মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী অক্টোবরের ৩০ তারিখ থেকে নভেম্বর ১ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন এপ্যাক) সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে চীন সফর করতে পারেন, অথবা সেই সম্মেলনের ফাঁকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। স্থানীয় সময় রোববার (২০ জুলাই) একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

দুই দেশই ক্রমবর্ধমান পাল্টাপাল্টি শুল্কযুদ্ধের অবসানে আলোচনার চেষ্টা করছে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্য ও সরবরাহ শৃঙ্খলকে বিপর্যস্ত করেছে। এক সূত্র জানিয়েছে, এ বছরই ট্রাম্প ও শির মধ্যে একটি বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে, তবে এখনো দিন-তারিখ বা স্থান নির্ধারিত হয়নি।

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া প্রায় সব বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করতে চাইছেন, যার মাধ্যমে তিনি দেশীয় উৎপাদন উৎসাহিত করার কথা বলেছেন। সমালোচকরা বলছেন, এতে সাধারণ মার্কিন নাগরিকদের জন্য ভোক্তা পণ্যের দাম বেড়ে যাবে।

তিনি একটি সর্বজনীন ভিত্তিক শুল্ক হার ১০% প্রস্তাব করেছেন, যা সব দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে, এবং ‘সমস্যাজনক’ দেশগুলোর জন্য উচ্চতর হারে শুল্ক আরোপের কথা বলেছেন—যার মধ্যে চীন অন্যতম। বর্তমানে চীনের পণ্যে সর্বোচ্চ ৫৫% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্প আগামী ১২ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একটি টেকসই শুল্ক চুক্তি চূড়ান্ত করার সময়সীমা দিয়েছেন।

তবে, এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের মুখপাত্র এই সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

দুই দেশের সর্বশেষ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় ১১ জুলাই মালয়েশিয়ায়, যেখানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই একটি ‘গঠনমূলক ও ইতিবাচক’ বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছেন।

রুবিও তখন বলেছিলেন, ট্রাম্পকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং দুই নেতা এই বৈঠক করুক এমনটাই আশা।

চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও বলেছেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে চায় এবং ইউরোপে সাম্প্রতিক আলোচনায় প্রমাণ মিলেছে যে, শুল্কযুদ্ধ অপ্রয়োজনীয়।

সূত্র: রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০ বিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা করেছেন মিডিয়া মোগল হিসেবে পরিচিত রুপার্ট মারডক ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে। মামলাটি দায়ের করা হয়েছে জেফরি অ্যাপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে। খবর বিবিসি’র।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৩ সালে অ্যাপস্টেইনের ৫০তম জন্মদিনে ট্রাম্প একটি অশালীন নোট পাঠান। নোটটির মধ্যে নাকি একটি নগ্ন নারীর স্কেচ এবং ট্রাম্প ও অ্যাপস্টেইনের কথোপকথনের মতো কিছু লেখা ছিল।

ট্রাম্প এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এগুলো তার লেখা নয়। এভাবে তিনি কথাও বলেন না এবং কোনো আঁকাআঁকি করেন না।

তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনটি মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যমূল। ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘আমরা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও এর মালিকদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী মামলা দায়ের করেছি।’

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই প্রতিবেদন প্রকাশ করলে মামলা হবে—এ কথা আগেই জানানো হয়েছিল।

মামলায় ট্রাম্প দাবি করেছেন, প্রতিবেদন তার সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে এবং মার্কিন মানহানিকর আইনের লঙ্ঘন হয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মালিক ডাউ জোন্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের প্রতিবেদন নির্ভুল। তারা মামলাটি শক্তভাবে মোকাবেলা করবেন।

মারডক ও ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক কখনো ঘনিষ্ঠ, কখনো টানাপোড়েনপূর্ণ।

এদিকে ট্রাম্পসহ দেশ-বিদেশে বহু ধনকুবেরের বন্ধু ছিলেন জেফরি এপস্টেইন। তার বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক ও ফ্লোরিডায় নিজ বাড়িতে অনেক কন্যাশিশু ও কিশোরীদের যৌন নিপীড়ন ও পাচারের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। তিনি বিচার শুরুর অপেক্ষায় ছিলেন।

বিচারের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালে নিউইয়র্কের একটি কারাকক্ষ থেকে এপস্টেইনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি আত্মহত্যা করেছেন, নাকি খুন হয়েছেন, তা নিয়ে সে সময় ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল।

বিদেশি নির্বাচনের স্বচ্ছতা, গ্রহণযোগ্যতা বা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে মন্তব্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ১৭ জুলাই পাঠানো একটি ‘সংবেদনশীল’ নথিতে বিশ্বের সব মার্কিন দূতাবাসকে জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে বিদেশি নির্বাচনের বিষয়ে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি বা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেওয়া হবে না, যদি না তা ‘পরিষ্কার ও গুরুত্বপূর্ণ’ কূটনৈতিক স্বার্থে পড়ে।

বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে আসা একটি অভ্যন্তরীণ তারবার্তার মাধ্যমে এই বিষয়টি সামনে আসে।

ওই বার্তায় বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনো দেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রেই করা যাবে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে ‘সুস্পষ্ট ও জরুরি’ স্বার্থ জড়িত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেয়া বিবৃতিও হবে সীমিত পরিসরে—বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানানো এবং কৌশলগত স্বার্থের উল্লেখেই তা সীমাবদ্ধ থাকবে।

এছাড়া নির্দেশনায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচনের বৈধতা, স্বচ্ছতা বা গণতান্ত্রিক মান নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করা যাবে না। নির্বাচনের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে হলে তা দিতে পারবেন কেবল পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে বা পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র। অনুমোদন ছাড়া কূটনীতিকদের কেউ এসব বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না।

রুবিওর এই বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ১৩ মে রিয়াদে দেয়া এক বক্তৃতার উদ্ধৃতি দেয়া হয়, যেখানে তিনি বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে কীভাবে চলবে তা বলে দেওয়া পশ্চিমা হস্তক্ষেপকারীদের কাজ নয়। সেই বক্তৃতায় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন আর অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ শাসনব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করতে চায় না, বরং কেবল যৌথ স্বার্থের ভিত্তিতে অংশীদারিত্ব গড়তে চায়।

এ বিষয়ে রয়টার্সের প্রশ্নে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র জানান, নতুন দৃষ্টিভঙ্গিটি জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা’র প্রতিফলন।

মোদি সরকারকে আক্রমণ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়মমতা বলেছেন, কয়েকজন অতিথিকে তো ভারত সরকার রেখে দিয়েছে। আমি কি তাতে বাধা দিয়েছি? দিইনি। তার কারণ রাজনৈতিক বিষয় আছে।

তিনি তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা ভারত সরকারের মদদেই কলকাতায় রয়েছেন বলে ইঙ্গিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) নিউটাউনে এক অনুষ্ঠানে বাঙালি হেনস্থার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা বলেন।

মোদি সরকারের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন রাখেন, আপনারা কেন ‘বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি’ এমন তকমা দিচ্ছেন? বাংলাদেশিদের নিয়ে যদি এতো সমস্যা হয়, তাহলে কিছু বাংলাদেশিকে ভারত সরকার অতিথি করে রেখেছে কেন? তাদের রাখা নিয়ে এখনও অবদি পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনো আপত্তি করেনি।

তিনি আরও বলেন, একজন ভারতীয় দেশের যেকোনও জায়গায় যেতে পারেন। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি বলে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তাদের নির্বাসন করার কথা বলা হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশি নয়, ভারতের ভিন রাজ্যগুলোয় বাংলাভাষীদের রোহিঙ্গা বলা হচ্ছে।

১৯৭১ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির ফলে ভারতে আসা উদ্বাস্তুরা সবাই অবশ্যই ভারতের নাগরিক, কোনোভাবেই বাংলাদেশি নয় বলেও জানান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান।

এবার কোকাকোলাকে স্বাস্থ্যকর বানানোর উদ্যোগ নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোকে কর্ন সিরাপের বদলে আসল আখের চিনি ব্যবহারে সম্মত হয়েছে কোমল পানীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। ‘Make America Healthy Again’-ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে বহুদিন ধরেই কর্ন সিরাপের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলো ট্রাম্প প্রশাসন।

তাদের দাবি, উপাদানটি বহু শারীরিক সমস্যার কারণ। মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া’সহ বিভিন্ন দেশ বহুদিন ধরেই কোকে আখের চিনি ব্যবহার করে। এবার যুক্তরাষ্ট্রও যোগ দিলো সেই দলে। ইসরায়েলের সাথে কোকাকোলার সম্পৃক্ততার ইস্যুতে যখন সরব সারা বিশ্ব, তখনই পানীয়টি নিয়ে এমন পদক্ষেপ ট্রাম্পের।

ফিলিপাইনের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ভুয়া তথ্যের ব্যবহার বাড়ার ফলে দেশটিতে উত্তেজনা ক্রমাগত বাড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এআই-জেনারেটেড ভিডিও, ডিপফেক ও মিথ্যা প্রচারণা ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে, যা দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

রাজনীতিবিদদের মিথ্যা বক্তব্য ও ডিপফেক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে বলে দাবি করেছে দেশটির বিরোধী দলের নেতারা।

অভিযোগ, ক্ষমতাসীনরা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এআই ও ভুয়া তথ্যের অপব্যবহার বন্ধ করতে জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে।

ফিলিপাইনে এআই ও ডিজইনফরমেশন নিয়ন্ত্রণের জন্য এখনও কোনো শক্তিশালী আইন নেই। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফিলিপাইনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ডিজিটাল গণতন্ত্র রক্ষায় সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।

সূত্র : আল জাজিরা।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি মারা গেছেন। রোববার (১৩ জুলাই) যুক্তরাজ্যের লন্ডনের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া এক পোস্টে বুহারির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন তার ডিজিটাল যোগাযোগবিষয়ক বিশেষ সহকারী বশির আহমাদ।

তিনি বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারির পরিবার আজ দুপুরে লন্ডনের একটি ক্লিনিকে তার মৃত্যুর সংবাদ ঘোষণা করেছে। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসে স্থান দান করেন, আমিন।

ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু এক বিবৃতিতে জানান, তিনি বুহারির স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। পাশাপাশি, তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশিম শেত্তিমাকে ইংল্যান্ডে যেয়ে বুহারির মরদেহ ফিরিয়ে আনার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার দেখভাল করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মুহাম্মাদু বুহারি প্রথমে সেনাশাসক হিসেবে দেশটির ক্ষমতায় এসেছিলেন। পরে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক নেতা হিসেবে দেশ পরিচালনা করেন।

মূলত, গত শতাব্দীর আশির দশকে সামরিক শাসক হিসেবে ‘ইস্পাত কঠিন’ হাতে দেশ শাসন করেন বুহারি। তবে নিজের ভাবমূর্তি আমূল বদলে একজন রূপান্তরিত গনতন্ত্রকামী হিসেবে পরবর্তীতে রাজনীতির অঙ্গনে আবারও হাজির হন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৫ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে বেসামরিক, ‘ডেমোক্র্যাট’ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশ শাসন করেন বুহারি। ২০১৫ সালে দেশটিতে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তৎকালীন শাসককে পরাজিত করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন এই নেতা।

উত্তর গাজায় একটি রোডসাইড বোমা বিস্ফোরণে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) ৫ সেনা নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় গাজায় ইসরায়েলের চলমান অভিযানের নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠেছে।

গাজার বেইত হানুনে রোডসাইড বোমা হামলায় নিহত নেটজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের পঞ্চম ইসরায়েলি সেনার নাম ঘোষণা করেছে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। তিনি হলেন, স্টাফ সার্জেন্ট মোশে শ্মুয়েল নোল। তার বয়স ২১ বছর। বাকি ৪ জন নিহত সেনার নাম এখনও প্রকাশ করেনি আইডিএফ।

নেটজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়ন মূলত অতি-অর্থোডক্স ইহুদি সেনাদের নিয়ে গঠিত, যারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

বেইত শেমেশের স্থানীয় সম্প্রদায় তার মৃত্যুতে শোকাহত। স্থানীয় সিনাগগে তার বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

এই হামলার পর ইসরায়েল গাজায় তাদের অভিযান আরও তীব্র করতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

এদিকে, হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। ট্রাম্প দাবি করেছেন, গাজায় সেনা হতাহতের ঘটনা যুদ্ধবিরতি আলোচনাকে ব্যাহত করবে না।

অন্যদিকে, নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র গাজা থেকে বাস্তুচ্যুতদের জন্য তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘কিছু দেশ এগিয়ে আসতে প্রস্তুত।’

নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে শান্তি আলোচনা ত্বরান্বিত করার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ব্যবসায়ী স্টিভ উইটকফ বলেন, ‘এটি যুদ্ধ শেষ করার একটি সুযোগ।’

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল।

রাশিয়ার তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, সাবেক রাশিয়ান পরিবহন মন্ত্রী রোমান স্তারোভোইত মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মঘাতী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

তাকে সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরখাস্ত করেছিলেন। স্তারোভোইতের বরখাস্তের কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি এবং পরে সহকারী পরিবহনমন্ত্রী আন্দ্রেই নিকিতিনকে তার স্থলাভিষিক্ত ঘোষণা করা হয়।

তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। স্তারোভোইত ২০২৪ সালের মে মাসে পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।

এর আগে, তিনি প্রায় ছয় বছর (২০১৮–২০২৪) রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০২৪ সালের আগস্টে, ইউক্রেনীয় সেনারা একটি অভূতপূর্ব আক্রমণ চালিয়ে এই অঞ্চলের কিছু অংশ দখল করে নেয়।

মস্কো সম্প্রতি ইউক্রেনীয় বাহিনীকে সেখানে থেকে হটাতে সক্ষম হলেও, জুনের শেষ দিকে কিয়েভ দাবি করে যে তারা এখনও রাশিয়ার অভ্যন্তরে একটি ছোট অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে।

স্তারোভোইতের উত্তরসূরি আলেক্সেই স্মিরনভ মাত্র অল্প সময়ের জন্য দায়িত্বে ছিলেন। এপ্রিল মাসে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরে ইউক্রেন সীমান্তে প্রতিরক্ষা বাংকার নির্মাণের তহবিল আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।

স্তারোভোইত ঠিক কখন মারা গেছেন, তা স্পষ্ট নয়। রাশিয়ার স্টেট ডুমার প্রতিরক্ষা কমিটির প্রধান আন্দ্রেই কার্তাপোলভ সংবাদমাধ্যম আরটিভিআই-কে বলেছেন, তার মৃত্যু ‘কিছুদিন আগেই’ ঘটেছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (৭ জুলাই) স্তারোভোইতের মৃত্যুর খবর প্রকাশের আগে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যান যে, কুর্স্কের ঘটনায় পুতিন কি স্তারোভোইতের ওপর আস্থা হারিয়েছিলেন?

পেসকোভ জবাব দেন, ‘আস্থা হারানোর কথা বলা হয় যখন আস্থা হারানো হয়।’

সূত্র: বিবিসি নিউজ।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বন্যায় মারাত্মক বিপর্যয়ের পর প্রশ্ন উঠছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগের সক্ষমতা নিয়ে। অভিযোগ উঠেছে, সময়মতো সঠিক পূর্বাভাস না দেয়ার কারণেই প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এত বেশি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জনবল সংকটের কারণে দুর্যোগের পূর্বাভাস সময়মতো এবং সঠিক ভাবে দিতে পারেনি আবহাওয়া অফিস। যে কারণে আগাম প্রস্তুতির সুযোগ পাননি বাসিন্দারা। অপচয় কমাতে মার্কিন সরকারের কর্মী ছাঁটাইয়ের নীতিকে দায়ী করা হচ্ছে এত বড় বিপর্যয়ের জন্য।

শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয় টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে। মাত্র এক ঘণ্টায় ২৬ ফুট পর্যন্ত বেড়ে যায় গুয়াদালুপ নদীর পানির উচ্চতা। ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রাণহানি ছাড়ায় অর্ধশতাধিক। এই স্বল্প সময়ে কিভাবে এতো মানুষের প্রাণ গেলো তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

শুনতে অবাক মনে হলেও দুর্যোগের এই ক্ষয়ক্ষতির জন্য মার্কিন সরকারের ব্যয় কমানোর নীতিকেই প্রাথমিকভাবে দুষছেন অনেকে। অপচয় কমাতে সরকারি দক্ষতা বিষয়ক বিভাগ দেশজুড়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের তহবিল বাতিলসহ হাজার-হাজার কর্মী ছাঁটাই করে। বিশ্লেষকদের দাবি- এ কারণেই আবহাওয়া অফিসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ভুগছে জনবল সংকটে। এজন্যই, ঠিকমতো দেয়া যায়নি দুর্যোগের পূর্বাভাস।

মার্কিন আবহাওয়া অধিদফতরের সাবেক প্রশাসক ড. রিক স্পিনরাড বলেন, সংশ্লিষ্টরা তাদের কাজ করেছে কিনা এ নিয়ে আমার সন্দেহ হয়। অনেক আবহাওয়া পূর্বাভাস অফিস এখন কর্মী স্বল্পতা নিয়েই চলছে। অর্থাৎ যারা কাজ করছে তাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। টেক্সাসে যা হচ্ছে তার পেছনে এই কারণটা কতটা দায়ী তা নিয়ে ভাবতে হবে।

আরও বলা হচ্ছে- লাগাতার বৃষ্টির কারণে পানির উচ্চতা এত দ্রুত বাড়তে পারে তা ধারণা করতে পারেননি আবহাওয়াবিদরা।

কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্রের ওশেনিক এন্ড অ্যাটমোস্ফেয়ারিক এডমিনিস্ট্রেশন- NOAA সহ অন্যান্য আবহাওয়া অফিসগুলো। শঙ্কা এর প্রভাবে সক্ষমতা কমবে। যা আগামী দিনগুলোতে হারিকেন, টর্নেডো, বন্যার মতো দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাস দেয়া কঠিন করে তুলবে।

২১ মাসের চলমান যুদ্ধের মাঝে রাষ্ট্রীয় সফরে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের মধ্য দিয়ে গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

ট্রাম্প ইতিমধ্যে সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি নেতানিয়াহুর সাথে সংঘাত অবসানের বিষয়ে ‘অত্যন্ত দৃঢ়’ অবস্থান নিয়েছেন এবং এই সপ্তাহেই ‘একটি চুক্তি হবে’ বলে তিনি মনে করেন।

বিমানে ওঠার আগে ইসরায়েলের এই প্রবীণ নেতা বলেন, ‘আমরা আলোচিত চুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি, আমাদের সম্মত শর্তানুযায়ী। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে আলোচনা নি:সন্দেহে এই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।’

স্থানীয় সময় রোববার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় কাতারে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা পুনরায় শুরু হয়েছে, যেখানে মার্কিন-প্রস্তাবিত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তি চুক্তি নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে, চুক্তি বারবার আটকে যাওয়ার মূল কারণগুলো এবারও সমাধান হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

এদিকে, টানা ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ভয়াবহ মানবিক সংকটে জর্জরিত গাজাবাসী। উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া থেকে গাজার শহরে পালিয়ে আসা নাবিল আবু দায়াহ বলেন, ‘আমি যুদ্ধবিরতি চাই না, চাই সম্পূর্ণ যুদ্ধবন্ধ। সত্যি বলতে, আমি ভয় পাচ্ছি যে ৬০ দিন পর আবার যুদ্ধ শুরু হবে। আমরা বাস্তুচ্যুত হয়ে, তৃষ্ণা ও ক্ষুধায়, তাবুতে বাস করে ক্লান্ত। জীবনযাপনের মৌলিক চাহিদা আমাদের শূন্যের কোঠায়।’

এর আগে, শনিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায়, গাজায় আটক প্রায় ৫০ জন ইসরায়েলি বন্দি (যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে ধারণা) মুক্তির দাবিতে বড় সমাবেশ হয়েছে। কিছু বন্দিদের পরিবার প্রশ্ন তুলেছেন, কেন এই চুক্তিতে সব বন্দিকে একসাথে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না।

ইলায় ডেভিড, যার ছোট ভাই (একজন সঙ্গীতশিল্পী) গত যুদ্ধবিরতির সময় হামাসের কাছে নির্যাতনের শিকার হওয়ার ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিল, বলেন, ‘এখনই জীবন বাঁচানোর সময়। মধ্যপ্রাচ্যের দ্রুত বদলে যাওয়া বাস্তবতায়, এই মুহূর্তে প্রয়োজন একটি ব্যাপক চুক্তি স্বাক্ষরের, যা সব বন্দিকে—একজনকেও বাদ না দিয়ে—মুক্ত করবে।’

এটি নেতানিয়াহুর তৃতীয় সফর। তবে, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলি হামলায় অংশ নেয়া এবং পরবর্তীতে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতি চুক্তি করানোর পর এই প্রথম দুই নেতা মুখোমুখি হচ্ছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের সাথে ১২ দিনের সাম্প্রতিক সংঘাত গাজা যুদ্ধ সমাপ্তির জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। দীর্ঘদিন জনপ্রিয়তা হারানোর পর ইরান-হামলায় ব্যাপক সমর্থন পেয়ে নেতানিয়াহু শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। ফলে, তার জোটসঙ্গীদের (যারা গাজায় ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চায়) তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও তিনি শান্তিচুক্তিতে রাজি হতে পারেন।

অন্যদিকে, হামাসের প্রধান আঞ্চলিক মিত্র ইরানের ওপর হামলায় এই গ্রুপটি আরও দুর্বল হয়েছে, তাই চুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় ছাড় দিতেও তারা এখন বেশি প্রস্তুত হতে পারে।

এদিকে, ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে অন্যান্য অগ্রাধিকারে এগোতে চাইছেন, যেমন—ইসরায়েল-সিরিয়া সীমান্ত আলোচনা, ইসরায়েল-সৌদি আরব সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ, এবং ইরানের সাথে অসমাপ্ত পরমাণু চুক্তি নিয়ে সম্ভাব্য নতুন আলোচনা।

সূত্র: বিবিসি নিউজ।

ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’র গঠনের পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউএস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় রোববার (৬ জুলাই) এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘তৃতীয় একটি দল গঠনের ধারণা আমার মতে ‘হাস্যকর’। মার্কিন রাজনীতি সবসময়ই দুই দলের ব্যবস্থায় চলেছে এবং তৃতীয় একটি দল শুধু বিভ্রান্তি বাড়াবে।’

কয়েক সপ্তাহ ধরে ইঙ্গিত দিয়ে আসার পর, মাস্ক গত গতকাল এক্সে পোস্ট করে জানান যে তিনি ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে একটি নতুন দল তৈরি করেছেন, যা রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের ‘একীভূত দল’এর বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

ট্রাম্প ও মাস্ক একসময় ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন, টেসলার প্রধান মাস্ক, দেশটির সরকারি দক্ষতা বিভাগের নেতৃত্ব দিতেন, যার কাজ ছিল ফেডারেল ব্যয় কমানোতে সহায়তা করা। মাস্ক বারবার এমন সরকারি নীতির সমালোচনা করেছেন যা মার্কিন জাতীয় ঋণ বাড়াচ্ছে।

রোববার (৬ জুলাই) তিনি বলেন, নতুন দলটি ভবিষ্যতে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সমর্থন দিতে পারে, তবে ‘পরবর্তী ১২ মাসের লক্ষ্য হবে হাউস ও সিনেটে প্রভাব বিস্তার করা।’

ট্রাম্পও রোববার (৬ জুলাই) তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে লেখেন, ‘গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে ইলন মাস্ককে সম্পূর্ণ ‘পথভ্রষ্ট’ হতে দেখে আমি দুঃখিত।’

সূত্র: বিবিসি নিউজ।