেছেন, প্রচলিত সেনা আইন ও প্রথা অনুযায়ী সেনা সদস্যবৃন্দ কর্তৃক সংঘটিত সকল অন্যায়েরই বিচার হয়ে থাকে। তবে সকলকে মনে রাখতে হবে, অপ্রতুল প্রমাণের ভিত্তিতে অপ্রয়োজনীয় দ্রুততার সাথে বিচার করলে তা ভুল হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রয়োজনীয় সময় নিয়ে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণ সংগ্রহ করত: চলমান সকল অভিযোগের বিষয়েই যথাযথ বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেছেন, ইতোমধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়েছে এবং সরকার তা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। সকল সেনা সদস্যকে আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

বিভিন্ন দেশি-বিদেশি মহল বিভিন্ন হীন স্বার্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, তবে আমাদের একতা ও পেশাদারী আচরণের কারণে তাদের হীন উদ্দেশ্য অর্জন করতে পারেনি।

এছাড়া, সেনা প্রথা ও আইন অনুযায়ী সেনা সদস্যদেরকে রাজনৈতিক বিষয় থেকে দূরে থাকা, মাদক হতে দূরে থাকা, ইন এইট টু সিভিল পাওয়ার কর্তব্য পালনের অংশ হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ে কোনও জীবনহানি বা আহতের ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক থাকা, যানবাহন দুর্ঘটনা প্রতিরোধ মূলকব্যবস্থা গ্রহণ, সেনা সদস্যদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, পরিবারের প্রতি অধিক যত্নশীল হওয়া এবং সন্তানদের যথাযথভাবে সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সহকারে গড়ে তোলা, বিশেষ করে সন্তানদের মাঝে আচরণমূলক সমস্যা ও মাদকে জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার বিষয়েও জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কথা বলেন।