• Colors: Purple Color

নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত জাতির সংশয় আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান তিনি।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষ্যে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে একথা বলেন তিনি।

এসময় দলের নেতাকর্মীদের কারও পাতানো ফাঁদে পা না দেয়ার আহ্বানও জানান গয়েশ্বর। বলেন, এর আগে নানাজনের নানা কথায় খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করা হয়ে ওঠেনি। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করে খালেদা জিয়া জাতির অভিভাবকে পরিণত হয়েছেন।এখনও তিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

কিডনিতে পাথর হয় মূলত যখন প্রস্রাবে থাকা কিছু খনিজ পদার্থ, যেমন ক্যালসিয়াম, অক্সালেট বা ইউরিক অ্যাসিড জমে গিয়ে শক্ত হয়ে যায়। এতে মূত্রে থাকা পানি এগুলোকে যথেষ্ট পরিমাণে ভাঙতে পারে না বলে জমাট বাঁধে। এই পাথর কিডনির ভিতরে বা বের হওয়ার পথে চলাচলের সময় তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

প্রতি ১১ জনে ১ জনের কিডনিতে পাথর হতে পারে। পুরুষদের এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নারীদের চেয়ে দ্বিগুণ। তবে আশার কথা হলো, কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে এর প্রতিরোধ সম্ভব এবং এ রোগের ভালো চিকিৎসাও আছে।

দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বিভিন্ন অভ্যাস রয়েছে, যেগুলো কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো আবার কিছু বাজে অভ্যাস শরীরের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ঠিক তেমনি ৭টি অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করা হলো, যেগুলো ক্ষতিকর মনে না হলেও ধীরে ধীরে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

সকালে খালি পেটে চা, কফি পান:

অনেকে সকাল শুরু করেন এক কাপ চা বা কফি দিয়ে। কিন্তু এটা যদি খালি পেটে হয়, তাহলে তা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। এসব পানীয়তে অক্সালেট নামে একটি যৌগ থাকে, বিশেষ করে ব্ল্যাক টিতে। দিনের পর দিন অতিরিক্ত মাত্রায় খালি পেটে পান করা উচিত নয়। কারণ অক্সালেট কিডনিতে ক্যালসিয়ামের সাথে যুক্ত হয়ে স্ফটিক তৈরি করে, যা পরে পাথর গঠনের কারণ হয়। এছাড়া খালি পেটে এগুলো খাওয়া পাকস্থলীর অ্যাসিডিটিও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই দিন শুরু করুন গরম পানির গ্লাস দিয়ে, এরপর কিছু খাওয়ার পর চা বা কফি খান।

অত্যাধিক প্রাণিজ প্রোটিন খাওয়া:

প্রোটিন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, মাংসপেশি তৈরিতে ও শক্তির জন্য দরকারি। তবে প্রাণিজ প্রোটিন (গরু, খাসি, মুরগি, মাছ) বেশি খেলে প্রস্রাব আরও অ্যাসিডিক হয়ে যায়। এতে সাইট্রেটের মাত্রা কমে যায়, যা কিডনিতে পাথর হওয়া রোধ করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি পশু প্রোটিন খাওয়া কিডনিতে পাথরের বড় কারণ হতে পারে। এজন্য সপ্তাহে কয়েকদিন উদ্ভিজ্জ প্রোটিনভিত্তিক খাবার রাখুন এবং শসা, কলার মতো কিডনি-বান্ধব খাবার খান।

নিয়মিত নাস্তা না করা:

দিন শুরুতেই নাস্তা না খাওয়ার কারণে পরবর্তী সময়ে প্রস্রাবে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। কারণ নিয়মমতো পুষ্টি না পাওয়া গেলে শরীর মাংসপেশির টিস্যু ভাঙতে শুরু করে, ফলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়। এটাও কিডনিতে পাথর হওয়ার একটি কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, অনিয়মিত খাবার শরীরের বিপাক পরিবর্তন করে, যা পাথর তৈরি হতে সাহায্য করে। তাই ছোট হলেও নিয়মিত খাবার খান। সেটা হতে পারে ভেজানো বাদাম বা ফলের মতো হালকা কিছু।

সারাদিনে কম পানি পান:

তৃষ্ণা লাগলে পানি পান করা হয়। কিন্তু যখন তৃষ্ণা অনুভূত হয়, তখন শরীরে ডিহাইড্রেশন শুরু হয়ে গেছে। কম পানি খেলে প্রস্রাব ঘন হয়, যার ফলে ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট একসঙ্গে জমাট হয়ে পাথর তৈরি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের প্রস্রাব পাতলা, তাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম। তাই প্রতি ঘণ্টায় একটু একটু করে পানি পান করুন। পানিতে লেবুর স্লাইস বা কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিন, কারণ এতে থাকা সাইট্রেট পাথর গঠন রোধ করে।

অতিরিক্ত পালং শাক, বিট ও বাদাম খাওয়া:

এসব খাবারে অক্সালেট বেশি থাকে। পুষ্টিকর হলেও অতিরিক্ত খাওয়া, বিশেষ করে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম ছাড়া, কিডনিতে পাথর হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারে বেশি অক্সালেট থাকলে ও ক্যালসিয়াম না থাকলে এগুলো সরাসরি কিডনিতে গিয়ে পাথর তৈরি করে। তাই অক্সালেটযুক্ত খাবার যেমন পালং শাক বা বাদাম ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে খান— যেমন দই বা পনির। এবং এগুলো প্রতিদিন বড় পরিমাণে না খাওয়া ভালো।

দীর্ঘসময় প্রস্রাব চেপে রাখা:

অনেক সময় কাজের জন্য কিংবা বাইরে গেলে প্রস্রাব লাগলেও ধরে রাখা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় প্রস্রাব আটকে রাখলে কিডনি বা মূত্রথলিতে পাথর গঠনের পদার্থ জমতে পারে। এ ছাড়া এই অভ্যাস ইউরিনারি ইনফেকশনের ঝুঁকিও বাড়ায়। কাজ বা ভ্রমণের সময়েও নিয়মিত টয়লেট ব্যবহার করুন, প্রয়োজনে বিরতি নিন।

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ:

খাবার থেকে পাওয়া ক্যালসিয়াম নয়, বরং অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট থেকে পাওয়া ক্যালসিয়াম প্রস্রাবে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে খাবারের সঙ্গে না নিলে ঝুঁকি বেশি থাকে। দুধ, রাগি, তিলের মতো প্রাকৃতিক খাবার থেকে ক্যালসিয়াম নিলে পাথরের ঝুঁকি কমে, কিন্তু সাপ্লিমেন্ট ঠিকমতো না খেলে ঝুঁকি বাড়ে। তাই ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট নেয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সম্ভব হলে প্রাকৃতিক উৎস বেছে নিন।

প্রতিদিনের ছোট ছোট অভ্যাসই শরীরের ভেতরে বড় পরিবর্তন আনে। সচেতন জীবনযাপন কিডনিতে পাথরের মতো সমস্যা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।

সূত্র: টাইমন অব ইন্ডিয়া

আজ ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ইতিহাসের এই দিনেই সপরিবারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। গতবারের মতো এবারও দিবসটি এসেছে ভিন্ন আবহে।

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদে ১৫ আগস্ট ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে পালিত হতো। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশত্যাগ করেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। গত বছর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসের সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়।

১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। সেদিন ভোররাতে কিছু বিপথগামী সেনাসদস্য রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই তারা থামেনি, বুলেটের আঘাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

নির্মম ওই হত্যাযজ্ঞে প্রাণে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও মেয়ে বেবি, সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, আবদুল নাঈম খান রিন্টু, কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।

ওই ঘটনার সময় মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই বছর রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৫ আগস্টকে প্রথম শোক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এলে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। তবে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবারও ১৫ আগস্টকে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। যদিও ফেসবুকের মতো সামাজিকমাধ্যমে আলোচনা ও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ১৫ আগস্ট উপলক্ষ্যে শোক জানানো হয়েছে।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেখানে পুলিশের সাঁজোয়া যান (এপিসি) ও রায়টকার মোতায়েন করা হয়েছে। বিকেল থেকেই এলাকার প্রবেশপথগুলোতে ব্যারিকেড বসিয়ে যানবাহন ও পথচারীর চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। একইসঙ্গে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।

৩২ নম্বর এলাকায় ‘সন্দেহজনক’ ঘোরাঘুরির অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যদিও রাত ১২টার দিকে শুক্রাবাদ মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে বাংলাদেশে আবারও পুরোনো সমস্যাগুলো ফিরে আসবে— এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে সিঙ্গাপুরভিত্তিক চ্যানেল নিউজ এশিয়া (সিএনএ) টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছেন। দায়িত্ব নেয়ার পর যেসব লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিলো, সেগুলো অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছেছে বলেও জানান তিনি।

নির্বাচনের পরে সরকারে থাকার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়ে দেন প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জাতির যে আকাঙ্ক্ষা, তা নিশ্চিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন— এই তিনটি বিষয় প্রাধান্যের তালিকায় সবার আগে বলেও জানান তিনি।

নির্বাচন ও সংস্কার— কোনটি আগে? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যদি আমরা নির্বাচন দিয়ে শুরু করি তাহলে আমাদের সংস্কারের প্রয়োজন নেই, বিচারের প্রয়োজন নেই। কারণ, আমাদের পক্ষ থেকে নির্বাচন হলে সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। তাহলে সবকিছু নির্বাচিতদের হাতে চলে যাবে। অন্য দুটি কাজ না করে শুধু নির্বাচন হলে ফের সেই পুরোনো সমস্যায় ফিরে যাওয়াটাই স্বাভাবিক গন্তব্য হবে, যা ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন ঘটাবে। কারণ, সেই পদ্ধতি কোনো আইনের শাসন তৈরি করতে কাজ করবে না।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও দ্বিপাক্ষিক পররাষ্ট্রনীতি ইস্যুতেও কথা বলেন ড. ইউনূস। পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করার পাশাপাশি জানান, ভারতের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় বাংলাদেশ। নেপাল-ভুটানের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ‘সেভেন সিস্টার্স’ এলাকাকে সামগ্রিকভাবে ভালো একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বানানোর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।

সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় অজ্ঞাত ২ হাজার জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে মামলা দায়ের করেন খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাবীব।

মামলার এজাহারে বলা হয়, কিছু দুষ্কৃতিকারী গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে গেজেটভুক্ত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি হতে অবৈধ এবং অননুমোদিতভাবে কোটি টাকার পাথর লুটপাট করছে। যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

এজাহারে আরও বলা হয়, সরকারি গেজেটভুক্ত কোয়ারি থেকে এ ধরনের লুট বা চুরি খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২-এর ধারা ৪(২)(ঞ) এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২-এর বিধি ৯৩(১)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়া দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৩৭৯ ও ৪৩১ ধারার অপরাধও সংঘটিত হয়েছে।

পাথর লুটে জড়িতদের তদন্তের মাধ্যমে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সিলেট থেকে লুট হওয়া আনুমানিক ১ লাখ ঘনফুট পাথর এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবেশকর্মী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, এক বছরে সিলেট থেকে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট পাথর লুট হয়েছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য দুই শত কোটি টাকার বেশি।

সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের আরাধ্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ও শুভ জন্মাষ্টমী আজ। শনিবার (১৬ আগস্ট) এ উপলক্ষে দেশের হিন্দু সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ–উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করবে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে, প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে আবির্ভূত হন। অত্যাচারী ও দুর্জনের বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয় সাধুজনের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কংসের কারাগারে জন্ম নেন তিনি। শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমনে তিনি ব্রতী ছিলেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ তাই ভগবানের আসনে অধিষ্ঠিত।

সনাতন ধর্মানুযায়ী যখনই পৃথিবীতে অধর্ম বেড়ে গিয়ে ধার্মিক ও সাধারণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, তখনই দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মাধ্যমে ধর্মের রক্ষার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অবতার রূপে ধরায় নেমে আসেন।

আজ সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করবে বিশেষ নিবন্ধ।

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শুক্রবার এক বাণীতে তিনি বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আজ বেলা ৩টায় ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল ও রাতে শ্রীকৃষ্ণপূজা অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর পলাশীর মোড়ে বেলা তিনটায় কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধনে থাকবেন তিন বাহিনীর প্রধানরা।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব