দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন। ঘুরে দাঁড়ানোর দুরন্ত এক গল্প লিখে উয়েফা সুপার কাপ নিজেদের করে নিলো প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন। ইতালির ব্লু এনার্জি স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে টটেনহ্যাম হটস্পারের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র। এরপর পেনাল্টিতে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে আরও একটি ইউরোপিয়ান ট্রফি তাদের শোকেসে যোগ করলো লুইস এনরিকের শিষ্যরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ইতালির উদিনের ব্লু এনার্জি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচটি। এতে ফেভারিটের তকমা নিয়েই সুপার কাপের ফাইনালে নামে পিএসজি। ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলেও আধিপত্য ছিল প্যারিসের ক্লাবটির। ছাড় দেয়নি টটেনহ্যামও। পিএসজি’র চোখে চোখ রাঙিয়ে খেলতে থাকে স্পার্সরা। তবে বল দখলে প্যারিসের ক্লাবটি এগিয়ে থাকলেও প্রথম জালের দেখা পায় ইউরোপা লিগ জেতা দলটি। ৩৯ মিনিট পর্যন্ত পিএসজি তাদের আটকে রাখলেও হয়নি শেষ রক্ষা। দুর্দান্ত হেডে স্কোর শিটে নাম লেখান মিকি ফন দে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পিএসজি সমর্থকদের আবারো চুপ করিয়ে দেয় টটেনহ্যাম। তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক রোমেরো। পেদ্রো পারোর ফ্রি-কিকে হেডে গোলটি করেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ ও দুটি কোপা আমেরিকা জয়ী ডিফেন্ডার। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমণে ধার বাড়ায় পিএসজি। ৬৫তম মিনিটে টটেনহ্যামের জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোলটি।

ম্যাচের সময় তখন ৮৫ মিনিট। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হতে বাকি মাত্র ৫ মিনিট। এই ৫ মিনিটেই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। কাং ইন লি’র কল্যাণে এক গোল শোধ দেয় প্যারিসিয়ানরা। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্ত। দ্বিতীয় ইউরোপিয়ান শিরোপার সঙ্গে টটেনহ্যামের ব্যবধান ছিল মাত্র কয়েক সেকেন্ডের। কিন্তু ৯৪ মিনিটে রামোস পিএসজিকে সমতায় ফিরিয়ে লিখেন দারুণ এক প্রত্যাবর্তনের গল্প। সেই গোলে ২-২ এ নির্ধারিত সময় শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

সেখানেও ছিল নাটকীয়তা। টাইব্রেকারে পিএসজি’র প্রথম শট লক্ষ্যভ্রষ্ট। তবে নতুন গোলরক্ষক লুকা শেভালিয়েরের দূর্দান্ত পারফরম্যান্সে টাইব্রেকারের রোমাঞ্চে জিতে ট্রফি উঁচিয়ে ধরে গত মৌসুমে ট্রেবল জয়ী পিএসজি।

বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী পিএসজির মুখোমুখি হবে ইউরোপা লিগ জয়ী টটেনহ্যাম হটসপার। উয়েফা সুপার কাপের জন্য ঘোষিত ফরাসি জায়ান্টদের স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়ার পর পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন গোলকিপার জানলুইজি দোন্নারুম্মা।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সামাজিকমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন ২৬ বছর বয়সী ইতালিয়ান গোলকিপার।

গত কিছু দিন ধরেই পিএসজির প্রধান কোচ লুইস এনরিকের সঙ্গে দোন্নারুম্মার সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে বলে জানিয়েছিল ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম। দল ছাড়ার বার্তায়ও সেই ইঙ্গিতই দিলেন পিএসজির ট্রেবল জয়ের পথে বড় অবদান রাখা এই খেলোয়াড়।

তিনি এক পোস্টে লেখেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে কেউ একজন নির্ধারণ করেছেন, আমি আর দলের অংশ হতে পারব না এবং দলের সাফল্যে অবদান রাখতে পারব না। এতে আমি হতাশ ও মর্মাহত।

পিএসজির মাঠে শেষবারের মতো একটি ম্যাচে মাঠে নেমে বিদায় জানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে দোন্নারুম্মা লেখেন, এই ক্লাবে খেলা এবং এই শহরে থাকতে পারাটা ছিল দারুণ সম্মানের। ধন্যবাদ প্যারিস।

এর আগে, দোন্নারুম্মাকে দল থেকে বাদ দেয়ার কঠিন সিদ্ধান্তের জন্য নিজেকেই শতভাগ দায়ী বলেছেন পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে। তার ভাষায়, ক্লাবটিতে যে প্রোফাইলের গোলরক্ষক প্রয়োজন, সেই চাহিদার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

গত শনিবার (৯ আগস্ট) লিল থেকে গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়েকে দলে ভিড়িয়েছে পিএসজি। যার ট্রান্সফার ফি ছিল ৪ কোটি ইউরো এবং সম্ভাব্য ১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো বোনাস।

ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শেভালিয়েকে মূলত নতুন নাম্বার ওয়ান গোলরক্ষক হিসেবেই দলে আনা হয়েছে। যা দোন্নারুম্মার ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দেয়।

২০১৫ সালে পেশাদার ফুটবলে যাত্রা দোন্নারুম্মার। ছয় বছর শৈশবের ক্লাব এসি মিলানে খেলে ২০২১ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে পাড়ি জমান তিনি পিএসজিতে। ইতালিয়ান এই গোলরক্ষক পিএসজি থেকে মাসে ৮ লাখ ৫০ হাজার ইউরো বেতন পেতেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম।

অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। হারের পরও সেরা তিন গ্রুপ রানার্সআপের একজন হওয়ায় প্রথমবারের মতো চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। অপর ম্যাচে চীনের কাছে লেবানন ৮-০ গোলে হেরে যাওয়ায় চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।

এর আগে, ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৪ মিনিটে তৃষ্ণার গোলে প্রথম লিড পায় বাংলাদেশ। তবে ৫ মিনিট পরই লি হিউনের গোলে সমতায় ফেরে দক্ষিণ কোরিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও গোল হজম করে বাংলাদেশ। ৬০ মিনিটে বাংলাদেশের জালে আরও একটি গোল, এবার স্কোরশিটে নাম লেখান চু হিউং। ৮৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি আদায় করে নেন হেই ইয়ং। আর ৯০ মিনিটে লি হিউন করেন পঞ্চম গোল। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। দাপুটে জয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নেয় এশিয়ার শক্তিশালী দলটি।

তবে এইচ গ্রুপে রানার্সআপ হওয়া বাংলাদেশের সামনে ছিল একটি সুযোগ। দিনের অন্য ম্যাচের ফলাফলের কারণে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ।

আগামী ১ থেকে ১৮ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ। স্বাগতিক হিসেবে আগেই জায়গা করে নিয়েছে থাইল্যান্ড। তাদের সঙ্গে বাছাই খেলে যোগ্যতা অর্জন করেছে অন্য ১১ দল।

এশিয়ান কাপে ভালো করলে মিলবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী বিশ্বকাপের টিকিটও। থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ১২ দলের এশিয়ান কাপে সেমিফাইনালে পৌঁছানো চারটি দল পাবে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ। একই বছরের সেপ্টেম্বরে পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী বিশ্বকাপের ১২তম আসর। এই টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া।

অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ৮-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে দলকে এগিয়ে রাখে শিখা, শান্তি মার্ডি, নবীরণ ও তৃষ্ণারা। আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষকে এভাবেই গোল বন্যায় ভাসিয়েছে, দলের পক্ষে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছে তৃষ্ণা।

ম্যাচের ২০তম মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। স্বপ্না রানীর কর্নার থেকে হেড দিয়ে গোল করেন শিখা। এরপর ৩২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন শান্তি মার্ডি। এর ঠিক চার মিনিট পর আবার মার্ডির কর্নার, এবার চমৎকার হেডে গোল করেন নবীরণ খাতুন। ৪৯ মিনিটে সাগরিকার বাড়ানো বল আলতো শটে জালে জড়িয়ে স্কোর ৪-০ করেন তৃষ্ণা।

বিরতির পর ব্যবধান আরও বাড়ান তৃষ্ণা। এদিকে, ৭৩তম মিনিটে গোলের দেখা পায় সাগরিকা। ৮১তম মিনিটের গোলে বড় জয়ের পথে ছুটতে থাকে মেয়েরা। বাম দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা সাগরিকার আড়াআড়ি পাস থেকে জালে জড়িয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তৃষ্ণা। শেষ পর্যন্ত যোগ করা সময়ে মুনকি আক্তার দলের অষ্টম গোলটি করেন।

উল্লেখ্য, স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এইচ গ্রুপে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। টানা দুই জয়ের পর এবার পিটার জেমস বাটলারের দল আগামী রোববার মুখোমুখি হবে গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে।

এইচ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকতে পারলেই মিলবে মূল পর্বের টিকিট। তবে দ্বিতীয় হলেও বেঁচে থাকবে আশা। আট গ্রুপের সেরা আট দলের সঙ্গে সেরা তিন গ্রুপ রানার্সআপ দলও পাবে আগামী বছর থাইল্যান্ডে মূল পর্বে খেলার সুযোগ।

এর আগে, প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। এবারও সেই সুযোগ কতটুকু কাজে লাগাতে পারে ছোটরা, সেটা সময়ই বলে দেবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপ শুরু হতে যাচ্ছে। এর ঠিক আগে নিজেদের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে ঘরের মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

সোমবার (৪ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানিয়েছে, সিরিজের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ আগস্ট। এরপর বাকি দুই ম্যাচ যথাক্রমে ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ম্যাচ শুরু হবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায়।

এর আগে, ২৬ আগস্ট বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে ডাচরা। তবে এই সিরিজসহ এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নিতে ৬ আগস্ট থেকে মিরপুরে ক্যাম্প শুরু করবে লিটন দাসের দল। যা চলবে ১৫ তারিখ পর্যন্ত। এরপর ছোট্ট বিরতি দিয়ে ২০ আগস্ট থেকে ক্যাম্প শুরু হবে সিলেটে।

সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজকে ১৩ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। ১৯০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করে ক্যারিবিয়ানরা। এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। সোমবার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় ভোরে ফ্লোরিডার লডারহিল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দু’দল। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ পায় পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে ১৩৮ পার্টনারশিপ গড়েন শাহিবজাদা ফারহান ও সায়েম আইয়ুব। সামার জোসেফের বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৭৪ রানে ফেরেন ফারহান। ৬৬ রানে হোল্ডারের শিকার হন আইয়ুব। নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান স্কোর বোর্ডে জমা করে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা চালায় উইন্ডিজ। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৭৬ রানে থামে ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস। আলিকের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৬০ রান। উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১২টায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দু’দল। ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

ভারতীয় বোলারদের দারুণ কামব্যাকে পঞ্চম দিনে গড়ালো ‘অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার’ ট্রফির সিরিজ নির্ধারণী ওভাল টেস্ট। যেখানে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডকে করতে হবে আর ৩৫ রান। ভারতের দরকার ৪ উইকেট। ৩৭৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান করে চতুর্থ দিন শেষ করেছে ইংল্যান্ড। এর আগে ১ উইকেটে ৫০ রান নিয়ে রেকর্ড জয়ের লক্ষ্যে চতুর্থ দিন শুরু করে ইংলিশরা। রেকর্ড বলা হচ্ছে এই কারণে যে, ওভালে এর আগে কোনো দল চতুর্থ ইনিংসে ২৬৩ রানের বেশি তাড়া করে জেতেনি। সেই ঘটনাও ঘটেছিল ১৯০২ সালে। এদিন ফিফটি তুলে দলীয় ৮২ রানে ফেরেন দারুণ খেলতে থাকা বেন ডাকেট। ইনিংস বড় করতে পারেননি ওলি পোপ। তবে এরপর ১৯৫ রানের জুটি গড়ে অসম্ভবকে সম্ভবের পথে নিয়ে যান জো রুট ও হ্যারি ব্রুক। দুজনই তুলে নেন সেঞ্চুরি। ব্রুক ১১১ ও রুট ১০৫ করে আউট হলে ম্যাচে ফেরে ভারত। ব্রুকের রান যখন ১৯, তখনই তিনি প্যাভিলিয়নের পথ প্রায় দেখে ফেলেছিলেন। তার তোলা ক্যাচটি দারুণভাবেই হাতে জমিয়েছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। কিন্তু ভারসাম্য হারিয়ে ফাইন লেগ অঞ্চলের সীমানারেখা ছুঁয়ে ফেললে সেটা হয়ে যায় ছয়! এরপর ব্রুক তুলে নেন টেস্টে নিজের দশম সেঞ্চুরি। অবশ্য শেষ বিকেলে জ্যাকব বেথেলকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন প্রষিধ কৃষ্ণা। এরপর আলোক স্বল্পতায় নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয় দিনের খেলা। ভারতের হয়ে ৩ উইকেট নেন প্রষিধ কৃষ্ণা। শেষ দিনে জয়ের জন্য ৩৫ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে। তাহলে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেবে স্বাগতিকরা।

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এশিয়া কাপ। আসরের পর্দা নামবে ২৮ সেপ্টেম্বর। প্রাথমিকভাবে এবারের আসরের আয়োজক ভারত হলেও, পরিবর্তিত পরিস্থিতি সেটি বদলে দেয়। রোববার (৩ আগস্ট) আসরের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করা হয়। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

এবারের আসরে বাংলাদেশ পড়েছে ‘বি’ গ্রুপে। যেখানে তাদের সঙ্গী শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং। ১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে বাংলাদেশ। ১৩ ও ১৬ সেপ্টেম্বর টাইগাররা মুখোমুখি হবে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের।

ভারত-পাকিস্তানের বিগ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ১৪ সেপ্টেম্বর। ‘এ’ গ্রুপে তাদের সঙ্গী ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই গ্রুপের সবকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে দুবাইতে।

টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচ বাদে সব ম্যাচই শুরু হবে রাত ৮টায়। ১৫ সেপ্টেম্বর রয়েছে দুটি ম্যাচ। সেদিন সংযুক্ত আরব আমিরাত-ওমানের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়। অন্য ম্যাচে রাত ৮টায় মুখোমুখি হবে হংকং–শ্রীলঙ্কা।

অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। মাত্র ৯০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২০৯ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় টাইগার যুবারা।

হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইয়ং টাইগারদের বোলিং তোপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ২২.৩ ওভারে মাত্র ৮৯ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ওপেনার নাথানায়েলের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ২৬ রান। ২৭ রানের খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন পেসার ইমন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খেলেও দ্রুতই পরিস্থিতি সামাল দেয় বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে তামিম ও রিজানের ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি জয়ের বন্দরে নিয়ে যায় লাল সবুজদের।

এক ওভারে একজন বোলার কতগুলো ওয়াইড দিতে পারেন? দুই, তিন, চার এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকার কথা। তবে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নস লিগে যা ঘটেছে তা রীতিমতো পাগলামি। অস্ট্রেলিয়ান এক বোলার এক ওভারে বল করেছেন ১৮টি। যার ১২টিই ওয়াইড এবং একটি নো বল। সেই ইতিহাস গড়া বোলার হলেন জন হ্যাস্টিংস।

ইংল্যান্ডে চলছে সাবেকদের মিলনমেলা। সূচি অনুযায়ী লেস্টারে চলছিল পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ। অজিদের দেয়া ৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে পাকিস্তান। ৭ ওভারে বিনা উইকেটে স্কোর বোর্ডে পাকিস্তানের রান তখন ৫৫। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হ্যাস্টিংসের হাতে বল তুলে দেন ব্রেট লি। বল হাতে শুরুতেই হ্যাস্টিংস দেন ৫টি টানা ওয়াইড। প্রতিটা বলই বেরিয়ে যায় অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়ে।

এরপর দুই বলে সিঙ্গেল ও চার হজম করেন হ্যাস্টিংস। এরপর আবার লাইনচ্যুত হন এই বোলার। আবার একটা নো বল এবং ওয়াইড। এবার দুটি বলই ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। লাইন নিয়ে সমস্যা হওয়ায় সমাধান হিসেবে বেছে নেন রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করার। অবশ্য তাতেও লাভ হয়নি। পর পর তিনটি ওয়াইড। আবারো পার্শ্ব পরিবর্তন। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে ওভার শেষ করতে পারলে হাফ ছেড়ে বাচেন হ্যাস্টিংস। কিন্তু ভাগ্য বিধাতা যেন সেদিন খেলছিলেন তার সাথে।

অদ্ভুতুড়ে ওভারে হ্যাস্টিংস ১৮ বল করলেও ওভারটি শেষ করা সম্ভব হয়নি। এই ওভারে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেছেন দুই ওপেনার শারজিল ও মাকসুদ।

উল্লেখ্য, ম্যাচে ১০ উইকেটে হারের পরও অবশ্য সেমিফাইনালে নাম লিখিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যেখানে তারা মুখোমুখি হবে ডি ভিলিয়ার্সের দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

উরুগুয়েকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে নারী কোপা আমেরিকার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাজিল। একইসঙ্গে, ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে জায়গা নিশ্চিত করেছে সেলেসাওরা।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ইকুয়েডরের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দারুণ দাপট দেখিয়ে জয় তুলে নেয় ব্রাজিলের মেয়েরা। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নেয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

এই ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন ২৪ বছর বয়সী অ্যামান্ডা গুতিয়েরেস। একটি করে গোল করেছেন গিও গারবেলিনি, মার্তা ও দুদিনিয়া।

মেয়েদের কোপা আমেরিকায় বরাবরই ফেভারিট ব্রাজিল। নয় আসরের মধ্যে আটবারই শিরোপা উৎসব করেছে দলটা।

ফাইনালে আগামী শনিবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত তিনটায় কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল, যাদের বিপক্ষে ২০২২ সালের ফাইনালে জিতেছিল সেলেসাওরা।

টাইব্রেকারের নাটকীয়তায় মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে স্পেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড। ১২০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে অমিমাংসীত থাকার পর পেনাল্টি শ্যুটআউটে ৩-১ গোলে ফাইনালে জিতে শিরোপা উৎসবে মাতে ইংলিশ নারীরা।

সেন্ট জ্যাকব পার্কে দাপট দেখিয়ে ম্যাচে আধিপত্য দেখায় স্পেন। নিজেদের স্বপ্ন পূরণের মঞ্চে দাঁড়িয়ে গোল করে এগিয়েও যায় তারা।

খেলার ২৫ মিনিটে ক্রস থেকে বল পেয়ে হেডের মাধ্যমে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন মারিওনা ক্যালডেন্টে। বিরতি থেক ফিরে ম্যাচের ৫৭ মিনিটে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। দলকে ১-১ গোলে সমতায় ফেরান অ্যালেসিয়া রুশো।

এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের খেলায় নির্ধারিত সময় পেরিয়ে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও ফলাফল না এলে টাইব্রেকারে স্বপ্ন ভাঙে স্পেনের নারীদের।