তৃতীয় দিনের মতো সংঘাতে জড়িয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দুই দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া।

শনিবার ভোরে, থাইল্যান্ডের ত্রাত প্রদেশে হামলা চালায় নমপেন, তবে তা প্রতিহত করে ব্যাংকক। এর আগে অন্যদিকে, দেশ দুটির মধ্যে দুই দিন ধরে চলা সীমান্ত সংঘর্ষের পর, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে কাম্বোডিয়া।

জাতিসংঘে নিযুক্ত কাম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত চিয়া কেও বলেন, শর্তহীনভাবে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে তার দেশ; এবং এই বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় নমপেন। এখনও এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি থাইল্যান্ড। এর আগে কাম্বোডিয়া সীমান্তবর্তী আটটি জেলায় সামরিক আইন জারি করে দেশটি।

সংঘাতের জেরে আলোচনায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সামরিক সক্ষমতা। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের র‍্যাঙ্কিং বলছে, কম্বোডিয়ার চেয়ে সামরিক শক্তিতে যোজন যোজন এগিয়ে থাইল্যান্ড। এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী বিমানবাহিনীও ব্যাংককের। তাদের ভাণ্ডারে রয়েছে ২৮টি এফ- সিক্সটিন ফাইটার জেট। অথচ নমপেনের কাছে নেই কোনো যুদ্ধবিমানই। প্রতিবছর সামরিক খাতে কম্বোডিয়ার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি অর্থ খরচ করে থাইল্যান্ড।

দু’দেশের সংঘাতের জেরে নতুন উত্তেজনা এশিয়ায়। আরও একটি যুদ্ধের শঙ্কায় বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, দু’দেশের মধ্যে সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের র‍্যাঙ্কিংয়ের তথ্যমতে, সামরিক শক্তিতে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাইল্যান্ড। দেশটির অবস্থান ২৫তম স্থানে, বিপরীতে কম্বোডিয়ার অবস্থান ৯৫।

লন্ডন ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা, ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্ট্র্যাটিজিক স্টাডিসের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে সামরিক খাতে ৫৭৩ কোটি ডলার খরচ করেছে ব্যাংকক। আর এই খাতে নমপেনের বাজেট ছিল ১৩০ কোটি ডলার। কম্বোডিয়ার সামরিক বাহিনীতে মোট সদস্য ১ লাখ ২০ হাজারের কিছু বেশি। আর থাইল্যান্ডের সামরিক সদস্য সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ।

এশিয়ার শক্তিশালী দেশগুলোর তালিকার অন্যতম থাইল্যান্ডের আর্টিলারি এবং আর্মার্ড ডিভিশন। দেশটির সমরভাণ্ডারে রয়েছে ৪০০ ট্যাঙ্ক, ২০০ সাঁজোয়া যান এবং ২ হাজার ৬০০ কামান। অন্যদিকে কম্বোডিয়ায় ট্যাংক রয়েছে ২শ আর কামানের সংখ্যা এর দ্বিগুন।

এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী বিমান বাহিনী হিসেবে বিবেচনা করা হয় থাইল্যান্ডের বিমান বাহিনীকে। দেশটির কাছে ২৮টি এফ-সিক্সটিন ও ১১টি সুইডিশ গ্রিপেন যুদ্ধবিমানসহ শতাধিক সামরিক বিমান রয়েছে। তার বিপরীতে একেবারেই দুর্বল কম্বোডিয়ার বিমান বাহিনী। দেশটির কাছে নেই কোনো যুদ্ধবিমান। রয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি পরিবহন বিমান এবং সামরিক হেলিকপ্টার।

প্রসঙ্গত, সেনা ও আকাশপথের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীও বেশ শক্তিশালী। একটি বিমানবাহী রণতরী, সাতটি ফ্রিগেট ও ৬৮টি টহল জাহাজ রয়েছে তাদের কাছে। কম্বোডিয়ার কাছে আছে ১৩টি টহল জাহাজ।

দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ধর্মস্থালা প্রায় আটশো বছর ধরে পরিচিত তীর্থস্থান হিসেবে। প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার পূণ্যার্থী এই শহরে ভিড় জমায়। ধর্মাস্থালায় অবস্থিত আলোচিত ভগবান মঞ্জুনাথের মন্দির নিয়ে এক অভিযোগের জেরে শুরু হয়েছে তোলপাড়। এমনকি গণকবর থাকার সন্দেহে আলোচিত এই ইস্যুর খবর ও তথ্য প্রচারেও এসেছে নিষেধাজ্ঞা।

স্পর্শকাতর হওয়ায় ধর্মাস্থালার এই মামলা সংক্রান্ত ৮ হাজার ৮ শ’ অনলাইন পোস্ট, ফেসবুক ও ইউটিউব কন্টেন্ট মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন ব্যাঙ্গালুরুর একটি আদালত। বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সংবাদ প্রচারেও। যা নিয়েও ক্ষোভ ছড়িয়েছে ভারতজুড়ে। এরইমধ্যে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে একটি ইউটিউব চ্যানেল। এদিকে, ঘটনার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

ঘটনার সূত্রপাত গত ৩ জুলাই। ধর্মস্থালায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন দাবি করে দলিত সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার দাবি, ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রভাবশালীদের নির্যাতনের শিকার শতাধিক নারী ও শিশুর মরদেহ তিনি মন্দির চত্বরে মাটিচাপা দিয়েছেন। দেহগুলোতে নৃশংসতার স্পষ্ট চিহ্ন ছিল বলেও অভিযোগ তার। সেখান থেকে কয়েকটি কঙ্কালও উদ্ধার হয়েছে। এরইমধ্যে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। আদালত তার নাম প্রকাশ করেনি।

এমন বিস্ফোরক অভিযোগের পর ভারতজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। এতদিন পর কেন এই বিতর্ক উঠেছে সে প্রশ্ন। যদিও জবানবন্দী দাতার দাবি, ২০১৪ সালে পরিবারসহ ধর্মস্থালা থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অপরাধবোধ থেকেই দিচ্ছেন সাক্ষ্য।

আইনজীবী উমাপাথি এস বলেন, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় চলমান তদন্ত অসন্তোষজনক। সরকারের উচিত ছিল মামলাটি তদারকি করার জন্য একজন বিশিষ্ট এবং অভিজ্ঞ আইপিএস অফিসারের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা। এটি একটি বা দুটি মৃত্যু বা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। গণধর্ষণ, গণহত্যা এবং গণকবরের মতো গুরুতর বিষয় রয়েছে।

সাবেক ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর জবানবন্দীর পর, ২০০৩ সালে ধর্মাস্থালায় নিখোঁজ হওয়া এক শিক্ষার্থীর পরিবার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়েছে। এদিকে, তোপের মুখে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কর্ণাটক রাজ্য সরকার।

পৃথিবীর মানচিত্রে নেই অস্তিত্ব; ওয়েস্টার্কটিকা, সাবোরগা নামের দেশের নামও কেউ কখনও শোনেনি। এমন একাধিক দেশের রাষ্ট্রদূত সেজে অভিনব পন্থায় প্রতারণার দায়ে একজনকে গ্রেফতার করেছে ভারতের পুলিশ। ৪৮ বছর বয়সী হর্ষবর্ধন জৈন নামের ওই প্রতারক বিদেশে চাকুরি দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের অর্থ। ভাড়া করা আলিশান বাড়িকে দূতাবাস বানিয়েও চালতো প্রতারণা।

দেশটির উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের অভিজাত এলাকা কাভি নগরের একটি আলিশান বাংলো থেকে আটক করা হয় ৪৮ বছর বয়সী হর্ষবর্ধন জৈনকে।

অভিযোগ উঠেছে বিশ্ব মানচিত্রে অস্তিত্ব নেই এমন সব দেশের নাম বানিয়ে গেলো ৬ মাস ধরে ভুয়া দূতাবাস পরিচালনা করছিলেন হর্ষবর্ধন জৈন। লাখো রুপি খরচ করতেন প্রতি মাসের ভাড়া বাবদ।

উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স জানায়, হর্ষবর্ধণ নিজেকে ওয়েস্টার্কটিকা, সাবোরগা, পলভিয়া এবং লোডোনিয়ার মতো ভুয়া দেশে কনসাল বা রাষ্ট্রদূত বলে পরিচয় দিতেন। সেসব দেশে চাকরির প্রলোভন দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নিতে মোটা অংকের অর্থ। জড়িত ছিলেন অর্থ পাচারের সাথেও।

এন্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াডের এস্ক পুলিশ কর্মকর্তা সুশীল ঘুলে বলেন, ভাড়া বাসা থেকে তিনি ভুয়া দূতাবাস চালাতেন। কূটনীতিকদের ব্যবহার করা গাড়ির নম্বর প্লেটের অনুকরণে তিনি নম্বর প্লেট তৈরি করেছিলেন। এমন ৪টি গাড়ি আমরা উদ্ধার করেছি। এতে কোনো অনুমোদিত সংস্থার স্বীকৃতি ছিল না।

তিনি আরও বলেন, অফিসে তল্লাশি অভিযানে বেআইনি বহু জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদের সামনে নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি জাহির করতে এবং তাদের ধোঁকা দিতে গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বের সঙ্গে নিজের এডিট করা ছবি ব্যবহার করতেন তিনি।

মানুষের বিশ্বাস অর্জনে বিদেশী কূটনীতিকসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে পরিচয় থাকার দাবি করতেন হর্ষবর্ধণ। এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বহু হাইপ্রোফাইল মানুষের সাথে তার এডিটেড ছবি জব্দ করেছে পুলিশ।

ভুয়া দূতাবাস থেকে গাড়ির অতিরিক্ত ১৮টি ভুয়া নম্বরপ্লেট, ১২টি অবৈধ পাসপোর্ট, দুটি ভুয়া প্যান কার্ড এবং ৩৪টা দেশ ও কোম্পানির জাল সিলমোহর জব্দ করে এসটিএফ। উদ্ধার করা হয় নগদ ৪৪ লাখ ৭০ হাজার রুপি, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা এবং নথিপত্র।

এর আগে, ২০১১ সালেও পুলিশের হাতে একবার আটক হয়েছিলেন হর্ষবর্ধণ জৈন। সেসময় তার কাছ থেকে একটি স্যাটেলাইট ফোন জব্দ করেছিল পুলিশ।

রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৪৯ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য বহনকারী একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি চীন সীমান্তবর্তী আমুর অঞ্চলের টিন্ডা শহরের দিকে যাচ্ছিল। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে; তবে এখনও কোনো বেঁচে থাকা ব্যক্তির সন্ধান মেলেনি।

রাশিয়ার অ্যাঙ্গারা এয়ারলাইন্স পরিচালিত একটি ‘অ্যান্টোনভ-২৪’ বিমান প্রায় ৫০ বছর ধরে সেবায় রয়েছে বলে জানা গেছে। এই পুরনো বিমানটির অতীতেও বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমস্যার রেকর্ড রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

ধারণা করা হচ্ছে, বিমানটি টিন্ডায় অবতরণের আগে রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। আকাশ থেকে পরিদর্শনে কোনো বেঁচে থাকা ব্যক্তির সন্ধান মেলেনি, তবে স্থল অভিযান এখনও চলছে।

আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ টেলিগ্রামে জানান, ‘সমস্ত প্রয়োজনীয় উদ্ধার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’

রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় প্রথমে যাত্রীসংখ্যা ৪০ বললেও পরে তা সংশোধন করা হয়। রাশিয়ার স্থানীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে গহীন বনে ধোঁয়া ও আগুন দেখা গেছে, যা সম্ভাব্য বিধ্বস্ত স্থান নির্দেশ করে।

‘অ্যান্টোনভ-২৪’ হলো একটি সোভিয়েত-যুগের টার্বোপ্রপ বিমান, যা ১৯৬০-৭০-এর দশকে তৈরি হয়েছিল। রাশিয়া ও কিছু প্রাক্তন সোভিয়েত দেশে এখনও কিছু পুরনো বিমান চলাচল করছে, যদিও অনেকগুলোই নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে চলে।

গত কয়েক বছরে অ্যাঙ্গারা এয়ারলাইন্সের এই মডেলের বিমান ইঞ্জিন সমস্যা, ল্যান্ডিং গিয়ার ত্রুটি এবং জরুরি অবতরণের ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনায় বিমানটির পুরনো অবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাশিয়ায় এ ধরনের পুরনো বিমান এখনও ব্যবহার করা হয়, যা প্রায়ই দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়া, রয়টার্স।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা আগস্টের শেষের দিকে তার পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম মাইনিচি শিম্বুন। গত ২০ জুলাইয়ের উচ্চকক্ষ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোটের বড় ধরনের পরাজয়ের পরও ক্ষমতায় থাকার অঙ্গীকার করায় তিনি নিজের লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) থেকেই বাড়তে থাকা বিরোধিতার মুখে পড়েছেন।

মাইনিচি শিম্বুনের খবর অনুযায়ী, ২২ জুলাই সন্ধ্যায় ইশিবা তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বলেন, বাণিজ্য আলোচনার সমাধান হওয়ার পর তিনি নির্বাচনে পরাজয়ের দায়িত্ব কীভাবে নেবেন তা ব্যাখ্যা করবেন।

এরইমধ্যে, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) এশিয়ান সময়ে ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিনি জাপানের সাথে একটি ‘বৃহৎ’ চুক্তি সম্পন্ন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার (৭০৩ বিলিয়ন ইউসডি) বিনিয়োগ।

ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর ইশিবা সাংবাদিকদের বলেন, জাপানের প্রধান বাণিজ্য আলোচক রিয়োসেই আকাজাওয়া (যিনি ওয়াশিংটনে আলোচনায় ছিলেন) থেকে বিস্তারিত জানার পর তিনি ট্রাম্পের সাথে ফোনে বা সরাসরি কথা বলতে প্রস্তুত। ওয়াশিংটনের সাথে এই চুক্তি তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে ইশিবা বলেন, ‘চুক্তির ফলাফল বিশ্লেষণ না করে আমি কিছু বলতে পারব না।’

পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় ইশিবা জাপানের রাজনৈতিক শূন্যতা এড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন, বিশেষ করে যখন দেশটি রফতানি নির্ভর অর্থনীতির ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে এমন কঠিন বাণিজ্য আলোচনার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

এর আগে, সোমবার (২১ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি আমার দায়িত্বে থাকব এবং এই চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানের পথ খুঁজতে সর্বশক্তি নিয়োগ করব।’ 

তিনি যত দ্রুত সম্ভব ট্রাম্পের সাথে সরাসরি কথা বলে বাস্তব ফলাফল পেতে চান বলেও জানান।

স্পেনের বার্সেলোনা শহর অত্যধিক পর্যটন ঠেকাতে দুটি ক্রুজ-শিপ টার্মিনাল বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হলো শহরের পরিবেশগত চাপ কমানো এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।

বার্সেলোনা বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত ক্রুজ বন্দর, যেখানে বছরে লক্ষাধিক পর্যটক জাহাজে করে আসেন। তবে ক্রমবর্ধমান পর্যটন শহরের অবকাঠামো, পরিবেশ ও স্থানীয়দের জন্য চাপ তৈরি করছে। এই পরিস্থিতিতে শহরের বামপন্থী মেয়র জাউমে কলবোনির নেতৃত্বে প্রশাসন পর্যটন নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।

এই দুটি টার্মিনাল বন্ধ হলে বার্সেলোনায় ক্রুজ জাহাজের ধারণক্ষমতা ৩৩% কমে যাবে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এতে দৈনিক পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে এবং শহরের বায়ুদূষণ ও ভিড় কমবে।

অনেক স্থানীয় এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে পর্যটন-জনিত সমস্যার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছেন। তবে পর্যটনশিল্পের সাথে জড়িত কিছু ব্যবসায়ী ও শ্রমিক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ ক্রুজ শিল্প বার্সেলোনার অর্থনীতিতে বছরে প্রায় ১ বিলিয়ন ইউরো অবদান রাখে।

শহর কর্তৃপক্ষ ক্রুজ জাহাজের পরিবর্তে স্থানীয় সংস্কৃতি ও টেকসই পর্যটনের ওপর জোর দিতে চায়। এর অংশ হিসেবে তারা ঐতিহাসিক স্থানগুলোর সংরক্ষণ এবং কম দূষণকারী পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করার পরিকল্পনা করছে।

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বার্সেলোনা বিশ্বের অন্যান্য পর্যটন-প্রবণ শহর যেমন ভেনিস, আমস্টারডাম ও ডাবলিনের পথ অনুসরণ করছে, যারা ইতিমধ্যেই অত্যধিক পর্যটন নিয়ন্ত্রণে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে।

সূত্র: সিএনএন নিউজ।

এয়ার ইন্ডিয়ার একটি এয়ারবাস এ৩২০ বিমান স্থানীয় সময় সোমবার (২১ জুলাই) মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারী বৃষ্টির মধ্যে অবতরণ করার সময় রানওয়ে থেকে বিচ্যুত হয়। এতে বিমানের একটি ইঞ্জিনের নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং রানওয়ে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।

এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সব যাত্রী ও ক্রু সদস্যকে নিরাপদে বিমান থেকে নামানো হয়েছে, তবে কেউ আহত হয়েছেন কিনা তা বলা হয়নি। এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ‘এআই-২৭৪৪’ দক্ষিণের কেরালা রাজ্যের কোচি থেকে মুম্বাইয়ে আসছিল।

মুম্বাই বিমানবন্দর এক বিবৃতিতে জানায়, এই ‘রানওয়ে এক্সকার্শন’ (রানওয়ে থেকে বিচ্যুতি) ঘটনায় বিমানবন্দরের প্রধান রানওয়েতে ‘মাইনর ক্ষতি’ হয়েছে। অপারেশন চলমান রাখতে একটি সেকেন্ডারি রানওয়ে চালু করা হয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়া আরও জানায়, বিমানটি পরিদর্শনের জন্য গ্রাউন্ড করা হয়েছে।

দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, অবতরণের পর বিমানের তিনটি টায়ার ফেটে যায়। এনডিটিভি ও ইন্ডিয়া টুডের টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ইঞ্জিনের বাইরের কভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স, হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী অক্টোবরের ৩০ তারিখ থেকে নভেম্বর ১ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন এপ্যাক) সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে চীন সফর করতে পারেন, অথবা সেই সম্মেলনের ফাঁকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। স্থানীয় সময় রোববার (২০ জুলাই) একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

দুই দেশই ক্রমবর্ধমান পাল্টাপাল্টি শুল্কযুদ্ধের অবসানে আলোচনার চেষ্টা করছে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্য ও সরবরাহ শৃঙ্খলকে বিপর্যস্ত করেছে। এক সূত্র জানিয়েছে, এ বছরই ট্রাম্প ও শির মধ্যে একটি বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে, তবে এখনো দিন-তারিখ বা স্থান নির্ধারিত হয়নি।

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া প্রায় সব বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করতে চাইছেন, যার মাধ্যমে তিনি দেশীয় উৎপাদন উৎসাহিত করার কথা বলেছেন। সমালোচকরা বলছেন, এতে সাধারণ মার্কিন নাগরিকদের জন্য ভোক্তা পণ্যের দাম বেড়ে যাবে।

তিনি একটি সর্বজনীন ভিত্তিক শুল্ক হার ১০% প্রস্তাব করেছেন, যা সব দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে, এবং ‘সমস্যাজনক’ দেশগুলোর জন্য উচ্চতর হারে শুল্ক আরোপের কথা বলেছেন—যার মধ্যে চীন অন্যতম। বর্তমানে চীনের পণ্যে সর্বোচ্চ ৫৫% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্প আগামী ১২ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একটি টেকসই শুল্ক চুক্তি চূড়ান্ত করার সময়সীমা দিয়েছেন।

তবে, এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের মুখপাত্র এই সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

দুই দেশের সর্বশেষ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় ১১ জুলাই মালয়েশিয়ায়, যেখানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই একটি ‘গঠনমূলক ও ইতিবাচক’ বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছেন।

রুবিও তখন বলেছিলেন, ট্রাম্পকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং দুই নেতা এই বৈঠক করুক এমনটাই আশা।

চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও বলেছেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে চায় এবং ইউরোপে সাম্প্রতিক আলোচনায় প্রমাণ মিলেছে যে, শুল্কযুদ্ধ অপ্রয়োজনীয়।

সূত্র: রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০ বিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা করেছেন মিডিয়া মোগল হিসেবে পরিচিত রুপার্ট মারডক ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে। মামলাটি দায়ের করা হয়েছে জেফরি অ্যাপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে। খবর বিবিসি’র।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৩ সালে অ্যাপস্টেইনের ৫০তম জন্মদিনে ট্রাম্প একটি অশালীন নোট পাঠান। নোটটির মধ্যে নাকি একটি নগ্ন নারীর স্কেচ এবং ট্রাম্প ও অ্যাপস্টেইনের কথোপকথনের মতো কিছু লেখা ছিল।

ট্রাম্প এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এগুলো তার লেখা নয়। এভাবে তিনি কথাও বলেন না এবং কোনো আঁকাআঁকি করেন না।

তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনটি মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যমূল। ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘আমরা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও এর মালিকদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী মামলা দায়ের করেছি।’

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই প্রতিবেদন প্রকাশ করলে মামলা হবে—এ কথা আগেই জানানো হয়েছিল।

মামলায় ট্রাম্প দাবি করেছেন, প্রতিবেদন তার সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে এবং মার্কিন মানহানিকর আইনের লঙ্ঘন হয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মালিক ডাউ জোন্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের প্রতিবেদন নির্ভুল। তারা মামলাটি শক্তভাবে মোকাবেলা করবেন।

মারডক ও ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক কখনো ঘনিষ্ঠ, কখনো টানাপোড়েনপূর্ণ।

এদিকে ট্রাম্পসহ দেশ-বিদেশে বহু ধনকুবেরের বন্ধু ছিলেন জেফরি এপস্টেইন। তার বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক ও ফ্লোরিডায় নিজ বাড়িতে অনেক কন্যাশিশু ও কিশোরীদের যৌন নিপীড়ন ও পাচারের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। তিনি বিচার শুরুর অপেক্ষায় ছিলেন।

বিচারের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালে নিউইয়র্কের একটি কারাকক্ষ থেকে এপস্টেইনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি আত্মহত্যা করেছেন, নাকি খুন হয়েছেন, তা নিয়ে সে সময় ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল।

বিদেশি নির্বাচনের স্বচ্ছতা, গ্রহণযোগ্যতা বা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে মন্তব্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ১৭ জুলাই পাঠানো একটি ‘সংবেদনশীল’ নথিতে বিশ্বের সব মার্কিন দূতাবাসকে জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে বিদেশি নির্বাচনের বিষয়ে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি বা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেওয়া হবে না, যদি না তা ‘পরিষ্কার ও গুরুত্বপূর্ণ’ কূটনৈতিক স্বার্থে পড়ে।

বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে আসা একটি অভ্যন্তরীণ তারবার্তার মাধ্যমে এই বিষয়টি সামনে আসে।

ওই বার্তায় বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনো দেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রেই করা যাবে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে ‘সুস্পষ্ট ও জরুরি’ স্বার্থ জড়িত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেয়া বিবৃতিও হবে সীমিত পরিসরে—বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানানো এবং কৌশলগত স্বার্থের উল্লেখেই তা সীমাবদ্ধ থাকবে।

এছাড়া নির্দেশনায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচনের বৈধতা, স্বচ্ছতা বা গণতান্ত্রিক মান নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করা যাবে না। নির্বাচনের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে হলে তা দিতে পারবেন কেবল পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে বা পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র। অনুমোদন ছাড়া কূটনীতিকদের কেউ এসব বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না।

রুবিওর এই বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ১৩ মে রিয়াদে দেয়া এক বক্তৃতার উদ্ধৃতি দেয়া হয়, যেখানে তিনি বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে কীভাবে চলবে তা বলে দেওয়া পশ্চিমা হস্তক্ষেপকারীদের কাজ নয়। সেই বক্তৃতায় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন আর অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ শাসনব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করতে চায় না, বরং কেবল যৌথ স্বার্থের ভিত্তিতে অংশীদারিত্ব গড়তে চায়।

এ বিষয়ে রয়টার্সের প্রশ্নে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র জানান, নতুন দৃষ্টিভঙ্গিটি জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা’র প্রতিফলন।

মোদি সরকারকে আক্রমণ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়মমতা বলেছেন, কয়েকজন অতিথিকে তো ভারত সরকার রেখে দিয়েছে। আমি কি তাতে বাধা দিয়েছি? দিইনি। তার কারণ রাজনৈতিক বিষয় আছে।

তিনি তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা ভারত সরকারের মদদেই কলকাতায় রয়েছেন বলে ইঙ্গিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) নিউটাউনে এক অনুষ্ঠানে বাঙালি হেনস্থার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা বলেন।

মোদি সরকারের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন রাখেন, আপনারা কেন ‘বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি’ এমন তকমা দিচ্ছেন? বাংলাদেশিদের নিয়ে যদি এতো সমস্যা হয়, তাহলে কিছু বাংলাদেশিকে ভারত সরকার অতিথি করে রেখেছে কেন? তাদের রাখা নিয়ে এখনও অবদি পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনো আপত্তি করেনি।

তিনি আরও বলেন, একজন ভারতীয় দেশের যেকোনও জায়গায় যেতে পারেন। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি বলে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তাদের নির্বাসন করার কথা বলা হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশি নয়, ভারতের ভিন রাজ্যগুলোয় বাংলাভাষীদের রোহিঙ্গা বলা হচ্ছে।

১৯৭১ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির ফলে ভারতে আসা উদ্বাস্তুরা সবাই অবশ্যই ভারতের নাগরিক, কোনোভাবেই বাংলাদেশি নয় বলেও জানান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান।