• Colors: Purple Color

অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সততার ওপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে গণমাধ্যমকে দেয়া এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব দলের পক্ষে এই অভিমত ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, আজকে একটি পত্রিকায় একজন সাবেক সচিবকে উল্লেখ করে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তিনি বলেন ৮ জন উপদেষ্টা দুর্নীতির সাথে জড়িত। যদি উনি এই ধরনের কথা বলে থাকেন সেটা উনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এর সাথে বিএনপির কোনও সম্পর্ক নেই। আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাই সেই বক্তব্যের দায় সম্পূর্ণ তার নিজের। দলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাসহ এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের সকল উপদেষ্টাকে অত্যন্ত সম্মান করি এবং তাদের সততার ওপর আস্থা রাখি।

উল্লেখ্য, দেশের স্বনামধন্য কয়েকটি পত্রিকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারের বরাত দিয়ে ৮ উপদেষ্টার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপি মহাসচিব দলের পক্ষে এই অভিমত ব্যক্ত করেন।

সরকারি হাসপাতালে চাকরি যাওয়ার ভয় না থাকায় সেবাগ্রহীতারা কাঙিক্ষত সেবা পান না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট কনভেনশনে এ মন্তব্য করেন তিনি। এজন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের তাগিদ দেন তিনি।

এ সময়, স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিন মাসব্যাপী পরিকল্পনা নিয়ে সেবাগ্রহীতাদের জন্য কিছু কাজ সম্পন্ন করে যাওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

সাইদুর রহমান বলেন, একটি উদ্যোগে যদি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন হয় তবে রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না। এ সময় স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণের উপর জোর দেন তিনি।

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয় ব্যাংকিং খাতে। প্রভাবশালীদের লুটপাটে খাদের কিনারে চলে যায় বেশ কয়েকটি ব্যাংক।

বর্তমান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নিয়েই ব্যাংকিং খাতের লুটপাট বন্ধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেন । বছরজুড়েই চলমান ছিল সংস্কার কার্যক্রম। শুরুতে পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয় ১৪টি ব্যাংকের।

ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন ও আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে গঠন করা হয় টাস্কফোর্স। আর্থিক অবস্থা জানতে সম্পদ মূল্যায়ন করা হয় দুর্বল ৬টি ব্যাংকের। একীভূতকরণে প্রণয়ন করা হয় ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট। এ বিষয়ে একটি বিভাগও গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। খেলাপি ঋণ নির্ধারণে চালু করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসব উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

সেন্টার ফর পলিসির (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ব্যাংকিং খাতটা, বিশেষ করে বলতে গেলে সেখানেই অনেক দৃশ্যমান সংস্কারের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। অন্যান্য খাতের সাথে তুলনা করলে ব্যাংকিং খাতে কিন্তু অনেক অগ্রগতি হয়েছে এবং আমার মনে হয় যে কালক্ষেপণ না করে যতটা সম্ভব দ্রুততার সাথে করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে কিন্তু অগ্রগতি সংস্কারের পথে যাচ্ছে। আসলে এই সংস্কারটা অনেকদিন ধরেই চলবে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বললেন, ব্যাংকগুলোতে পরিবর্তন আসার সাথে সাথে গভর্নেন্স অনেক ইম্প্রুভ করে গেছে। লক্ষণীয়ভাবে যে জিনিসগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক করেছে সেটা হচ্ছে এই যে এতগুলো ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করে দিয়েছে। আবার এখন এনপিএল ক্যালকুলেশনটা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতেছে। ব্যাংক রেজুলেশন অর্ডিন্যান্স একটা করছে। সবগুলো কিন্তু অবশ্যই প্রভাব রাখা শুরু করেছে।

সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ব্যাংক কোম্পানি আইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারেও। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সংস্কারের প্রতিটি উদ্যোগেরই অগ্রগতি আছে। আইন না থাকায় এর আগে একীভূতকরণের উদ্যোগ সফল হয়নি বলেও জানান মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।

তিনি বলেছেন, সুপারভিশনের মাধ্যমে আগে আমরা কোনও একটা ব্যাংকের ক্ষেত্রে রিঅ্যাক্টিভ মেজার নিতাম। এখন করছি প্রোঅ্যাক্টিভ। আগে থেকে আমরা সাবধান করে দিচ্ছি। তোমার কিন্তু এইখানে দুর্বলতা দেখা দিচ্ছে। এখনই তুমি সংশোধন করো অন্যথায় ভবিষ্যতে তোমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। ব্যাংক রেজুলেশন অর্ডিনেন্স জারি করা হয়েছে যার মাধ্যমে একীভূতকরণসহ বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করার আইনি ভিত্তি তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিবাচক উদ্যোগের ফলে ব্যাংকিং খাত এখন অনেকটাই স্থিতিশীল বলেও জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ঢাকা বিশ্ববিদলয়ের হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি না রাখার বিষয়ে আগের সিদ্ধান্ত বহাল আছে। সিদ্ধান্ত কার্যকরে রোডম্যাপ তৈরিতে সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান ।

শনিবার (৯ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ইস্যুতে হল প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট ড. ফারুক শাহ বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে রোডম্যাপ তৈরি হবে। ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ঢাবি শাখা ছাত্রদলের বিভিন্ন হল ইউনিটে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুর থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। পরে দিবাগত রাত ১২টার পর মিছিল নিয়ে টিএসসি’র রাজু ভাস্কর্যে একত্রিত হন বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা হলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি জানান।

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে বলে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। পরে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ স্পষ্টভাবে ঘোষণা দেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে।

গত দেড় দশকে ছাত্র রাজনীতির নেতিবাচক কার্যক্রমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ট্রমায় আছে। এ অবস্থায় ক্যাম্পাসে রাজনীতির রুপ কেমন হবে, তা নিয়ে সবার সাথেই ধারাবাহিক আলোচনা করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনটা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

আবাসিক হলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোকে আমন্ত্রণ জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার (১০ আগস্ট) দুপুর সোয়া ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে শুরু হয় এই বৈঠক।

বৈঠকের আগে ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ জানান, সমঅধিকারের ভিত্তিতে সবাই যেন হলে শান্তিপূর্ণভাবে ডাকসুকেন্দ্রিক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারে, সে লক্ষ্যে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রুদ্ধদ্বার আলোচনা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপস্থিতিকে কারণ দেখিয়ে সভা বর্জন করে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো। তারা বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে গুপ্ত কার্যক্রমের অভিযোগ তোলেন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংগঠনটির অবস্থানের প্রতিবাদ জানান।

এদিকে, আবাসিক হল ও একাডেমিক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কাঠামো চায় না বলে মতামত জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ক্যাম্পাসে শিবিরের গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ করে সবার মতামত নিয়ে ছাত্র রাজনীতির নতুন রুপরেখা দিতে হবে।

সভায় ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি থাকতেই হবে। তবে রাজনীতির ধরন কেমন হবে, তার জন্য শিক্ষার্থীদের ভোটাভুটি হতে পারে।

এর আগে, শুক্রবার (৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন শিক্ষার্থীরা। এরপর শনিবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে বিক্ষোভের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন ঢাবি উপাচার্য।

কসই বেড়ীবাঁধ এবং দ্বীপের চারপাশে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা না গেলে আগামী ৫০ বছরের মধ্যেই সমুদ্রপৃষ্ঠে বিলীন হবে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড কুতুবদিয়া। ‘অস্তিত্বের সংকটে কুতুবদিয়া দ্বীপ: রাষ্ট্রের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এমন শঙ্কার কথা জানান বক্তারা।

রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সম্মিলিত নাগরিক সমাজের উদ্যোগে এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবাদী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

বক্তারা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং অব্যাহত ভাঙনে ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে কুতুবদিয়া দ্বীপ। শত শত পরিবার হারিয়েছে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি, মাছের ঘের। এতে থেমে গেছে তাদের জীবিকার চাকা। এ সময়, সরকারের জরুরি উদ্যোগ ছাড়া দ্বীপবাসীর জীবন ও জীবিকা রক্ষা সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। এজন্য সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণ, উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী তৈরি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেন তারা।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব