পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘যুদ্ধের পদক্ষেপ’ উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এ কথা বলেন তিনি।

শাহবাজ শরিফ বলেন, ভারতের এই হামলার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের উপযুক্ত জবাব দেয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে এবং উপযুক্ত জবাব দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন,শত্রুকে কখনোই তার ঘৃণ্য উদ্দেশ্য সফল হতে দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি জাতির মনোবল দৃঢ়। বলেন তিনি।

ভারতের ওপর যারা খারাপ দৃষ্টি দিয়েছে তাদের উপযুক্ত জবাব দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদির ওপর আস্থা রাখতে দেশটির জনগণের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া’র।

রোববার (৪ মে) নয়াদিল্লিতে সংস্কৃতি জাগরণ মহোৎসবের ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

রাজনাথ সিং বলেন, পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতে সামরিক বাহিনীর সাথে সব ধরণের আলাপ-আলোচনা চলছে। ভারতের সার্বভৌমত্ব বিনষ্টকারীদের দ্রুতই উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে।

তিনি বলেন, যারা আমাদের দেশের প্রতি খারাপ নজর দিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তাদের একটি উপযুক্ত জবাব দেয়া আমার দায়িত্ব।

পেহেলগাম হামলার ঘটনায় ভারতীয়রা পাকিস্তানে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে যে কথা বলছেন সেদিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আপনারা যা চান তা অবশ্যই ঘটবে।

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মিরের পেহেলগামের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বাইসারন উপত্যকায় বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ ভারতীয় ও ১ নেপালি নাগরিকের প্রাণহানি ঘটে। এই হামলার ঘটনায় জড়িতদের সঙ্গে পাকিস্তানের আন্তঃসীমান্ত সংযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নয়াদিল্লি। যদিও বরাবরের মতো এই হামলার সঙ্গে যেকোনও ধরনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ।

উল্লেখ্য, এ হামলার ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাকিস্তানিদের জন্য সব ধরনের ভিসা নিষিদ্ধ ও সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতসহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। এর পাল্টায় পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে প্রায় একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সব মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আবহে আরও নেতিবাচকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার একটি আদালত দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী আলী লারাইদকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। শুক্রবার (২ মে) সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে এই রায় ঘোষণা করা হয়। তার বিরুদ্ধে ইরাক ও সিরিয়ায় জিহাদি যোদ্ধা পাঠানোর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। খবর, রয়টার্সের।

৬৯ বছর বয়সী লারাইদ ইসলামপন্থী দল এননাহদার নেতা ছিলে। ২০১১ সালে আরব বসন্তের সূত্রপাতের পর তিউনিসিয়ায় সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য (২০১৩-১৪) শাসন করেছিল। তিনি দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের একজন কট্টর সমালোচক।

তার আইনজীবী ওসামা বুথেলজা বলেন, একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গঠন এবং ইরাক ও সিরিয়ায় জিহাদি গোষ্ঠীতে যোগদানের জন্য তিউনিসিয়ানদের পাঠাতে সহায়তা করার অভিযোগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তবে, লারাইদ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং মামলাটিকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার তিউনিসিয়ান ইসলামিক স্টেটসহ অন্যান্য জিহাদি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ দিয়ে ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ায় যুদ্ধ করেছে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) মাধ্যমে পোপের আদলে পোশাক ও মুকুট পরা ছবি বানিয়ে নিজের মালিকাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (২ মে) বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ছবিতে দেখা যায়, ট্রাম্পের ডান হাতের আঙুল আকাশের দিকে ইশারা করছে। তিনি পোপের মতোই হুবহু পোশাক ও রাজকীয় প্রতীক পরে আছেন এবং বসে আছেন সিংহাসনে। 

এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রয়াত ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি হিসেবে নিজেকে দেখতে আগ্রহী বলে জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রসিকতার ছলে এমন আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেছিলেন বলে জানানো হয়। 

গত ২১ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে মারা যান পোপ ফ্রান্সিস। এখন নতুন পোপ কে হবেন এমন জল্পনার মধ্যেই গত সপ্তাহে পোপ হিসেবে কাকে দেখতে চান- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প মজা করে বলেন, আমিই পরবর্তী পোপ হতে চাইব। এটিই হবে আমার এক নম্বর পছন্দ। 

পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ মহড়া চালিয়েছে ভারত। শুক্রবার (২ মে) উত্তর প্রদেশে ফাইটার জেটের জরুরি অবতরণের মহড়া চালায় দেশটির বিমান বাহিনী।

রাফাল, জাগুয়ার, মিরেজ- টু থাউজেন্ড, সুখয়-থার্টি, মিগ-টুয়েন্টি নাইন এবং সি-ওয়ান থ্রি জিরো জে সুপার হারকিউলিস অংশ নেয় এই অনুশীলনে। নির্মাণাধীন গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে তৈরি করা হয়েছে সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই জরুরি অবতরণ ফ্যাসিলিটি।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ঝিলমের তিল্লা ফায়ারিং রেঞ্জে যুদ্ধবিমান, কামান ও ট্যাংকসহ বিভিন্ন সমরাস্ত্রের মহড়া চালায় পাকিস্তান।

ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, চলমান উত্তেজনার মধ্যে ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসলামাবাদ।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎসকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ পদে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন মার্কিন পররাস্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। 

 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১ মে) হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

ওয়ালৎস আমাদের জাতীর স্বার্থকে সর্বাগ্রে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, জাতিসংঘে পরবর্তী মার্কিন দূত হিসেবে ওয়ালৎসকে মনোনীত করবেন তিনি। 

 

সম্প্রতি ওয়ালৎস একটি নিরাপত্তাসংক্রান্ত বার্তার গ্রুপ চ্যাটে ভুলক্রমে একজন সাংবাদিককে যুক্ত করেন। যদিও তখন প্রেসিডেন্ট তাকে বরখাস্ত করেননি। তবে তার পদ শঙ্কায় পড়ে যায়। সেই ঘটনার পর থেকে ওয়ালৎস তার প্রভাব হারাতে থাকেন।

এদিকে, মাইক ওয়ালৎসের সহকারী অ্যালেক্স ওং তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে যাচ্ছেন। অ্যালেক্স ওং একজন এশিয়া বিশেষজ্ঞ। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি পররাষ্ট্র দপ্তরের উত্তর কোরিয়া–সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতেন। 

প্রসঙ্গত, রুবিওর আগে সবশেষ একসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। সেটি সত্তরের দশকের ঘটনা।

কাশ্মিরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার ঘটনায় উত্তেজনার মধ্যে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে এবার পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে নয়াদিল্লি বাণিজ্যিক ও সামরিক সব ধরনের পাকিস্তানি উড়োজাহাজ ভারতের আকাশসীমায় ঢুকতে পারবে না বলে ঘোষণা দেয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর মালিকানাধীন এবং পরিচালিত সমস্ত বিমানের জন্য পাকিস্তান তার আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নয়ার ছয় দিন পর, নয়াদিল্লিও পাকিস্তানের মালিকানাধীন এবং পরিচালিত সমস্ত বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়ে পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে।

নয়াদিল্লির বিমান মিশনগুলোকে নোটিশ জারি করে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নিবন্ধিত বিমান এবং দেশটির বিমান সংস্থাগুলো দ্বারা পরিচালিত বা লিজ নেয়া বিমানের জন্য ভারতীয় আকাশসীমা এখন থেকে বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে সামরিক বিমানও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।

ভারতের এ সিদ্ধান্তের ফলে মালয়েশিয়ার মত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যেতে পাকিস্তানের উড়োজাহাজের অনেকটা বেশি পথ পাড়ি দিতে হবে। চীন ও শ্রীলঙ্কার উপর দিয়ে যেতে হবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও ওশেনিয়ার দেশগুলিতে যেতে। এতদিন এসব গন্তব্যে যেতে সাধারণত পাকিস্তানের উড়োজাহাজ ভারতের উপর দিয়ে যাতায়াত করত। সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের এয়ারলাইন্সগুলোর ব্যয় বাড়বে, সময়ও বেশি লাগবে।

অপরদিকে, পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করায় ভারতের অনেক ‍উড়োজাহাজকেও একই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। পাড়ি দিতে হচ্ছে দীর্ঘ পথ।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় একদিনে আরও ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। এতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫২ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের ‘গণহত্যামূলক’ যুদ্ধের ফলে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৩৬৫ জনে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আহত হয়েছেন আরও ১১৩ জন, যাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ফলে চলমান হামলায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯০৫ জনে। উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে না পারায় অনেক মরদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে রয়েছে। 

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১৮ মার্চ থেকে গাজায় আবারও ভয়াবহ হামলা শুরু করে। এই সময়ে তারা ২ হাজার ২৭৩ জনকে হত্যা করেছে এবং আরও ৫ হাজার ৮০০ জনকে আহত করেছে, যদিও জানুয়ারিতে একটি যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হয়েছিল।

গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এ ছাড়াও, গাজায় যুদ্ধ পরিচালনার কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলা চলছে।

আমেরিকার ৪৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন, প্রথম একশ দিনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভুল বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। রিপাবলিকানরা বলছেন, ট্রাম্প প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আগামী ৩০ এপ্রিল একশ দিন পূর্ণ করবেন ট্রাম্প।

গত সপ্তাহান্তে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নর্ক সেন্টারের পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানেই অনেক মানুষ জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে দেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থা, অভিবাসন এবং বাণিজ্য নীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৫০ শতাংশের মতে, দ্বিতীয় দফায় ট্রাম্প অত্যন্ত খারাপ প্রেসিডেন্ট। ১০ জনের মধ্যে দুই জন মনে করেন ট্রাম্প গড়পড়তা প্রশাসক এবং ১০ জনের মধ্যে তিন জনের মতে, তিনি ভালো প্রশাসক। ট্রাম্পের অগ্রাধিকার নিয়ে প্রায় ৪৪ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রবাসীর মতে ট্রাম্প ভুল ইস্যুকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। ২৪ শতাংশর মতে ট্রাম্প সঠিক পথে চলছেন। ১০ জনের মধ্যে দুজন মনে করেন ট্রাম্পের অগ্রাধিকারে সমপরিমাণ ভুল এবং সঠিক সিদ্ধান্তও রয়েছে।

স্বাভাবিক ভাবেই, রিপাবলিকান ভোটারদের তুলনায় ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের কর্মপদ্ধতিতে অখুশি। তবে ২০ জানুয়ারির পর সেই পার্থক্য আরো বেড়েছে। প্রায় ৭৫ শতাংশ ডেমোক্র্যাট সমর্থক মনে করেন ট্রাম্প ভুল বিষয়ে মন দিচ্ছেন।

এই সমীক্ষার মতে, রিপাবলিকানরা ট্রাম্পকে নিয়ে মোটের উপর খুশি। তবে ট্রাম্পের অগ্রাধিকার নিয়ে তাদের মধ্যেও অনিশ্চয়তা আছে। ২৬ শতাংশ রিপাবলিকান মনে করেন ট্রাম্পের নীতিতে সামঞ্জস্য আছে। ট্রাম্পের অভিবাসন তার সব থেকে শক্তিশালী নীতির একটি।

সমীক্ষা বলছে বাণিজ্য, অর্থনীতি বা বিদেশ নীতির তুলনায় তার অভিবাসন নীতি অনেক বেশি গ্রহণীয় বলে মনে করা হয়েছে। অন্যদিকে, নিউ ইয়র্ক টাইমস/ সিয়েনা কলেজের সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রায় ৫০ শতাংশের মতে ট্রাম্প তার ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ করছেন। প্রেসিডেন্টের পক্ষে ৪২ শতাংশ এবং বিরুদ্ধে ৫৪ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন এই সমীক্ষায়।

এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৬৬ শতাংশ মানুষ ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফাকে বিশৃঙ্খল বলে দাবি করেছে। প্রায় ৫৯ শতাংশ একে ভয়াবহ বলে মনে করেছেন। অন্যদিকে, ৪২ শতাংশ একে উত্তেজনাপূর্ণ বলে মনে করেছেন।

জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সঙ্গে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (২৭ এপ্রিল) আল জাজিরায় প্রধান উপদেষ্টার এই ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে।

সাক্ষাৎকারটি নেন আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার। তিনি শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু জবাবে মোদি বলেছিলেন তিনি এটি পারবেন না। কারণ ভারতে সবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। অর্থাৎ শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

‘শেখ হাসিনা দাবি করেন তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারত থেকে এসব বিবৃতি দিচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে তার অবস্থানকে কীভাবে দেখে?’

আল জাজিরার সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন হয়েছিল। সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিলো আমার। তার সঙ্গে আমার কথা হয় এবং আমি তাকে স্পষ্ট করি, ঠিক আছে, যদি শেখ হাসিনাকে আপনি রাখতে চান। তাহলে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমি কিছু করতে পারব না। কিন্তু অবশ্যই তিনি যখন সেখানে থাকবেন, তার কথা বলা উচিত হবে না। কারণ তার বক্তব্য আমাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। তিনি বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করেন। আর এজন্য আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

আল জাজিরার সাংবাদিক তখন জিজ্ঞেস করেন ‘মোদি কী বলেছিলেন?’ 

জবাবে ড. ইউনূস বলেন- তিনি বলেছিলেন, ভারত হলো এমন দেশ যেখানে সামাজিক মাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।

এ সময় আগামী ডিসেম্বরে অথবা পরের বছরের জুনে নির্বাচন দেওয়ার নিশ্চয়তা নিয়ে জানতে চান সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার।

জবাবে প্রধান উপেদেষ্টা বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ’ নিয়ে একমত হলে জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে। তবে ‘বৃহৎ সংস্কার প্যাকেজ’ চাইলে নির্বাচন আগামী বছরের জুনে অনুষ্ঠিত হবে।

 

যুক্তরাষ্ট্র-চীন শুল্ক আরোপের ফলে যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়েছে, তা থামানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি গত সপ্তাহে এক বক্তব্যে প্রথমবারের মতো নমনীয়তা দেখিয়েছেন। ট্রাম্পের মন্তব্য ছিল, চীনের ওপর আরোপ করা ১৪৫ শতাংশ শুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। 

পরে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টও বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে ‘উত্তেজনা হ্রাস’ পাওয়ার পূর্বাভাস দেন।

বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, দুই দেশের মধ্যে অবশ্যই চুক্তিতে আসতে হবে। তবে সংকট সমাধানে ট্রাম্পকেই আগে হাত বাড়াতে হবে। কারণ ইতোমধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ মার্কিন শেয়ার বাজার থেকে কেড়ে নিয়েছে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার। পড়ে গেছে ডলারের দাম।

 

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অবশ্য সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে চীনা মালবাহী জাহাজের বুকিংও কমে গেছে। ফলে চীনের রপ্তানি খাতেও নিম্নমুখী চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

এরপরও দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হচ্ছে না। সংকট সমাধানের ব্যাপারে এখনও উদাসীন ওয়াশিংটন-বেইজিং।

এর নেপথ্যে কতকগুলো কারণ রয়েছে। বিশেষ করে সংকট সমাধানের মেজাজ চীনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। দেশটির নেতারা বিশ্বাস করেন, তাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ট্রাম্প প্রশাসনের তুলনায় শৃঙ্খলিত। বাণিজ্যযুদ্ধ মোকাবেলায় তারা কঠোর ও বেশি ঐক্যবদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো চীনে নির্বাচনী প্রতিযোগিতা নেই, যা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে পারে।  রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম ব্যবহার করে জনসাধারণকে তারা ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারে।

তাছাড়া চীনের হাতে এমন বিরল খনিজ আছে, যা মার্কিন অর্থনীতিকে আঘাত হানতে পারে।

বাণিজ্যযুদ্ধ দীর্ঘ হলে এই বিরল খনিজের মাধ্যমে চীন মার্কিন কারখানাগুলোকে নড়বড়ে করে দিতে পারে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থানের সংকট দেখা দিতে পারে। উচ্চ মূদ্রাস্ফীতি তৈরি করতে পারে।

আর এসব ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দ্রুত আসার আশঙ্কা রয়েছে, যা ট্রাম্পের জন্য ক্ষতিকর হবে। সেক্ষেত্রে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এরকম কোনো চাপ নেই।

এসব কারণেই চীন বাণিজ্যযুদ্ধ বন্ধে আগে থেকেই কোনো পদক্ষেপ নেবে না। তারা ট্রাম্পের পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করবে।

ইতোমধ্যে ট্রাম্প বলেছেন, বল চীনের কোর্টে। তবে তার জোর দাবি, চীনকে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে আসতেই হবে। ট্রাম্পের এই মনোভাব সম্পর্কে বেইজিং চুপ। ব্যাপারটি তারা কানেই নিচ্ছে না। কারণ চীনা নেতারা মনে করেন, ট্রাম্প এমন একজন নেতা, যিনি বারবার মন পরিবর্তন করেন। দীর্ঘ সময়ের জন্য কোনো চুক্তিতে আটকে থাকতে পারেন না।

বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, এসবের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, বাণিজ্যযুদ্ধ অবসানের পদক্ষেপগুলো ট্রাম্পের কাছ থেকেই আসতে হবে। সংকটের সমাধান বেইজিং থেকে উদ্ভূত হবে না। 
সেক্ষেত্রে ট্রাম্পকেই চুক্তির ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ চিন লড়াইয়ে জিততে চায়। তারা আন্তর্জাতিকভাবে এই জয়কে উপস্থাপন করতে চায়।

ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় এসে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেন। তখন বেইজিং ২০০ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত মার্কিন পণ্য ও পরিষেবা ক্রয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে চুক্তিটি শেষ পর্যন্ত অকার্যকর হয়ে পড়ে।

কারণ বেইজিং ক্রয় প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। চীন এভাবে করতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে পিছু হটতে বাধ্য হতে পারে।

বিশ্লেষণে বলা হয়, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্র সৃষ্টি হওয়া জরুরি। যাতে উভয়পক্ষ বাণিজ্যের জন্য আগ্রহ পেতে পারে।

সেক্ষেত্রে দুই পক্ষের উচিত যৌথ বাণিজ্যিক পদক্ষেপ ঘোষণা দেওয়া। যেমন, চীন পণ্যের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ানোর পদক্ষেপের কথা ঘোষণা দিয়েছে।

চীন যদি তা বাস্তবায়ন করতে পারে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানি স্বাভাবিকভাবেই তারা কমিয়ে দেবে।

অন্যদিকে ট্রাম্পের সামনে জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট খাতের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা বিনিয়োগের দরজা উন্মুক্ত রাখার সুযোগ আছে। কারণ চীনা বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পায়নে অগ্রগতি এনে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে শি জিনপিংও মার্কিন বাজারে মুনাফা করে সাফল্যের দাবিদার হতে পারেন।

আগামী নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় এপিইসি বা অ্যাপেক সম্মেলনে ট্রাম্প ও শির মধ্যে বৈঠক হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে।

সেখানে আলোচনার মাধ্যমে একটা পথ খুলে যেতে পারে দু’দেশের জন্য। আর এর আগে যদি ক্রমবর্ধমান সংকট এড়ানোর কোনো পদক্ষেপ নিতে হয়, তবে তা ট্রাম্পকেই নিতে হবে। সূত্র: টাইম।

রোমের সান্তা মারিয়া ম্যাজিওর ব্যাসিলিকায় রোমান ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসকে সমাহিত করা হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

এদিন (২৬ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় ইতালির ফিউমিচিনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে ভ্যাটিকান সিটিতে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন পোপ ফ্রান্সিসকে।

ড. ইউনূস ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন। অন্য বিশ্বনেতাদের মধ্যে ফ্রান্সিসের জন্মভূমি আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলি, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন। চার্চের সর্বোচ্চ ধর্মীয় ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন ক্যাথলিক চার্চের কার্ডিনাল কলেজের ডিন জিওভান্নি বাত্তিস্তা রে।

পোপের কফিন বন্ধ করার আগে সাদা রেশমের কাপড়ে পোপের মুখ ঢেকে দেয়া হয়। শরীরে দেয়া হয় পবিত্র পানি। কফিনের ভেতরে দেয়া হয় পোপের দায়িত্বকালে তার জন্য তৈরি বিভিন্ন মুদ্রা ও স্মারক। এ ছাড়া তার ১২ বছরের দায়িত্বকালের বিভিন্ন অর্জনের কথাযুক্ত একটি দলিলও কফিনে রাখা হয়।

উল্লেখ্য, পোপ ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু। যিনি পোপ নির্বাচিত হন, তিনি ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রপ্রধান এবং পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সব ক্যাথলিক চার্চের প্রধান হিসেবে বিবেচিত হন।