কিডনিতে পাথর হয় মূলত যখন প্রস্রাবে থাকা কিছু খনিজ পদার্থ, যেমন ক্যালসিয়াম, অক্সালেট বা ইউরিক অ্যাসিড জমে গিয়ে শক্ত হয়ে যায়। এতে মূত্রে থাকা পানি এগুলোকে যথেষ্ট পরিমাণে ভাঙতে পারে না বলে জমাট বাঁধে। এই পাথর কিডনির ভিতরে বা বের হওয়ার পথে চলাচলের সময় তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

প্রতি ১১ জনে ১ জনের কিডনিতে পাথর হতে পারে। পুরুষদের এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নারীদের চেয়ে দ্বিগুণ। তবে আশার কথা হলো, কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে এর প্রতিরোধ সম্ভব এবং এ রোগের ভালো চিকিৎসাও আছে।

দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বিভিন্ন অভ্যাস রয়েছে, যেগুলো কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো আবার কিছু বাজে অভ্যাস শরীরের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ঠিক তেমনি ৭টি অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করা হলো, যেগুলো ক্ষতিকর মনে না হলেও ধীরে ধীরে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

সকালে খালি পেটে চা, কফি পান:

অনেকে সকাল শুরু করেন এক কাপ চা বা কফি দিয়ে। কিন্তু এটা যদি খালি পেটে হয়, তাহলে তা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। এসব পানীয়তে অক্সালেট নামে একটি যৌগ থাকে, বিশেষ করে ব্ল্যাক টিতে। দিনের পর দিন অতিরিক্ত মাত্রায় খালি পেটে পান করা উচিত নয়। কারণ অক্সালেট কিডনিতে ক্যালসিয়ামের সাথে যুক্ত হয়ে স্ফটিক তৈরি করে, যা পরে পাথর গঠনের কারণ হয়। এছাড়া খালি পেটে এগুলো খাওয়া পাকস্থলীর অ্যাসিডিটিও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই দিন শুরু করুন গরম পানির গ্লাস দিয়ে, এরপর কিছু খাওয়ার পর চা বা কফি খান।

অত্যাধিক প্রাণিজ প্রোটিন খাওয়া:

প্রোটিন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, মাংসপেশি তৈরিতে ও শক্তির জন্য দরকারি। তবে প্রাণিজ প্রোটিন (গরু, খাসি, মুরগি, মাছ) বেশি খেলে প্রস্রাব আরও অ্যাসিডিক হয়ে যায়। এতে সাইট্রেটের মাত্রা কমে যায়, যা কিডনিতে পাথর হওয়া রোধ করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি পশু প্রোটিন খাওয়া কিডনিতে পাথরের বড় কারণ হতে পারে। এজন্য সপ্তাহে কয়েকদিন উদ্ভিজ্জ প্রোটিনভিত্তিক খাবার রাখুন এবং শসা, কলার মতো কিডনি-বান্ধব খাবার খান।

নিয়মিত নাস্তা না করা:

দিন শুরুতেই নাস্তা না খাওয়ার কারণে পরবর্তী সময়ে প্রস্রাবে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। কারণ নিয়মমতো পুষ্টি না পাওয়া গেলে শরীর মাংসপেশির টিস্যু ভাঙতে শুরু করে, ফলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়। এটাও কিডনিতে পাথর হওয়ার একটি কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, অনিয়মিত খাবার শরীরের বিপাক পরিবর্তন করে, যা পাথর তৈরি হতে সাহায্য করে। তাই ছোট হলেও নিয়মিত খাবার খান। সেটা হতে পারে ভেজানো বাদাম বা ফলের মতো হালকা কিছু।

সারাদিনে কম পানি পান:

তৃষ্ণা লাগলে পানি পান করা হয়। কিন্তু যখন তৃষ্ণা অনুভূত হয়, তখন শরীরে ডিহাইড্রেশন শুরু হয়ে গেছে। কম পানি খেলে প্রস্রাব ঘন হয়, যার ফলে ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট একসঙ্গে জমাট হয়ে পাথর তৈরি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের প্রস্রাব পাতলা, তাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম। তাই প্রতি ঘণ্টায় একটু একটু করে পানি পান করুন। পানিতে লেবুর স্লাইস বা কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিন, কারণ এতে থাকা সাইট্রেট পাথর গঠন রোধ করে।

অতিরিক্ত পালং শাক, বিট ও বাদাম খাওয়া:

এসব খাবারে অক্সালেট বেশি থাকে। পুষ্টিকর হলেও অতিরিক্ত খাওয়া, বিশেষ করে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম ছাড়া, কিডনিতে পাথর হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারে বেশি অক্সালেট থাকলে ও ক্যালসিয়াম না থাকলে এগুলো সরাসরি কিডনিতে গিয়ে পাথর তৈরি করে। তাই অক্সালেটযুক্ত খাবার যেমন পালং শাক বা বাদাম ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে খান— যেমন দই বা পনির। এবং এগুলো প্রতিদিন বড় পরিমাণে না খাওয়া ভালো।

দীর্ঘসময় প্রস্রাব চেপে রাখা:

অনেক সময় কাজের জন্য কিংবা বাইরে গেলে প্রস্রাব লাগলেও ধরে রাখা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় প্রস্রাব আটকে রাখলে কিডনি বা মূত্রথলিতে পাথর গঠনের পদার্থ জমতে পারে। এ ছাড়া এই অভ্যাস ইউরিনারি ইনফেকশনের ঝুঁকিও বাড়ায়। কাজ বা ভ্রমণের সময়েও নিয়মিত টয়লেট ব্যবহার করুন, প্রয়োজনে বিরতি নিন।

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ:

খাবার থেকে পাওয়া ক্যালসিয়াম নয়, বরং অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট থেকে পাওয়া ক্যালসিয়াম প্রস্রাবে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে খাবারের সঙ্গে না নিলে ঝুঁকি বেশি থাকে। দুধ, রাগি, তিলের মতো প্রাকৃতিক খাবার থেকে ক্যালসিয়াম নিলে পাথরের ঝুঁকি কমে, কিন্তু সাপ্লিমেন্ট ঠিকমতো না খেলে ঝুঁকি বাড়ে। তাই ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট নেয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সম্ভব হলে প্রাকৃতিক উৎস বেছে নিন।

প্রতিদিনের ছোট ছোট অভ্যাসই শরীরের ভেতরে বড় পরিবর্তন আনে। সচেতন জীবনযাপন কিডনিতে পাথরের মতো সমস্যা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।

সূত্র: টাইমন অব ইন্ডিয়া

নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত জাতির সংশয় আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান তিনি।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষ্যে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে একথা বলেন তিনি।

এসময় দলের নেতাকর্মীদের কারও পাতানো ফাঁদে পা না দেয়ার আহ্বানও জানান গয়েশ্বর। বলেন, এর আগে নানাজনের নানা কথায় খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করা হয়ে ওঠেনি। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করে খালেদা জিয়া জাতির অভিভাবকে পরিণত হয়েছেন।এখনও তিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনদিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে পাল্লা দিয়ে।

লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার আজকের (১৫ আগস্ট, ২০২৫) বিনিময় হার:

মুদ্রার নাম বাংলাদেশি টাকা
ইউএস ডলার ১২১ টাকা ৫৫ পয়সা
ইউরো ১৪১ টাকা ৭৩ পয়সা
পাউন্ড ১৬৩ টাকা ৩৮ পয়সা
ভারতীয় রুপি ১ টাকা ৩৮ পয়সা
মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ২৮ টাকা ৭০ পয়সা
সিঙ্গাপুরি ডলার ৯৪ টাকা ৬৭ পয়সা
সৌদি রিয়াল ৩২ টাকা ৪০ পয়সা
কানাডিয়ান ডলার ৮৪ টাকা ৪৪ পয়সা
কুয়েতি দিনার ৩৯৭ টাকা ৭১ পয়সা
অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৭৯ টাকা ২৬ পয়সা
*মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। জিডিপি কিংবা পার ক্যাপিটা (মাথাপিছু আয়) হিসাবও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে করা হয় পশ্চিমা মুদ্রায়।

গুলশানের চাঁদাবাজির ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও উপদেষ্টা জড়িত কি না, তা স্পষ্ট করা দরকার। জনগণের সামনে তুলে ধরা দরকার, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির এ নেতার মতে, যদি এই ঘটনার তদন্ত না হয়, উপদেষ্টাদের বিষয়ে আরও প্রশ্ন উঠবে। এই বিষয়ের বিস্তারিত তদন্ত হওয়া উচিত।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য পরিহার করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা কিংবা বয়কট করবে, জাতীয় রাজনীতি থেকে তারা মাইনাস হবে।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাম্মী আক্তারের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুর একটি স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে একজন উপদেষ্টার সঙ্গে ভোররাতে গুলশানের একটি হোটেলের সামনে সাক্ষাৎ ও আলোচনার কথা বলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে আজ জাতীয় জাদুঘরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানে আলম অপুর স্ত্রী কাজী আনিশা অভিযোগ করেন, অপুর দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য জোরপূর্বক আদায় করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।

সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের ঢাকার গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযুক্ত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুর স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নাম এসেছে। জানে আলম অপুর দেয়া ওই বক্তেব্যের ভিডিও গতকাল বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের কাছে সাংবাদিকরা মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বললেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তাই এ নিয়ে বেশি মন্তব্য করা উচিত না। আসলে আমার নামটা আসার পর আমি অবাক-ই হই। জানে আলম অপুকে চিনতাম, যখন আমি ছাত্র অধিকার পরিষদে ছিলাম, ২০২২ সালে। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম তখন, সে-ও ছাত্র অধিকার পরিষদ করতো। সে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতে ছিল বোধয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর তার সাথে আমার কখনও দেখা হয়নি।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আরও বলছিলেন, এই ধরনের একটি অভিযোগ আসার পর আবার আরেক জায়গা থেকে জানতে পারলাম, স্ত্রী পরিচয়ে একজন সংবাদ সম্মেলন করেছেন, সেখানে তিনি বলেছেন অপুকে গুম করে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বক্তব্য নেয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্টরুমে এগুলো হতো, আমাদের এখানে আয়নাঘর ছিল, ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের পর এগুলো অকার্যকর। আবারও সেই প্র্যাকটিসের দিকে যাচ্ছি কি না! একটা শঙ্কার বিষয় আছে!

বলতে বলতে তিনি ভোরের দিকে বাইরে খেতে যাওয়ার প্রসঙ্গও আনেন। আসিফ মাহমুদের ভাষ্য, রাতে মাঝে মধ্যে কাজ শেষ করতে কখনও কখনও ভোর হয়ে যায়, ওই সময় খাবার দেয়ার জন্য বাসায় কেউ থাকে না। বেশিরভাগ সময় তখন তিনি ৩০০ ফিটের নীলা মার্কেটে যান। ওখানে খুব ভালো হাঁসের মাংস পাওয়া যায়। ৪-৫ জন মিলে সেখানে যান। আবার ভোর হয়ে গেলে সেখানে দোকান বন্ধ থাকে। তখন গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে যাওয়া হয়।

তবে জানে আলম অপু তার বক্তব্যে যেদিন আসিফ মাহমুদ গুলশানে গিয়েছিলেন এবং দুইজনের দেখা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন, সেদিন ওখানে গিয়েছিলেন কি না খেয়াল নেই এই উপদেষ্টার।

এরপর সাংবাদিকেরা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার কাছে জানতে চান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা মোটরসাইকেলে করে যাওয়া ব্যক্তি কি তিনি-ই ছিলেন?

আসিফ মাহমুদ জবাব দেন, সিসিটিভি ফুটেজে হেলমেট পরা যে কাউকে যদি আমাকে বলে দাবি করা হয়, এটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য? আমি এ বিষয়ে আর বেশি কিছু বলতে চাই না। তদন্তাধীন বিষয় যেহেতু।

তিনি দাবি করেন, এই ঘটনায় তার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। যার সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে, তাকে একজন নেতার বাসায় জোরপূর্বক বক্তব্য নেয়া হয়েছে।

সিলেটে সাদা পাথর লুটের ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রিটকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর একেএম নূরুন নবী এ তথ্য জানান।

রিটে বলা হয়েছে, ওই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেয় এবং সেখানে যেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও সাদা পাথর লুটের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তা ও তার ব্যাখ্যা চেয়েও একটি রুল জারির আবেদন করা হয়েছে রিটে।

রিটে ঘটনা তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব ছাড়াও এতে বিবাদী করা হয়েছে পরিবেশ সচিব, আইজিপি, ডিসি সিলেট, ইউএনও কোম্পানিগঞ্জসহ ১০ জনকে।

এদিকে গতকাল রাতে, সিলেট জেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায় পাথর লুটপাট ঠেকানো ও লুটের পাথর সাদাপাথরে পুনঃস্থাপনে ৫ দফা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো— জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ এ পুলিশের চেকপোস্ট যৌথ বাহিনীসহ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ বন্ধ করার জন্য অভিযান চলমান থাকবে। পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশনা দেয়া হয়। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালীদের লাগামহীন লুটপাটে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান সাদাপাথরসহ সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের অভিযোগ, প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এই লুটপাট অব্যাহত রয়েছে, যা শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, পর্যটন শিল্পকেও হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।

উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূলের অদূরে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) আবহাওয়া অফিসের এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

শুধু অর্থের জন্য দুর্বল, অসুস্থ এবং হজ করার মতো ফিট নন এমন কাউকে সৌদি আরবে না নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরাহ ফেয়ার ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই অনুরোধ জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, সৌদির সরকারি ক্যাটারিং সার্ভিসের খাবার বাদ দেয়ার দাবি ও মুজদালিফায় টয়লেট ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করতে অনুরোধ করবে ঢাকা। এ বছরের ন্যায় ২০২৬ সালেও সুন্দর হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, মধ্যসত্ত্বভোগীদের কাছ থেকে হজকে মুক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও হজ ফ্লাইটের বিমান ভাড়া নিয়ে বৈঠকে বসলে হাবের প্রতিনিধিদেরও সেখানে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

সৌদি আরবে জর্দা মাদক হিসেবে গণ্য হয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জর্দা, সিগারেট নিয়ে গেলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তাই এসব না নিতেও নিরুৎসাহিত করেন ধর্ম উপদেষ্টা।

আগামী নির্বাচনে কালো টাকার বিস্তার ঠেকাতে অন্তর্বর্তী সরকার সচেষ্ট থাকবে; এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে এবং সংস্কৃতির পরিবর্তন আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ‘ইউ পেনশন’ অ্যাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারিতে একটি ভালো নির্বাচন আয়োজন করতে চায় সরকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে একটি কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে সব পেশার মানুষ কেন অংশ নিচ্ছে না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশও দেন তিনি।

এ সময় অর্থ উপদেষ্টা জানান, সরকারি কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এই স্কিমে কোনো ভুলত্রুটি থাকলে তা সংশোধনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। সর্বজনীন পেনশন নিয়ে আরও ব্যাপক প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নির্বাচনকালীন সরকারের উপদেষ্টা পদে থাকছেন না।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ঠিকানায় গতকাল মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসে তিনি এ তথ্য জানান।

তার মানে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই কি নাহিদ ইসলামের মতো উপদেষ্টার পদ ছেড়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন আসিফ মাহমুদ? তেমনটাই ইঙ্গিত রয়েছে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার কথায়।

সরকার থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ২০১৮ সাল থেকে আমি রাজনীতিতে যুক্ত। তাই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সরকার থেকে সরে যাবো।

রাজনীতিতে আছে এমন কয়েকজন সরকারে আছে; মাহফুজ আলমসহ আরও কেউ যদি থাকেন এমন কারও নির্বাচনকালীন সরকারে থাকা উচিত নয় বলেও মনে করছেন তিনি। কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা দেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতিকে সেরা নির্বাচন উপহার দিতে চান। তাই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের প্রশ্ন যেন না আসে।

আসিফ মাহমুদের মুখ থেকে এমন ঘোষণা আসার আগে থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন ছিল— ভোটের আগে দুই ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ ইসলাম সরকার থেকে সরে এসে এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।

তবে এনসিপিতেই আসিফ মাহমুদ যোগ দেবেন কি না তা পরিষ্কার করেননি এই টকশোতে। এছাড়া, আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না, বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি।

এর আগে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠনকে কেন্দ্র করে জাতীয় নাগরিক কমিটির (জানাক) তৎকালীন কয়েকজন নেতার মধ্যে বিরোধ তৈরি হলে সংগঠনটির কার্যালয় যে ভবনে, অর্থাৎ ঢাকার বাংলামোটরে রূপায়ন সেন্টারে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ উঠে এবং আলোচনা চলে।

তবে এ নিয়ে আসিফ মাহমুদের পক্ষ থেকে পরিস্কার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, কার্যক্রম স্থগিত হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির নেতারা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে ছিলেন। সেই সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন আখতার হোসেন, আর নাহিদ ইসলাম সদস্য সচিব ছিলেন। ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ছিলেন আসিফ মাহমুদ।

তারা সকলেই ছাত্রশক্তি গঠনের পূর্বে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাথে যুক্ত ছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে ২০২৩ সালে ছাত্রশক্তি গঠন করেন।

এদিকে, গুঞ্জন রয়েছে, কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে ভোট করতে পারেন আসিফ মাহমুদ। এজন্য বিএনপি নেতা ও অতীতে আসনটিতে একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের সাথে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে বলেও গুঞ্জন আছে রাজনৈতিক মহলে।

এ নিয়ে আসিফ মাহমুদ বলছিলেন, কেউ কেউ মনে করছেন তিনি মুরাদনগর থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন। এটা ঠিক নয় বলে দাবি তার।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, আমি জাতীয়পর্যায়ে রাজনীতি করতে চাই। সেক্ষেত্রে স্থানীয় স্তরে গিয়ে নির্বাচন করা, রাজনীতি করা সুবিধাজনক হবে না। জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্র হিসেবে ঢাকা শহরই আমার জন্য সুবিধাজনক স্থান।

এছাড়া, কুমিল্লার মুরাদনগরে মবের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড, শিক্ষক নিপীড়ন, চাঁদাবাজি— এসব ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবা বিল্লাল হোসেন; কিছুদিন ধরে এমন আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

এগুলোকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ‘অপপ্রচার’ বলে দাবি আসিফ মাহমুদের। এসবের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানালেন তিনি।

সব কিছুর দাম স্থিতিশীল থাকলেও শুধু চালের কারণে জুলাই মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপকরণ হিসেবে আমদানিকে ব্যবহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে কৃষিঋণ নীতিমালা ঘোষণা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

গভর্নর বলেন, চলতি অর্থবছরে কৃষিতে ৩৯ হাজার কোটি টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। তবে এর পরিধি আরও বাড়ানো দরকার।

কৃষি ঋণ আদায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কৃষি ঋণ আদায় নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। ঋণ পরিশোধে কমপক্ষে ৬ মাস সময় দেয়া দরকার। এ সময় সুদহারে ভর্তুকির চেয়ে সময়মতো ঋণ পাওয়া কৃষকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রাজউকের পূর্বাচলে নতুন শহর প্রকল্পের প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন দুদকের তিন কর্মকর্তা। তারা হলেন— সালাহউদ্দিন, আফনান জান্নাত কেয়া ও এস এম রাশেদুল হাসান।

পৃথক তিন মামলায় শেখ হাসিনা পরিবারের বাইরে অন্য আসামিরা হলেন— জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, গণপূর্তের তৎকালীন সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিয়া, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য কবির আল আসাদ, সদস্য তন্ময় দাস, সদস্য নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার।

সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর জানান, রাউকের আবাসন নীতিমালার সকল আইন ভঙ্গ করে শেখ হাসিনা তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে শেখ রেহেনাসহ তার পরিবারের নামে প্লট বরাদ্দ নেন। সাক্ষ্য গ্রহণে দুদকের কর্মকর্তারা এমন তথ্য আদালতকে জানান।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বরাদ্দ নেয়া প্লটের বিষয়ে ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ছয় মামলায় গত ১০ মার্চ অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেয় দুদক।