Aliquam dui nulla, fermentum sit amet ante et, tempor facilisis metus. Aenean aliquam ultricies tellus at elementum. Morbi quis cursus tortor, id vulputate felis.

Aliquam dui nulla, fermentum sit amet ante et, tempor facilisis metus. Aenean aliquam ultricies tellus at elementum. Morbi quis cursus tortor, id vulputate felis.

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে অংশগ্রহণকারী উত্তর কোরিয়ার সেনাদের ‘বীর’ আখ্যা দিয়েছেন সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেসিএনএ’তে প্রচার করা হয় এ খবর।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, উত্তর কোরীয় সেনা কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন কিম। ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিদেশে দায়িত্ব পালনকারী সেনা কর্মকর্তাদের। রাশিয়ার কুরস্কে যেভাবে উত্তর কোরীয় সেনারা বিভিন্ন কমব্যাট ইউনিটের নেতৃত্ব দিচ্ছে, তার প্রশংসা করেন কিম।

এর আগে, ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত উত্তর কোরীয় সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানানো হয় নিহত সেনাদের প্রতি।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ১০ হাজারের বেশি উত্তর কোরীয় সেনাকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। আরও একটি বহর পাঠানোর পরিকল্পনার কথাও শোনা গেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠক চলাকালে ধনকুবের ইলন মাস্কের প্রশংসা করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। আর এতেই যেন মুখ গোমড়া হয়ে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে সোমবার (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি ও গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বৈঠকেই ঘটে ঘটনাটি।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’ -এর এক প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ায় মাস্কের মালিকানাধীন স্টারলিংককে ধন্যবাদ জানান মেলোনি। আর সেকথা শোনার সাথে সাথেই মলিন হয়ে যায় ট্রাম্পের চেহারা। মেলোনির বক্তব্যের পুরোটা সময় মুখ কালো করে নিঃশব্দে বসে থাকতে দেখা যায় তাকে।

এ সময়, ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া দেখে বিষয়টা সম্ভবত আঁচ করতে পারেন মেলোনি। এরপর মাস্ককে ধন্যবাদ দেওয়ার কারণ সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা করেন তিনি।

ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শুরু করলেও, পরিস্থিতি সামাল দিতে পরে আরেক দফা ধন্যবাদ জানান মেলোনি।

উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিলেন মাস্ক। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর ও ব্যয় সংক্রান্ত বিল নিয়ে দূরত্ব বাড়ে একসময়ের ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধুর সম্পর্কে।

ফাঁস হওয়া এক অডিওতে ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল অ্যারন হালিভাকে শোনা গেছে গাজায় হাজারো ফিলিস্তিনির মৃত্যুকে ‘প্রয়োজনীয় ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অপরিহার্য’ বলে মন্তব্য করতে।

ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-এর প্রকাশিত রেকর্ডিংয়ে হালিভা বলেন, ‘৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালে যা ঘটেছে, তার প্রতিটি মানুষের বিনিময়ে ৫০ ফিলিস্তিনির মরতে হবে।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘গাজায় ইতোমধ্যেই ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, আর এই সংখ্যাটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দরকারি ও অপরিহার্য।’

রেকর্ডিংয়ের সময়কাল স্পষ্ট নয়, তবে মার্চেই গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। হালিভা বলেন, ‘কোনো বিকল্প নেই—সময়-সময় তাদের একটি ‘নাকবা’র মুখোমুখি হতে হয়, যেন তারা মূল্যটা বুঝতে পারে।’ (নাকবা বা ‘বিপর্যয়’—১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সময় প্রায় ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে ঘরছাড়া বা বিতাড়িত করার ঐতিহাসিক ঘটনা।)

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের সময় হালিভা ছিলেন সামরিক গোয়েন্দা প্রধান। ওই হামলায় ১ হাজার ২শ’ জন নিহত ও ২৫০ জন অপহৃত হন। নেতৃত্বের দায়িত্ব স্বীকার করে তিনি ২০২৪ সালের এপ্রিলে পদত্যাগ করেন, প্রথম উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা হিসেবে।

চ্যানেল ১২ জানায়, রেকর্ডিংগুলো দীর্ঘ আলাপচারিতার অংশ, তবে যার সঙ্গে হালিভা কথা বলেছেন তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এসব কথোপকথনে তিনি দায় চাপান শুধু সেনাবাহিনীর ওপর নয়, ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত-এর ওপরও, যারা বিশ্বাস করেছিল হামাস বড় আকারে আক্রমণ চালাবে না।

চ্যানেল ১২-কে দেওয়া বিবৃতিতে হালিভা বলেন, এসব মন্তব্য ছিল ‘একটি বন্ধ বৈঠকে করা আংশিক কথাবার্তা, যা পুরো প্রেক্ষাপট তুলে ধরে না।’

এদিকে, গাজা দখলের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েল ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাক্সন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ‘বাস্তবতা থেকে সরে গেছেন’ এবং গাজা নগরী দখল ‘সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য’। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন মন্তব্য করেন, ‘নেতানিয়াহুই এখন নিজেই একটি সমস্যা’।

হামাস এক বিবৃতিতে হালিভার মন্তব্যকে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি প্রমাণ করে যে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অপরাধগুলো ইসরায়েলের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা নেতৃত্বের উচ্চ পর্যায়ের নীতির অংশ।

জাতিসংঘের একটি বিশেষ কমিটি গত নভেম্বরে এক প্রতিবেদনে জানায়, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। গত মাসে দুটি ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থাও একই অভিযোগ তোলে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এসব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে।

সূত্র: সিএনএন নিউজ, নিউজ-১২।