মিরপুর টেস্ট জেতার জন্য বিশ্বরেকর্ড গড়তে হত আইরিশদের। এর আগে, চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ কীর্তি গড়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। তবে আয়ারল্যান্ডের সেই লক্ষণ না থাকলেও টেল এন্ডার ব্যাটাররা কিছুটা ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সফরকারীদের সংগ্রহ ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান। ম্যাচ জেতার সঙ্গে সিরিজ নিশ্চিতে আর মাত্র ২টি উইকেট প্রয়োজন নাজমুল শান্তর দলের।
মূলত, নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মিরপুরের উইকেটে বাংলাদেশর স্পিনারদের ঘূর্ণি জাদুতে একের পর এক পরাস্ত হয়েছেন আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা। আইরিশ ব্যাটারদের বিপক্ষে দাপটের সঙ্গে শুরুটা করেন তাইজুল।
লক্ষ্য তাড়ায় নামা আইরিশদের প্রথম দুই উইকেটই নেন তাইজুল। ২৬ রানে দুই ওপেনারকে হারায় আয়ারল্যান্ড। আইরিশ দুই ওপেনার অ্যান্ডি বালবার্নিকে ১৩ আর পল স্টার্লিং ৯ রানে সাজঘরে ফেরান তিনি। এরপর পর ৫১ রানের জুটি গড়েন টেক্টর ও কারমাইকেল। ১৯ রান করা কারমাইকেলকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সেই জুটি ভাঙেন মুরাদ।
তৃতীয় সেশনে কার্টিস ক্যাম্ফার- হ্যারি টেক্টর বড় জুটি গড়ার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ৫০ রান করা ক্যাম্ফারকে মুশফিকের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার মুরাদ। দুই স্পিনারের পর এবারের আইরিশদের ব্যাটিংয়ে আঘাত হানেন পেসার খালেদ আহমেদ। ৩৭ তম ওভারের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লরকান টাকারকে ফেরান ৭ রানে।
ইনিংসের ৪৯তম ওভারে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে স্টিফেন ডোহেনিকে আউট করেছেন তাইজুল। ৫২ বলে ১ ছয়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ রান।
ক্রিজে রয়েছেন অর্ধশতক তুলে নেয়া ক্যাম্পার। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন গ্যাভিন।
উল্লেখ্য, প্রথম ইনিংস ৪৭৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে আইরিশদের গুটিয়ে দেয় টাইগাররা। এতে প্রথম ইনিংসে ২১১ রানের বড় লিড পেয়েছিল টাইগাররা।