সরকারি হস্তক্ষেপে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে অপসারণ করা হচ্ছে জানিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) অভিযোগ জানিয়েছেন ফারুক আহমেদ।

শুক্রবার (৩০ মে) সকালে যমুনা টেলিভিশনকে ফারুক আহমেদ এ তথ্য জানান। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মনোনয়ন বাতিল করার সঙ্গে সঙ্গেই আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।

এর আগে, ২৮ মে রাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেন ফারুক। সেখানেই তাকে জানানো হয়, সরকার আর তাকে বিসিবির নেতৃত্বে দেখতে চায় না। তবে ফারুক আহমেদ স্পষ্টভাবে জানান, তিনি পদত্যাগ করবেন না।

এরইমধ্যে বিসিবি সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জানিয়ে চিঠি দেন বোর্ডের ৮ পরিচালক। সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি।

২৯ মে রাতে পরিচালকদের অনাস্থা প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে এক অফিস আদেশে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এই বিজ্ঞপ্তির পর বিসিবি সভাপতির পদ শূন্য হয়। এখন নিয়মানুযায়ী নতুন কেউ বিসিবি সভাপতি হবেন বলেই ধরে নেয়া যাচ্ছে।

এদিকে আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী, একটি দেশের ক্রিকেট বোর্ড হবে স্বায়ত্বশাসিত এবং বোর্ড প্রশাসনের ওপর সরকারের কোনো ধরনের প্রভাব থাকবে না। কোনো ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসনে সরকারি হস্তক্ষেপ হলে তা সদস্যপদ স্থগিতের কারণ হতে পারে।

এক্ষেত্রে যদি বিসিবি সভাপতির অপসারণে সরকারি হস্তক্ষেপ প্রমাণিত হয়, তবে আইসিসি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে। যার মধ্যে সদস্যপদ স্থগিত করা, আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা, বা আর্থিক সহায়তা বন্ধ করা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। তবে, আইসিসি সাধারণত এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিস্তারিত তদন্ত করে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে।

২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড এবং ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে আইসিসি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তগুলোর পেছনে আইসিসির মূল যুক্তি ছিল, ক্রিকেট বোর্ডের স্বায়ত্তশাসনে সরকারি হস্তক্ষেপ আইসিসির নীতিমালার পরিপন্থী।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক পাকিস্তানের কাছে ৩৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের দেয়া ২০২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে হাসান আলির দুর্দান্ত বোলিং তোপে ১৬৪ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ৩০ রানের খরচার ৫ উইকেট তুলে নেন হাসান।

নির্দিষ্ট রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। জোড়া আঘাত হানেন হাসান আলি। দলীয় ১৪ ও ব্যক্তিগত ৪ রানেই হ্যারিস রউফের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার ইমন। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসানকেও সাজঘরে ফেরান হাসান। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৩৭ রানেই ২ উইকেট হারায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

ব্যক্তিগত অর্ধশতকে পৌঁছানোর মাত্র ২ রান আগে ফখর জামানের তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অধিনায়ক লিটন দাস। তাওহিদ হৃদয়ও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি ক্রিজে। খুশদিল শাহর লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন হৃদয়।

দলের বাকি ব্যাটাররা সবাই বিদায় নেন এক অঙ্কের রানে। শেষ পর্যন্ত, ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় বাংলাদেশ।

হাসান আলির ফাইফারের পাশাপাশি পাকিস্তানের পক্ষে ২টি উইকেট তুলে নেন সাদাব খান। এছাড়া ১টি করে উইকেট পান ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ ও সালমান আগা।

এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে খেই হারালেও দলীয় অধিনায়ক সালমান আগার অর্ধশতকে ২০১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিক পাকিস্তান।

শুরুতেই স্বাগতিকদের দুই ওপেনিং ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান মেহেদী-শরিফুল। ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই পাক শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদী। শূন্য রানে ফেরেন সাইম আইয়ুব। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই শরিফুলের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন আরেক ওপেনার ফখর জামান। দলীয় ৫ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।

এরপর দলের হাল ধরেন সালমান আগা ও মোহাম্মদ হ্যারিস। দুজনের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৩১ ও ৫৬ রান। দলীয় ৫৩ ও ব্যক্তিগত ৩১ রানে তানজিমের বলে তানজিদের তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন হ্যারিস। হাসান নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক আগা।

মাত্র ২৯ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটির দেখা পান আগা। তবে হাসানের বলে তানজিদের ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। রিশাদের বলে বিদায় নেয়ার আগে ২২ বলে দুর্দান্ত ৪৪ রানের এক ইনিংস খেলেন নওয়াজ। ২টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে।

সাদাব খানের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে ফাহিম আশরাফ ও খুশদিল শাহ করেন যথাক্রমে ১১ ও ৫ রান। শেষ পর্যন্ত ২০১ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস।

বাংলাদেশের পক্ষে ৩২ রানের খরচায় ২টি উইকেট তুলে নেন শরিফুল। ইনিংসে বোলিং করা বাকি পাঁচজনই পান ১টি করে উইকেট।

উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবার একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দু’দল।

বার্সেলোনার সাথে চুক্তি বাড়লো তরুণ তারকা লামিন ইয়ামাল। রেকর্ড মূল্যে ২০৩১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এই স্প্যানিশ তারকার সঙ্গে।

২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বার্সার সঙ্গে চুক্তি ছিল লামিন ইয়ামালের। তবে, এই ফুটবলার বহুবারই বলেছেন বার্সাতেই থাকতে চান তিনি। এখান থেকেই হতে চান মহাতারকা। ক্লাবটাকে দিয়েছেনও অনেক কিছু।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বার্সা প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তার উপস্থিতিতে চুক্তি নবায়নপত্রে স্বাক্ষর করেন ইয়ামাল। বার্সার হয়ে এখন পর্যন্ত তিনি খেলেছেন ১০৬ ম্যাচ। যেখানে ২৫ গোল ও ৩৪ অ্যাসিস্ট রয়েছে ইয়ামালের।

এবারের মৌসুমে বার্সার ট্রেবল জয়ের অন্যতম কারিগর তিনি। ফুটবল পায়ে বিস্ময়ের জন্ম দেয়া ইয়ামালকে আরও ছয় বছর নিজেদের করে রাখলো কাতালান ক্লাবটি।

ইংলিশ ফুটবল লিগ (ইএফএল) চ্যাম্পিয়নশিপের প্লে-অফ ফাইনালে সান্ডারল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হেরে প্রিমিয়ার লিগে নাম লেখাতে ব্যর্থ হলো গেল হামজা চৌধুরীর শেফিল্ড ইউনাইটেড। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে দারুণ এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েছে ব্ল্যাক ক্যাটস। এর মধ্য দিয়ে ২০১৭ সালের পর প্রিমিয়ারে ফিরল তারা।

এদিন ম্যাচের ২৫ মিনিটে টাইরেস ক্যাম্পবেলের গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় শেফিল্ড। এই গোলের জোরেই এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধেও সে দাপট ছিল তাদের। গোলের ভালো সুযোগ তৈরির দিক দিয়ে এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু ভালো ফিনিশিংয়ের অভাবে এক গোলের লিড নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।

ম্যাচের যখন আরে মোটে ১৪ মিনিট বাকি, ঠিক সে সময়ই তাদের লিড খোয়া যায়। স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড এলিজার মায়েন্দার গোলে সমতায় ফেরে সান্ডারল্যান্ড।

আর যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে থমাস ওয়াটসনের গোলে প্রিমিয়ার লিগে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত হয় দলটির।

এর ফলে মৌসুমটা মোটামুটি ভালো কাটালেও তীরে এসে তরী ডুবল শেফিল্ডের। চ্যাম্পিয়নশিপে সদ্যসমাপ্ত মৌসুমের একটা বড় সময় ধরে দলটা ছিল শীর্ষস্থানে। শেষ দিকে এসে টানা হেরে তাদের সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ গচ্চা যায়। এরপর প্লে অফের সেমিফাইনালে বড় জয় নিয়ে যাও একটা আশা জেগেছিল দলটার, ফাইনালে সে আশা গেল ভেস্তে। যার ফলে দলটাকে এখন আগামী মৌসুমে আবারও খেলতে হবে চ্যাম্পিয়নশিপেই।

একই ভাগ্য হামজা চৌধুরীরও। চলতি মৌসুম শেষে তিনি ফিরে যেতে পারেন লেস্টার সিটিতে। সে দলটাও প্রিমিয়ার লিগ থেকে নেমে গেছে চ্যাম্পিয়নশিপে, এখন শেফিল্ডও ব্যর্থ হলো প্রিমিয়ার লিগে নাম লেখাতে। ফলে ইংল্যান্ড না ছাড়লে আগামী মৌসুমে আবারও এই চ্যাম্পিয়নশিপেই খেলতে হবে হামজাকে।

আগামী ১০ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের বহুল আকাঙ্খিত হোম ম্যাচের টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইটটি সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। এ কারণে সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে টিকিফাই ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

শনিবার (২৪ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বাফুফে এ তথ্য জানায়। টিকিট বিক্রির বিষয়ে নতুন আপডেট খুব শীঘ্রই জানানো হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে আগামী ১০ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়ে ঘরের মাঠে অভিষেক হবে হামজা চৌধুরী ও সমিত সোমের। ভক্তদের তুমুল আগ্রহের এই ম্যাচের টিকিট শনিবার দুপুর ১২টা থেকে টিকিফাই ডট লাইভ ওয়েবসাইটে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ বাফুফে জানায়, বাংলাদেশ বনাম সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট অনলাইনে রাত ৮টা থেকে ছাড়া হবে।

নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই টিকিফাই ডট লাইভের ওয়েবসাইটে ঢু মারতে থাকেন ভক্তরা। শুরুর দিকে কয়েক মিনিট বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ অপশনে ক্লিক করে ভেতরে প্রবেশ করা গেলেও পরে আর তা করা যায়নি। মূলত টিকিট বিক্রির টিকিফাই ওয়েবসাইটটি সাইবার আক্রমণের শিকার হওয়ায় টিকিট কাটতে পারননি সমর্থকরা।

উল্লেখ্য, এক সময় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর পর কানাডা প্রিমিয়ার লিগে খেলা সমিত সোম ও ইতালির চতুর্থ বিভাগে খেলা ফাহমিদুল ইসলামেরও বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হতে যাচ্ছে আগামী ১০ জুন। ঘরের মাঠে এবারই প্রথম একসঙ্গে খেলতে নামবেন হামজা-সমিত সোমরা। গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে ড্রয়ের পর সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচেও ভালো ফলের প্রত্যাশায় সমর্থকরা।

ক্যারিয়ারে বহু গোল করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। তবে, এতো গোলের মধ্যে কোন গোলটি তার প্রিয়— এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে, খেলার মাঠ কিংবা টিভির সামনে ভক্তদের মধ্যে চলে তুমুল তর্ক-ঝগড়া। অবশেষে, মেসি নিজেই বৃহস্পতিবার (২২মে) এক বিবৃতিতে বলে দিয়েছেন; কোন গোলটি তার সবচেয়ে প্রিয়।

মেসি বলেন, ‘আমার অনেক গোল ছিল যা সম্ভবত সুন্দর পরিস্থিতি অনুযায়ী বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে ২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে হেড দিয়ে যে গোলটি করেছিলাম, সেটি সবসময় আমার প্রিয় ছিল।’

২৭ মে, ২০০৯! স্টুডিও অলিম্পিকো স্টেডিয়ামে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে মাঠে নামে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। সেসময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যাচের মাত্র ৯ মিনিটের মাথায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জালে গোল করেন বার্সা তারকা স্যামুয়েল ইতো। এরপর ম্যাচের ৭০ মিনিটে বার্সা মিডফিল্ডার জাবি’র পাসে হেড করে গোল করেন মেসি। আর তাতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতে বার্সেলোনা।

সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শরাফু-আসিফের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে আমিরাত। শরাফুর ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। এতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বুধবার (২১ মে) শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দু’দল।

নির্দিষ্ট রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মুহাম্মদ ওয়াসিমকে হারায় স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। দলীয় ১৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় আমিরাত।

এরপর মুহাম্মদ জোহাইবকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন আলিশান শরাফু। ব্যক্তিগত ২৯ রানে রিশাদের বলে সাজঘরে ফেরেন জোহাইব। ক্রিজে আসেন রাহুল চোপড়া। তার ব্যাট খুব একটা হাসেনি। মাত্র ১৩ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। দলীয় ৭৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যান শরাফু। তাকে সঙ্গ দেন আসিফ খান। শেষ পর্যন্ত শরাফুর ৬৮ ও আসিফের ৪১ রানের সুবাদে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই ম্যাচ জেতে আমিরাত।

বাংলাদেশের পক্ষে ১টি করে উইকেট তুলে নেন শরিফুল, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।

এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ‘মাঝারি’সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। শুরুতে দেখেশুনে খেলতে থাকে দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমন। প্রথম ওভারেই দলীয় স্কোরবোর্ড জমা হয় ১০ রান।

এরপরই ছন্দপতন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে সাজঘরে ফেরেন ইমন। ক্রিজে আসেন অধিনায়ক লিটন দাস। ১০ বলে ১৪ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।

আরেক ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটও হাসেনি এদিন। শুন্য রানেই ফেরেন তিনি। ব্যক্তিগত ২ রানে হায়দার আলীর তৃতীয় শিকার হয়ে ক্রিজ ছাড়েন মেহেদী।

পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে বাংলাদেশ। একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন তানজিদ তামিম।

৪০ রানের ইনিংস খেলে আকিফ রাজার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার তানজিদ। তার ব্যাট থেকে আসে ৪টি করে চার ও ছক্কার একেকটি দৃষ্টিনন্দন শট।

জাকের আলীর ব্যাটে ভর করে শতরান পেরোয় সফরকারীরা। তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। শেষ দিকে, হাসান মাহমুদ খেলেন ১৫ বলে ২৬ রানের ইনিংস। শরিফুলের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। বাকি ব্যাটারদের সবাই বিদায় নেন অঙ্কের রানে।

অতিরিক্ত রান আসে ৬টি। শেষ পর্যন্ত ১৬২ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

স্বাগতিকদের পক্ষে ৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট তুলে নেন হায়দার আলী। ২টি উইকেট পান মতিউল্লাহ খান ও সাগির খান।

উল্লেখ্য, আরব আমিরাত সফর শেষে পাকিস্তানে উড়াল দেবে লিটন দাসের দল। সেখানে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে তারা। ২৮ মে প্রথম ম্যাচের পর বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ৩০ মে ও ১ জুন। সবগুলো খেলা-ই অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।

জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর সামাজিকমাধ্যমে ‘নো মোর ক্রিকেট’ লিখে আলোচনায় এসেছিলেন নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। মাঝে সুযোগ পেলেও আবারও বাদ পড়েন। গত তিন বছর ধরে কোনো দলেই সুযোগ পাননি এই টাইগ্রেস অলরাউন্ডার। এবার ক্যারিয়ার ধ্বংসের অভিযোগ এনে এক পোস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে ন্যায়বিচার চাইলেন তিনি।

মঙ্গলবার (২০ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এমন দাবি করেন ক্রিকেটার রুমানা।

খোলা চিঠির মতো করে বিসিবির কাছে তিনি লেখেন, বিসিবির সম্মানিত অভিভাবকগণ। আমি খেলি কিংবা না খেলি, এই অনৈতিকতা ও অরাজকতা চলতে পারে না। দয়া করে নির্দিষ্ট করে কিছু বলুন। কোনো কারণ ছাড়াই তিন বছর (না খেলানো) মজার কিছু নয়!

রুমানা আরও যোগ করেন– আমার রেকর্ড বলছে, আমি বাজে ক্রিকেট খেলি না এবং অনৈতিক কিছুও করিনি। সিনিয়রিটি কখনও অভিশাপ হতে পারে না। আমার উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ধংসের পেছনে যারা জড়িত, তাদের বিচার করতেই হবে।

২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক রুমানার। ফিটনেস ইস্যু টেনে বছর তিনেক আগে দল থেকে বাদ পড়েন এই অলরাউন্ডার। এরপর আর সুযোগ পাননি বাংলাদেশ নারী দলের হয়ে ৫০ ওয়ানডে ও ৮৪ টি-টোয়েন্টি খেলা এই ক্রিকেটার।

নব্বই দশক থেকে বার্সেলোনা নিজেদের মাঠে মাত্র দুবার লা লিগার শিরোপা জয় নিশ্চিত করতে পেরেছে। কিন্তু একুশ শতকে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলের মাঠে তার চেয়ে বেশিবার লিগ শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে।

২০১৩ সালে এস্পানিওলের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদ ড্র করায় লিগ নিশ্চিত হয়েছিল বার্সার। ২০২৩ সালে এস্পানিওলের মাঠেই লিগ জয় নিশ্চিত হয়েছিল গাভি-পেদ্রিদের। আর এবারও এস্পানিওলকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে নিজেদের ২৮তম লিগ শিরোপা জয় নিশ্চিত করলো হান্সি ফ্লিকের দল। সর্বোচ্চ ৩৬বার লিগ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল।

বার্সেলোনার সামনে সহজ হিসাব ছিল। এস্পানিওলকে তাদের মাঠে হারাতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন। আরসিডিই স্টেডিয়ামে লামিন ইয়ামাল জাদুতে বার্সা তা করতে সক্ষমও হলো। ইয়ামাল গোল করলেন, করালেন, কেড়ে নিলেন সব আলো। তার জাদুতে ভর করেই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে দিলো ২-০ গোলের ব্যবধানে। বার্সা হলো চ্যাম্পিয়ন!

এই জয়ে বার্সার পয়েন্ট দাঁড়ালো ৮৬, যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের থেকে ৭ পয়েন্ট বেশি। হাতে আছে মাত্র দুটি ম্যাচ, ফলে আর কোনোভাবেই ফ্লিকের দলকে রিয়ালের পক্ষে ধরা সম্ভব নয়।

এতে বার্সা কোচ হিসেবে প্রথম মৌসুমেই দারুণ সাফল্য পেলেন ফ্লিক। ক্লাবটিতে অভিষেক মৌসুমেই জিতলেন কোপা দেল রে, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ। এমন সফল মৌসুমে শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগটাই অধরা রয়ে গেল এই জার্মান কোচের।

বার্সাকে অবশ্য ম্যাচে গোলের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে ৫৩ মিনিট পর্যন্ত। ইয়ামাল ডান পাশ থেকে ভেতরে এসে বাম পায়ের বাঁকানো শটে গোল করেন, যা ইউরো সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে করা তার গোলের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল। এরপর ৯৫ মিনিটে তার পাস থেকে ফেরমিন লোপেজের গোলে নিশ্চিত হয় জয়।

শেষ দিকে এস্পানিওল ১০ জনের দলে পরিণত হয়। লিয়ান্দ্রো কাবরেরা ইয়ামালের পেটে কনুই মেরে লাল কার্ড দেখেন। এক খেলোয়াড় কম নিয়েও অবশ্য স্বাগতিকরা বার্সাকে চেপে ধরেছিল, কিন্তু এদিন ভবিতব্য লিখে রেখেছিল বার্সার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গল্প।

রিয়াল মাদ্রিদের হেড কোচ কার্লো আনচেলত্তি স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ব্রাজিল জাতীয় দলের নতুন হেড কোচ হতে যাচ্ছেন। ৬৫ বছর বয়সী এই ইতালীয় কোচ লা লিগা মৌসুম শেষে আগামী ২৬ মে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাজিল দলের দায়িত্ব নেবেন।
চলতি মৌসুমটা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদের। একের পর এক শিরোপা হাতছাড়া হওয়ায় দিশেহারা কার্লো আনচেলত্তি। শিরোপাশূন্য মৌসুম শেষের শঙ্কায় আছে ইউরোপের সফলতম ক্লাবটি।
জাবি আলোনসো রিয়াল মাদ্রিদের নতুন হেড কোচ হিসেবে যোগ দেওয়ার চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন। স্প্যানিয়ার্ড এই কোচ প্রাথমিকভাবে গ্যালাক্টিকোদের সাথে তিন বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে চলেছেন বলে দাবি করেছে বেশ কিছু স্প্যানিশ গণমাধ্যম।
এদিকে, চলতি বছরে বুন্দেসলিগা মৌসুম শেষে, কার্লো আনচেলত্তির স্থানে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন জাবি আলোনসো। খবরটি নিশ্চিত করেছেন ফুটবল বিষয়ক সংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো। তার মতে, রিয়াল মাদ্রিদ ও আলোনসোর মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তার কোচিং স্টাফ চূড়ান্ত করার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদ পরিকল্পনা করছে, আলোনসো এই গ্রীষ্মে ক্লাব বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেবেন।
এদিকে, নিজের উত্তরসূ্রী হিসেবে জাভি আলোনসোকে রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউটে দেখতে বেমানান লাগবে না বলে জানিয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি।
কার্লো আনচেলত্তি বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে, আলোনসো বায়ার লেভারকুজেন ছাড়ছে। সে অবিশ্বাস্য কাজ করেছে এবং তার জন্য দরজা খোলা আছে। কারণ সে প্রমাণ করেছে যে, সে বিশ্বের সেরাদের মধ্যে একজন।

কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে হ্যালিফিক্স ওয়ান্ডারার্সকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশি ফুটবলার শমিত সোমের ক্যাভালরি এফসি। গোলের দেখা না পেলেও গোল করিয়েছেন শমিত সোম।

ম্যাচের প্রথমার্ধেই পেনাল্টি থেকে ক্যাভালরিকে এগিয়ে দেন টোবিয়াস ওয়ারচেস্কি। সেই পেনাল্টি আদায় করেন আলি মুসি। এরপর ৮৩ মিনিটে স্কোরশিটে নিজের নাম লেখান মুসি। এর এক মিনিট পরেই শমিত সোমের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে হ্যালিফিক্সের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকেন মুসি।

গোল না পেলেও পুরো ম্যাচে ৮৯% পাস অ্যাকুরেসি ছিলো শমিতের। অ্যাসিস্টের পাশাপাশি ম্যাচে ২টি বড় সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি। ৫ বার বল পাঠিয়েছেন প্রতিপক্ষের ফাইনাল থার্ডে। ক্রসিংয়েও সফল ছিলেন শমিত।

এই ম্যাচে জয়ের পর ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এসেছে শমিতের দল।

শমিত সোমের জন্ম ও বেড়ে ওঠা কানাডায় তবে তার মা-বাবা বাংলাদেশি। ২০২০ সালে কানাডা জাতীয় দলের হয়ে ২টি ম্যাচ খেলেছেন এই মিডফিল্ডার।

সব ঠিক থাকলে আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হবে শমিত সোমের।