ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাড়ছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। অনেকেরই অভিযোগ—নির্দিষ্ট একটি দলকে সুবিধা দিতেই বাড়ানো হয়েছে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের সময়। তবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ছাত্রদল। এখন পর্যন্ত নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৬৫৮ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আর হল সংসদ নির্বাচনের জন্য ১৮টি হলে মনোনয়নপত্র ফরম নিয়েছেন ১ হাজার ৪২৭জন।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে অংশ নিতে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ নামে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে বাম সংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট। এতে সহসভাপতি (ভিপি) পদে শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মেঘমল্লার বসু, ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জাবির আহমেদ জুবেলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসু বলেছেন, সময় বাড়িয়ে বিশেষ রাজনৈতিক শক্তিকে সুবিধা দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ২৪-এর গণহত্যাকারী শক্তিকে নির্বাচন করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। ডাকসু নির্বাচনে ৭১-এর গণহত্যাকারী শক্তিও সুবিধা পাচ্ছে। ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার আছে।
অন্যদিকে, নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বাধীন ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ শীর্ষক প্যানেলের জিএস প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে এস এম ফরহাদ বলেন, নির্দিষ্ট একটি দলকে সুবিধা দিতে ডাকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও জমাদানের সময় একদিন বাড়ানো হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে ছাত্রদলের নেতারা। ফরম সংগ্রহ করে ছাত্রদলের ঢাবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. আল-আমিন বলেছেন, ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। তারেক রহমানের নির্দেশে শিক্ষার্থী ও নেতারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। সবার তথ্য তারেক রহমান যাচাই-বাছাই করছেন। তিনি সবুজ সংকেত দিলেই প্যানেল ঘোষণা করা হবে।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ তফসিল অনুযায়ী, আগামীকাল বুধবার মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৫ আগস্ট। এরপরই স্পষ্ট হবে কোন পদে কতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে পরের দিন ২৬ আগস্ট। ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ সেপ্টেম্বর।