• Colors: Blue Color

কাশ্মিরের পেহেলগাম ইস্যুর জেরে দৃশ্যমান সংঘাতে জড়ায় দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তান। ঠিক সেই সময়ে ভারতীয় প্রথম সারির ও ‘বিশ্বস্ত’ কিছু গণমাধ্যমও তথ্য যাচাই না করার পাশাপাশি বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয় এমন কথা। শনিবার (১৭ মে) এটি প্রকাশ করা হয়।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত সংবাদের বিরাট একটি অংশ জুড়ে ছিল নিজেদের সামরিক বাহিনীর বন্দনা। ভারতের হামলায় প্রতিবেশী পাকিস্তানের একটি পারমাণবিক ঘাঁটিতে আঘাত করার পাশাপাশি দুইটি পাক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে— এমন দাবিও করা হয়।

পাশাপাশি পাকিস্তানের অন্যতম বন্দরনগরী ও দেশটির বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র করাচি বন্দরের একটি অংশ ধ্বংস করা হয়েছে বলেও খবর ছড়িয়ে পড়ে।

সার্বিকভাবে এই তথ্যগুলো পরিবেশনের সময় ভারতীয় মিডিয়া বেশ সুনির্দিষ্ট আঙ্গিকে প্রচার করে, যেন এটি আসলেই ঘটেছে। তবে এগুলোর কোনোটিই সত্য ছিল না।

ভারত ও পাকিস্তানের তীব্র সামরিক সংঘর্ষের সময় এবং তার পরের দিনগুলিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সীমান্তের উভয় পাশেই মিথ্যা, অর্ধসত্য, মিম, বিভ্রান্তিকর ভিডিও ফুটেজ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ব্যবহৃত বক্তৃতার কারণে একপর্যায়ে মিথ্যা থেকে সত্য আলাদা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

এদিকে, সিন্ধু নদীর পানি বণ্টন ইস্যুতে পাকিস্তানে সৃষ্ট বন্যার কিছু অংশ ভারতের মূলধারার গণমাধ্যম প্রচার করে। তবে সংবাদমাধ্যমগুলোর পরিবেশন প্রক্রিয়া ছিল অন্যরকম। সেসময় উপস্থাপকের ভূমিকা অনেকটা এমন হয়ে ওঠে, যেন তারা দুটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধের খেলায় চিয়ারলিডার।

একপর্যায়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পাকিস্তানের একটি পারমাণবিক ঘাঁটিতে কথিত হামলার খবর প্রকাশ করে। এর পাশাপাশি বলা হয়, সৃষ্ট এ হামলার ফলে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে, যা আসলে সত্য ছিল না। এমনকি কোথায় কোথায় হামলা চালানো হয়েছে সেই অঞ্চলগুলো বোঝার সুবিধার্থে তারা মানচিত্রে কিছু এলাকাকে নির্দেশ করে। তবে এই দাবির পক্ষে গ্রহণযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভারতীয় নৌবাহিনীর করাচি আক্রমণের খবরটিও একই রকম ছিল, যা ফ্যাক্ট চেকে ধরা পড়ে।

দক্ষিণ এশিয়ার ভুল তথ্য নিয়ে গবেষণা করা আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক সুমিত্রা বদ্রীনাথন বলেন, আমরা যখন ভুল তথ্যের কথা ভাবি, তখন আমাদের মনে আসে বেনামী লোকদের কথা, অনলাইন বটের কথা, যেখানে আপনি কখনই জানেন না যে জিনিসটির উৎস কী।

২০১৯ সালে পাকিস্তানের সাথে ভারতের সংঘর্ষের সময় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোও ভুল তথ্যে ভরপুর ছিল। এর রেশ টেনে সুমিত্রা বদ্রীনাথন আরও বলেন, পূর্বে বিশ্বাসযোগ্য সাংবাদিকদের পাশাপাশি প্রধান সংবাদমাধ্যমগুলো সরাসরি বানোয়াট গল্প প্রচার করত। কিন্তু যখন বিশ্বস্ত সূত্রগুলো ভুল তথ্যের মাধ্যম হয়ে ওঠে, তখন সত্যিই এটি একটি বড় সমস্যা। ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাত সম্পর্কে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যমে ভুল তথ্য শেয়ার, দেশটির এক সময়ের প্রাণবন্ত সাংবাদিকতায় সর্বশেষ আঘাত।

সশস্ত্র সংঘাত যতদিন ধরে চলছে, যুদ্ধরত পক্ষগুলো মিথ্যা এবং অপপ্রচার ছড়িয়েছে। এবং মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলি তাদের দেশের যুদ্ধক্ষেত্রের প্রচেষ্টাকে অনুকূলভাবে উপস্থাপন করে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়াও ভুল তথ্যের ছড়িয়ে পড়ার নেপথ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতে বাকস্বাধীনতার ক্রমাগত অবক্ষয় ঘটেছে। সরকারের সুনামের ক্ষতি করে এমন সংবাদ দমন করার জন্য অনেক সংবাদমাধ্যমকে চাপ দেয়া হয়েছে। অনেক বড় টেলিভিশন নেটওয়ার্কসহ অন্যান্যরা সরকারের নীতি প্রচার করতে শুরু করেছে।

ভারতের বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং ইন্ডিয়া টুডে টেলিভিশন চ্যানেলের উপস্থাপক রাজদীপ সরদেশাই গত সপ্তাহে পাকিস্তানি বিমান ভূপাতিত করার খবর প্রচারের জন্য দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, তার উপস্থাপন করা তথ্যটি ‘প্রমাণিত হয়নি’।

কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক ড্যানিয়েল সিলভারম্যান বলেন, ভুল তথ্য কিংবা বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে ছড়ানো তথ্য, এগুলো প্ররোচিত করার জন্য খুবই কার্যকরী। তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের প্রেক্ষাপটে, দুই দেশের ঐতিহাসিক শত্রুতার কারণে দর্শকরা যেকোনো চমকপ্রদ মিথ্যাকে গ্রহণ করতে এবং ছড়িয়ে দিতে প্রস্তুত থাকে।

ভারতের একটি ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট ‘এএলটি নিউজ’ যেটি দেশটির মূলধারার দুটি সংবাদমাধ্যম আজ তক এবং নিউজ এইটটিন-এর সম্প্রচারিত অসংখ্য বানোয়াট তথ্যের প্রমাণ সরবরাহ করেছে। ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা প্রতীক সিনহা বলেন, তথ্য বাস্তুতন্ত্র মূলত ভেঙে পড়েছে।

রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডার্সের মতে, প্রায় ৪৫০টি বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন রয়েছে দেশটিতে। এখনও টেলিভিশন ভারতের জনসাধারণের কাছে তথ্য পৌঁছানোর একটি প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত। তাই এখানে অপতথ্য বা মিথ্যা তথ্যের রেশ অনেক বড় পরিসরে বর্তায়।

গত সপ্তাহে, ভারতের স্বনামধন্য কয়েকটি টেলিভিশন স্টেশন করাচিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর আক্রমণের গল্প প্রচার করে। প্রতিবেদনগুলি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এমনটি এক্সে (সাবেক টুইটার) ‘করাচি’ এবং ‘করাচি বন্দর’ শব্দগুলো রীতিমতো ট্রেন্ডিংয়ে পরিণত হয়। করাচির শব্দ ব্যবহার করে এমন কিছু ছবি ও ভিডিও সেখানে যুক্ত করা হয় যা দেখে দর্শকদের মনে হতে পারে শহর ও বন্দরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে, ফ্যাক্ট চেকাররা জানতে পারে ওই দৃশ্যগুলি ফিলিস্তিনের গাজার।

সবশেষে, ভারতীয় নৌবাহিনী ব্রিফিংয়ে বলে, তারা করাচিতে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত ছিল, তবে তা করেনি।

স্লোভেনিয়ায় চুরি হয়েছে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের ভাস্কর্য। স্লোভেনিয়া থেকে অন্তত ৬০ মাইল পূর্বে মেলানিয়া ট্রাম্পের জন্মস্থান সেভনিকায় নির্মিত হয় ভাস্কর্যটি।

এর আগে ২০২০ সালে ওই একই স্থানে বসানো হয়েছিলো ফার্স্ট লেডির আদলে গড়া একটি কাঠের ভাস্কর্য। যা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পর ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যটি প্রতিস্থাপন করা হয়। গেল মঙ্গলবার গোড়ালির অংশ থেকে কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মূর্তিটি। জানান, নির্মাতা শিল্পী ব্র্যাড ডাউনি।

কাঠের ভাস্কর্যটি ধ্বংস হওয়ার পর নিজ উদ্যোগে ব্রোঞ্জের মেলানিয়া মূর্তিটি তৈরি করেন তিনি। এ ঘটনা সমাধানে জোর তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

মেলানিয়া ট্রাম্পের স্বামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার নিজ দেশের মানুষ আশা করেছিলেন, তিনি হয়তো একদিন জন্মভূমিতে আসবেন। কিন্তু মেলানিয়া সেটি কখনোই করেননি।

স্লোভেনিয়ার রাজধানী লুবলিয়ানা থেকে ৬০ মাইল পূর্বে অবস্থিত সেভনিকায় মেলানিয়া ট্রাম্পের নামে কেক ও চকলেটসহ অসংখ্য পণ্যের নামকরণ করা হয়েছে।

রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘ব্যবহারিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের’ ঘোষণা দিয়েছে চীন। দেশটির প্রেসিডেন্ট  শি জিনপিং সাম্প্রতিক মস্কো সফরের পর এ ঘোষণা আসে। গত সপ্তাহে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিতে মস্কোয় গিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক প্রতিবেদনে তাস নিউজ ও আরব নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোভিয়েত ইউনিয়নের ৮০তম বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন শি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়কে স্মরণ করতে প্রতি বছর ৯ মে রাশিয়ায় বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।

পুতিনের সাথে দু’ দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক’সহ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার পর চীনা প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসে।

গত কয়েক বছর ধরে চীন-রাশিয়ার সম্পর্ক ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। বিশেষকরে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।

তবে ইউক্রেনের মিত্ররা অভিযোগ করছে, চীন রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সহায়তা করছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধের সময় এ ধরনের সহযোগিতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের বিষয়।

কিন্তু ইউক্রেনের মিত্রদের এমন দাবি বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। যুদ্ধ বন্ধে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে চীন। এই ঘোষণা আসার পরপরই পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনৈতিক মহলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি বৈশ্বিক শক্তি ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

চীন ও রাশিয়া ন্যাটো ও পশ্চিমা প্রভাবের বিরুদ্ধে তাদের জোট শক্তিশালী করতে চাইছে। কেননা, গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর এক বছর পূর্তিতে চীন একটি শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপন করলেও, পশ্চিমা নেতারা এটিকে রাশিয়ার পক্ষে দেখেছেন।

এমন পরিস্থিতিতে, চীন-তাইওয়ান ইস্যুও বিবেচনাধীন। কারণ, ইতোমধ্যে তাইওয়ান নিজেদের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এছাড়াও, দেশটির সকল সামরিক সরঞ্জামের জন্য পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন সময়ে রাশিয়ার সাথে চীনের সম্পর্ক গভীর হলে, তা ব্যাপক চিন্তায় ফেলবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পাল্টা হামলাকে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। 

বুধবার (১৪ মে) ভারতের বিরুদ্ধে অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুসে অংশ নেওয়া সেনাদের সঙ্গে দেখা করতে শিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে জিও টিভি।

ভারতের বিরুদ্ধে এই অপারেশন পাকিস্তানের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে মন্তব্য করে শেহবাজ শরিফ বলেন, পাকিস্তানের সেনারা ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ও দ্রুত জবাব দিয়ে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছে।

পাকিস্তানি সেনাদের উদ্দেশ্যে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসে চিরন্তনভাবে থাকবে, কীভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, পাকিস্তানের রক্ষীরা ভারতের অপ্ররোচিত আগ্রাসন নিবারণ করে দিয়েছে। 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে শেহবাজ শরিফ বলেন, বিশ্ব জানে ১৯৭১ সালে কারা মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এখন তারাই বালুচ লিবারেশন আর্মি (বেলুচিস্তান স্বাধীনতাপন্থি গোষ্ঠী) এবং তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানকে (পাকিস্তান সরকারবিরোধী গোষ্ঠী) সমর্থন দিচ্ছে। যা মোদির কাছ থেকে আসছে।  

পাকিস্তানে ভারতের পানি প্রবাহ বন্ধের হুমকির জবাবে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি ভারত পাকিস্তানে পানি বন্ধ করার চিন্তা করে। তাহলে জেনে রাখুন: পানি ও রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না। এটি আমাদের সীমারেখা। যেটিতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। 

মোদিকে উদ্দেশ্য করে শেহবাজ শরিফ বলেন, মোদি, আপনি যদি আরেকবার কোনো আগ্রাসন দেখান। তাহলে আপনারা ধারণার বাইরের পরিণতি ভোগ করবেন। মোদি আপনার জ্বালাময়ী বক্তব্য আপনার কাছে রাখুন। পাকিস্তান এ অঞ্চলে শান্তি চায়। কিন্তু আমাদের শান্তি চাওয়ার বিষয়টিকে দুর্বলতা ভাববেন না। 

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। ওই বছরের ২৬ মার্চ যুদ্ধ শুরু হয়ে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাধ্যমে এটির সমাপ্তি ঘটে। পাক সেনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করে ভারত। এর আগে ‘অপারেশন চেঙ্গিস খান’ নামে ভারতের আটটি বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। এরপর তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। 

যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে ২১০টি বিমান কিনবে কাতার এয়ারওয়েজ। বুধবার (১৪ মে) কাতারের রাজধানী দোহায় এমন একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। খবর, রয়টার্সের।

সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, চুক্তিটি ১৬০টি বিমানের জন্য এবং এর মূল্য ২০০ বিলিয়ন ডলার। তবে, হোয়াইট হাউস পরে একটি তথ্যপত্র জারি করে বলে এটি ২১০টি বিমানের জন্য এবং এর মূল্য ৯৬ বিলিয়ন ডলার। এই চুক্তির মধ্যে এমকিউ-৯বি ড্রোনের জন্য একটি ‘অফার অ্যান্ড অ্যাকসেপ্টেন্স’ চিঠিও ছিল। 

এসময় দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে একটি যৌথ ঘোষণাপত্রও স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এর আগে, ট্রাম্প বলেন কাতারের আমির শেখ তামিন বিন হামাদ আল-থানি একজন অসাধারণ ব্যক্তি। আমরা একে অপরকে পছন্দ করি। তিনি বন্ধুত্বের জন্য আমিরকে ধন্যবাদ জানান।

কাতার সফর ছিল ট্রাম্পের উপসাগরীয় অঞ্চলের সফরের দ্বিতীয় ধাপ। এর আগে তিনি সৌদি আরবে সফর করেছেন। ইসরাইলকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে দেশটিকে আহ্বান জানিয়ে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি একে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটি ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ এবং তার জন্য ‘ব্যক্তিগত সম্মানের বিষয়’ হবে বলেও উল্লেখ করেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের মাধ্যমে ট্রাম্প তার চার দিনের সফর শেষ করবেন।

ইউরোপের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ইতালির মাউন্ট এটনা আবারও লাভা উদগীরণ শুরু করছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে তীব্রভাবে অগ্ন্যুৎপাত করে বিপুল পরিমাণ ছাই ও লাভা নির্গত করেছে। এক প্রতিবেদনে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব ক্রেটার থেকে শুরু হয়ে ঘন ঘন বিস্ফোরণের মাধ্যমে লাভার দুটি ছোট স্রোত দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে দেশটির ‘জাতীয় জনসুরক্ষা দফতর’। বিবৃতিতে জানানো হয়, এটনা পূর্ব-সতর্কতা পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। লাভার ফোয়ারার উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে সেটি জোরালো বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

এরইমধ্যে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সিসিলি’র শহর কাতানিয়া। আগ্নেয়গিরিটির সবচেয়ে কাছে এই শহরের অবস্থান। পৃথিবীর সবগুলো আগ্নেয়গিরির মধ্যে সবচেয়ে বেশিদিন যাবৎ সক্রিয় মাউন্ট এটনা। ৪২৫ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ থেকেই সক্রিয় আছে এটি।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব