• Colors: Blue Color

ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীরে বিদেশি কূটনৈতিক দলকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বুধবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের জেনিন শহরের একটি শরণার্থী শিবিরে মানবিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপীয় ও পশ্চিমা কূটনীতিকদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেনিন শরণার্থী শিবিরের প্রবেশপথে অবস্থান করছিলেন প্রতিনিধিরা। স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করছিল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ শুরু হয় গোলাগুলি। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ছোটাছুটি শুরু করেন কূটনীতিকরা। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, অনুমোদিত রুট ব্যবহার না করায় সতর্কতামূলক গুলি ছোঁড়া হয়। যদিও পরবর্তীতে এ ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশও করে তেলআবিব।

পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ফিল্ড মার্শাল র‌্যাংক পেলেন দেশটির সেনাপ্রধান আসিম মুনির। প্রয়াত সাবেক সেনাশাসক আইয়ুব খানের পর পাক সেনার দ্বিতীয় অফিসার হিসাবে ‘পাঁচ তারকা জেনারেল’ পদ পেলেন মুনির। এর মধ্য দিয়ে ৬০ বছরের পর পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর কোনো জেনারেল ফিল্ড মার্শাল হলেন। 

মঙ্গলবার (২০ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্স পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল হিসেবে পদোন্নতির অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা। এই মন্ত্রিসভার নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কা-ই-হক ও অপারেশন বুনইয়া-নুম-মারছুছের সময়ে উচ্চ কৌশল ও সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে শত্রুর পরাজয় ও দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের এই পদোন্নতি অনুমোদন করেছে সরকার।

প্রসঙ্গত, ফিল্ড মার্শাল পদমর্যাদা হল ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর আদলে নির্মিত সর্বোচ্চ সেনাবাহিনীর পদ। ১৯৫৯ সালে রাষ্ট্রপতির মন্ত্রিসভা কর্তৃক এটি কেবল জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব খানকে প্রদান করা হয়েছিল।

ফিল্ড মার্শাল পদোন্নতির অনুমোদন দেয়ার আসিম মুনির বলেন, এটি শুধু (আমার) ব্যক্তিগত নয়, বরং পুরো দেশ এবং পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য একটি সম্মান।

২০২২ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন আসিম মুনির। সাধারণত পাকিস্তানের সেনাপ্রধানদের মেয়াদ হয় তিন বছর। তবে ২০২৩ সালের নভেম্বরে দেশটির পার্লামেন্টে আইন সংশোধন করে আসিম মুনিরের মেয়াদ পাঁচ বছর করা হয়।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে নিয়োগ পাওয়ার আগে মুনির দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের পুলওয়ামায় বন্দুকধারীদের হামলায় ৪০ ভারতীয় জওয়ান নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ওই সময় তিনি দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তখন তার ভূমিকা বেশ উল্লেখযোগ্য ছিল।

এদিকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাপক হামলা-পাল্ট হামলার ঘটনা থামলেও উত্তেজনা পুরোপুরি কমেনি এখনও। পাক সেনাপ্রধান হুমকি দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান শান্তি চায়। কিন্তু পাকিস্তানের সম্মান রক্ষার্থে তারা পাল্টা হামলা চালাতে কোনো দ্বিধা করবেন না।

ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়,

এছাড়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের অনুদান ও চুক্তি বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মতে, ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগের যথাযথ উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে হার্ভার্ড প্রশাসন। এছাড়া ভর্তি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে জাতিগত বিবেচনা ও ইহুদিবিরোধী বৈষম্যের প্রতি সহনশীলতার অভিযোগ করেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমালোচনা করা হয়।

তবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। এর আগে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টি তহবিল স্থগিতের ফলে সম্পূর্ণ খরচ বহন করতে পারবে না।

উল্লেখ্য, এ মাসের শুরুতে একজন কট্টর ইহুদি শিক্ষার্থীর দায়ের করা হাইপ্রোফাইল মামলা নিষ্পত্তি করে দেয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। 

ভারতীয় একাধিক ভ্রমণ সংস্থার মালিক, প্রধান নির্বাহী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতীয় এসব সংস্থা সচেতনভাবে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ করেছে ওয়াশিংটন। খবর দ্য ইকোনোমিক টাইমস’র।

সোমবার (১৯ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে ভারতীয় একাধিক ভ্রমণ সংস্থার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি জানানো হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স এবং ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিস প্রতিদিনই অবৈধ অভিবাসন, মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, এ ধরনের মানবপাচার চক্র ভেঙে দিতে ভবিষ্যতেও ওয়াশিংটনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের অভিবাসন নীতি কেবল বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করার জন্যই নয়, বরং যেসব ব্যক্তি এই আইন লঙ্ঘন করে তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনতে কাজ করে। এর মধ্যে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তাকারীরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন এবং নীতির বাস্তবায়ন করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফোনে আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর আল-জাজিরা।

টানা দুই ঘণ্টা ধরে হোয়াইট হাউজ ও ক্রেমলিনের মধ্যে চলে এই আলোচনা। উভয় দেশ এই আলোচনাকে ‘গঠনমূলক’ হিসেবে উল্লেখ করলেও, যুদ্ধ বন্ধে এখনও কোনো চূড়ান্ত সমাধান আসেনি।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে শিগগিরই মস্কো ও কিয়েভ আলোচনায় বসবে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও দিয়েছেন ইতিবাচক ইঙ্গিত। ট্রাম্পের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনার পর পুতিন জানান, কিয়েভের সঙ্গে সমঝোতায় রাশিয়ার কোনো আপত্তি নেই।

তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আমরা আগ্রহী। এখন সবচেয়ে কার্যকর উপায়টি নির্ধারণ করাই মূল বিষয়। এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমরা একমত হয়েছি। রাশিয়া একটি সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির খসড়া নিয়ে ইউক্রেনকে একটি সমঝোতা স্মারক দেওয়ার প্রস্তাব দিতে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে প্রস্তুত।

কাশ্মিরের পেহেলগাম ইস্যুর জেরে দৃশ্যমান সংঘাতে জড়ায় দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তান। ঠিক সেই সময়ে ভারতীয় প্রথম সারির ও ‘বিশ্বস্ত’ কিছু গণমাধ্যমও তথ্য যাচাই না করার পাশাপাশি বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয় এমন কথা। শনিবার (১৭ মে) এটি প্রকাশ করা হয়।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত সংবাদের বিরাট একটি অংশ জুড়ে ছিল নিজেদের সামরিক বাহিনীর বন্দনা। ভারতের হামলায় প্রতিবেশী পাকিস্তানের একটি পারমাণবিক ঘাঁটিতে আঘাত করার পাশাপাশি দুইটি পাক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে— এমন দাবিও করা হয়।

পাশাপাশি পাকিস্তানের অন্যতম বন্দরনগরী ও দেশটির বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র করাচি বন্দরের একটি অংশ ধ্বংস করা হয়েছে বলেও খবর ছড়িয়ে পড়ে।

সার্বিকভাবে এই তথ্যগুলো পরিবেশনের সময় ভারতীয় মিডিয়া বেশ সুনির্দিষ্ট আঙ্গিকে প্রচার করে, যেন এটি আসলেই ঘটেছে। তবে এগুলোর কোনোটিই সত্য ছিল না।

ভারত ও পাকিস্তানের তীব্র সামরিক সংঘর্ষের সময় এবং তার পরের দিনগুলিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সীমান্তের উভয় পাশেই মিথ্যা, অর্ধসত্য, মিম, বিভ্রান্তিকর ভিডিও ফুটেজ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ব্যবহৃত বক্তৃতার কারণে একপর্যায়ে মিথ্যা থেকে সত্য আলাদা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

এদিকে, সিন্ধু নদীর পানি বণ্টন ইস্যুতে পাকিস্তানে সৃষ্ট বন্যার কিছু অংশ ভারতের মূলধারার গণমাধ্যম প্রচার করে। তবে সংবাদমাধ্যমগুলোর পরিবেশন প্রক্রিয়া ছিল অন্যরকম। সেসময় উপস্থাপকের ভূমিকা অনেকটা এমন হয়ে ওঠে, যেন তারা দুটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধের খেলায় চিয়ারলিডার।

একপর্যায়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পাকিস্তানের একটি পারমাণবিক ঘাঁটিতে কথিত হামলার খবর প্রকাশ করে। এর পাশাপাশি বলা হয়, সৃষ্ট এ হামলার ফলে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে, যা আসলে সত্য ছিল না। এমনকি কোথায় কোথায় হামলা চালানো হয়েছে সেই অঞ্চলগুলো বোঝার সুবিধার্থে তারা মানচিত্রে কিছু এলাকাকে নির্দেশ করে। তবে এই দাবির পক্ষে গ্রহণযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভারতীয় নৌবাহিনীর করাচি আক্রমণের খবরটিও একই রকম ছিল, যা ফ্যাক্ট চেকে ধরা পড়ে।

দক্ষিণ এশিয়ার ভুল তথ্য নিয়ে গবেষণা করা আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক সুমিত্রা বদ্রীনাথন বলেন, আমরা যখন ভুল তথ্যের কথা ভাবি, তখন আমাদের মনে আসে বেনামী লোকদের কথা, অনলাইন বটের কথা, যেখানে আপনি কখনই জানেন না যে জিনিসটির উৎস কী।

২০১৯ সালে পাকিস্তানের সাথে ভারতের সংঘর্ষের সময় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোও ভুল তথ্যে ভরপুর ছিল। এর রেশ টেনে সুমিত্রা বদ্রীনাথন আরও বলেন, পূর্বে বিশ্বাসযোগ্য সাংবাদিকদের পাশাপাশি প্রধান সংবাদমাধ্যমগুলো সরাসরি বানোয়াট গল্প প্রচার করত। কিন্তু যখন বিশ্বস্ত সূত্রগুলো ভুল তথ্যের মাধ্যম হয়ে ওঠে, তখন সত্যিই এটি একটি বড় সমস্যা। ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাত সম্পর্কে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যমে ভুল তথ্য শেয়ার, দেশটির এক সময়ের প্রাণবন্ত সাংবাদিকতায় সর্বশেষ আঘাত।

সশস্ত্র সংঘাত যতদিন ধরে চলছে, যুদ্ধরত পক্ষগুলো মিথ্যা এবং অপপ্রচার ছড়িয়েছে। এবং মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলি তাদের দেশের যুদ্ধক্ষেত্রের প্রচেষ্টাকে অনুকূলভাবে উপস্থাপন করে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়াও ভুল তথ্যের ছড়িয়ে পড়ার নেপথ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতে বাকস্বাধীনতার ক্রমাগত অবক্ষয় ঘটেছে। সরকারের সুনামের ক্ষতি করে এমন সংবাদ দমন করার জন্য অনেক সংবাদমাধ্যমকে চাপ দেয়া হয়েছে। অনেক বড় টেলিভিশন নেটওয়ার্কসহ অন্যান্যরা সরকারের নীতি প্রচার করতে শুরু করেছে।

ভারতের বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং ইন্ডিয়া টুডে টেলিভিশন চ্যানেলের উপস্থাপক রাজদীপ সরদেশাই গত সপ্তাহে পাকিস্তানি বিমান ভূপাতিত করার খবর প্রচারের জন্য দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, তার উপস্থাপন করা তথ্যটি ‘প্রমাণিত হয়নি’।

কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক ড্যানিয়েল সিলভারম্যান বলেন, ভুল তথ্য কিংবা বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে ছড়ানো তথ্য, এগুলো প্ররোচিত করার জন্য খুবই কার্যকরী। তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের প্রেক্ষাপটে, দুই দেশের ঐতিহাসিক শত্রুতার কারণে দর্শকরা যেকোনো চমকপ্রদ মিথ্যাকে গ্রহণ করতে এবং ছড়িয়ে দিতে প্রস্তুত থাকে।

ভারতের একটি ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট ‘এএলটি নিউজ’ যেটি দেশটির মূলধারার দুটি সংবাদমাধ্যম আজ তক এবং নিউজ এইটটিন-এর সম্প্রচারিত অসংখ্য বানোয়াট তথ্যের প্রমাণ সরবরাহ করেছে। ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা প্রতীক সিনহা বলেন, তথ্য বাস্তুতন্ত্র মূলত ভেঙে পড়েছে।

রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডার্সের মতে, প্রায় ৪৫০টি বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন রয়েছে দেশটিতে। এখনও টেলিভিশন ভারতের জনসাধারণের কাছে তথ্য পৌঁছানোর একটি প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত। তাই এখানে অপতথ্য বা মিথ্যা তথ্যের রেশ অনেক বড় পরিসরে বর্তায়।

গত সপ্তাহে, ভারতের স্বনামধন্য কয়েকটি টেলিভিশন স্টেশন করাচিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর আক্রমণের গল্প প্রচার করে। প্রতিবেদনগুলি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এমনটি এক্সে (সাবেক টুইটার) ‘করাচি’ এবং ‘করাচি বন্দর’ শব্দগুলো রীতিমতো ট্রেন্ডিংয়ে পরিণত হয়। করাচির শব্দ ব্যবহার করে এমন কিছু ছবি ও ভিডিও সেখানে যুক্ত করা হয় যা দেখে দর্শকদের মনে হতে পারে শহর ও বন্দরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে, ফ্যাক্ট চেকাররা জানতে পারে ওই দৃশ্যগুলি ফিলিস্তিনের গাজার।

সবশেষে, ভারতীয় নৌবাহিনী ব্রিফিংয়ে বলে, তারা করাচিতে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত ছিল, তবে তা করেনি।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব