• Colors: Green Color

ক্যারিয়ারে বহু গোল করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। তবে, এতো গোলের মধ্যে কোন গোলটি তার প্রিয়— এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে, খেলার মাঠ কিংবা টিভির সামনে ভক্তদের মধ্যে চলে তুমুল তর্ক-ঝগড়া। অবশেষে, মেসি নিজেই বৃহস্পতিবার (২২মে) এক বিবৃতিতে বলে দিয়েছেন; কোন গোলটি তার সবচেয়ে প্রিয়।

মেসি বলেন, ‘আমার অনেক গোল ছিল যা সম্ভবত সুন্দর পরিস্থিতি অনুযায়ী বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে ২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে হেড দিয়ে যে গোলটি করেছিলাম, সেটি সবসময় আমার প্রিয় ছিল।’

২৭ মে, ২০০৯! স্টুডিও অলিম্পিকো স্টেডিয়ামে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে মাঠে নামে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। সেসময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যাচের মাত্র ৯ মিনিটের মাথায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জালে গোল করেন বার্সা তারকা স্যামুয়েল ইতো। এরপর ম্যাচের ৭০ মিনিটে বার্সা মিডফিল্ডার জাবি’র পাসে হেড করে গোল করেন মেসি। আর তাতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতে বার্সেলোনা।

সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শরাফু-আসিফের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে আমিরাত। শরাফুর ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। এতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বুধবার (২১ মে) শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দু’দল।

নির্দিষ্ট রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মুহাম্মদ ওয়াসিমকে হারায় স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। দলীয় ১৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় আমিরাত।

এরপর মুহাম্মদ জোহাইবকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন আলিশান শরাফু। ব্যক্তিগত ২৯ রানে রিশাদের বলে সাজঘরে ফেরেন জোহাইব। ক্রিজে আসেন রাহুল চোপড়া। তার ব্যাট খুব একটা হাসেনি। মাত্র ১৩ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। দলীয় ৭৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যান শরাফু। তাকে সঙ্গ দেন আসিফ খান। শেষ পর্যন্ত শরাফুর ৬৮ ও আসিফের ৪১ রানের সুবাদে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই ম্যাচ জেতে আমিরাত।

বাংলাদেশের পক্ষে ১টি করে উইকেট তুলে নেন শরিফুল, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।

এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ‘মাঝারি’সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। শুরুতে দেখেশুনে খেলতে থাকে দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমন। প্রথম ওভারেই দলীয় স্কোরবোর্ড জমা হয় ১০ রান।

এরপরই ছন্দপতন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে সাজঘরে ফেরেন ইমন। ক্রিজে আসেন অধিনায়ক লিটন দাস। ১০ বলে ১৪ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।

আরেক ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটও হাসেনি এদিন। শুন্য রানেই ফেরেন তিনি। ব্যক্তিগত ২ রানে হায়দার আলীর তৃতীয় শিকার হয়ে ক্রিজ ছাড়েন মেহেদী।

পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে বাংলাদেশ। একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন তানজিদ তামিম।

৪০ রানের ইনিংস খেলে আকিফ রাজার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার তানজিদ। তার ব্যাট থেকে আসে ৪টি করে চার ও ছক্কার একেকটি দৃষ্টিনন্দন শট।

জাকের আলীর ব্যাটে ভর করে শতরান পেরোয় সফরকারীরা। তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। শেষ দিকে, হাসান মাহমুদ খেলেন ১৫ বলে ২৬ রানের ইনিংস। শরিফুলের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। বাকি ব্যাটারদের সবাই বিদায় নেন অঙ্কের রানে।

অতিরিক্ত রান আসে ৬টি। শেষ পর্যন্ত ১৬২ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

স্বাগতিকদের পক্ষে ৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট তুলে নেন হায়দার আলী। ২টি উইকেট পান মতিউল্লাহ খান ও সাগির খান।

উল্লেখ্য, আরব আমিরাত সফর শেষে পাকিস্তানে উড়াল দেবে লিটন দাসের দল। সেখানে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে তারা। ২৮ মে প্রথম ম্যাচের পর বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ৩০ মে ও ১ জুন। সবগুলো খেলা-ই অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।

জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর সামাজিকমাধ্যমে ‘নো মোর ক্রিকেট’ লিখে আলোচনায় এসেছিলেন নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। মাঝে সুযোগ পেলেও আবারও বাদ পড়েন। গত তিন বছর ধরে কোনো দলেই সুযোগ পাননি এই টাইগ্রেস অলরাউন্ডার। এবার ক্যারিয়ার ধ্বংসের অভিযোগ এনে এক পোস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে ন্যায়বিচার চাইলেন তিনি।

মঙ্গলবার (২০ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এমন দাবি করেন ক্রিকেটার রুমানা।

খোলা চিঠির মতো করে বিসিবির কাছে তিনি লেখেন, বিসিবির সম্মানিত অভিভাবকগণ। আমি খেলি কিংবা না খেলি, এই অনৈতিকতা ও অরাজকতা চলতে পারে না। দয়া করে নির্দিষ্ট করে কিছু বলুন। কোনো কারণ ছাড়াই তিন বছর (না খেলানো) মজার কিছু নয়!

রুমানা আরও যোগ করেন– আমার রেকর্ড বলছে, আমি বাজে ক্রিকেট খেলি না এবং অনৈতিক কিছুও করিনি। সিনিয়রিটি কখনও অভিশাপ হতে পারে না। আমার উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ধংসের পেছনে যারা জড়িত, তাদের বিচার করতেই হবে।

২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক রুমানার। ফিটনেস ইস্যু টেনে বছর তিনেক আগে দল থেকে বাদ পড়েন এই অলরাউন্ডার। এরপর আর সুযোগ পাননি বাংলাদেশ নারী দলের হয়ে ৫০ ওয়ানডে ও ৮৪ টি-টোয়েন্টি খেলা এই ক্রিকেটার।

নব্বই দশক থেকে বার্সেলোনা নিজেদের মাঠে মাত্র দুবার লা লিগার শিরোপা জয় নিশ্চিত করতে পেরেছে। কিন্তু একুশ শতকে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলের মাঠে তার চেয়ে বেশিবার লিগ শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে।

২০১৩ সালে এস্পানিওলের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদ ড্র করায় লিগ নিশ্চিত হয়েছিল বার্সার। ২০২৩ সালে এস্পানিওলের মাঠেই লিগ জয় নিশ্চিত হয়েছিল গাভি-পেদ্রিদের। আর এবারও এস্পানিওলকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে নিজেদের ২৮তম লিগ শিরোপা জয় নিশ্চিত করলো হান্সি ফ্লিকের দল। সর্বোচ্চ ৩৬বার লিগ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল।

বার্সেলোনার সামনে সহজ হিসাব ছিল। এস্পানিওলকে তাদের মাঠে হারাতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন। আরসিডিই স্টেডিয়ামে লামিন ইয়ামাল জাদুতে বার্সা তা করতে সক্ষমও হলো। ইয়ামাল গোল করলেন, করালেন, কেড়ে নিলেন সব আলো। তার জাদুতে ভর করেই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে দিলো ২-০ গোলের ব্যবধানে। বার্সা হলো চ্যাম্পিয়ন!

এই জয়ে বার্সার পয়েন্ট দাঁড়ালো ৮৬, যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের থেকে ৭ পয়েন্ট বেশি। হাতে আছে মাত্র দুটি ম্যাচ, ফলে আর কোনোভাবেই ফ্লিকের দলকে রিয়ালের পক্ষে ধরা সম্ভব নয়।

এতে বার্সা কোচ হিসেবে প্রথম মৌসুমেই দারুণ সাফল্য পেলেন ফ্লিক। ক্লাবটিতে অভিষেক মৌসুমেই জিতলেন কোপা দেল রে, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ। এমন সফল মৌসুমে শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগটাই অধরা রয়ে গেল এই জার্মান কোচের।

বার্সাকে অবশ্য ম্যাচে গোলের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে ৫৩ মিনিট পর্যন্ত। ইয়ামাল ডান পাশ থেকে ভেতরে এসে বাম পায়ের বাঁকানো শটে গোল করেন, যা ইউরো সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে করা তার গোলের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল। এরপর ৯৫ মিনিটে তার পাস থেকে ফেরমিন লোপেজের গোলে নিশ্চিত হয় জয়।

শেষ দিকে এস্পানিওল ১০ জনের দলে পরিণত হয়। লিয়ান্দ্রো কাবরেরা ইয়ামালের পেটে কনুই মেরে লাল কার্ড দেখেন। এক খেলোয়াড় কম নিয়েও অবশ্য স্বাগতিকরা বার্সাকে চেপে ধরেছিল, কিন্তু এদিন ভবিতব্য লিখে রেখেছিল বার্সার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গল্প।

রিয়াল মাদ্রিদের হেড কোচ কার্লো আনচেলত্তি স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ব্রাজিল জাতীয় দলের নতুন হেড কোচ হতে যাচ্ছেন। ৬৫ বছর বয়সী এই ইতালীয় কোচ লা লিগা মৌসুম শেষে আগামী ২৬ মে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাজিল দলের দায়িত্ব নেবেন।
চলতি মৌসুমটা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদের। একের পর এক শিরোপা হাতছাড়া হওয়ায় দিশেহারা কার্লো আনচেলত্তি। শিরোপাশূন্য মৌসুম শেষের শঙ্কায় আছে ইউরোপের সফলতম ক্লাবটি।
জাবি আলোনসো রিয়াল মাদ্রিদের নতুন হেড কোচ হিসেবে যোগ দেওয়ার চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন। স্প্যানিয়ার্ড এই কোচ প্রাথমিকভাবে গ্যালাক্টিকোদের সাথে তিন বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে চলেছেন বলে দাবি করেছে বেশ কিছু স্প্যানিশ গণমাধ্যম।
এদিকে, চলতি বছরে বুন্দেসলিগা মৌসুম শেষে, কার্লো আনচেলত্তির স্থানে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন জাবি আলোনসো। খবরটি নিশ্চিত করেছেন ফুটবল বিষয়ক সংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো। তার মতে, রিয়াল মাদ্রিদ ও আলোনসোর মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তার কোচিং স্টাফ চূড়ান্ত করার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদ পরিকল্পনা করছে, আলোনসো এই গ্রীষ্মে ক্লাব বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেবেন।
এদিকে, নিজের উত্তরসূ্রী হিসেবে জাভি আলোনসোকে রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউটে দেখতে বেমানান লাগবে না বলে জানিয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি।
কার্লো আনচেলত্তি বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে, আলোনসো বায়ার লেভারকুজেন ছাড়ছে। সে অবিশ্বাস্য কাজ করেছে এবং তার জন্য দরজা খোলা আছে। কারণ সে প্রমাণ করেছে যে, সে বিশ্বের সেরাদের মধ্যে একজন।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব