নিরপেক্ষতার সঙ্গে বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

সেখানে বলেন, সরকার দাবিগুলো গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। এখন তো আন্দোলন করে লাভ নেই। আমাদের সময় দিতে হবে। একদিকে ৩ দফা, আরেকদিকে ৭ দফা আছে। এর মাঝে ব্রিজ হিসেবে কাজ করবে কমিটি। কেননা এক গ্রুপের দাবি মানলে আরেক গ্রুপ খেপবে।

তিনি বলেন, সমস্যার সমাধানে ১৪ সদস্যের ওয়াকিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রকৌশল সংক্রান্ত সরকারি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা থাকবেন। এই গ্রুপের কাছে দাবি তুলে ধরতে পারবে আন্দোলনকারীরা।

উপদেষ্টা বলেন, কমিটি আন্দোলনকারী, বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অভিভাবকদের সাথে বৈঠক করা হবে। প্রকৌশল সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়গুলোর সাথে বৈঠক করা হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২৪ ধাপে ভোটের কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করেছে কমিশন।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ রোডম্যাপ ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, তিনটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। আগামী নভেম্বরে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রতি বুথে ৬০০ পুরুষ ও ৫০০ মহিলা ভোটার রাখার চিন্তা করছি।

নির্বাচনের তফসিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কাজ তফসিল ঘোষণার ১৫ দিন আগে শেষ করার চেষ্টা থাকবে। কর্মপরিকল্পনায় বিভিন্ন সংযোজন হবে। ভোটের ৬০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে।

ইসির সিনিয়র সচিব আরও বলেন, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে শুনানির পর তথ্য পর্যালোচনা চলছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সীমানা চূড়ান্ত করতে পারব বলে আশা করছি। আর ৩০ সেপ্টেম্বর জিআইএস বা ভৌগলিক ম্যাপ প্রকাশ করা হবে।

ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা এবং বডি ক্যামেরার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। এটা আমাদের চাহিদা না। এআই ও অপতথ্য একটা চ্যালেঞ্জ। কমিশন এটি নিয়ে কাজ করছে। এ সময় নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারার পরিবেশ সৃষ্টি করা চ্যালেঞ্জ বলেও জানান তিনি।

ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও চরম লুটপাট হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। ঋণের নামে লোপাট হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। যা এখন খেলাপি। এসব প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখে বেকায়দায় পড়েছেন গ্রাহকেরা। জমানো টাকা ফেরত দিতে পারছে না এসব প্রতিষ্ঠান।

এই অবস্থায় চরম সংকটে থাকা ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, এফএএস ফাইন্যান্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, বিআইএসফি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস্‌ লিজিং, আভিভা ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, প্রিমিয়ার লিজিং ও জিএসপি ফাইন্যান্স।

তালিকায় থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ৬০ থেকে ৯৯ শতাংশ। বছরের পর বছর এসব প্রতিষ্ঠানকে গুণতে হচ্ছে লোকসান।

যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিষ্ঠান বন্ধ কোনও সমাধান নয়। এর ফলে নতুন করে জটিলতা তৈরি হতে পারে।

অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমদ বলেছেন, অবসানের বিকল্প…. আমি তো অবসান পছন্দই করি না। একীভূতকরণ, এতে আমি শতভাগ সমর্থন করি। অবসান কোনও সমাধান না। এটা আমেরিকায় আছে, ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়। ইউরোপে থাকতে পারে, ব্যাংক বন্ধ। কিন্তু এসব দেশে এটা চলবে না। এটা করলে লোক রাস্তায় নেমে যাবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মালিক পক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেই সংকটে পড়েছে এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তাই প্রতিষ্ঠান বন্ধের আগে পরিচালনায় সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সাথে আমানতকারী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কী হবে সে বিষয়টি পরিস্কার করতে হবে।

সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেছেন, যারা মালিকপক্ষ, যারা এটার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা করলো? দেখলাম না তো তাদের সম্পদগুলো টেকওভার করে তা বন্টন করে দিলো। অবসানের কথা বললে বলতে হবে হবে দুইটা জিনিস, একটা হলো আমানতকারীরা কতদিনের টাকা পাবে, উৎস পেমেন্ট করবো নাকি প্রিন্সিপালটা দিবো, প্রশ্ন কিন্তু এগুলো আসবে। দ্বিতীয় হলো যারা কর্মী আছে তাদের কী অবস্থায় আনা হবে?

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, যেসব প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়, তাদেরকেই বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখনও বন্ধের পদ্ধতি চূড়ান্ত হয়নি। তবে আমানতকারীদের স্বার্থের বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বললেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে যে থাকবে না। এদেরকে টিকিয়ে রাখার কোনও পন্থা এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে নাই। যেটা ব্যাংকের ক্ষেত্রে আছে। অতএব না থাকলে কোন কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে অবসান করা হবে এবং আমানতকারী ও চাকরিজীবীদের কী হবে ওই ব্যাপারে তো এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ওটা প্রসেসের মধ্যেই অন্তর্ভূক্ত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক কিন্তু বলেছে, আমানতকারীদের স্বার্থেই প্রতিষ্ঠানগুলো অবলুপ্ত করা প্রয়োজন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়টি সরকারের ইচ্ছা এবং তহবিল যোগান দেয়ার ওপর নির্ভর করছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাইদ হত্যা মামলার বিচার শুরু হচ্ছে আজ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ এই মামলার সূচনা বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। সেইসাথে, সাক্ষ্যগ্রহণও হতে পারে আজ থেকেই। এর আগে, গত ৬ আগস্ট বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল ২।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে এই মামলায় গ্রেফতার ৬ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। আর বেরোবির সাবেক ভিসিসহ ২৪ জন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের পক্ষে ইতোমধ্যে সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এর আগে, গত ২৮ জুলাই এ মামলার ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষ করে প্রসিকিউশন। ওই দিন আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি এ মামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয়া হয় ৩০ জুন। আর ২৪ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।

ডাকসু নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জালাল আহমেদের বিরুদ্ধে উঠলো গুরুতর অভিযোগ। ঢাবির মুহসিন হলে নিজ রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের করেছেন তিনি। বর্তমানে, ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে আহত রুমমেট রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র রবিউল ইসলাম।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে তুচ্ছ ঘটনায় বাকবিতণ্ডা শুরু, যা গড়ায় মারামারি পর্যন্ত। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষ থেকে আহত অবস্থায় বেরিয়ে এলে, অন্যরা তাকে নেয় মেডিকেলে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রবিউলের রুমমেট, ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালাল আহমেদ ওরফে ‘জ্বালাময়ী জালাল’ তাকে কুপিয়ে জখম করেছে।

ঘটনার পর রুম ভেতর থেকে আটকে ফেলে জালাল। পরে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টোরিয়াল টিম ও হল প্রশাসনের সহায়তায় তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পাল্টা আঘাতের অভিযোগ তারও।

এ ঘটনায় পুরো হলে মধ্যরাতে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত জালাল আহমেদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবি তোলে।

প্রক্টরের আশ্বাস, এ ঘটনায় হল প্রশাসন বাদী হয়ে মামলা করবে। একইসাথে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জালালকে বহিষ্কারের কথাও বিবেচনায় রাখা হবে।

ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, হলের প্রভোস্ট, দুইজন হাউস টিউটর এবং কর্মকর্তারা অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় মামলা হবে। মামলার পরবর্তী যে প্রক্রিয়া, সেটি প্রচলিত আইন অনুযায়ী চলবে।

প্রক্টরের আশ্বাসের পরও উত্তেজনা কাটেনি মুহসীন হলে। পরিস্থিতি শান্ত করতে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বিদ্রোহী কবি হিসেবে খ্যাত নজরুল ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক। মৃত্যুর এতো বছর পরেও শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিবাদী কন্ঠস্বর হয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্মে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন কবি নজরুল।

তিনি শুধু কবি নন, ছিলেন সংগীতজ্ঞ, নাট্যকার-দার্শনিক। অসাম্প্রদায়িক বাণী, শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে তার লেখা আজও অনুপ্রেরণার উৎস।

দীর্ঘ রোগভোগের পর ঢাকায় ১৯৭৬ সালের এই দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নজরুল। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে।

নজরুল সবসময়ই শোষিতের পক্ষে, যুগে যুগে নতুন প্রজন্মের মাঝে জ্বালিয়ে রেখেছেন বিদ্রোহের স্ফুলিঙ্গ।

কবি নজরুল ইনিস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেন, রণাঙ্গনে কবির গান শুনে মুক্তিযোদ্ধারা এতোটাই অনুপ্রাণিত হতেন যে রেডিওতে যখন গান বাজতো, সেই মুহূর্তে রেডিওর সামনে দাঁড়িয়ে স্যালুট করতেন। এরপর ২৪’এর গণঅভ্যুত্থানে নজরুল যেন নতুন রূপে ফিরে এলেন।

যদিও জাতীয় কবির সরকারি গেজেট প্রকাশে লেগে গেল ৫৪টি বছর, তবুও নজরুলকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে কবি নজরুল ইনিস্টিটিউট। খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে নজরুলের হারিয়ে যাওয়া গানের খাতা।

কবি নজরুল ইনিস্টিটিউট নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেন, কুইটিসেন্স অব নজরুল- কবির পুরো সাহিত্য সমগ্র থেকে সংক্ষিপ্ত আকারে একটি বই তৈরি করা হয়েছে। বইটি এক হাজার পৃষ্ঠার বেশি। বইটি বের হলে বিশ্বের অন্যান্য ভাষায় নজরুলকে অনুবাদ করা যাবে বলে আশা করছি।

নজরুল তার সৃষ্টিতেই উজ্জ্বল মহাতারকা, তবুও তাকে চর্চায় ও লালনে উৎসাহিত করতে সরকারি উদ্যোগের বিকল্প নেই।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনসহ আরও কয়েকটি আবেদনের ওপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের রিভিউ শুনানি চলছে আজ।

এর আগে, গত ২১ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় রিভিউ চেয়ে করা আবেদন শুনানির জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। ওই রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের অক্টোবরে আবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও আবেদন করে জামায়াতে ইসলাম, সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি।

শুনানিতে আইনজীবীরা জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের আপিল শুনানিতে যে ৭ জন বিচারপতি ছিলেন, তাদের মধ্যে ৪ জন বাতিলের পক্ষে ছিলেন।পরে, তাদের পর্যায়ক্রমে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু, বাকি তিনজন বাতিলের পক্ষে ছিলেন না বলে তাদের প্রধান বিচারপতি হওয়ার সৌভাগ্য হয়নি।

রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন থেকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এজন্য নিরাপদ প্রত্যাবাসনে ৭ দফা প্রস্তাবও দিয়েছেন।

সোমবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজারের ‘হোটেল বে ওয়াচে’ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কক্সবাজারে শুরু হওয়া ৩দিনের অংশীজন সংলাপের মূল অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ২০১৭ সালে এবং তারও আগে থেকে সম্পদ এবং সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচাতে মানবিক কারণে বাংলাদেশ তার সীমান্ত খুলে দিয়েছিল। রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূলের ভয়াবহ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে সশস্ত্র ঘাতকদের থামানো নৈতিক দায়িত্ব।

মিয়ানমার সরকার এবং আরকান আর্মিকে নিশ্চিত করতে হবে যেন আর কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদশে না প্রবেশ করে এ কথা জানিয়ে রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে অবদান রাখার সংকল্প ঘোষণা করে, ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ৭ দফা প্রস্তাব দেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং সমাধান সেখানেই আছে।

নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশ এখন স্থিতিশীল এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষন ঘোষনা করা হচ্ছে।

উলেখ্য, উখিয়ার ইনানীতে ‘হোটেল বে ওয়াচে’ রোববার (২৪ আগস্ট) ‘টেক অ্যাওয়ে টু দ্যা হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্যা রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শীর্ষক ৩ দিনের এ সম্মেলন শুরু হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রোহিঙ্গা ইস্যু বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের দফতর যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

সম্মেলনের প্রথম দিন বিকেলে বিদেশি অংশীজনদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা। এতে যোগ দেন ৪০টি দেশের প্রতিনিধি। ছিলেন জাতিসংঘসহ রোহিঙ্গা নিয়ে কাজ করা সব অংশীজন। তিন দিনের এ সম্মেলন থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের পথ খুঁজবেন তারা।

শেষ দিন মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন বিদেশি অতিথিরা। তিন দিনের সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ছাড়াও আন্তর্জাতিক ফান্ড, গণহত্যার বিচার, খাদ্য সহায়তা ও রোহিঙ্গাদের মনোবল বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর ব্যাপারে জোর দেয়া হবে।

এছাড়াও সম্মেলন থেকে আসা প্রস্তাব এবং বক্তব্যগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে তুলে ধরবে সরকার।

হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি জানান, পিস্তল ও শটগান উদ্ধার করলে ৫০ হাজার টাকা, চায়না রাইফেল উদ্ধার করলে ১ লাখ, এসএমজি দেড় লাখ, এলএমজি ৫ লাখ ও প্রতি গুলির ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। তথ্যদাতাদের পরিচয় গোপন করা হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোথাও অনিয়ম দেখলে জানাবেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হওয়ার পর অনেক আত্মীয় স্বজন গজিয়েছে। এরকম কেউ পরিচয় দিলে জানাতে হবে রিপোর্ট করতে হবে।

গাজীপুরে পুলিশ কমিশনার যাওয়া আসার সময় রাস্তা বন্ধ রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং আইজিপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। পুলিশের একজন ভারতে আটক হয়েছেন এ বিষয়ে তিনি বলেন তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে আনা হবে। বিজিবি-বিএসএফের মধ্যেও আসামি বিনিময়ের একটা চুক্তি আছে এর মাধ্যমেও আনার চেষ্টা করা হবে।

নির্বাচন নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নির্ভর করে জনগণ এবং রাজনৈতিক দলের ওপর। এরা যখন নির্বাচনমূখী হয়ে যাবে তখন এসব সমস্যা কমে যাবে। সবার সাহায্য সহযোগীতায় আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারবো।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সংসদীয় আসনের পুনঃনির্ধারিত সীমানার বিষয়ে দাবি ও আপত্তির দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে নির্বাচন ভবনে এই শুনানি শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা শুনানিতে উপস্থিত রয়েছেন।

এদিন ২০টি আসনের সীমানা নির্ধারণের দাবি-আপত্তি নিয়ে শুনানি চলবে। দুপুর পর্যন্ত সাতক্ষীরা, যশোর ও বাগেরহাটের ৭টি আসনের খসড়া সীমানার উপর আপত্তি নিয়ে শুনানি হয়েছে। ‎সীমানার খসড়া গেজেটের পক্ষে-বিপক্ষে দাবি-আপত্তির শুনানীর পর আপিলকারীরা সাংবাদিকদের নিজ নিজ অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।

‎‎বিকেলে ঝালকাঠি, বরগুনা, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৩ টি আসনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, শুনানির প্রথমদিনে রোববার কুমিল্লা অঞ্চলের দাবি-আপত্তিগুলোর শুনানি গ্রহণ করে ইসি। চারদিনের এই শুনানি চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত। এই চারদিনে এক হাজার ৭৬০টি দাবি-আপত্তির শুনানি করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুনানি গ্রহণের পর পর্যালোচনা করে ৩০০ আসনের গেজেট প্রকাশ করা হবে।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের নিয়ে শুরু হওয়া ৩দিনের আন্তর্জাতিক সংলাপের মূল অধিবেশন যোগ দিইয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখবেন তিনি। কক্সবাজারের ইনানিতে বে ওয়াচ হোটেলে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে ৩ দিনের এই সম্মেলন।

এর আগে, সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান।

উল্লেখ্য, রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই সংলাপের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনের কার্যক্রমে ছিলো রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সাথে বিশেষ ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশন। আলোচনা হয় রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য আস্থা গড়ে তোলার উপায় নিয়ে।

রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রাদায়ের নীরবতায় দিনের পর দিন শরণার্থী জীবনে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, কূটনীতিক, রাজনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, শিক্ষাবিদ ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা।

জাতিসংঘ, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং সরকারের উচ্চপদস্থ নীতিনির্ধারকরা এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। মূল অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আহ্বান করবেন।

স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এই ডায়ালগের আয়োজন করেছে রোহিঙ্গা ইস্যুবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের দফতর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২৪ আগস্ট শুরু হওয়া সম্মেলন চলবে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত। আজ দুপুর ১টার পর কক্সবাজার ত্যাগ করার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।

ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ।কাল মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। আর ৩৮ তম ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।

এবারের ডাকসু বিশেষভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে, নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ, উৎসাহ ও প্রত্যাশা। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে আগ্রহ ও আলোচনা, কারা পাবেন ডাকসুর নেতৃত্বের দায়িত্ব। একইসাথে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ পাল্টাপাল্টি নানা অভিযোগ করছেন প্রার্থীরা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ওয়েবসাইটে ভোটার তালিকা প্রদর্শন বন্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কেবল সংশ্লিষ্ট হল ও দফতরগুলোর জন্যই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা উন্মুক্ত থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এবং সাইবার বুলিং প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।