জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হতে পারে বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ।
গত বছর ৫ আগস্ট ব্যাপক গণবিক্ষোভের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে তিনি দিল্লিতে বসবাস করছেন। ঢাকার পক্ষ থেকে তার জেরার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে, কিন্তু এ পর্যন্ত ভারত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের ইঙ্গিত দেখায়নি।
এই মামলাটি জটিল কূটনৈতিক বাস্তবতার কারণে আরও সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে। দিল্লিকে হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা এবং তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের মধ্যে সঠিক সমন্বয় বজায় রাখতে হবে।
ভারত দাবি করছে, তারা মুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে রয়েছে এবং জনপ্রিয় ম্যান্ডেটের পর যে সরকার গঠিত হবে তার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্র এই মামলাকে 'ন্যায়বিচার ও আইনগত' বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, এই ধরনের বিষয় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।