Aliquam dui nulla, fermentum sit amet ante et, tempor facilisis metus. Aenean aliquam ultricies tellus at elementum. Morbi quis cursus tortor, id vulputate felis.

Aliquam dui nulla, fermentum sit amet ante et, tempor facilisis metus. Aenean aliquam ultricies tellus at elementum. Morbi quis cursus tortor, id vulputate felis.

এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর রাগ করে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইলন মাস্ক। প্রেসিডেন্টের কর ও ব্যয় সংকোচন বিল নিয়ে ক্ষেপেছেন এই শীর্ষ ধনকুবের। যেসব আইনপ্রণেতা বিলের পক্ষে ভোট দেবেন, তাদেরও দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি। তবে পাল্টা জবাবে ইলন মাস্কের সব প্রতিষ্ঠানের ভর্তুকি পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। তার দাবি, ভর্তুকি বন্ধ হলে মাস্ককে ব্যবসা গুটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে বেশ সরব ছিলেন ইলন মাস্ক। আলোচিত দুই ব্যক্তির রসায়ন সে সময় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার পেছনে কোটি কোটি ডলার খরচ করেছেন মাস্ক—এমন গুঞ্জনও রয়েছে।

ট্রাম্পের জয়ের পর রীতিমতো তার ছায়াসঙ্গী হয়ে ওঠেন টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান। দক্ষতা বিষয়ক বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পাশাপাশি, মন্ত্রিসভা গঠন থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্টের প্রতিটি সিদ্ধান্তে তার প্রভাব নজর এড়ায়নি। বিভিন্ন নীতিতে পরস্পরকে অন্ধ সমর্থন দিয়েছেন, সমালোচনার মুখে একে অপরের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।

ট্রাম্প ও মাস্কের এই ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বে ফাটল ধরতেও সময় লাগেনি। মার্কিন প্রশাসনে ১৩০ দিনের দায়িত্ব পালন শেষে ট্রাম্পকে যেনো নিজের শত্রু বানিয়ে নিয়েছেন মাস্ক। প্রেসিডেন্টের কর ও ব্যয় সংকোচন সংক্রান্ত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’-কে কেন্দ্র করে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে দুই বন্ধুর মধ্যে।

নিজের সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া একের পর এক পোস্টে আলোচিত বাজেট বিলটির তীব্র সমালোচনা করেন টেসলার সিইও। যেসব আইনপ্রণেতা বিলটির পক্ষে অবস্থান নেবেন, তাদের দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।
পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রে একদলীয় শাসন চলছে বলে অভিযোগ করে ‘আমেরিকান পার্টি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

চুপ থাকেননি ট্রাম্পও। ক্ষোভ ঝেড়েছেন ইলন মাস্কের ওপর। তার অভিযোগ, মাস্কের প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি পেয়েছে। আর এই ভর্তুকি না পেলে তাকে ব্যবসা গুটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে হবে বলেও মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শীর্ষ ধনকুবেরকে দেয়া ভর্তুকি পুনর্বিবেচনায় দক্ষতা বিষয়ক বিভাগকে নির্দেশও দিয়েছেন ট্রাম্প।

ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বিশেষ করে তেল রফতানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে শর্ত হচ্ছে, ইরানকে অবশ্যই শত্রুতাপূর্ণ আচরণ বন্ধ করে ভালো ব্যবহার করে শান্তির পথে ফিরে আসতে হবে।

স্থানীয় সময় রোববার (২৯ জুন) ফক্স নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা আমাদের অনেক টাকা খরচ করছে, কিন্তু আমি ইরানের মতো দেশগুলোর জন্য এগুলো শিথিল করতে প্রস্তুত, যদি তারা ভালো আচরণ করে। তারা তেল বিক্রি করতে পারবে এবং অন্যান্য কাজও করতে পারবে যা তারা করতে চায়’।

গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে চীন এখন থেকে ইরান থেকে তেল কিনতে পারবে। তবে এই পোস্টের ঠিক একদিন পর তিনি বলেন, ইরানের তেল রাজস্ব বন্ধ করার তার কোনও উদ্দেশ্য নেই, কারণ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর দেশটিকে পুনর্গঠনের জন্য এই অর্থ প্রয়োজন।

তবে শুক্রবার (২৭ জুন) ট্রাম্প জানান, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের পুনর্গঠনে সহায়তার লক্ষ্যে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের কাজ তিনি সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছেন।

রোববারের (২৯ জুন) সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এই অভিযোগ নাকচ করে দেন যে তার প্রশাসন চীনকে নিষিদ্ধ ইরানি তেল কিনতে অনুমতি দিয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নিষেধাজ্ঞা এখনও বলবৎ আছে। তবে তিনি যোগ করেন, ‘যদি তারা কাজ করে, শান্তিপূর্ণ থাকে এবং প্রমাণ করে যে আর ক্ষতি করবে না, তাহলে আমি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেব’।

ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের আব্রাহাম চুক্তির প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি বলেন, ইরানের হুমকি আগে এই অঞ্চলে শান্তির প্রধান বাধা ছিল। ইরানই ছিল মূল সমস্যা।

ট্রাম্প এও বলেন, ‘আমি মনে করেছিলাম একটা সময় আসবে যখন ইরানও আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে। সত্যি বলতে, সেটা তাদের জন্য বর্তমান অবস্থার চেয়ে ভালো হতো’।

তিনি আরও বলেন, ইরানের সাম্প্রতিক প্রতিকূলতার পর নতুন কিছু দেশ এই চুক্তিতে যোগ দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে, তবে তিনি সুনির্দিষ্ট কোনও দেশের নাম উল্লেখ করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।