গত দেড় দশকে ছাত্র রাজনীতির নেতিবাচক কার্যক্রমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ট্রমায় আছে। এ অবস্থায় ক্যাম্পাসে রাজনীতির রুপ কেমন হবে, তা নিয়ে সবার সাথেই ধারাবাহিক আলোচনা করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনটা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

আবাসিক হলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোকে আমন্ত্রণ জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার (১০ আগস্ট) দুপুর সোয়া ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে শুরু হয় এই বৈঠক।

বৈঠকের আগে ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ জানান, সমঅধিকারের ভিত্তিতে সবাই যেন হলে শান্তিপূর্ণভাবে ডাকসুকেন্দ্রিক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারে, সে লক্ষ্যে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রুদ্ধদ্বার আলোচনা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপস্থিতিকে কারণ দেখিয়ে সভা বর্জন করে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো। তারা বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে গুপ্ত কার্যক্রমের অভিযোগ তোলেন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংগঠনটির অবস্থানের প্রতিবাদ জানান।

এদিকে, আবাসিক হল ও একাডেমিক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কাঠামো চায় না বলে মতামত জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ক্যাম্পাসে শিবিরের গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ করে সবার মতামত নিয়ে ছাত্র রাজনীতির নতুন রুপরেখা দিতে হবে।

সভায় ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি থাকতেই হবে। তবে রাজনীতির ধরন কেমন হবে, তার জন্য শিক্ষার্থীদের ভোটাভুটি হতে পারে।

এর আগে, শুক্রবার (৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন শিক্ষার্থীরা। এরপর শনিবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে বিক্ষোভের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন ঢাবি উপাচার্য।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব