• Colors: Blue Color

যুদ্ধবিরতার শর্তে ইউক্রেনের ডনেৎস্ক শহরের সম্পূর্ণ পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এ দাবি করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি।

আগামী শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ইস্যুতে বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে যুদ্ধ বন্ধে ভুখন্ড ছেড়ে দেয়ার আলোচনাই হবে মুখ্য। এমনটাই দাবি করছেন জেলেনেস্কি।

তিনি জানান, ডনেস্কের এখনো প্রায় ৯ হাজার বর্গ কিলোমিটার কিয়েভের দখলে রয়েছে। যেকোনো মূল্যে তা রক্ষা করবেন তিনি। পাশাপাশি শর্ত মেনে নিলে তা ভবিষ্যতে রাশিয়া আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠবে। বর্তমানে এ অঞ্চলটিতেই দু’পক্ষের সেনাদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে।

সূত্র: বিবিসি নিউজ।

মালয়েশিয়ার রাজধানী পুত্রজায়ায় আজ মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী  আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারকের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

আলোচনায় কর্মীদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অভিবাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে দুই দেশের সরকার প্রধান একমত হয়েছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শিগগিরই স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে বাংলাদেশী শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। আগামী ৬ বছরে দেশটিতে কমপক্ষে ১২ লাখেরও বেশি শ্রমকি পাঠানোর সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে আশা করা যাচ্ছে। দুই দেশের সরকারের আলোচনায় সকল জটিলতা কেটে যাবে।

সংশ্লিষ্টরা আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বিদ্যমান আইন মেনে দেশটিতে কর্মী গেলেও উচ্চ অভিবাসন ব্যয়ের কারনে প্রক্রিয়াটি সমালোচনার মুখে পরে। নির্দিষ্ট সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও বিগত সরকার বিপুল সংখ্যক এজেন্সিকে এই প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করে। এতে অভিবাসন ব্যয় বেড়ে যায়। তবে কর্মীরা দেশটিতে যাওয়ার পর প্রায় সকলেই কাজ পেয়েছে এবং নিয়মিত বেতন ভাতা পাচ্ছেন। ফলে দেশটিতে যাওয়া শ্রমিকদের তেমন কোনো অভিযোগ নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭-১৮ এবং ২০২২-২৪ মেয়াদে অনলাইন ভিত্তিক ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে সাড়ে সাত লক্ষ বাংলাদেশী শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যান। দেশের অভ্যন্তরে রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের নেতিবাচক প্রচার-প্রচারনা, মামলা, নানান আন্দোলনের কারণে মালয়েশিয়া সরকার অনেকটা বিব্রত। তারা বাংলাদেশ থেকে নতুন করে কর্মী নিতে কিছুটা দ্বিধান্বিত ছিল।

তারা আরঅ জানায়, দুই দেশের সরকার প্রধানের এবারের আলোচনায় শ্রমিকের সুরক্ষা এবং স্বল্প ব্যয়ে লাভজনক কাজে নিয়োগের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আগে দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিক যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেই কিছু এজেন্সি আন্দোলন, মানববন্ধন করে প্রক্রিয়াটিকে বাধাগ্রস্ত করা হতো। এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই কর্মীদের অধিকার, সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তাসহ সামগ্রিক বিষয়ের নিশ্চয়তা দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের বিষয়ে দুইপক্ষ একমত হয়েছে ।

অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা বলেন, সৌদি আরবের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ১০ লাখেরও অধিক বাংলাদেশী কর্মী দেশটিতে কর্মরত রয়েছেন। এরইমধ্যে ভিসা পাওয়া পরও যে আট হাজার কর্মী দেশটিতে যেতে পারেননি তাদের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি গাজা দখলের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ইসরায়েলে নজিরবিহীন বিক্ষোভ করেছে দেশটির সাধারণ মানুষ। সেইসাথে দেখা মেলে এ পর্যন্ত সর্ববৃহৎ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ। যেখান থেকে ইসরায়েলি সৈন্যদের এই যুদ্ধে না জড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।

শনিবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় তেল আবিব এবং ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে দশ হাজারের মতো বিক্ষোভকারী জড়ো হয়। জিম্মি পরিবারের বেশিরভাগের প্রতিনিধিত্বকারী ফ্যামিলিজ ফোরাম, জেরুজালেমের তেল আবিব, দক্ষিণে শায়ার হানেগেভ জংশন এবং কিরিয়াত গাটে সমাবেশ করেছে। সেইসাথে, আরও কয়েক ডজন স্থানে ছোট ছোট সমাবেশ করেছে।

রোববার (১০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে ‘টাইমস অব ইসরায়েল’র জানায়, শনিবার সমাবেশের আগে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জিম্মি ও নিখোঁজ পরিবারগুলোর ফোরাম নেতানিয়াহু সরকারকে একটি জিম্মি চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানায়। সেইসাথে যুদ্ধ বন্ধ করে তাদের প্রিয়জনদের ফিরিয়ে আনার দাবি উত্থাপন করে। এর কারণ হিসেবে আন্দোলনকারীরা বলে, যদি এমনটা না করা হয় তবে গাজায় বন্দী তাদের প্রিয়জনদের জীবিত ফিরে পাওয়া এক প্রকার অসম্ভব হয়ে পড়বে।

অপরদিকে বিশ্লেষকদের ধারণা, এই পদক্ষেপ ইসরায়েলি বন্দীদের নিশ্চিতভাবে বিপদে ফেলবে এবং অপারেশনে যাওয়া সৈন্যদের ফিরে আসা কঠিন করে তুলবে। তবে এর থেকেও বড় যে বিষয়টি তা হল, এটা গাজায় মানবিক সংকট আরও গভীর করে তুলবে।

উল্লেখ্য, সামরিক বাহিনীর আপত্তি সত্ত্বেও মন্ত্রিসভা ঘনবসতিপূর্ণ ফিলিস্তিনি শহরটি দখলের সিদ্ধান্ত নেয়ার কয়েকদিন পর এই বিক্ষোভ শুরু হয়, যা ক্রমেই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।

ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের রাষ্ট্র আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হোয়াইট হাউসে এই চুক্তি হয়। আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এবং আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশনিয়ান। এর মধ্য দিয়ে কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান এবং দীর্ঘস্থায়ী মিত্রতা তৈরি হবে বলে প্রত্যাশা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সব ধরনের যুদ্ধ চিরতরে বন্ধ করার পাশাপাশি ভ্রমণ, বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ ককেশিয় অঞ্চলের দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বিবাদের সূচনা ৮০’র দশকের শেষের দিকে। বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান কয়েক দশক ধরে বিবাদে লিপ্ত। অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ডের ভেতরে অবস্থিত হলেও ১৯৯৪ সালের এক যুদ্ধের পর থেকে আর্মেনিয়ার সমর্থনে জাতিগত আর্মেনীয় বাহিনী ওই অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। আর্মেনিয়া নাগোর্নো কারাবাখের দখল নেয়ার পর কয়েক দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘাত হয় দুই দেশের মধ্যে। ২০২৩ সালে পুনরায় অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নেয় আজারবাইজান। শান্তিচুক্তির পাশাপাশি উভয় দেশের সাথে করিডোর ও বাণিজ্য ইস্যুতে পৃথক চুক্তি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নয়া শুল্ক নীতি এবার প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে ভারতের বাণিজ্য খাতে। দেশটির পণ্যের ওপর ৫০% শুল্কের প্রভাব, গতকাল সকালে দেশটির পুঁজি বাজারে নামায় ধস। এবার খবর, আন্তর্জাতিক রিটেল ইকমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন ও ওয়ালমার্ট ভারতীয় পণ্য নেয়া বন্ধ করেছে।

ভারতীয় রফতানিকারকরা বলছেন, মার্কিন ক্রেতারা ই-মেইল ও চিঠির মাধ্যমে পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্যের চালান আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছে। শুল্ক আরোপের কারণে ক্রেতারা বাড়তি খরচ ভাগাভাগি করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ভারতীয় রপ্তানিকারকদেরই এই বোঝা বহন করতে বলেছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ট্রাম্পের আরোপ করা দ্বিগুণ শুল্কের জেরে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের রফতানি খরচ ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রগামী অর্ডার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে যেতে পারে। ফলে ভারতের ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

ভারতীয় এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ওয়েলস্পান লিভিং, গোকালদাস এক্সপোর্টস, ইন্ডো কাউন্ট ও ট্রাইডেন্টের মতো ভারতীয় বড় বড় রফতানিকারকদের পণ্য বিক্রির ৪০ থেকে ৭০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক।

ভারতের পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পে যুক্তরাষ্ট্রই সবচেয়ে বড় রফতানির বাজার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ৩৬.৬১ বিলিয়ন ডলারের রফতানির ২৮ শতাংশই গেছে যুক্তরাষ্ট্রে।

বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম টেক্সটাইল রফতানিকারক ভারত আশঙ্কা করছে, এই পরিস্থিতিতে তারা বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর কাছে অর্ডার হারাতে পারে, যাদের ওপর বর্তমানে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ রয়েছে।

এনডিটিভি বলছে, ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ ইতোমধ্যেই কার্যকর হয়েছে এবং বাকি ২৫ শতাংশ ২৮ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করছে।

ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সাল বা এস.এন.এস.সি’র প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন আলী লারিজানি। বুধবার (৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া নিউজ এ তথ্য জানায়।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দেশটির সাবেক এই সংসদ স্পিকারকে শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থাটির প্রধানের দায়িত্ব সোপর্দ করেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।

ইরানের বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যমতে, নিরাপত্তা কাউন্সিলে সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দু’জন প্রতিনিধির একজন হতে যাচ্ছেন লারিজানি।

এ দায়িত্বে ইরানের জাথীয় নিরাপত্তার সকল ঝুঁকি মূল্যায়ন করে তা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন তিনি। ইরানের সাথে সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধের পর নিরাপত্তা সংস্থাটির কাঠামো ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেয় তেহরান।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব