প্রকৃতি ও জীবনের কবি মনিজা রহমান। তার লেখায় সাবলীল গতিশীলতায় প্রকাশ পায় সমাজের সব স্তরের মানুষের গহীন গল্পের ইতিহাস। এমন বক্তব্য উঠে এসেছে তরুণ-প্রবীণ লেখক ও কবিদের কণ্ঠে। রোববার (৩ আগস্ট) রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে জলধি-সন্ধ্যায় শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে মনিজা রহমানের কাব্যগ্রন্থ ‘এক পশলা বৃষ্টি কেনার আগে’ নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। জলধির প্রকাশক ও সম্পাদক কবি নাহিদ আশরাফির এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি মনিজা রহমান। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন কবি নাসির আহমেদ, কথা সাহিত্যিক দিলারা মেসবাহ, কথা সাহিত্যিক সিরাজুল ইসলামসহ অনেকে। বক্তারা বলেন, মনিজা রহমান নিরন্তর জীবনকে উন্মোচন করে চলেছেন। সমাজের নানামাত্রিক জানালায় উঁকি দিয়ে সত্য আবিষ্কার করে চলেছেন। তার এই উন্মোচন চলে কখনও গল্পে, কখনও কবিতায়, কখনওবা উপন্যাসে। উল্লেখ্য, মনিজা রহমানের জন্ম বরিশালের পিরোজপুরে। পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার মনিজা রহমান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করার পর পেশা হিসেবে বেছে নেন ক্রীড়া সাংবাদিকতা।

তিন দশকের বেশি সময় ধরে বলিউডে দাপুটে রাজত্ব করার পর অবশেষে প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন শাহরুখ খান। ২০২৩ সালের ব্লকবাস্টার ‘জওয়ান’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি ‘সেরা অভিনেতা’র স্বীকৃতি পেয়েছেন। অন্যদিকে শাহরুখ খানের সঙ্গেও ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ সিনেমাতে আবেগঘন অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন রানি মুখার্জি। তিনিও প্রথমবারের মতো এই পুরুস্কোর পাচ্ছেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

এটি শাহরুখের জন্য এক বিশেষ অর্জন, কারণ এর আগে তিনি ৩০ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়ে ১৪ বার জিতেছেন, যার মধ্যে ৮ বার সেরা অভিনেতার পুরস্কার—এই ক্যাটাগরিতে দিলীপ কুমারের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ জয়। এ ছাড়াও, ফ্রান্স সরকার তাকে ‘অর্ডার দেস আর্টস এট দেস লেটারস’ এবং ‘লিজিয়ন অব অনার’-এর মতো সম্মাননা প্রদান করেছে যা বিশ্বজুড়ে তার গ্রহণযোগ্যতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে শাহরুখ খানের। এর পরের তিন দশকে উপহার দিয়েছেন একের পর এক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র-‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে’, ‘কভি খুশি কভি গম’, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, ‘মাই নেম ইজ খান’সহ বহু সুপারহিট সিনেমা।

এদিকে, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শাহরুখের সঙ্গে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন ‘টুয়েলভথ ফেল’ অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি। বিক্রান্তেরও এটি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

অন্যদিকে, শাহরুখ খানের দীর্ঘদিনের সহ-অভিনেত্রী রানি মুখার্জিও এবারই প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন। ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিতে আবেগঘন ও বাস্তবভিত্তিক অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে বাংলা ছবি ‘বিয়ের ফুল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করা রানি একই বছর ‘রাজা কি আয়েগি বারাত’ দিয়ে বলিউডে পা রাখেন।

‘জওয়ান’ সিনেমার গানেও এসেছে সাফল্য—শিল্পা রাও জিতেছেন সেরা নারী প্লেব্যাক গায়িকার পুরস্কার। অন্যদিকে, সুদীপ্ত সেন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমার জন্য সেরা পরিচালকের স্বীকৃতি পেয়েছেন।

কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি সম্প্রতি মন্ট্রিয়লে একসঙ্গে রাতের খাবার খেয়েছেন—এমন খবর প্রকাশের পর নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

লে ভিওলোন নামের এক রেস্টুরেন্টে স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ট্রুডো ও পেরি প্রায় দুই ঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন।

একজন স্থানীয় সংবাদকর্মীর বরাতে জানা যায়, ‘তারা খুব স্বাভাবিক ও শান্ত মেজাজে ছিলেন। রেস্টুরেন্ট কর্মীরা বা অন্য অতিথিরা তাদের বিরক্ত করেননি। আর কোনো দৃশ্যমান রোমান্স বা ঘনিষ্ঠতার চিহ্নও ছিল না।’

তাদের ডিনার মেনুতে ছিল বিভিন্ন ধরনের অ্যাপেটাইজার, যেমন টুনা, বিফ টারটার, লবস্টার ও অ্যাসপারাগাস। মূল খাবার হিসেবে ছিল ল্যাম। রেস্তোরাঁর শেফ ড্যানি স্মাইলস নিজে গিয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানান এবং বিদায়ের আগে তারা রান্নাঘরে গিয়ে পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানান।

কেটি পেরি সম্প্রতি তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী অরল্যান্ডো ব্লুম-এর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছেন।

অন্যদিকে, জাস্টিন ট্রুডো ও তার স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার ট্রুডো ২০২৩ সালে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। তিনি চলতি বছর দীর্ঘ প্রায় এক দশক পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

ট্রুডোর পিতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডো-ও ছিলেন প্রেমিক স্বভাবের, যিনি অফিসে থাকার সময় অভিনেত্রী বারবারা স্ট্রেইস্যান্ড ও কিম ক্যাটরাল-এর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান এবং ৫১ বছর বয়সে ২২ বছরের এক নারীকে বিয়ে করেন।

ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্ম নেয়া কেটি পেরি ১৩ বার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন পেয়েছেন। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যালবাম ২০১০ সালের ‘টিনেজ ড্রিম’, যা মাইকেল জ্যাকসনের রেকর্ড স্পর্শ করেছিল।

ট্রুডো বা পেরির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ এই ডিনার বা সম্পর্ক বিষয়ে মন্তব্য করেননি।

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং গসিপ সংবাদমাধ্যমে ইতোমধ্যেই বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে—এটা কেবল একবারের ফরমাল ডিনার, নাকি নতুন কোনো সম্পর্কের শুরু, তা সময়ই বলে দেবে।

সূত্র: এপি।

চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে এবং ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট, বেজিস্ট এ কে রাতুল মারা গেছেন। আজ রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

তার মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ব্যান্ডের গীতিকার সিয়াম ইবনে আলম।

তিনি জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি জিমে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন রাতুল। পরে তাকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।

রাতুল ও তার ব্যান্ড ‘ওন্ড’ বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। ২০১৪ সালে তাদের প্রথম অ্যালবাম ‘ওয়ান’ এবং ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘টু’ মুক্তির পর ব্যান্ডটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

চিত্রনায়ক জসীমের তিন ছেলে— এ কে রাহুল, এ কে রাতুল ও এ কে সামী। তিনজনেরই সংগীতজগতে বিচরণ। এর মধ্যে রাহুল ‘ট্রেনরেক’ ব্যান্ডের গিটারিস্ট ও ‘পরাহো’ ব্যান্ডের ড্রামার, রাতুল ও সামী যুক্ত ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের সঙ্গে। সামী ড্রামার। আর রাতুল ব্যান্ডটির ভোকালিস্ট, বেজিস্ট ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।

পেশাদার রেসলিংয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী তারকাদের মধ্যে একজন টেরি বোলিয়া, যিনি ‘হাল্ক হোগান’ নামে বিশ্বজুড়ে পরিচিত, তিনি আর আর নেই।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এই কিংবদন্তি ৭১ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

খবরটি নিশ্চিত করেছে ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট (ডব্লুডব্লুই)।

এক বিবৃতিতে ডব্লুডব্লুই লিখেছে, ডব্লুডব্লুই হল অব ফেমার হাল্ক হোগানের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। পপ কালচারের অন্যতম পরিচিত মুখ হোগান ১৯৮০-এর দশকে ডব্লুডব্লুইকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তার পরিবার, বন্ধু ও অসংখ্য ভক্তদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

আশির দশকে রেসলিংয়ের সোনালি যুগে হোগান ছিলেন পোস্টারবয়। তার বিখ্যাত সংলাপ— ‘সে ইউর প্রেয়ারস অ্যান্ড ইট ইউর ভিটামিনস’ আর বাহুর মাপ নিয়ে দম্ভোক্তি— ‘২৪ ইঞ্চি পাইথন’, তাকে সাধারণ দর্শকের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিল।

২০১৫ সালে বর্ণবাদী মন্তব্য সংবলিত একটি ভিডিও ফাঁস হলে হাল্ক হোগানের ভাবমূর্তিতে বড় ধাক্কা খায়। তবে এটাও বলা যায়, বিতর্ক আর সমালোচনা সত্ত্বেও হোগান রেসলিংয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী তারকাদের একজন হয়েই থাকবেন।

‘দ্য গডফাদার অব হেভি মেটাল’ খ্যাত ওজি ওসবার্ন আর নেই। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিলো ৭৬ বছর। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে তার মৃত্যু হয়।

ওজির পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাতে হচ্ছে, আমাদের প্রিয় ওজি অসবোর্ন আজ সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই ছিলেন, ভালোবাসায় ঘেরা। এই কঠিন সময়ে আমাদের গোপনীয়তা রক্ষার অনুরোধ জানাচ্ছি।’ তার মৃত্যুর কারণ এখনো জানানো হয়নি।

এই খবর আসে মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর, যখন ওজি তার জন্মস্থান বার্মিংহামে ‘ব্ল্যাক সাবাথ’-এর সাথে মঞ্চে ফিরেছিলেন  ‘ব্যাক টু দ্য বিগিনিং’ কনসার্টে। ব্যান্ডের বেসিস্ট গিজার বাটলার, ড্রামার বিল ওয়ার্ড এবং গিটারিস্ট টনি আইওমি-র সাথে এই রিইউনিয়ন শো’টি ছিল তাদের ২০ বছরের মধ্যে প্রথম পারফরম্যান্স। ওজির শেষ মঞ্চ উপস্থিতি হিসেবে এটি প্রচার করা হয়েছিল।

১৯৪৮ সালের ৩ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে এক সাধারণ পরিবারে জন্ম নেয়া জন ‘ওজি’ অসবোর্ন স্কুল ছাড়েন ১৫ বছর বয়সে। কসাইখানা থেকে শুরু করে চুরি পর্যন্ত সব কাজ করেছিলেন তিনি!

১৯৬৭ সালে ব্ল্যাক সাবাথ গঠনের মাধ্যমে সঙ্গীতজগতে প্রবেশ করেন তিনি। তাদের প্রথম অ্যালবাম মাত্র ১২ ঘন্টায় রেকর্ড করা হয়েছিল! এরপর একে একে আসে ‘প্যারানয়েড’, ‘মাস্টার অব রিয়েলিটি’র মতো বহু প্ল্যাটিনাম হিট।

১৯৭৮ সালে ব্যান্ড থেকে বের হলে অজি শুরু করেন একক ক্যারিয়ার। ১৯৮০ সালে মুক্তি পায় ‘ব্লিজার্ড অব অজ’ নামের অ্যালবাম। এই অ্যালবামে ছিল বিখ্যাত গান ‘ক্রেজি ট্রেইন’। পরের বছর আসে ‘ডায়েরি অব আ ম্যাডম্যান’। বিক্রি হয় ৫০ লাখ কপির বেশি।

এছাড়াও ‘আয়রন ম্যান’ ও ‘প্যারানয়েড’-এর মতো গানে কণ্ঠ দিয়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ওজি ওসবার্ন ।

মঞ্চে বাদুড়ের মাথা কামড়ানো, মাংস ছোড়া, মাদক ও অ্যালকোহলে আসক্তি—ওজি সবসময়ই বিতর্কিত ছিলেন। ১৯৭৯ সালে ব্ল্যাক সাবাথ থেকে বেরিয়ে গেলেও ১৯৯৭ সালে আবার ফিরে আসেন। একক ক্যারিয়ারে ১১টি অ্যালবাম বের করেন, পেয়েছেন ৩টি গ্র্যামি।

দ্বিতীয় স্ত্রী শ্যারন অসবোর্ন (যিনি তার ম্যানেজারও ছিলেন) এবং সন্তানদের নিয়ে দ্য অসবোর্নস রিয়েলিটি শো তাকে নতুন প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় করে। শোটি এমি অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছিল!

২০১৯ সালে নিউমোনিয়ার পর থেকে তার স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। ২০২০ সালে তিনি পারকিনসন্স ডিজিজ-এ আক্রান্ত হন। ২০২২ সালে কমনওয়েলথ গেমস-এ শেষবারের মতো মঞ্চে ওঠেন। গত বছর তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের শেষ ইচ্ছা—আরও একটি শো করে ভক্তদের ধন্যবাদ জানানো।’

ওজি অসবোর্ন রেখে গেছেন স্ত্রী শ্যারন, প্রথম সংসারের তিন সন্তান এবং শ্যারনের সাথে তিন সন্তান—জ্যাক, কেলি ও এমি।

বারান্দাতে বিকেলবেলা ধোঁয়া ধোঁয়া চায়ের পেয়ালা/ হাতের মুঠোয় ঠাঁই পেয়েছে প্রিয় জীবনানন্দ/ যাক না কেটে এভাবে দিন, লাগছে না তো মন্দ’। সম্প্রতি আজব রেকর্ডস থেকে প্রকাশ পেয়েছে এমন লিরিকের গান।

জয় শাহরিয়ারের কথা ও সুরে নতুন গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন এলিটা করিম। গানের শিরোনাম ‘বারান্দাতে বিকেলবেলা’। গানটির অ্যানিমেশন ভিডিও তৈরি করেছেন মীর হিশাম।

গানটিতে গিটার বাজিয়েছেন সৈয়দ রিয়েল, বেইস গিটারে তানিম হাসান, কী-বোর্ডে ফরহাদ ও শব্দ সংযোজন করেছেন আমজাদ হোসেন বাপ্পী।

নতুন গান প্রসঙ্গে এলিটা করিম বলেন, অনেকদিন পর জয়ের কথা ও সুরে গান গাইলাম। সচরাচর যেমন গান করি, তার থেকে বেশ আলাদা এই গানটি। আমার খুব ভালো লেগেছে গাইতে। আশা করি শ্রোতাদেরও ভালো লাগবে শুনতে।

‘বারান্দাতে বিকেল বেলা’ গানের পোস্টার

 

জয় শাহরিয়ার বলেন, আমার খুব প্রিয় একজন শিল্পী এলিটা। চেষ্টা করেছি, তার কণ্ঠে অন্যরকম এক গান তৈরি করতে। আশা করি, যারা শুনবেন, তাদের ভালো লাগবে নস্টালজিয়ায় ভরপুর এই গান।

গানটির ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে জয় শাহরিয়ারের ইউটিউব চ্যানেলে। এছাড়াও স্পটিফাই, আইটিউন্স, ডিজার, স্বাধীনসহ সারাবিশ্বের স্ট্রিমিং সাইটে শোনা যাচ্ছে ‘বারান্দাতে বিকেল বেলা’ শিরোনামের গানটি।

দেশের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি তাহসান খান ও রাফিয়াথ রশিদ মিথিলার দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্যের ইতি ঘটে ২০১৭ সালের অক্টোবরে। গানের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরেই শুরু হয়েছিল তাদের সম্পর্কের যাত্রা; এরপর ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা; এ জুটির রয়েছে একমাত্র কন্যা সন্তান আইরা তেহরীম খান।

সম্প্রতি এক পডকাস্টে বেশ খোলামেলা কথা বলতে দেখা গেল মিথিলাকে। সেখানে উঠে আসে তার বিচ্ছেদ পরবর্তী জীবনের নানা কথা। এদিকে অভিনয়ের পাশাপাশি নানা সামাজিক কাজ নিয়েও ব্যস্ততা তার। কিন্তু ব্যক্তিজীবনের কোনো প্রভাব কর্মক্ষেত্রে যেন ফেলতেই দেননি এই অভিনেত্রী।

তবে তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কঠিন সময়ের মাঝেই কেটেছে মিথিলার। সেই পডকাস্টে মিথিলা বলেন, যেকোনো বিচ্ছেদ সহজ নয়, খুবই কঠিন। তখন আমি খুবই ইয়াং ও ইয়াং মাদার- সঙ্গে এক বছরের বাচ্চা। আমি যে ভালোমন্দ বিচার করব, কোনো সিদ্ধান্ত নিব, তখন আমারও এটা নিয়ে ভাবার কোনো শক্তি ছিল না। আর আমি জীবনটা এক রকম ভেবে এসেছি, তখন দেখি হঠাৎ করে জীবনটা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমি আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষদের সঙ্গে থেকেছি; যাকে আমার ভবিষ্যত মনে করেছি- পরে বুঝলাম সেই জায়গাটা আমার ভবিষ্যৎ না।

মূলত সিংগেল মাদার হিসেবে এই পথচলাই কঠিন ছিল মিথিলার কাছে। তা নিয়ে মিথিলা বলেন, মাতৃত্ব সহজ কিছু নয়, আর তার সঙ্গে ফুলটাইম চাকরি সামলানো। আমি ব্লেসড যে, আমি যেখানে কাজ করেছি, সেখানে ডে কেয়ার রয়েছে। একটা ব্রেস্ট ফিডিং বাচ্চাকে নিয়ে কাজ ব্যালেন্স করা, সেই সঙ্গে যখন এমন একটি ঘটনা হয়, যেটি জীবনের বড় একটি ইনসিডেন্ট বা ইভেন্ট (ঘটনা), যেখানে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে, আমি ও আমার পার্টনার একসঙ্গে থাকব না; যেখানে বাচ্চাকে কেয়ারফুলি হ্যান্ডেল করতে হয়, একটা কমপ্লিকেটেড ব্যাপার।

মিথিলা বলেন, যখন আমার বিচ্ছেদ ঘটে, তখন আইরার বয়স এক-দেড় বছর। মানে ও খুব ছোট ছিল, তখন আমাদের পাব্লিসিটি, সমাজ, ফ্যামিলি, সবার ইনভল্ভমেন্ট, এটা-সেটা কীভাবে হ্যান্ডেল করব- সেটাই চ্যালেঞ্জিং ছিল। আর এটাই ভাবতে হতো, এখন আমাকে এই বাচ্চাকে একা মানুষ করতে হবে- যেটা ছিল একটা কঠিন সময়।

তবে তিনি এও জানান, এই সময়টায় তিনি একেবারে একা ছিলেন না। তার পরিবার ও কন্যার বাবার সহযোগিতা ছিল পাশে। মিথিলার কথায়, ‘আমার মেয়ে বড় হয়েছে এমন জায়গায় যেখানে আমার মা-বাবা, ভাই-বোন সবাই রয়েছে; একটি জয়েন্ট ফ্যামিলিতে। আর ওর বাবার সাথেও ওর খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

সাধারণ মানুষের পক্ষে এখন আর সিনেমা হলে যাওয়া সহজ নয়—বলে মন্তব্য করেছেন বলিউড তারকা আমির খান। তার সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সিতারে জামিন পার’ নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে গিয়ে পিঙ্কভিলার এক সাক্ষাৎকারে এমনটা বলেন অভিনেতা।

পাশাপাশি, তিনি সিনেমার বর্তমান অবস্থা নিয়েও তার মতামত প্রকাশ করেন— বিশেষ করে, কিভাবে একটি সময়ের ‘গণমাধ্যম’ হিসেবে পরিচিত সিনেমা এখন আর সেই অবস্থানে নেই।

সিনেমা দেখা ও প্রেক্ষাগৃহের ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন এসেছে উল্লেখ করে নিজের ক্যারিয়ারের শুরুর সময়টা স্মরণ করে আমির বলেন, আমি যখন কাজ শুরু করি, তখন কেবল সিঙ্গেল স্ক্রিন হল ছিল, দিনে চারটা শো হতো।

পরে মাল্টিপ্লেক্স আসতে শুরু করে। আজকে মাল্টিপ্লেক্সের সংখ্যা বেড়েছে, আর সিঙ্গেল স্ক্রিন কমে গেছে। এখন আমাদের অধিকাংশ সিনেমা দেখা হয় মাল্টিপ্লেক্সেই।

এই মাল্টিপ্লেক্সগুলো সাধারণত শহরের ব্যয়বহুল মলগুলোতে অবস্থিত।

তাদের ভাড়া ও কাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় এত বেশি যে টিকিটের দাম অনেক বেড়ে যায়। এরপর তিনি বলেন, এই ধরনের মাল্টিপ্লেক্সে টিকিটের দাম এমনই যে অনেকের পক্ষেই তা বহনযোগ্য নয়।

সিনেমা একসময় ছিল সাধারণ মানুষের জন্য, এখন আর নয়— এমনটা জানিয়ে আমির স্পষ্ট করে বলেন, এই মাধ্যমকে একসময় ‘মাস মিডিয়াম বলা হতো কারণ সাধারণ মানুষ তখন সিনেমা দেখতে পারত। আজকে সেই সুযোগ অনেক কমে গেছে।

বিশেষ করে এখন যেহেতু সিঙ্গেল স্ক্রিন হল প্রায় নেই, সাধারণ দর্শকের পক্ষে সিনেমা হলে যাওয়া কঠিন হয়ে গেছে।

যোগ করে তিনি আরো বলেন, আমি কোনো সমালোচনা করছি না বা নালিশ করছি না, কিন্তু পার্থক্যটা বড় রকমের হয়ে গেছে, এটা আমি বলছি।

সমাধানের পথ হিসেবে লো-কস্ট সিনেমা হল’ তৈরির কথা উল্লেখ করেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট। বললেন, চীনে ৯০ হাজার স্ক্রিন আছে, আমেরিকায় ৩৫ হাজার— এটা দেখে আমার খুব আফসোস হয়। ভারতের মতো জনবহুল দেশে কেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটা সিনেমা হলও থাকবে না? যদি সস্তায় সিনেমা হল তৈরি করা যায়, সেটা পুরো ইন্ডাস্ট্রির জন্যই লাভজনক হবে।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তানিম নূর নির্মিত সিনেমা ‘উৎসব’-এর টিজার। সেখানে নিজেদের নিয়েই সমালোচনা করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, জয়া আহসান, জাহিদ হাসানসহ নন্দিত সব অভিনয়শিল্পীরা।

গত ২৯ মে সন্ধ্যায় প্রকাশ পেয়েছে ‘উৎসব’ সিনেমার টিজার। প্রথমতো, এর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক কিছুক্ষণের জন্য হলেও দর্শকদের উৎসবের আমেজে নিয়ে যাবে। সঙ্গে আছে চঞ্চল চৌধুরী, জয়া আহসান এবং অপি করিমের মজার মজার সংলাপ।

সেখানে দেখা যায়, চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত চরিত্রটি সংলাপে বলছে, ‘আজকাল টিভি খুললেই চারদিকে শুধু চঞ্চল চৌধুরীকে দেখা যায়। সবজায়গায় এই লোকটা কমন।’ মূলত তিনি চরিত্র হয়ে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে, জাহিদ হাসান যখন চরিত্র জয়াকে জিজ্ঞেস করেন, তার অভিনেত্রী জয়া আহসানের অভিনয় ভালো লাগে কিনা। এর উত্তরে জয়া চরিত্রের কণ্ঠে শোনা যায়, ‘ওর কোনও গলা আছে? ও ডায়লগ ডেলিভারি দিতে পারে?’

জাহিদ হাসান অপি করিমকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি অপি করিম না?’ এর জবাবে অপি চরিত্রের কণ্ঠে শোনা যায়, ‘কয়েকবছর অভিনয় করিনাই দেখে মানুষ কি চেহারা ভুলে গেল নাকি?’

মূলত, নিজেদের সমসাময়িক বাস্তবতাকে চরিত্র তিনটির সংলাপে নিয়ে আসাটাকে আত্মোপলব্ধির চেষ্টা বলে মনে হতে পারে দর্শকদের। সেইসাথে টিজারটি দারুণ উপভোগ করবেন দর্শক।

তানিম নূর এ বিষয়ে জানান, কেউ যদি সত্যি এমন মনে করে থাকেন, তবে তিনি স্বার্থক। কারণ ঈদ মানে যেমন আনন্দ, তেমন নিজেদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে পরিশুদ্ধ হওয়ারও বিষয়। ঈদে আমরা সবাই মিলে যেন আনন্দ করতে পারি সেজন্যই সিনেমাটি নির্মাণ করা। আর ঈদের আনন্দ তো শুধু নিজের জন্য নয়, এই আনন্দ ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়। সিনেমাতেই সেই বার্তাই রয়েছে।

টিজারের একদম শেষে চঞ্চলের সেই বিখ্যাত হাসি আর ডায়লগ শোনা যায়-‘কি, ভয় পাইসো?’ সেই হাসি শুনে জাহিদ হাসান বলেন, ‘ধ্যাত, পাইসে একই জিনিস!’ তখন চঞ্চল অভিনীত চরিত্রের কণ্ঠে শোনা যায়, ‘কী আশ্চর্য, লোকটা রেগে গেল কেন?’ জাহিদ হাসানের এই সংলাপটি ‘আজ রবিবার’ নাটকের  দর্শকদের চেনা লাগতে পারে ।

টিজারে দেখা গিয়েছে সৌম্য জ্যোতি এবং সাদিয়া আয়মানের সুন্দর কিছু মুহূর্ত।

তানিম নূর জানান, চরিত্রগুলোর লুক এবং তাদের কিছু দৃশ্য দর্শকদের সামনে হাজির করা হলো। সিনেমার গানসহ আরও কিছু প্রকাশ পাবে শীঘ্রই।

‘উৎসব’ সিনেমার ট্যাগ লাইনেও  ব্যবহার করা হয়েছে ‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ-পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ’।হাস্যরস পরিবার এবং সম্পর্কের সিনেমা ‘উৎসব’ হয়ে উঠতে পারে সম্পূর্ণ পারিবারিক বা সামাজিক সিনেমা।

ব্র্যাক ব্যাংক প্রেজেন্টস ’উৎসব’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ডোপ প্রোডাকশন্স, সহ-প্রযোজনায় আছে চরকি। সিনেমার সহযোগী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে লাফিং এলিফ্যান্ট। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও মুক্তি পাবে সিনেমাটি। ‘উৎসব’ এর আন্তর্জাতিক ডিসট্রিবিউশনে আছে ‘স্বপ্ন স্কোয়ারক্রো’ ও ‘পথ প্রোডাকশনস’।

সিনেমাটির গল্প লিখেছেন তানিম নূর, আয়মান আসিব স্বাধীন, সুস্ময় সরকার ও সামিউল ভূঁইয়া। ডিরক্টর অব ফটোগ্রাফি হিসেবে কাজ করেছেন রাশেদ জামান। সিনেমাটির কাহিনিকার তানিম নূর, আয়মান আসিব স্বাধীন, সুস্ময় সরকার ও সামিউল ভূঁইয়া। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন আয়মান আসিব স্বাধীন ও সামিউল ভূঁইয়া।

‘উৎসব’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, জয়া আহসান, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, তারিক আনাম খান, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সৌম্য জ্যোতি ও সাদিয়া আয়মান।

নিজের গান নিয়ে বিশ্বভ্রমণে কলম্বিয়ান পপতারকা শাকিরা। কনসার্টের নাম ‘লাস্ট মুহেরেস ইয়া নো লোরান’, বাংলায় অর্থ করলে দাঁড়ায়– ‘মেয়েরা আর কাঁদবে না’। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তার এই কনসার্ট দেখতে ভিড় করছেন অগণিত ভক্ত।

এই কনসার্টের অংশ হিসেবে সম্প্রতি কানাডার কুইবেকের মন্ট্রিয়লের বেল সেন্টারে গাইতে গাইতে আচমকা মাটিতে পড়ে যান শাকিরা। তখন তিনি গাইছিলেন তার বিখ্যাত গান ‘হোয়েনএভার, হয়ারএভার’। এ তথ্য জানিয়েছে পিপলডটকম।

তবে উঠে দাঁড়িয়ে মুহূর্তেই আবার চালিয়ে যান পারফরম্যান্স। এই ঘটনায়ক প্রাথমিকভাবে চিন্তিত হলেও মঞ্চে শাকিরার ‘কামব্যাক’ দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ তার ভক্ত-অনুরাগীরা। সবার মুখে একটাই কথা– শাকিরাই সেরা।

শাকিরার সহসা পড়ে যাওয়ার সেই মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিকমাধ্যমে। সেটি দেখে অনেকেই তার পেশাদারিত্বের প্রশংসা করছেন। আবার কেউ কেউ সুস্থতা কামনা করছেন এই সুপারস্টারের।

একজন লিখেছেন, ‘তিনি একদম বসের মতো পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন।’ আরেকজন লেখেন, ‘এটা দারুণ দৃষ্টান্ত! আশা করি, তিনি আঘাত পাননি। এমন পড়ে যাওয়ার পরদিনই সাধারণত ব্যথা শুরু হয়।’

শাকিরার এই কনসার্ট ট্যুরটি শুরু হয় চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি, ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো থেকে। এখন পর্যন্ত এই ট্যুরে তিনি অংশ নিয়েছেন হিউস্টন, সান দিয়েগো, বোস্টন, টরন্টো, মায়ামির মতো শহরে।

ফেসবুকে ‘মৃত মানুষকে কখনও লাইভে আসতে দেখেছো?’ ক্যাপশন লিখে চিত্রনায়িকা পরীমনি বললেন, আমি সুস্থভাবে বেঁচে আছি। সোমবার (১৯ মে) রাতে সামাজিক মাধ্যমে অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভে এসে ‘পরীমণির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে’ খবরটি সঠিক নয় জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, চার বছর আগে যা বলেছিলাম, সে কথাই বলছি। আমি স্বাভাবিক মৃত্যু পছন্দ করি। কোনওভাবেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেবো না। আমি আমার বাচ্চাদের নিয়ে সুখী আছি। ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে—এমন খবর রটিয়ে দিয়ে কোনও লাভ হবে না। আবারও বলছি, যদি দেখেন হঠাৎ আমার মৃত্যু হয়েছে, জানবেন—আমাকে খুন করা হয়েছে। আত্মহত্যা করিনি।

তিনি আরও বলেন, আমি বেঁচে আছি, বুঝেছেন? প্রমাণিত। আমি জীবনে সুইসাইড করবো না, এমন ঘটনা ঘটবে না। মরতে তো সবারই হবে—তবে স্বাভাবিক মৃত্যু সেটাও উল্লেখ করেন পরিমনি।

বর্তমানে তিনি নতুন একটা সিনেমার স্যুট করছেন বলেও লাইভে জানান। এনিয়েই মূলত তার এখন ব্যস্ততা।