Selby bids to end heartbreak
Senectus malesuada uris placerat eleifend leo. Quisque sit amet est et sapien ultricies eget, tempor sit amet, Cras in mi at felis aliquet congue. Ut a est eget ligula molestie gravida. Curabitur massa. Donec eleifend
Senectus malesuada uris placerat eleifend leo. Quisque sit amet est et sapien ultricies eget, tempor sit amet, Cras in mi at felis aliquet congue. Ut a est eget ligula molestie gravida. Curabitur massa. Donec eleifend
Bestibulum tortor quam, feugiat vitae, ultricies eget, tempor sit amet, ante. Donec eu libero sit amet quam egestas semper. Aenean ultricies mi vitae est. Mauris placerat eleifend leo. Maecenas nisl justo, gravida in mattis sed
Vitae Pellentesque. Accumsan mus Pellentesque et lacus vitae dui Curabitur et Curabitur interdum. Auctor Phasellus lacinia fringilla euismod augue nibh lorem laoreet habitasse ac. Eleifend platea condimentum.
Ac turpis egestas. Vestibulum tortor quam, feugiat vitae, ultricies eget, tempor sit amet, ante. Donec eu libero sit amet quam egestas semper. Aenean ultricies mi vitae est. Mauris placerat eleifend leo.
Halesuada fames ac turpis egestas. Vestibulum tortor quam, feugiat vitae, ultricies eget, tempor sit amet, ante. Donec eu libero sit amet quam egestas semper. Aenean ultricies mi vitae est. Mauris placerat eleifend leo.
Uliquid ex ea commodi consequatur? Quis autem vel eum iure reprehenderit qui in ea voluptate velit esse quam nihil molestiae consequatur, vel illum qui dolorem eum fugiat quo voluptas nulla pariatur?
ভারতীয় গায়ক জুবিন গার্গের মৃত্যু নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। মৃত্যুর পর থেকে একাধিক তথ্য নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়লেও অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবশান ঘটল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে।
সিঙ্গাপুর সরকার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে দিল গায়কের স্ত্রী গরিমা শইকীয়া গার্গের হাতে। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, স্কুবা ডাইভিং করার সময় নয়, সিঙ্গাপুরের একটি দ্বীপে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে মারা গিয়েছেন তিনি।
সিঙ্গাপুর পুলিশ (এসপিএফ) প্রয়াত গায়কের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং তার ওপর ভিত্তি করে তৈরি প্রাথমিক অনুসন্ধানের একটি অনুলিপি ভারতীয় হাই কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছে। পাশাপাশি, সিঙ্গাপুর পুলিশ জুবিনের স্ত্রী গরিমার সঙ্গেও কথা বলে।
প্রসঙ্গত, ভারত-সিঙ্গাপুর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০তম বার্ষিকী এবং ভারত ‘আসিয়ান’ পর্যটনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন গায়ক।
সিঙ্গাপুরের প্রশাসন আরও জানিয়েছে, জুবিনের মৃত্যু নিয়ে পুলিশি তদন্ত এখনও চলছে। তাই তার অনুরাগীদের এই মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত কোনো ভিডিও বা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার না করার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশে অ্যাওয়ার্ড ফাংশনে কেফায়া জড়িয়ে হাজির হলেন হলিউড অভিনেতা হাভিয়ের বার্দেম।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে আয়োজিত এমি অ্যাওয়ার্ডের ৭৭ তম আসরে গাজায় চলমান গণহত্যার প্রতিবাদ জানাতে এ রূপে উপস্থিত হন তিনি।
একটি সিরিজের সেরা সহকারী অভিনেতা হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে টাক্সিডো স্যুটের সাথে কেফায়া জড়িয়ে আসেন অনুষ্ঠানে। লাল গালিচায় দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে সাহসী ভাষণ দেন তিনি। এতে গাজায় চলা ইসরায়েলি সহিংসতার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানান হাভিয়ের। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে জোর দাবি জানিয়ে সংক্ষিপ্ত ভাষণ শেষ করেন তিনি।
এ সময়, আরও বেশ কয়েকজন শিল্পীও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানান কেফায়া এবং হ্যান্ডব্যাগ পরে। সেইসাথে, তারা ‘আগুন বন্ধ কর’ বলে উচ্চস্বরে চিৎকারও করেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন।
অপরদিকে, ‘হ্যাকস’ তারকা হান্না আইনবাইন্ডার একটি কমেডি সিরিজে সেরা সহ অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেন এবং তার বক্তৃতার শেষে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বলে ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান।
সিনেমার গান (প্লেব্যাক) আসলে নায়ক, পরিচালকের গান হয়; আমার গান হয় না। আমি কেবল অডিওর গানেই থাকব। এমনটা বলেছেন দেশের জনপ্রিয় গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টার দিকে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রিন্স মাহমুদ লেখেন, অনেকগুলো সিনেমার কাজ ফিরিয়ে দিয়েছি, যা অনেকেই ভাবতে পারেন না। আমি যাকে পছন্দ করি, এমন একজনের (এই সময়ের সবচেয়ে বড় ও সম্মানিত একজন, যাকে কেউ ফেরায় না; একটা ফোন পাওয়া তো দূর, তার কাছে যাওয়ার জন্য বসে থাকে) সাথে আমি দেখা করতে পারিনি। কারণ, সিনেমায় আসলে আমার নতুন কিছু দেয়ার নাই।
ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও লেখেন– যে যাই বলুন, সিনেমার গান আসলে নায়ক, পরিচালকের গান হয়; আমার গান হয় না। অকারণ ক্রেডিট নেয়ার কোনো মানে হয় না। পুরোনো দিনের সুরকারদের জন্য হয়তো ঠিক ছিল কিন্তু এখন নয়।
নিজের জনপ্রিয় গান উল্লেখ করে প্রিন্স লেখেন– আমি কেবল অডিওর গানে থাকব। যেখানে ‘মা’, ‘এতো কষ্ট কেন ভালোবাসায়’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘বাবা’, ‘বাংলাদেশ’ (আমার সোনার বাংলা), ‘হিমালয়’, মাহাদির ‘সুনীল বরুনা’ (তুমি বরুনা হলে), রুমির ‘মাটি’ (মাটি হব মাটি), তাহসানের ‘ছিপ নৌকো’, তপুর ‘সোনার মেয়ে’, তানজির তুহিনের ‘আলো’, ‘অনাগত’, এলিটার ‘কবি’ বা মিনারের ‘একাকিত্বের কোনো মানে নেই’র মতো আমার গান হবে..
প্রসঙ্গত, গত ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত এম রাহিমের ‘জংলি’ সিনেমায় মৌলিক চারটি গানের সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেন প্রিন্স মাহমুদ। এর মাধ্যমে প্রায় আট বছর পর অ্যালবাম করেন এই গীতিকবি-সুরস্রষ্টা।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। ঘটনাটি তখন সারা দেশে আলোড়ন তোলে। পরে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় এই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। সেই বাস্তব ঘটনার প্রেক্ষাপটে নির্মিত হতে যাচ্ছে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
এবার সেই সিনেমায় মেজর সিনহার চরিত্রে ঢালিউড ‘মেগাস্টার’ শাকিব খান অভিনয় করতে যাচ্ছেন বলে সংবাদমাধ্যমের দাবি। তিনি যদি এই চরিত্রে অভিনয় করেন, সেটা হবে তার ২৬ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর ইউনিফর্মে উপস্থিতি।
ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবকাশ যাপন করছেন। বাংলাদেশে ফিরবেন আগামী সপ্তাহে। দেশে ফেরার পর সেপ্টেম্বর থেকে তিনি এই সিনেমার শুটিং শুরু করবেন বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, সাকিব ফাহাদ পরিচালিত এই সিনেমায় শাকিব খান পর্দায় হাজির হবেন মেজর সিনহার চরিত্রে!
তবে একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সরাসরি কোনো সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করবেন না শাকিব, বরং রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক দক্ষ এজেন্টের ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। যিনি দেশের হয়ে লোমহর্ষক সব অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করেন।
গল্পে থাকবে সত্য ঘটনা ও নাটকীয়তার মিশ্রণ, যা তুলে ধরবে তার চাকরি জীবনের নানান প্রেক্ষাপট ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে উত্তেজনাপূর্ণ অ্যাকশন দৃশ্য।
নতুন এই প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের সরকারি অনুমতি নেয়া হয়েছে বলে দাবি গণমাধ্যমের। সিনেমায় বলিউড ও দক্ষিণ ভারতীয় টেকনিক্যাল ক্রু যুক্ত থাকবেন।
সিনেমাটির অধিকাংশ শুটিং হবে থাইল্যান্ডে। শাকিব খানের বিপরীতে ছোটপর্দার এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে নেয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন আছে। যদিও এখন পর্যন্ত কাউকে চূড়ান্ত করা হয়নি।
পরিচালক সাকিব ফাহাদ একাধিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সিনমাটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে হলেও কাহিনীতে কিছুটা নাটকীয়তা থাকবে। দেশপ্রেম, অ্যাকশন ও মানবিক আবেগ, সব মিলিয়ে এটি হবে শক্তিশালী গল্পের সিনেমা।
পরিচালক গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে হলেও কাহিনিতে কিছুটা কাটছাঁট থাকবে। তবে দেশপ্রেম, অ্যাকশন এবং মানবিক আবেগ- সব মিলিয়ে এটি হবে একটি শক্তিশালী গল্পের সিনেমা।
জানা গেছে, সেপ্টেম্বরে এর শুটিং শুরু হয়ে ডিসেম্বরে মুক্তি দেয়া হবে। সিনেমাটি একযোগে মুক্তি পাবে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।
তখন ছবি আঁকা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন সুলতান। শেষ প্রদর্শনী হয়েছিল তার দুই যুগ আগে। নড়াইলের পুরুলিয়া গ্রামের বহু পুরাতন বাড়িতে সবার অগোচরে থাকতেন। সবার বলতে ঠিক সবার নয়, গৃহপালিত পশু-পাখি প্রকৃতিই ছিল তার সহচর। কয়েকজন শুভানুধ্যায়ী তাকে অনুরোধ করেছিলেন ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির জন্য কিছু ছবি আঁকতে। সুলতান ছবি এঁকেছিলেন সেই প্রদর্শনী সামনে রেখে।
সত্তরের দশকের শেষের দিকে এস এম সুলতানের আঁকা জলরং, তৈলচিত্র, স্কেচ ও চারকোলের বেশ কিছু চিত্রকর্ম নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে জমকালো এক প্রদর্শনী হয়। সুলতান তখন যেন নতুন কান্তিতে শ্যামল মহিমায় উদ্ভাসিত হলেন। বহুমাত্রিক লেখক আহমদ ছফাসহ অনেকেই এগিয়ে এলেন নিজের দেশের মানুষের কাছে ‘লাল মিয়া’কে পরিচিত করাতে।
অথচ তার আগে বহির্বিশ্বের কাছে সুলতানের নাম বেশ প্রশংসিত। তার চিত্রকর্মের রোশনাইয়ে ঝিকিমিকি করেছে বহু দেশ। প্রথম প্রদর্শনী হয়েছিল ১৯৪৭ সালে, ভারতের শিমলায়। সেই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছিলেন কাপুরতলার মহারাজা। দ্বিতীয় প্রদর্শনী হয়েছিল তিন বছর পর, লাহোর ও করাচিতে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের আমন্ত্রণ পেয়ে ঘুরে এলেন মার্কিন মুলুক। বিলেতের লেস্টার গ্যালারিতে সুলতানের ছবি স্থান পায়। তিনিই প্রথম এশীয়, যার আঁকা ছবি পাবলো পিকাসো, সালভাদোর দালি, পল ক্লি, মাতিসের মতো বিশ্ববিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের ছবির সঙ্গে প্রদর্শিত হয়।
আঁকার জন্য তিনি একেবারে সাধারণ কাগজ, গাবের রঙ এবং চটের ক্যানভাস ও কয়লা ব্যবহার করতেন। এ বিষয়ে তার বক্তব্য হলো– ‘বিদেশি ক্যানভাসের প্রচুর দাম। তাই পাটের চটের ওপর আঁকার চেষ্টা করলাম। শিরীষ ব্যবহার করে দেখলাম, বর্ষাকালে লুজ হয়ে যায়। তখন মাথায় এলো, জেলেদের জালে দেয়া গাবের রঙ ব্যবহার করার। তাতে ছবি নষ্ট হবার আশঙ্কা কম। ছত্রাকও পড়বে না।’
এভাবে ছবি আঁকার সরল উপাদান তৈরি করে শিশু-কিশোরদের ছবি আঁকা শিখিয়েছেন সুলতান। নিজের এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন ‘শিশুস্বর্গ’ নামের পাঠশালা। শুধুমাত্র আর্টের জন্য ‘নন্দনকানন’। তবে নানা প্রতিকূলতায় ‘শিশু স্বর্গ’ নিয়ে বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি।
দৃঢ় জাতি গঠনে শিশুদের মন বিকাশের বিকল্প নেই। শিশুদের জন্য সুলতানের ছিল অনন্ত দরদ আর অফুরন্ত ভালোবাসা। যেসব শিশু তার কাছে আশ্রিত ছিল, তাদের জন্য নিজের ঘর ছেড়ে দিয়েছিলেন। সুলতান শিশুদের জন্য তৈরি করেছিলেন একটি বড় কাঠের নৌকা। তার অভিলাষ ছিল, সেই নৌকায় চড়ে সমুদ্র পরিভ্রমণে বের হবে দেবদূতেরা। সমুদ্র থেকেই হয়তো খুঁজে নেবে শিল্প চর্চার হীরা-চুনি-পান্না।
সুলতানের ছবিতে প্রাণ পেতো এ ভূখণ্ডের শক্তসমর্থ পুরুষ ও নারীর যৌথ খামার। একইসাথে তার ছবিগুলোতে প্রকাশিত হয় গ্রামীণ প্রেক্ষাপটের শ্রেণি-দ্বন্দ্ব। তিনি তার ছবির বলিষ্ঠ সাবজেক্টের বিষয়ে বলতেন, ‘আমার অতিকায় ছবিগুলোর কৃষকের অতিকায় অতিকায় দেহটা এই প্রশ্নই জাগায় যে, ওরা কৃশ কেন? ওরা রুগ্ন কেন- যারা আমাদের অন্ন যোগায়। ফসল ফলায়।’
তার ছবিতে নারী চরিত্রগুলো নাজুক নয় বরং কোথাও কোথাও তারা একটু বেশিই সবল আর প্রাণশক্তিতে ভরা। দৈনন্দিন কাজে মত্ত থেকে তারা যেন সূর্যের যাত্রাকে আরও কর্মিষ্ঠা ও স্বতঃস্ফূর্ত করে তোলে। এই ভাবনাগত জরীন জায়গা ছিল সুলতানের ছবি আঁকার প্রেরণা বা অবলম্বন।
চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক নূরুল আলম আতিক বলেন, ‘এস এম সুলতান একজনই। তার তুলনা চলে না ভারতবর্ষের কোনো শিল্পীর সঙ্গে। সাহিত্যে যেমন মাইকেল মধুসূদন দত্ত, চিত্রকলাতেও তেমনি এস এম সুলতান। তাদের কোনো পূর্বসূরি-উত্তরসূরি নেই। তারা তাঁদের মতো—স্বতন্ত্র।’
১৯৮২ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার পান সুলতান। এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে তাকে ভূষিত করা হয় ম্যান অব এশিয়া হিসেবে। একই বছর একুশে পদকও পান। প্রাপ্তির খাতায় আরও অনেক পুরস্কার জমে যায়। অথচ সত্তরের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমরা তাকে কি পর্যাপ্ত মূল্যায়ন করতে পেরেছিলাম। আধুনিক চিত্রশিল্পের বিকাশের কালে দেশে কি তিনি শিল্পরসিকদের চোখের আড়ালেই ছিলেন না?
দুনিয়াবিখ্যাত লেখক গুন্টার গ্রাস একবার ঢাকায় এসেছিলেন। শিল্পকলা একাডেমিতে সুলতানের ছবি দেখে যারপরনাই অবাক হয়েছিলেন। ঝাঁকড়া চুলের শিল্পীর এ দেশে যথার্থ মূল্যায়ন দেখতে না পেয়ে মন্তব্য করেছিলেন– ‘সুলতানকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ হয় না।’ গুন্টার গ্রাসের এই উক্তির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করলে অনুধাবন করা যায় শিল্পকর্মে সুলতানের অনন্য অবস্থান। এই উক্তি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সুলতান বাংলাদেশের হৃদয়কে ধারণ করেছিলেন..
আহমদ ছফা তার বাঙালি মুসলমানের মন বইতে লিখেছিলেন, ‘বাংলার বদলে সুলতান যদি আরব দেশে জন্ম নিতেন, মরুচারী বেদুইনদের ছবি আঁকতেন। যদি জন্মাতেন নরওয়ে-সুইডেনে, তাহলে সমুদ্রচারী জেলেদের সভ্যতার পথিকৃৎ হিসেবে আঁকতেন। নেহায়েত বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছেন বলেই এই কৃষকদের সভ্যতার জনয়িতা ধরে নিয়ে ছবি এঁকেছেন।’
তিনি নমঃশূদ্র নর-নারীর আদরের গোঁসাই, যিনি সুলতান নাম ধারণ করে ধরাধামে এসেছিলেন। তিনি আধেক ছন্নছাড়া সন্ত, আধেক লক্ষ্মীছাড়া শিল্পী। ইঁদুর-বেড়াল, হাঁস-মুরগী নিয়ে যিনি সংসার পেতেছেন। মনের আনন্দে ছবি এঁকেছেন। ফর্মের নিরীক্ষাকে গুরুত্ব না দিয়ে মানুষের ভেতরের শক্তির উত্থানকে গুরুত্ব দিয়েছেন। সভ্যতার সবচে মূল্যবান পেশিগুলো এঁকেছেন। সুলতান, আপনি আমাদের ক্ষমা কইরেন..
শুঁয়োপোকার মৃত্যুতে প্রজাপতির জন্ম
শুঁয়োপোকা আন্ডারপাসে ঢুইকা আমরা প্রজাপতি হইয়া যাই
আমাদের ঘাম জুড়ায় ‘প্রজাপতি গুহায়’
বিরাট বজরায় চইড়া আজও শিশুস্বর্গে যাইতে পারি নাই
নারীর কচুরি ধইরা পাড়ি দিতে পারি নাই নড়াই নদী
সেইখানে যাইতে পারলে কনফেস করতাম কনফেস..
ইউনিফাইড ড্রেস পইরা রোজ দুপুরে আমাদের পাড়া দিয়া
হাইটা যাইতো যে সরল গোঁসাই,
আমরা ‘রেলগাড়ি’ বইলা পেছন পেছন ছুটতাম
আস্তাকুঁড়ের রাস্তাকুকুররে নিয়ম কইরা ঢিল মারতাম
রঙ মাখাইয়া সঙ সাজাইতাম
অথচ তার পেট ভরাইতে পারি নাই
না খায়া না খায়া শেষতক মইরাই গেলো একদিন!
তুমি আমারে ক্ষমা কইরো সুলতান
তোমার শোভা বাড়াইসি কারওয়ান বাজার আন্ডারপাসে
তোমার শোভা বাড়াইসি সোনারগাঁয়ের বাউল বাগানে
তবু আমি কনফেস করি—
তুমি আমারে ক্ষমা কইরো সুলতান..
কানাডার সারেতে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা কপিল শর্মার সদ্য চালু হওয়া ‘ক্যাপস ক্যাফে’তে এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার গুলি ঘটনা ঘটল। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে গুরপ্রীত সিং ওরফে গোল্ডি ধিলন এবং লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় মুম্বাই পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে ২৫ টিরও বেশি গুলির শব্দ শোনা যায়। ভিডিওতে একটি কণ্ঠকে বলতে শোনা যায়, আমরা টার্গেটের কাছে ফোন করেছিলাম, কিন্তু সে ফোন ধরেনি, তাই আমাদের ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। যদি সে এখনও ফোন না ধরে, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ দ্রুত মুম্বাইয়ে নেয়া হবে।
এর আগে গত ১০ জুলাই কপিল শর্মার ক্যাফেতে হামলার ঘটনা ঘটে। সে সময় কিছু কর্মচারী ভেতরে থাকলেও কেউ হতাহত হননি। ওই ঘটনায় ক্যাফের একটি জানালায় ১০ টির বেশি বুলেটের আঘাতে সৃষ্ট গর্ত পাওয়া গিয়েছিল।
প্রথম হামলার পর শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল (বিকেআই)-এর সদস্য হরজিৎ সিং লাড্ডি দায় স্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, কপিলের একটি অনুষ্ঠানে একজন অংশগ্রহণকারী ‘নিহাং শিখ’দের ঐতিহ্যবাহী পোশাক এবং আচার-আচরণ নিয়ে কিছু ‘ব্যঙ্গাত্মক’ মন্তব্য করেন। এতে শিখ সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।