• Colors: Blue Color

পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ মহড়া চালিয়েছে ভারত। শুক্রবার (২ মে) উত্তর প্রদেশে ফাইটার জেটের জরুরি অবতরণের মহড়া চালায় দেশটির বিমান বাহিনী।

রাফাল, জাগুয়ার, মিরেজ- টু থাউজেন্ড, সুখয়-থার্টি, মিগ-টুয়েন্টি নাইন এবং সি-ওয়ান থ্রি জিরো জে সুপার হারকিউলিস অংশ নেয় এই অনুশীলনে। নির্মাণাধীন গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে তৈরি করা হয়েছে সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই জরুরি অবতরণ ফ্যাসিলিটি।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ঝিলমের তিল্লা ফায়ারিং রেঞ্জে যুদ্ধবিমান, কামান ও ট্যাংকসহ বিভিন্ন সমরাস্ত্রের মহড়া চালায় পাকিস্তান।

ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, চলমান উত্তেজনার মধ্যে ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসলামাবাদ।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎসকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ পদে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন মার্কিন পররাস্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। 

 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১ মে) হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

ওয়ালৎস আমাদের জাতীর স্বার্থকে সর্বাগ্রে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, জাতিসংঘে পরবর্তী মার্কিন দূত হিসেবে ওয়ালৎসকে মনোনীত করবেন তিনি। 

 

সম্প্রতি ওয়ালৎস একটি নিরাপত্তাসংক্রান্ত বার্তার গ্রুপ চ্যাটে ভুলক্রমে একজন সাংবাদিককে যুক্ত করেন। যদিও তখন প্রেসিডেন্ট তাকে বরখাস্ত করেননি। তবে তার পদ শঙ্কায় পড়ে যায়। সেই ঘটনার পর থেকে ওয়ালৎস তার প্রভাব হারাতে থাকেন।

এদিকে, মাইক ওয়ালৎসের সহকারী অ্যালেক্স ওং তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে যাচ্ছেন। অ্যালেক্স ওং একজন এশিয়া বিশেষজ্ঞ। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি পররাষ্ট্র দপ্তরের উত্তর কোরিয়া–সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতেন। 

প্রসঙ্গত, রুবিওর আগে সবশেষ একসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। সেটি সত্তরের দশকের ঘটনা।

কাশ্মিরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার ঘটনায় উত্তেজনার মধ্যে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে এবার পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে নয়াদিল্লি বাণিজ্যিক ও সামরিক সব ধরনের পাকিস্তানি উড়োজাহাজ ভারতের আকাশসীমায় ঢুকতে পারবে না বলে ঘোষণা দেয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর মালিকানাধীন এবং পরিচালিত সমস্ত বিমানের জন্য পাকিস্তান তার আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নয়ার ছয় দিন পর, নয়াদিল্লিও পাকিস্তানের মালিকানাধীন এবং পরিচালিত সমস্ত বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়ে পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে।

নয়াদিল্লির বিমান মিশনগুলোকে নোটিশ জারি করে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নিবন্ধিত বিমান এবং দেশটির বিমান সংস্থাগুলো দ্বারা পরিচালিত বা লিজ নেয়া বিমানের জন্য ভারতীয় আকাশসীমা এখন থেকে বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে সামরিক বিমানও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।

ভারতের এ সিদ্ধান্তের ফলে মালয়েশিয়ার মত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যেতে পাকিস্তানের উড়োজাহাজের অনেকটা বেশি পথ পাড়ি দিতে হবে। চীন ও শ্রীলঙ্কার উপর দিয়ে যেতে হবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও ওশেনিয়ার দেশগুলিতে যেতে। এতদিন এসব গন্তব্যে যেতে সাধারণত পাকিস্তানের উড়োজাহাজ ভারতের উপর দিয়ে যাতায়াত করত। সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের এয়ারলাইন্সগুলোর ব্যয় বাড়বে, সময়ও বেশি লাগবে।

অপরদিকে, পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করায় ভারতের অনেক ‍উড়োজাহাজকেও একই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। পাড়ি দিতে হচ্ছে দীর্ঘ পথ।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় একদিনে আরও ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। এতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫২ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের ‘গণহত্যামূলক’ যুদ্ধের ফলে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৩৬৫ জনে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আহত হয়েছেন আরও ১১৩ জন, যাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ফলে চলমান হামলায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯০৫ জনে। উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে না পারায় অনেক মরদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে রয়েছে। 

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১৮ মার্চ থেকে গাজায় আবারও ভয়াবহ হামলা শুরু করে। এই সময়ে তারা ২ হাজার ২৭৩ জনকে হত্যা করেছে এবং আরও ৫ হাজার ৮০০ জনকে আহত করেছে, যদিও জানুয়ারিতে একটি যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হয়েছিল।

গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এ ছাড়াও, গাজায় যুদ্ধ পরিচালনার কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলা চলছে।

আমেরিকার ৪৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন, প্রথম একশ দিনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভুল বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। রিপাবলিকানরা বলছেন, ট্রাম্প প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আগামী ৩০ এপ্রিল একশ দিন পূর্ণ করবেন ট্রাম্প।

গত সপ্তাহান্তে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নর্ক সেন্টারের পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানেই অনেক মানুষ জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে দেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থা, অভিবাসন এবং বাণিজ্য নীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৫০ শতাংশের মতে, দ্বিতীয় দফায় ট্রাম্প অত্যন্ত খারাপ প্রেসিডেন্ট। ১০ জনের মধ্যে দুই জন মনে করেন ট্রাম্প গড়পড়তা প্রশাসক এবং ১০ জনের মধ্যে তিন জনের মতে, তিনি ভালো প্রশাসক। ট্রাম্পের অগ্রাধিকার নিয়ে প্রায় ৪৪ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রবাসীর মতে ট্রাম্প ভুল ইস্যুকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। ২৪ শতাংশর মতে ট্রাম্প সঠিক পথে চলছেন। ১০ জনের মধ্যে দুজন মনে করেন ট্রাম্পের অগ্রাধিকারে সমপরিমাণ ভুল এবং সঠিক সিদ্ধান্তও রয়েছে।

স্বাভাবিক ভাবেই, রিপাবলিকান ভোটারদের তুলনায় ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের কর্মপদ্ধতিতে অখুশি। তবে ২০ জানুয়ারির পর সেই পার্থক্য আরো বেড়েছে। প্রায় ৭৫ শতাংশ ডেমোক্র্যাট সমর্থক মনে করেন ট্রাম্প ভুল বিষয়ে মন দিচ্ছেন।

এই সমীক্ষার মতে, রিপাবলিকানরা ট্রাম্পকে নিয়ে মোটের উপর খুশি। তবে ট্রাম্পের অগ্রাধিকার নিয়ে তাদের মধ্যেও অনিশ্চয়তা আছে। ২৬ শতাংশ রিপাবলিকান মনে করেন ট্রাম্পের নীতিতে সামঞ্জস্য আছে। ট্রাম্পের অভিবাসন তার সব থেকে শক্তিশালী নীতির একটি।

সমীক্ষা বলছে বাণিজ্য, অর্থনীতি বা বিদেশ নীতির তুলনায় তার অভিবাসন নীতি অনেক বেশি গ্রহণীয় বলে মনে করা হয়েছে। অন্যদিকে, নিউ ইয়র্ক টাইমস/ সিয়েনা কলেজের সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রায় ৫০ শতাংশের মতে ট্রাম্প তার ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ করছেন। প্রেসিডেন্টের পক্ষে ৪২ শতাংশ এবং বিরুদ্ধে ৫৪ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন এই সমীক্ষায়।

এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৬৬ শতাংশ মানুষ ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফাকে বিশৃঙ্খল বলে দাবি করেছে। প্রায় ৫৯ শতাংশ একে ভয়াবহ বলে মনে করেছেন। অন্যদিকে, ৪২ শতাংশ একে উত্তেজনাপূর্ণ বলে মনে করেছেন।

জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সঙ্গে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (২৭ এপ্রিল) আল জাজিরায় প্রধান উপদেষ্টার এই ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে।

সাক্ষাৎকারটি নেন আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার। তিনি শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু জবাবে মোদি বলেছিলেন তিনি এটি পারবেন না। কারণ ভারতে সবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। অর্থাৎ শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

‘শেখ হাসিনা দাবি করেন তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারত থেকে এসব বিবৃতি দিচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে তার অবস্থানকে কীভাবে দেখে?’

আল জাজিরার সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন হয়েছিল। সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিলো আমার। তার সঙ্গে আমার কথা হয় এবং আমি তাকে স্পষ্ট করি, ঠিক আছে, যদি শেখ হাসিনাকে আপনি রাখতে চান। তাহলে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমি কিছু করতে পারব না। কিন্তু অবশ্যই তিনি যখন সেখানে থাকবেন, তার কথা বলা উচিত হবে না। কারণ তার বক্তব্য আমাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। তিনি বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করেন। আর এজন্য আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

আল জাজিরার সাংবাদিক তখন জিজ্ঞেস করেন ‘মোদি কী বলেছিলেন?’ 

জবাবে ড. ইউনূস বলেন- তিনি বলেছিলেন, ভারত হলো এমন দেশ যেখানে সামাজিক মাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।

এ সময় আগামী ডিসেম্বরে অথবা পরের বছরের জুনে নির্বাচন দেওয়ার নিশ্চয়তা নিয়ে জানতে চান সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার।

জবাবে প্রধান উপেদেষ্টা বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ’ নিয়ে একমত হলে জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে। তবে ‘বৃহৎ সংস্কার প্যাকেজ’ চাইলে নির্বাচন আগামী বছরের জুনে অনুষ্ঠিত হবে।

 

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব