বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই দেশটাকে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের, গত ১৫ বছরে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে, এখন সময় এসেছে নতুন করে গড়ে তোলার। দলমত নির্বিশেষে যোগ্য ব্যাক্তিদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ক্রীড়াঙ্গনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। অতীতে একটি সময়ে ক্রিকেট বোর্ডের সদস্য থাকায় আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি, সেই থেকে ক্রিকেটের প্রতি ভালোলাগা।
শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের শহীদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে মির্জা রুহুল আমিন স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, এখন অনেক সহজ হয়েছে, অতীতে সহজেই ক্রিকেট খেলা দেখতে পাওয়া যেত না। একটি সময়ে আমরা সকলেই এক সঙ্গে ডিস এন্টেনা লাগিয়ে খেলা দেখতাম। ভবিষ্যতে এই জেলার খেলার মান আরও বৃদ্ধি পাবে এটাই প্রত্যাশা করি।
তিনি এখন খেলার জগত থেকে ভিন্ন জগতে চলে গিয়েছেন উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি খেলার সঙ্গে রাজনীতিকে আনার পক্ষে নই। খেলাধুলা ও ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতি মুক্ত হওয়া উচিত। যারা যোগ্য, তারা খেলবেন এবং যারা মাঠে খেলেন তাদের হৃদয় অনেক বড় হয়, যা প্রমাণিত, যেখানে দল মত ছিল না। একসময় আমরা একেকজন একেক মত ও দল সমর্থন করতাম। কিন্তু ক্রিকেট ও খেলাধুলার সময় সকলেই এক হয়ে যেতাম, ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেতাম।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এই স্টেডিয়াম যখন নির্মাণ করা হয় তখন আমার পিতা মির্জা রুহুল আমিন এর নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই স্টেডিয়ামের জমি তিনি অধিগ্রহণ করে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে নির্মাণ ব্যায়ের জন্য বিভিন্ন ফান্ড সংগ্রহ করা হয়েছিল। এখন এই স্টেডিয়ামের পরিবেশ অনেক উন্নত হয়েছে। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আজকে নতুন করে একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সৃষ্টি করার পরিবেশ ও সুযোগ এসেছে তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
এই টুর্নামেন্টে ঢাকা, রাজশাহী,পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর,পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ের মোট ১৬টি দল অংশগ্রহণ করে। ফাইনাল খেলায় দিনাজপুর ডমিনেটরকে ৬ ইউকেটে হারিয়ে চাম্পিয়ন হয় পাবনা জেলা।