বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেকেই বলেন বিএনপি শুধু ক্ষমতায় যেতে চায়। ক্ষমতার জন্যই রাজনীতি করি। আমাদের গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে জনগণের ভোটের মাধ্যমে আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে চাই। এ সময় আদৌ অল্প সময়ের মধ্যে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়া সম্ভব কি না তা অনিশ্চিত বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেলে সুপ্রিমকোর্ট মিলনায়তনে এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুবার্ষীকির আলোচনায় মির্জা ফখরুল একথা বলেন।

ফখরুল বলেন, সবার মধ্যে শান্তিভাব চলে আসছে। তারা ভাবছেন হাসিনা তো চলে গেছে। কিন্তু রাজনীতিবিদ হিসেবে আমার মনে হয়, আমরা এখন সবচেয়ে ভঙ্গুর অবস্থানে আছি।

আদৌ অল্প সময়ের মধ্যে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়া সম্ভব কি না এমন সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আমরা লড়ছি। আমাদের লড়াইয়ের মূল বিষয় গণতন্ত্রের সংস্কার। দুর্ভাগ্য আমাদের আমরা তা এখনও অর্জন করতে পারিনি। অল্প সময়ের মধ্যে আদৌ গণতন্ত্র পুররুদ্ধার সম্ভব কি না তা অনিশ্চিত। প্রতিদিন নতুন নতুন তত্ত্ব হাজির করা হচ্ছে, সময় নেয়া হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশকে ভঙ্গুর অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে আমরা মনে হয় সংস্কার বিরোধী। অথচ সংস্কার শুরুটাই করেছি আমরা।

বিএনপির এই নেতা বলেন, অনেকে বলেন বিএনপি শুধু ক্ষমতা চায়। হ্যাঁ আমরা ক্ষমতা চাই, ক্ষমতার জন্যই রাজনীতি করি। আমাদের গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে জনগণের ভোটের মাধ্যমে আমরা রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে চাই।

বিএনপি কেন নির্বাচন চায় এর কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনও ৯০ শতাংশ আমলা ফ্যাসিস্টদের দোসর। অনিদিষ্টকালের জন্য অনিশ্চিত অনির্বাচিত সরকার মানুষের জন্য উপকার আসতে পারে? মঙ্গলবার প্রমাণ হয়েছে, খালেদা জিয়া সব চাইতে জনপ্রিয় নেতা। এটাও প্রমাণ হয়েছে বিএনপির হাতে দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র নিরাপদ। এমন সরকার করতে চাই যাতে জনগণের সমস্যা সমাধান করা যায়। সংস্কার করতে যদি ১০ বছর সময় লাগে। তাহলে কী ১০ বছর পরে নির্বাচন হবে? এই সময় ফ্যাসিস্ট আমলাদের নিয়ে চলতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

দেশের অর্থনীতি নিয়েও প্রশ্ন রাখেন মির্জা ফখরুল, তিনি বলেন, সরকার অর্থনীতির জন্য কী করেছে? অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আগামীতে আরও হবে। বিনিয়োগ আসছে না, বিদেশিরা বলছে, নির্বাচিত সরকার ছাড়া তারা বিনিয়োগ করবে না। মুদ্রাস্ফীতি কমছে না। যারা এতদিন ব্যবসা করতে পারেনি, তাদের জন্য সরকার কিছু করেনি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য চায়। কিন্তু এমন কিছু করবেন না যাতে জাতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কাউকে না জানিয়ে করিডোর দেয়া হচ্ছে। যেখানে আরাকাম আর্মির কোনো সরকারই নেই। যদি দেয়ার প্রয়োজন হয় দেয়া হবে। আমরা মানবতার পক্ষে। তবে তা রাজনৈতিক দল এবং দেশের জনগণকে নিয়ে দেয়া হবে। দেশ গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা কখনোই বাধা হবো না বরং সামনে এসে দাঁড়াবো। দেশের মানুষের পক্ষে যায় না এমন কিছু কোনদিনও করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি করেন তিনি।

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং এসবির একজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর দেশ ছাড়লেন ওই সরকারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশ ছাড়েন। এর আগে রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাইবাছাই শেষে দেশ ছাড়েন তিনি।

সাবেক এই রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় একটি মামলা থাকার তথ্য রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের হয়।

মিয়ানমারের রাখাইনে নতুন যে প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি হচ্ছে তাতে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তি দেখতে চায় বাংলাদেশ। আরাকান আর্মিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।

মঙ্গলবার (৬ মে) মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সাথে দীর্ঘ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

খলিলুর রহমান বলেন, নতুন করে রোহিঙ্গা প্রবেশ ঠেকাতে চেষ্টা করছে সরকার। বিষয়টি খুব জোড়ালোভাবে আরাকান আর্মিকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও জাতিসংঘের মাধ্যমে আরাকান আর্মিকে কয়েকটি কথা জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আরাকানের নতুন প্রশাসনের সব স্তরে রোহিঙ্গাদের রাখার দাবি জানানো হয়েছে। এটি না করলে আরাকান আর্মির সাথে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া খুব মুশকিল হবে। এটি তাদের জন্য একটি প্রথম পরীক্ষা। তারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারছে কিনা তার জন্য বাংলাদেশ অপেক্ষা করছে। এ সময় জাতিগত নিধন কোনও অবস্থাতেই বাংলাদেশ সমর্থন করে না বলেও জানান তিনি।

কানাডার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (৬ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দেশটির ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা শিল্প সম্প্রসারণে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও আঞ্চলিক রফতানি হাবে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বলেন, আপনারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। উৎপাদনের পর এখান থেকেই অন্য বাজারে রফতানি করা যাবে। আমরা জনগণকে প্রশিক্ষিত করতে প্রস্তুত ও কানাডিয়ান ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।

ড. ইউনূস আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।  মনে হয়েছিল, গত ১৫ বছর ধরে একটি ভূমিকম্প চলেছে। সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গঠনমূলক সংস্কারের মাধ্যমে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছি। সামনে এগোতে আপনাদের মতো বন্ধু আমাদের প্রয়োজন।

ইন্দো প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল থপিল বলেন, আমরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনায় বিশ্বাস করি। এজন্য ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের সঙ্গে এনেছি। আমরা আরও মজবুত বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারমূলক উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ড. ইউনূস একটি অসাধারণ উপদেষ্টা দল গঠন করেছেন। সরকারের নেয়া সংস্কার উদ্যোগগুলো দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভিত্তি তৈরি করছে। এ সময় কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

থপিল উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলটিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দলটিতে দেশটির বিখ্যাত কিছু কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীরা ছিলেন। তারা হলেন, বেল হেলিকপ্টারের কমার্শিয়াল সেলস ম্যানেজার উইলিয়াম ডিকি, ব্ল্যাকবেরির হেড অব গভর্নমেন্ট সলিউশনস ব্র্যাড কলওয়েল, এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট কানাডার দক্ষিণ এশিয়া প্রতিনিধি লাদিসলাউয়া পাপারা, গিলডান অ্যাক্টিভওয়্যারের ভাইস প্রেসিডেন্ট জুয়ান কনত্রেরাস, জেসিএম পাওয়ারের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক মো. আলী এবং অ্যাডভানটেক ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনসের গ্লোবাল সেলস ভাইস প্রেসিডেন্ট টনি র‍্যাডফোর্ড।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি সমন্বয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি কানাডিয়ান প্রতিনিধিদলে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং, হাইকমিশনের সিনিয়র ট্রেড কমিশনার ডেবরা বয়েসও উপস্থিত ছিলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন।
সোমবার (৫ মে) সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রতিবেদন পেশ করে এই কমিশন।
 
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হচ্ছে।
 
২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে ১২ সদস্যবিশিষ্ট স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
 
এই কমিশনের সদস্য হিসেবে আছেন- জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ইনফরমেটিক অধিদফতরের অধ্যাপক ডা. আবু মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক লিয়াকত আলী, গাইনোকলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, শিশু স্নায়ুতন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ডা. নায়লা জামান খান, সাবেক সচিব এম এম রেজা, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল) অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, আইসিডিডিআরবি’র বিজ্ঞানী ডা. আজহারুল ইসলাম, স্কয়ার হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, গ্রীন লাইফ সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চের চিফ কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, আইসিডিডিআর,বি’র শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য বিভাগের বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ডিএমসি) শিক্ষার্থী উমায়ের আফিফ।
 
কমিশন গঠনের ৯০ দিনের মধ্যে কমিশনের প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের কাছে জমা দেওয়ার কথা ছিল। পরে দুই দফায় সময় বাড়িয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

সাত কার্যদিবসের মধ্যে কুয়েটে শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত না হলে, একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রশাসনিক সকল কাজ থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।

সোমবার (৫ মে) দুপুরে কুয়েট শিক্ষক সমিতির জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডক্টর ফারুক হোসেন।

এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে তাদের শাস্তি প্রদানসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন।

এর আগে, প্রায় আড়াই ঘণ্টা শিক্ষক সমিতির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডক্টর শাহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।

অপরদিকে, সকালে নতুন উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর হযরত আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এতে শিক্ষকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনাসহ শিক্ষার্থীদের দ্রুত ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় বিচার কার্যক্রম এবং একাডেমিক কার্যক্রম একসাথে পরিচালনা করার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।

এবার আর দিনের ভোট রাতে হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কমিশন। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।

সোমবার (৫ মে) সকালে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সিইসি আশ্বস্ত করেন, কোনো রাজনৈতিক বিতর্কে জড়াবে না কমিশন। যেকোনো সিদ্ধান্ত এককভাবে নয় বরং কমিশনের সকল সদস্য মিলেই নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শপথ পড়ানোর দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই।

সভায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক। এতে আরও অংশ নেন ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

পিছিয়ে পড়া জেলা পার্বত্য রাঙামাটিতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ হবিব উল্লাহ এক অনন্য সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যোগাযোগের দুর্গমতা এবং শিক্ষক, অবকাঠামোসহ নানামুখি সমস্যার কারণে রাঙামাটি জেলার বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার মান আবহমান কাল থেকেই প্রশ্ন বিদ্ধ। প্রতিবছর এসএসসি ও এইচএসসি বোর্ড পরীক্ষায় অন্য দুই পার্বত্য জেলার সাথে পার্বত্য রাঙামাটির ফলাফলও জেলাবাসীকে হতাশায় ডুবিয়ে দেয়। এমনকি এই তিন জেলার কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল সারাদেশের তুলনায় নিম্ন পর্যায়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।


বিদ্যালয় পর্যায়ে বিদ্যমান সমস্যাগুলো এতটাই জটিল যে, সহসা এসব সমস্যা সমাধান করে বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা পরিবেশ উন্নত করা এক দূরহ কাজ। সে কারণে সমস্যাগুলো সাথে নিয়েই স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আপাতত শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু অতিরিক্ত পাঠ্যাভ্যাস বা সামষ্টিক পাঠের প্রচলন শুরু করে তাদের শিক্ষার মান বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়গুলোর অন্যান্য সমস্যাগুলোও সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সৃজনশীল এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য বর্তমানে “শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের নিয়ে ত্রিপক্ষীয় মাসিক সভা আয়োজনের কার্যক্রম চলছে। জেলাপ্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে প্রচলিত “অভিভাবক সমাবেশের” সরকারী পদ্ধতিকে কিছুটা পরিবর্তন করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে চলতি মে মাস হতেই চালু করা হচ্ছে শ্রেণীভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক: ত্রিপক্ষীয় মাসিক সভা। ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে প্রাথমিকভাবে ১০ম শ্রেণীগুলো নিয়েই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।


জেলাপ্রশাসকের এই উদ্যোগ ইতোমধ্যে অভিভাবক এবং শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহের জন্ম দিয়েছে। বিদ্যালয় পর্যায়ে সামষ্টিক পাঠের ধারণা নতুন হওয়ায় শিক্ষার্থীরা যেমন আনন্দিত, তেমনি এই পদ্ধতিতে তুলণামুলক মেধাবীরা যেমন তাদের প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ পাবেন, কম মেধাবীরা অন্যাদের চর্চা দেখে নিজেকে সুধরে নেওয়ার এবং পাঠ আত্মস্থ করার সুযোগ পাবেন।


জেলাপ্রশাসন সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে ‘মাসিক ত্রিপক্ষীয় সভা’ এবং ‘গ্রুপ স্টাডি’র বিভিন্ন দিক নিয়ে এপ্রিল মাসজুড়ে জেলার শিক্ষক প্রতিনিধি, শিক্ষা কর্মকর্তা, অভিভাবক প্রতিনিধি, শিক্ষানুরাগী এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে ধারাবাহিক মতবিনিময় করা হয়। সকলের মতামতের ভিত্তিতে জেলা সদর এবং উপজেলাসমূহের পাইলট প্রকল্প হিসেবে কিছু স্কুলে এটা চালু করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এবিষয়ে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় ও অনলাইন ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করা হয়।


প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত বিদ্যালয়গুলোতে এখন থেকে প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহে শ্রেনীভিত্তিক ত্রিপক্ষীয় সভার আয়োজন করা হবে। শ্রেণিশিক্ষকের সভাপতিতে ওই সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক। সংশ্লিষ্ট শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এবং বিষয় শিক্ষকগণ এ সভায় উপস্থিত থাকবেন।


সূত্র জানায়, এতে সুবিধাভুগী বা উপস্থিতির সংখ্যা তুলনামুলক সিমীত পর্যায়ে থাকায় সকলের মতামত শান্তভাবে শোনার একটি পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং পর্যালোচনার ভিত্তিতে করনীয় নির্ধারণ সহজ হবে। সাধারণত স্কুলে যে অভিভাবক মিটিংগুলো অনুষ্ঠিত হয় তাতে সকল শ্রেণীর অভিভাবকরা একসাথে উপস্থিত থাকেন, তাতে কয়েকজন অভিভাবক তাদের মতামত বা শিক্ষার্থীর সমস্যার কথা বলতে পারেন। অনেক অভিভাবক তাদের সমস্যার কথা বলারও সুযোগ পাননা।


এই পদ্ধতিতে যে সম্ভাব্য যে সুবিধাগুলো অর্জন করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : এতে জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে এবং সমাধান সহজ হবে। শ্রেণি শিক্ষক কেবল একটি শ্রেণি নিয়ন্ত্রণ করায় তাঁর শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পারবেন। সভায় অভিভাবকদের কমিটি বা পদ-পদবী না থাকায় সবাই সমভাবে নিজেদের মতামত তুলে ধরতে পারবেন।

 অভিভাবকগণ নিজ সন্তানের বিষয়ে যে কোনো মতামত লিখিত বা মৌখিকভাবে পেশ করতে পারেন। শ্রেণি শিক্ষক মতামত ও গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ রেজিস্টারভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট শ্রেণির ম্যাসেঞ্জার/ হোয়াটসঅ্যাপ ফোরামে প্রচার করবেন। এতে সমস্যা ও সমাধানের পথ সকলের গোচরে থাকবে এবং পরবর্তী মাসে অগ্রগতি পর্যালোচনা করা সহজ হবে।


সকল পর্যায়ের অভিভাবকরা এই পদ্ধতি চালুর কারণে আগামী দিনে তাদের সন্তানদের জন্য এক নতুন দিনের স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে। সকলে এই উদ্যোগের সাফল্য কামনা করেছেন।

২০১৩ সালের ৫ মে। ইসলাম অবমাননাকারীদের শাস্তি ও নারীনীতির বিরোধীতা করে ১৩ দফা দাবিতে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ। দিনভর চলা সমাবেশে বিকেলের দিকে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন কওমী মাদরাসা ভিত্তিক সংগঠনটির নেতারা। দিনভর দফায় দফায় চলে নানামুখী সংঘর্ষ।

সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। মতিঝিল, পল্টন, বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন স্থানে জ্বলতে থাকে আগুন। হেফাজত নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে মধ্যরাতে অপারেশনের প্রস্তুতি নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাত তিনটার দিকে একদিক খোলা রেখে তিনদিক থেকে চালানো হয় অপারেশন। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে পুরো এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়।

মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচালিত অপারেশনে ঠিক কতজন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন- তার সঠিক সংখ্যা এখনও নির্ণয় করতে পারেনি সংগঠনটি। যদিও নিহত ৬১ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন, অধিকার।

শাপলা চত্বরে হামলা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে দেশ-বিদেশে। সেই সময়ে এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করতে পারেনি হেফাজত। উল্টো সংগঠনটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয় বিভিন্ন থানায়। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর শাপলার ঘটনাকে গণহত্যা উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দু’টি অভিযোগ জমা দেয় হেফাজত। যাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, জিয়াউল আহসানসহ অর্ধশত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

এ ঘটনার এক যুগ পর পাল্টেছে পরিস্থিতি। কিন্তু নিহতের সঠিক সংখ্যা কী নির্ণয় করতে পেরেছে হেফাজত? এ বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক জানান, বেশকিছু লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। চাপের মুখে অনেক পরিবার তাদের পরিবারের সদস্যের মারা যাওয়ার বিষয়টি চেপে গিয়েছেন। মে মাসের মধ্যেই নিহতদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

তিনি আরও জানান, শাপলা হত্যাকাণ্ডসহ যে কয়টি হত্যাযজ্ঞ হয়েছে সব কয়টিতে অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান হেফাজতে ইসলামের এই নেতা।

শাপলার ঘটনার পর ৬১ জন নিহতের একটি তালিকার কথা জানায় মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’। এরপরই ঘড়গ নেমে আসে সংগঠনটির উপর। তথ্য-প্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার করে কারাদণ্ড দেয়া হয় অধিকারের সম্পাদক ও বর্তমান উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানকে।

নিহতের তালিকা করতে গিয়ে কঠিন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয় অধিকারের তদন্ত দলকে। অধিকারের পরিচালক নাসির উদ্দিন এলান জানান, তথ্য অনুসন্ধান দল যখন বিভিন্ন জায়গায় যায় তখন জানতে পারে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা ভুক্তভোগী পরিবারদের ওপর নানা নিপীড়ন চালাচ্ছে। তাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। সিভিল এবং পুলিশ প্রশাসনও তাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছিল।

হেফাজতের দায়ের করা মামলার বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, দুইটি অভিযোগ একসাথে করে তদন্ত কর্যক্রম চালাচ্ছে তদন্ত সংস্থা। তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন ফাইল করা হয়। এর ওপর ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ছিল। অনেকে পলাতক আছে তাদের পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।

শাপলা চত্বরের ঘটনায় আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়, যা মতিঝিল থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আসন্ন ঈদুল আজহার সময় কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ, পশু আনা নেওয়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (৪ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা দেখছি মানুষ কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সমাজের হতদরিদ্র মানুষ, যারা এই চামড়া বিক্রির টাকার উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। এই অব্যবস্থাপনার অবসান হওয়া প্রয়োজন।

পশুর চামড়ার দাম নিয়ন্ত্রণে একটি সিন্ডিকেট আছে উল্লেখ করে বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো যাতে কোনো সিন্ডিকেট বা অব্যবস্থাপনার কারণে মানুষ চামড়ার ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত না হয়।

অপরদিকে, কোরবানির পশু পরিবহণ ও হাটে বিক্রির সময় যাতে পশুর প্রতি কোন নির্দয় আচরণ করা না হয় সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে ইটিপির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দিনের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।কমিটিতে আরও থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সড়ক পরিবহণ ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সড়ক পরিবহণ ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

পৃথিবীর মধ্যে ভারতই একমাত্র দেশ, যারা পানিকে মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আব্বাস। তিনি বললেন, বিগত সময়ে শেখ হাসিনার কারণে তিস্তায় পানি আসেনি। গণআন্দোলনের মাধ্যমেই তিস্তায় পানি নিশ্চিত করা হবে।

রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ দ্রুত শুরু করার দাবিতে রংপুরে সমাবেশ আয়োজন করে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’। গণপদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আগেই এই পানির হিস্যা আদায় করতে পারতাম, যদি শেখ হাসিনার মতো সরকার বাংলাদেশে না আসত। পানি নিয়ে তারা কোনোদিনও কথা বলেনি। ভারতকে এই ন্যায্য পানির হিস্যা দিতে হবে। না দেওয়া পর্যন্ত শুরু হওয়া এই আন্দোলন থামবে না।

সমাবেশ উপলক্ষে রংপুর মহানগরীর শাপলা চত্বরে বিকেল ৪টার আগেই হাজার মানুষের উপস্থিতিতে সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ অঞ্চলের ২ কোটি মানুষের লাইফলাইন তিস্তার পানির হিস্যা আদায় এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরুর দাবিতে গণপদযাত্রায় অংশ নেন।

আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। এছাড়াও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা যোগ দেন।