• Colors: Blue Color

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে কোনও চুক্তি না হওয়ার পর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয়ে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছেন।

গতকাল শনিবার (১৬ আগস্ট) প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি আগামী সোমবার (১৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে সাক্ষাৎ করবেন।

তবে, ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার পূর্বে তিনি পুতিনকে নিয়ে সমালোচনা করেন। অবশ্য, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্পের অবস্থানে বড় পরিবর্তন দেখা গেছে—তিনি আর কেবল যুদ্ধবিরতি চান না, বরং সরাসরি একটি স্থায়ী শান্তিচুক্তি করতে চান।

সূত্র: বিবিসি নিউজ।

বহুল প্রতীক্ষিত প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে আলাস্কা ছাড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। করমর্দনের মাধ্যমে বিদায় নেন এই দুই নেতা। খবর রয়টার্সের।

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের অ্যাঙ্কোরেজ শহরের এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে দুইজন একে অপরকে আন্তরিকভাবে ‘শুভ বিদায়’ বলেন ট্রাম্প-পুতিন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও সংবাদ সম্মেলনের পরে দোভাষীর মাধ্যমে কথা বলতে এবং বিদায়ী করমর্দন করতে দেখা গেছে তাদের। এয়ার ফোর্স ওয়ানে করে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে, মস্কোর উদ্দেশ্যে উড়াল দেন রুশ প্রেসিডেন্টও।

বড় কোনো ‘ব্রেকথ্রু’ ছাড়াই শেষ হয় ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বহুল আলোচিত এই বৈঠক। যদিও আলোচনাকে ইতিবাচক আখ্যা দিয়েছে দুই পক্ষই। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি না হলেও খুব ভালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। তবে ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সংঘাতের প্রাথমিক কারণগুলো আগে দূর করতে হবে। পরবর্তী আলোচনার জন্য ট্রাম্পকে মস্কোতে দাওয়াত দিয়েছেন তিনি।

এর আগে, পুতিনকে বিমানবন্দরে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাকে গ্রহণ করার জন্য উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দুই প্রেসিডেন্টই একই সময়ে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার পর) বিমান থেকে অবতরণ করেন। তারা দুজনই লালগালিচা দিয়ে হেঁটে পরস্পরের কাছে এসে করমর্দন করেন।

প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সপ্তমবারের মতো মুখোমুখি বৈঠক ছিল। এ বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। আর পুতিনের সঙ্গে ছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং পুতিনের সহকারী ও মুখপাত্র ইউরি উশাকভ।

‘আর্মি রকেট ফোর্স’ নামে সামরিক বাহিনীর নতুন ইউনিট গঠনের ঘোষণা দিলো পাকিস্তান। দেশটির স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। বিভিন্ন ধরণের রকেট, হাইপারসনিক ও ব্যালিস্টিক মিসাইলের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবে এই রকেট ফোর্স। শত্রুপক্ষের যেকোনো আগ্রাসন ঠেকানোর পাশাপাশি পাল্টা আঘাত হানতে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠন করা হবে এই উইং।

গেল মে মাসে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে পাল্টাপাল্টি হামলা বিভিন্ন ধরণের রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে দুই পক্ষই। ভারতীয় ভূখণ্ডে ফাতাহ মিসাইল হামলার দাবিও করে পাকিস্তান।

এর জেরে ‘আর্মি রকেট ফোর্স’ গঠনের ঘোষণা দিলো ইসলামাবাদ। চিরবৈরী ভারতের সাথে পাল্লা দিতে নতুন এ সংযোজন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীতে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, এটি আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত হবে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যুদ্ধ-ক্ষমতা জোরদার করার ক্ষেত্রে এই বাহিনী বিরাট ভূমিকা রাখবে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, আমি পাকিস্তানের আর্মি রকেট ফোর্স গঠনের ঘোষণা করছি। আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত সামরিক বাহিনীর এ ইউনিট পাকিস্তানের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে মাইলফলক সৃষ্টি করবে বলে আমার বিশ্বাস।

ধারণা করা হচ্ছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির রকেট ফোর্সের আদলে তৈরি করা হবে এ সামরিক বাহিনীর এ ইউনিট। যাদের কাজ হবে ব্যালিস্টিক, হাইপারসোনিক ও ক্রুজ মিসাইলের পাশাপাশি বিভিন্ন পাল্লার রকেটের তদারকি করা। যা পাকিস্তানের সামরিক নীতিতে লক্ষ্যনীয় পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই পাল্লা দিয়ে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে যাচ্ছে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই দেশ পাকিস্তান ও ভারত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বাংলাদেশের আদালতে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিচার চলছে। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে রাজধানীর পূর্বাচলে মা, ভাই, বোনকে অনিয়মের মাধ্যমে প্লট পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। নিজের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া বিচার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেছেন টিউলিপ।

নিজেকে নির্দোষ ও এ বিচারকে প্রহসন হিসেবে দাবি করে টিউলিপ বলেন, ঢাকায় এখন যে তথাকথিত বিচার চলছে, তা একটি প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি বানানো অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দ্বারা পরিচালিত।

সরকারের সাড়া পাননি জানিয়ে তিনি বলেন, গত এক বছরে, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বারবার পরিবর্তিত হয়েছে, তবু বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ একবারও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমি কখনও কোনো আদালতের সমন পাইনি, বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া পাইনি।

তিনি বলেন, যদি এটি একটি প্রকৃত আইনি প্রক্রিয়া হতো, তাহলে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমার বা আমার আইনি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করত, আমাদের আনুষ্ঠানিক চিঠিপত্রের জবাব দিত এবং তাদের কাছে থাকা প্রমাণ পেশ করত। এর পরিবর্তে, তারা মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক অভিযোগ ছড়িয়েছে, যা সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে কিন্তু তদন্তকারীরা কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আমার কাছে উপস্থাপন করেনি।

টিউলিপ সিদ্দিক জানান, তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ড. ইউনূস এতে সাড়া দেননি। এ বিষয়টি আজ আবারও উল্লেখ করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, লন্ডনে ড. ইউনূসের সাম্প্রতিক সফরের সময় তার সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম আমি। তবে, এটি প্রত্যাখ্যান করা হয়।

নিজেকে নির্দোষ দাবি করে টিউলিপ বলেন, আমি শুরু থেকেই স্পষ্ট যে আমি কোনো ভুল করিনি এবং আমার কাছে উপস্থাপন করা যেকোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের জবাব দেব।

এদিকে দুদকের তদন্তে উঠে আসে, রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানদের নামে মোট ছয়টি প্লট বরাদ্দ নেয়া হয়েছে।

তার মধ্যে একটি শেখ হাসিনার নিজের নামে, আরেকটি তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে, অপর একটি তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে।

অপরদিকে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার নামে, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে ও অপরটি তার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর নামে। টিউলিপের নামে প্লট না থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে নিজের মা, বোন ও ভাইকে প্লট পাইয়ে দেয়ার অভিযোগে তাকে আসামি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিচার শুরুর প্রক্রিয়ায় আসামি হিসাবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও তা নিয়ে শঙ্কিত নন টিউলিপ। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো বন্দি কিংবা আসামি বিনিময় চুক্তি না থাকাটাই হয়ত স্বস্তি দিচ্ছে তাকে।

ইতালি উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জাহাজ ডুবে কমপক্ষে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৬০ জনকে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দেশটির ল্যাম্পাদুসা দ্বীপের কাছে হয় এই ঘটনা।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে। তাই তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। তবে প্রাণহানি বাড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে কোস্টগার্ড।

এক বিবৃতিতে ইতালির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় সকালে দ্বীপটি থেকে ১৪ মাইল দূরে একটি ডুবন্ত জাহাজ নজরে আসে তাদের। এরপরই দ্রুত অভিযান শুরু করে তারা। এ সময়, ৫টি জাহাজ, দু’টি এয়ারক্রাফট ও একটি হেলিকপ্টার নিয়ে চলে উদ্ধার তৎপরতা।

অপরদিকে, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-UNHCR এর তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়া থেকে রওনা দিয়েছিল ৯২ থেকে ৯৭ জনের অভিবাসন প্রত্যাশী দলটি। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার লক্ষ্য ছিল তাদের। তবে দুর্ঘটনার কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, চলতি বছর অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টার সময় ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলটিতে মৃত্যু হয়েছে ৬৭৫ জনের।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই দ্রুত উন্নয়ন ঘটছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কে। এ ধারাবাহিকতায় চলতি মাসেই ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৩ আগস্ট বাংলাদেশে পা রাখার কথা তার।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ একসময় একই দেশের অংশ ছিল। কিন্তু, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বিচ্ছেদের পর দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের নেতৃত্ব— বিশেষত ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে থেকেছে এবং ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক সীমিত রেখেছে।

তবে, গত বছরের আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কের মধ্যে এক ধরনের উষ্ণতা ফিরে এসেছে। পারস্পারিক বাণিজ্য ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় হয়েছে দৃশ্যমান অগ্রগতি।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলেই ঢাকা সফরের পরিকল্পনা করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তবে, সেসময় ভারতের সঙ্গে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে তার ওই সফর স্থগিত হয়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৩ আগস্ট ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের এই উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মঙ্গলবার ডন ডটকম তাকে ২৩ আগস্ট সফর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে ইসহাক দার এক কথায় জবাব দেন— ‘হ্যাঁ’।

দ্য ডন বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক সমন্বয় আরও জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা করতে তিনি ঢাকা সফর করবেন এবং এ সফরকালে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া, তার আরও কিছু কর্মসূচি রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

এর আগে, গত মাসে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ পারস্পরিক কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর মধ্যে এক বৈঠকে এ অগ্রগতি হয়।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শ সভায় অংশ নিতে ঢাকা সফর করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালোচ। এছাড়া গত মার্চে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার যৌথ ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেন তারা।

এর আগে, ফেব্রুয়ারিতে দীর্ঘ বিরতির পর সরকার-থেকে-সরকার সরাসরি বাণিজ্য শুরু হয় এবং পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হয়। আর গত জানুয়ারিতে দুই দেশের সেনাবাহিনী ‘টেকসই অংশীদারত্ব’ বহাল রাখার ওপর গুরুত্ব দেয়, যাতে বাইরের প্রভাব মোকাবিলা করা যায়।

এছাড়া ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে করাচি থেকে চট্টগ্রামে একটি কনটেইনার জাহাজ এসে পৌঁছায়। কয়েক দশকের মধ্যে সেটিই ছিল দুই দেশের মধ্যে সরাসরি প্রথম পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল।

এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে মিসরের কায়রোতে ডি-৮ উন্নয়নশীল দেশগুলোর সম্মেলনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব