• Colors: Purple Color

রাজধানীতে ছাত্রদল ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে ঘিরে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বইলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো: সাজ্জাত আলী।

রোববার (৩ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, অনলাইনে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু সমাবেশ ঘিরে কোনো হুমকি নেই। পুরো এলাকায় পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বস্তিসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। এ সময় নগরবাসীকে গুজবে কান না দিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাচলের আহ্বানও জানান তিনি।

শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় রাষ্ট্রপক্ষ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে গুম-খুন-চাদাবাজি ও টাকা পাচারের রাজনৈতিক সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছিলো বিগত সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী মামলার সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

রোববার (৩ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালের সামনে সূচনা বক্তব্য শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দেন অ্যাটর্নি জেনারেল একথা বলেন।

সূচনা বক্তব্য শুরুর আগে ট্রাইব্যুনালের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, ব্যক্তি নয় অপরাধই মূখ্য। ব্যক্তি যেই হোক সে অপরাধ করলে তার বিচার করার জন্য আমরা সংকল্পবদ্ধ। যে কারণে আমরা বিচার চাই। আজকের দিনটি ঐতিহাসিক। পৃথিবীর ইতিহাসে শেখ হাসিনার মত কোনো স্বৈরাচারের জন্ম হয়নি। তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মিথ্যাবাদী স্বৈরাচার। 

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কোনো স্বৈরাচারকে মিথ্যার ওপর পিএইচডি করতে হলে শেখ হাসিনার কাছে শিখতে হবে। পৃথিবীর সব স্বৈরশাসকের যদি কোনো সমিতি করা হয়, শেখ হাসিনা হবেন তার সভাপতি। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে স্বৈরাচার ও তার সহযোগীদের সর্বোচ্চ শাস্তি আমরা চাই। মানব সভ্যতার ইতিহাসে এই বিচার একটি মানদণ্ড হয়ে থাকবে। আমরা চাই শেখ হাসিবার বিরুদ্ধে যাতে কোনো ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ এর মাধ্যমে বিচার না হয়।

এসময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে বিচার পরিচালিত হবে। বলেন, শেখ হাসিনার বিচার অতীতের হিসাব মেটানো নয়, এটি বিচার ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপনের একটি প্রক্রিয়া। আজ ‘রাজসাক্ষী’ হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আনা হয় ট্রাইব্যুনালে। সাক্ষ্য দিচ্ছেন জুলাই আন্দোলনের আহতরা।

মানুষের জীবনে বন্ধু এক অদৃশ্য আশ্রয়। যে আশ্রয়ে না বলা কথাগুলোও বুকে গাঁথা থাকে, যে পাশে দাঁড়ায় কোনো শর্ত ছাড়াই।

বন্ধুত্ব মানে চোখের চাহনিতে, হালকা এক হাসিতে কিংবা নিঃশব্দে কাঁধে হাত রাখার সেই ভরসা— যা শব্দ ছাড়াও অনুভব করা যায়। সেই বন্ধুগুলোর সাথে হয়তো নিয়মিত দেখা হয় না, আড্ডার ধরনও হয়তো বদলে গেছে, তবু বছরের এই একটা দিন ফিরে আসে পুরোনো বিকেলগুলোকে মনে করিয়ে দিতে… আজ সেই বন্ধুত্বের জয়গান গাওয়ার দিন।

বন্ধুত্ব উদযাপনের সূচনা আধুনিককালে হলেও, মানুষের হৃদয়ে এর শেকড় অনেক গভীরে। এক শতাব্দী আগেও ‘বন্ধু দিবস’ নামে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। ১৯৩০-এর দশকে মার্কিন উদ্যোক্তা জয়েস ক্লাইড হল প্রথম ‘বন্ধু দিবস’ পালনের ধারণা আনেন। পরে ১৯৫৮ সালে প্যারাগুয়ের চিকিৎসক র‍্যামন আর্তেমিও ব্রাচো এই দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে পালনের প্রস্তাব দেন। আর জাতিসংঘ ২০১১ সালে ৩০ জুলাইকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস’ ঘোষণা করে।

তবে বাংলাদেশ ও ভারতসহ অনেক দেশেই আগস্টের প্রথম রোববার বন্ধু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সামাজিকমাধ্যমে এদিন ভরে ওঠে অনুভবের ঝরায়। দেখা যায় ছবির ক্যারোসেল, পুরোনো আড্ডার স্মৃতি অথবা ‘তোকে মনে পড়ে’ বার্তা।

বন্ধু মানে এমন কেউ, যার সঙ্গে কোনো মুখোশ পরে কথা বলতে হয় না। ‘ভালো আছিস?’ বলা লাগে না, কারণ চোখের দৃষ্টিতেই সব বলা হয়ে যায়। বন্ধু মানে চায়ের দোকানে বিকেলের হালকা বাতাস, ক্যাম্পাসের নির্দিষ্ট কর্নার, নদীর পাড়ের নিশ্চুপ হাঁটাচলা কিংবা কোনো সন্ধ্যায় নিঃশব্দে পাশে বসে থাকা।

এই দিনে কেউ কেউ ফোন করে পুরোনো বন্ধুদের, কেউ খুঁজে নেয় সেই পুরোনো আড্ডার জায়গাগুলো। কেউ হয়তো লিখে ফেলে একটি চিঠি—প্রিয় বন্ধুর উদ্দেশে, যা কখনো বলা হয়নি মুখে।

বন্ধুত্বের মানে সময়ের সঙ্গে বদলায় না, শুধু রূপ নেয়। স্কুলের বেঞ্চ থেকে কর্মস্থলের করিডোর— বন্ধুত্ব থাকে, রয়ে যায় অন্তরের গভীরে। আজ সেই সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর দিন। আজ বন্ধুত্বের জয়গান গাওয়ার দিন। সবাইকে বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা।

জুলাই গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ জুলাই আন্দোলনে আহতরা সাক্ষ্য দিচ্ছেন।

রোববার (৩ আগস্ট) সকালে সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। বিটিভিতে তা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়নি।

এর আগে, রোববার সকালে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ‘রাজসাক্ষী’ হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।

সূচনা বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিগত আমলে গুম-খুনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি সৃষ্টি হয়েছিল। দেশের মানুষ ও গণতন্ত্রের জন্য এমন একটি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা দরকার, যেখানে খুনের রাজনীতি বন্ধ হবে। শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় রাষ্ট্রপক্ষ।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচার হওয়া মানেই ন্যায় বিচার বঞ্চিত হওয়া নয়।

গত ১০ জুলাই জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিচার শুরুর আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক রয়েছেন।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ঠিক একদিন আগে, বেপরোয়া হয়ে ওঠে রাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীগুলো। এদিন আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটও খারিজ করে দেয়া হয়। ফলে ৪ আগস্ট জঙ্গিদমন কায়দায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারতে থাকে বিভিন্ন বাহিনী। এরই মধ্যে ঘোষণা হয়, মার্চ টু ঢাকা। আন্দোলনের এই পর্যায়ে এসে, এক দফা দাবিতে অনঢ় হয় ছাত্র-জনতাসহ দেশের আপামর মানুষ। তা হলো, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। সেই দাবিতেই ৪ তারিখ থেকে সারাদেশে শুরু হয় আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি। একই সাথে আরও কঠোর কারফিউ জারি হয় দেশজুড়ে। এদিন সকাল থেকে ছাত্র-জনতার প্রতিরোধে রীতিমতো রণক্ষেত্র রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকা। ছাত্রলীগ-যুবলীগ আর পুলিশের সশস্ত্র হামলা খালি হাতেই মোকাবিলা করতে থাকে কয়েকশ’ মানুষ। রামপুরায় নামেন ইস্ট ওয়েস্ট, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক আর সাধারণ মানুষ। তাদের ওপরই বৃষ্টির মতো নামতে থাকে গুলি। উত্তরা, বাড্ডা, প্রগতি সরণিতেও একই চিত্র। কারওয়ান বাজার, সায়েন্স ল্যাব, শাহবাগ, বাংলামোটর আর ধানমন্ডি তখন যেন যুদ্ধক্ষেত্র। এ সময় ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা বিচ্ছিন্নভাবে ভাঙচুর চালান বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায়, বিএসএমএমইউ কম্পাউন্ডের ভেতরেও করা হয় অগ্নিসংযোগ। নিম্ন আদালতের মূল গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেও ক্ষোভ ঝাড়তে থাকেন আন্দোলনকারীরা। হাসপাতালগুলোতেও তখন বইছে রক্তের স্রোত। এত এত গুলিবিদ্ধদের চিকিৎসা দিতে চিকিৎসক-নার্সদের তখন নাভিশ্বাস অবস্থা। এক ঢাকা মেডিকেলেই কয়েতঘণ্টার মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভর্তি হন ৬৭ জন। আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় আড়াইশো’ মানুষ। এরমধ্যে জরুরি বিভাগেই ৭ জনের মৃত্যু হয়। এদিকে মিরপুরে তখন দেখা যায় এক অভূতপূর্ব চিত্র। সরকার সমর্থিত বাহিনীর বিপরীতে আন্দোলনকারীদের পক্ষেই ঢাল হয়ে দাঁড়ান একদল সেনাসদস্য। এসময় পুলিশ-ছাত্রলীগের দিকে সেনাসদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়লে; ভিন্ন হিসেব-নিকেশের গন্ধ পায় সাধারণ মানুষ। রক্তের দাম মেটাতে সারাদেশেই তখন শক্ত প্রতিরোধ ছাত্র-জনতার। চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, দিনাজপুর ঝিনাইদহসহ গোটা দেশ রীতিমতো যুদ্ধক্ষেত্র। তখন ক্ষমতা টেকানোর শেষ চেষ্টায় তৎকালীন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, আর সশস্ত্র বাহিনী প্রধানদের সাথে বৈঠকে বসেন শেখ হাসিনা। সেই বৈঠকেই আন্দোলনে গুলি চালাতে সেনাবাহিনীর ওপর চাপ দেন তিনি। এই যখন পরিস্থিতি, তখন ‘ডু অর ডাই’ সিদ্ধান্ত আসে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। ঘোষণা, ৬ তারিখ নয়, ‘মার্চ টু ঢাকা’ হবে ৫ আগস্ট। সমন্বয়করা জানালেন, মার্চ টু ঢাকা একদিন এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত ছিল, মূলত একটা ফাঁদ। ‘মার্চ টু ঢাকা’ ঘোষণার পরই টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। তখন বড় কিছু একটার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দফায় টানা দেড় দশকের মসনদ ত্যাগের আগাম বার্তা পাচ্ছিলেন শেখ হাসিনা।

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনদিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে পাল্লা দিয়ে। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার আজকের (৪ আগস্ট, ২০২৫) বিনিময় হার: মুদ্রার নাম বাংলাদেশি টাকা ইউএস ডলার ১২২ টাকা ৬৩ পয়সা ইউরো ১৪১ টাকা ৪৮ পয়সা পাউন্ড ১৬৩ টাকা ৯০ পয়সা ভারতীয় রুপি ১ টাকা ৪১ পয়সা মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ২৬ টাকা ৮৩ পয়সা সিঙ্গাপুরি ডলার ৯১ টাকা ৪২ পয়সা সৌদি রিয়াল ৩২ টাকা ৭১ পয়সা কানাডিয়ান ডলার ৮৪ টাকা ৫৫ পয়সা কুয়েতি দিনার ৪০১ টাকা ৬৭ পয়সা অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৭৫ টাকা ১১ পয়সা *মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। জিডিপি কিংবা পার ক্যাপিটা (মাথাপিছু আয়) হিসাবও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে করা হয় পশ্চিমা মুদ্রায়।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব