পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ বন্ধের কারণ হিসেবে আবারও নিজের উদ্যোগকেই কৃতিত্ব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

রোববার (৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে দেয়া পোস্টে এমনটি জানান তিনি।

এসময় ট্রাম্প দাবি করেন, তার কারণেই বন্ধ হয়েছে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। এর ব্যাত্যয় হলে দুই দেশের মধ্যেকার লড়াই পরমাণু সংঘাতে গড়াতে পারতো।

ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্পের দেয়া পোস্টের স্ক্রিনশট

বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ ইস্যুতে। মোদি প্রশাসনের দাবি পাকিস্তানের আবেদনের প্রেক্ষিতেই যুদ্ধ বন্ধ করে ভারত।

অবশ্য, ট্রাম্পের দাবির বিরুদ্ধে সরব হয় ভারতের বিরোধী দলগুলো। এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তার উদ্যোগেই বন্ধ হয়েছে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। সেই হামলার প্রায় ১৫ দিন পর ভারত সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে থাকা পাকিস্তানের নয়টি লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে সামরিক অভিযান চালায় ভারত। এক পর্যায়ে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয় দক্ষিণ এশিয়ার এই পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ।

আমেরিকার সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা আবারও খেলাধুলার পোশাক পরে মাঠে নামতে যাচ্ছে প্রেসিডেনশিয়াল ফিটনেস টেস্টে অংশ নিতে, যা প্রায় এক দশক আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এ পরীক্ষাটি আবার চালুর ঘোষণা দিয়েছেন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, প্রেসিডেনশিয়াল ফিটনেস টেস্ট এবং প্রেসিডেনশিয়াল ফিটনেস অ্যাওয়ার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে পুন:স্থাপন করা হচ্ছে। এটি একটি দারুণ ঐতিহ্য ছিল, এবং আমরা সেটি ফিরিয়ে আনছি।’

এই ফিটনেস টেস্টের সূচনা হয় ১৯৫৬ সালে প্রেসিডেন্ট ডুইট আইজেনহাওয়ারের আমলে। তবে ২০১২ সালে এটি বাতিল করে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ‘প্রেসিডেনশিয়াল ইয়ুথ ফিটনেস প্রোগ্রাম’ চালু করেন, যা ছিল একটি আধুনিক, স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক স্কুলভিত্তিক উদ্যোগ।

নতুন আদেশে প্রেসিডেন্টের স্পোর্টস, ফিটনেস ও নিউট্রিশন কাউন্সিলের কার্যক্রম সম্প্রসারণের কথাও বলা হয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও স্বাস্থ্যবান, সক্রিয় ও সুশৃঙ্খল করে গড়ে তোলা।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এবিসি নিউজকে জানান, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান, আগামী প্রজন্ম যেন স্বাস্থ্যবান, সবল ও সাফল্যবান হয়। এজন্য সক্রিয় জীবনযাপনের ওপর জোর দিয়ে এক নতুন সংস্কৃতি গড়ে তোলা হচ্ছে, যা বছরের পর বছর ধরে প্রভাব ফেলবে।’

হাভার্ড হেলথের তথ্যমতে, পুরনো ফিটনেস পরীক্ষাগুলোতে সাধারণত এক মাইল দৌড়, পুশ-আপ বা পুল-আপ, সিট-আপ, শাটল রান এবং ‘সিট অ্যান্ড রিচ’ অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পরীক্ষায় কী কী থাকবে, তা এখনও নির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন রেসলিং কিংবদন্তি ট্রিপল এইচ। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) হোয়াইট হাউসে ফিটনেস সংক্রান্ত এক পরিষদের বিল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের আমন্ত্রণে যান ১৪ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এই রেসলার। 

এই পদক্ষেপ এমন এক সময় এসেছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন ক্রীড়াক্ষেত্রে নানা বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে, যার মধ্যে রয়েছে নারীদের খেলায় ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ। পাশাপাশি, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত হতে যাচ্ছে কয়েকটি বড় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্ট—২০২৬ সালে ফিফা বিশ্বকাপ, ২০২৮ সালে অলিম্পিক গেমস এবং রাইডার কাপের মতো প্রতিযোগিতা।

সূত্র: এবিসি নিউজ, গার্ডিয়ান।

৭ মে, ২০২৫। স্থানীয় সময় মধ্যরাতে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর অপারেশন রুমের মনিটরে ভারতের আকাশসীমায় একাধিক যুদ্ধবিমানের গতিবিধি ধরা পড়ে। ভারতের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তানের এয়ার চিফ মার্শাল জহির সিদ্দিকিসে সময় অপারেশন রুমের কাছেই একটি ম্যাট্রাসে অবস্থান করছিলেন।

কাশ্মীরে এক জঙ্গি হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর ভারত সরকার ওই হামলার জন্য চিরশত্রু প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং পাল্টা প্রতিশোধের হুমকি দেয়। যদিও ইসলামাবাদ সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে, এরপরও ৭ মে ভোরে ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানে বিমান হামলা চালানো হয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে এয়ার চিফ মার্শাল সিদ্দিকি পাকিস্তানের চীনের তৈরি ‘জে-১০সি’ যুদ্ধবিমানগুলো আকাশে পাঠানোর নির্দেশ দেন। লক্ষ্য একটাই! ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমানগুলোকে প্রতিরোধ করা, যা এর আগে কখনও যুদ্ধক্ষেত্রে ভূপাতিত হয়নি।

এক শীর্ষ পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা জানান, তারা স্পষ্টভাবে রাফাল বিমানে আঘাত হানতে চেয়েছিলেন। এক ঘণ্টার এই সংঘর্ষে আনুমানিক ১১০টির মতো যুদ্ধবিমান অংশ নেয়, যা সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় আকাশযুদ্ধ বলে মনে করা হচ্ছে।

রয়টার্স জানায়, পাকিস্তানের একটি ‘জে-১০সি’ যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া চীনা ‘পিএল-১৫’ মিসাইল একটি রাফাল জেটকে লক্ষ্যভেদ করে। এই ঘটনা সামরিক বিশ্লেষকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়, কারণ এটি প্রমাণ করে দেয়—সবক্ষেত্রে পশ্চিমা প্রযুক্তি চীনা অস্ত্রের তুলনায় এগিয়ে নয়।

ভারতীয় কর্মকর্তারা পরে স্বীকার করেন যে গোয়েন্দা বিশ্লেষণে গুরুতর ভুল হয়েছিল। তারা মনে করেছিলেন ‘পিএল-১৫’ মিসাইলের পাল্লা ১৫০ কিলোমিটারের মতো, অথচ বাস্তবে সেটি প্রায় ২০০ কিলোমিটার বা তার বেশি—যার ফলে রাফালের পাইলটরা নিরাপদ দূরত্বে আছেন ভেবে ভুল করেছিলেন।

এই সংঘর্ষে পাকিস্তান ‘কিল চেইন’ কৌশল ব্যবহার করে, যেখানে যুদ্ধবিমান, নজরদারি বিমান এবং স্থলভিত্তিক সেন্সর ও অস্ত্র ব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয় থাকে।

পাকিস্তানের নিজস্ব ‘ডেটা লিংক ১৭’ প্রযুক্তি চীনা ‘জে-১০সি’, সুইডিশ তৈরী নজরদারি বিমান এবং স্থলসেনার মধ্যে সমন্বয় তৈরি করে, যাতে রাডার বন্ধ রেখেও লক্ষ্যবস্তুতে সফল হামলা সম্ভব হয়। ভারতের পক্ষেও এমন একটি সিস্টেম গড়ার কাজ চলছে, তবে বিভিন্ন দেশের যুদ্ধবিমান ব্যবহারের কারণে তা জটিল হয়ে পড়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ভারত সরকার এখনও পর্যন্ত রাফালে ভূপাতিত হওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি, তবে ফরাসি বিমান বাহিনীর প্রধান ও রাফালের নির্মাতা ডেসাল্ট অ্যাভিয়েশনের এক্সিকিউটিভদের মন্তব্য থেকে পরোক্ষভাবে কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

এই ঘটনার প্রভাব পড়ে বাজারেও—ডেসাল্টের শেয়ারের দাম পড়ে যায় এবং রাফালে কেনার বিষয়ে চিন্তা করা ইন্দোনেশিয়া এখন চীনের জে-১০সি কেনার সম্ভাবনা বিবেচনা করছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি চীনের জন্য একটি কৌশলগত সাফল্য।

এদিকে ভারতের ডেপুটি আর্মি চিফ অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে রাডার ও স্যাটেলাইটসহ বিভিন্ন ‘লাইভ ইনপুট’ পেয়েছিল। যদিও ইসলামাবাদ ও বেইজিং দুই দেশই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের সামরিক সহযোগিতা পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অংশ, যা কোনো তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করে নয়।

হাজারও নিউইয়র্কবাসীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে শেষ বিদায় নিলেন বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলাম (৩৬)। বৃহস্পতিবার  (৩১ জুলাই) ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পার্কচেষ্টারে তার জানাজায় অংশ নেন ২০ হাজার মুসলিম।

শ্রদ্ধা জানাতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের ৫ হাজার সদস্য। আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন নিউইয়র্কের গভর্ণর, মেয়র ও আইনপ্রণেতাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তুলে ধরেন দিদারুলের বীরোচিত আত্মত্যাগের কথা।

পার্কচেস্টার জামে মসজিদের ইমাম ড. জাকির আহমান বলেন, বাংলাদেশি মুসলিম আমেরিকান ছিলেন তিনি। কঠোর পরিশ্রমী হিসেবেই পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করাকেই দায়িত্ব ভেবেছিলেন। তার জীবন এই দেশের জন্য এবং সবার জন্য উৎসর্গ করে গেছেন।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডাম বলেন, দিদারুলের পরিবারকে সান্তনা জানানোর ভাষা নেই। একজন অভিভাবক হিসেবে অন্য অভিভাবকের কাছে ক্ষমা চাই। দিদারুল ইসলাম যে সন্ত্রাসবাদ রুখতে জীবন দিয়েছেন, সেটি চিন্তাভাবনা ধারণ করতে হবে।

আনুষ্ঠানিকভাবে দিদারুলকে সম্মান জানানো নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের ৫ হাজার সদস্য স্যালুটের পাশাপাশি হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও গার্ড অব অনার প্রদান করে। সহকর্মীর পরিবারের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ।

তিনি বলেন, চেয়ে দেখো দিদারুল। পুরো নিউইয়র্ক পুলিশ তোমার পাশে। তোমার এবং তোমার পরিবারের জন্য আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। আমরা সবসময় এই পরিবারের পাশে থাকবো।

পরে তাকে নিউ জার্সির লোরেল গ্রোভ কবরস্থানে দাফন করা হয়

এদিকে হামলার এই ঘটনায় পর আবারও সমালোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র আইন। নিউইয়র্কের মেয়রপ্রার্থী জোহরান মামদানি বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আবারও মনে করিয়ে দেয় যে, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র আইন যতই শক্তিশালী বলা হোক না কেনো; সেটি আসলে দুর্বল। এটা ভয়াবহ যে মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে লড়াই করা একজন ব্যক্তি এমন ধ্বংসাত্মক অস্ত্র কিনতে পেরেছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউয়ে ভয়াবহ বন্দুক হামলায় কর্তব্যরত অবস্থায় ৩৬ বছর বয়সি পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলামসহ ৪ জন নিহত হন। হামলাকারী ২৭ বছরের শ্যেন ডেভন তামুরা নিজেও আত্মহত্যা করে। গান ভায়োল্যান্স আর্কাইভের তথ্য অনুসারে, এবছর এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২৫৪টি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন শত শত মানুষ।

নিহত দিদারুল ইসলাম ৪ বছর আগে পুলিশে যোগ দেন। এর আগে তিনি স্কুল সেইফটি ও ট্রাফিক বিভাগেও কাজ করেছেন। তার বাড়ি বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। দিদারুলের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। স্ত্রী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

গাজায় আবারও ত্রাণ সংগ্রহকারীদের ওপর বর্বরতার নজির দেখালো ইসরায়েল। অভুক্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার হামলায় কমপক্ষে ৭১ জনের প্রাণ গেছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) উত্তর গাজার জিকিম ক্রসিং পয়েন্টে ত্রাণ বিতরণের খবর পেয়ে ছুটে যায় শত শত ফিলিস্তিনি। এসময় ভিড় লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। প্রাণ হারায় ৫১ জন। আহত হয় প্রায় সাড়ে ৬শ’ মানুষ।

একইভাবে হামলা হয়েছে দক্ষিণে খান ইউনিসের কাছাকাছি মোরাগ করিডোরেও। সেখানে ত্রাণ নিতে গিয়ে মারা যায় ২০ জন।

গত মে মাসের শেষে ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত কর্মসূচি-জিএইচএফ চালুর পর থেকে নিয়মিতই হামলা হচ্ছে ত্রাণ সংগ্রহকারীদের ওপর। যাতে এ পর্যন্ত ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার গাজায় অনাহারে-অপুষ্টিতে ভুগে মৃত্যু হয়েছে আরও ৭ ফিলিস্তিনির।

অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও লোকসভার সদস্য মহুয়া মৈত্র বলেছেন, জিডিপিসহ পরিকাঠামোগত দিক থেকে ভারতের তুলনায় অনেকাংশেই ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

সম্প্রতি দেশটির একটি ইংরেজি গণমাধ্যমকে ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে সঞ্চালক অন্য দেশ থেকে ভারতে আসা মানুষদের তথা অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মহুয়াকে প্রশ্ন করেন। সেই প্রশ্নের উত্তরেই এ কথা বলেন তিনি। পৃথিবীর সবাই ভারতে আসতে চায়— এমন ভাবনা চিন্তা থেকে বের হয়ে আসার জন্য নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিও আহ্বান জানান পশ্চিমবঙ্গের এ নেত্রী।

সঞ্চালক যখন বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রশ্ন করেন, তখন সঞ্চালকের উদ্দেশে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, কোথায় সেই ব্যাপক অনুপ্রবেশ? কারা ভারতে আসছে? কেনইবা কেউ ভারতে আসবে? আমি নিজে সীমান্তবর্তী এলাকার সংসদ সদস্য। আপনি বলুন তো, এখনকার বাংলাদেশি্রা কেন ভারতে থাকতে চাইবে?

মহুয়া বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর, যার অপরপ্রান্তেই বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলা। জিডিপি, স্বাস্থ্য ও মানব উন্নয়ন সূচকসহ অনেক দিকেই বাংলাদেশ এখন ভারতের চেয়ে ভালো করছে। দয়া করে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে বোঝান, পৃথিবীর সবাই ভারতে আসতে মরিয়া— এমন ভাবনা থেকে যেন বেরিয়ে আসেন তারা।

মার্কিন নৌবাহিনীর একটি এফ-৩৫ স্টিলথ ফাইটার জেট স্থানীয় সময় বুধবার (৩০ জুলাই) ক্যালিফোর্নিয়ার নেভাল এয়ার স্টেশন লিমোর-এর কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে।

দেশটির নৌবাহিনীর প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনাটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা প্রায় ৬টা ৩০মিনিটের দিকে ঘটে এবং পাইলট নিরাপদে ইজেক্ট করতে সক্ষম হন। দুর্ঘটনার কারণ তদন্তাধীন রয়েছে।

বিমানটি স্ট্রাইক ফাইটার স্কোয়াড্রন VF-125 ‘রাফ রেইডার্স’-এর অধীনে ছিল। এই স্কোয়াড্রনটি একটি ফ্লিট রিপ্লেসমেন্ট স্কোয়াড্রন (এফআরএস), যার মূল দায়িত্ব হলো নতুন পাইলট ও এয়ারক্রু প্রশিক্ষণ দেয়া।

নেভাল এয়ার স্টেশন লিমোর ফ্রেসনো শহর থেকে প্রায় ৪০ মাইল (৬৪ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পশ্চিমে জেটটি বিধ্বস্ত হয়।

এটি মার্কিন নৌবাহিনীর একটি প্রধান বিমান ঘাঁটি, যেখানে বহু এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট ও এফ-৩৫সি মডেলের যুদ্ধবিমান মোতায়েন রয়েছে।

নৌবাহিনী এখন ব্ল্যাক বক্স ও অন্যান্য ফ্লাইট ডেটা বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, টেকনিক্যাল গ্লিচ এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাতে আরও সময় লাগবে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিধ্বস্ত এলাকা নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। কোনো স্থাপনা বা বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনায় মার্কিন প্রতিরক্ষা মহলের মধ্যে এফ-৩৫-এর সুরক্ষা প্রোটোকল নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হতে পারে, যেহেতু এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে একটি।

সূত্র: সিএনএন নিউজ।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এমনটি জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যানুসারে, মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ১১৩ জন নিহত হয়েছেন। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০,০৩৪।

এই দীর্ঘমেয়াদি সংঘর্ষে বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি এবং মানবিক বিপর্যয় নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

এদিকে, স্বাস্থ্য পরিস্থিতির ক্রমাবনতির মধ্যে গাজায় গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছেন বলে জানিয়েছে একটি শীর্ষস্থানীয় সাহায্য সংস্থা।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা মেডিকেল এইড ফর প্যালেস্টিনিয়ানস (এমএপি) স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ জুলাই) জানায়, তাদের স্থানীয় সহযোগী সংস্থা আর্দ আল ইনসান দ্বারা স্ক্রিনিং করা গর্ভবতী মায়েদের ৪৪% ‘তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছেন এবং তাদের জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন’।

সূত্র: সিএনএন নিউজ।

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগাম গত এপ্রিলে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিককে গুলি করে হত্যার সঙ্গে জড়িত তিন জঙ্গিকে হত্যা করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী—স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ জুলাই) সংসদে এ দাবি করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

তিনি বলেন, ‘অপারেশন মহাদেব’ নামের এক অভিযানে শ্রীনগরের কাছে দাচিগামের পাহাড়ি বন সংরক্ষণ এলাকায় ওই তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

শাহ দাবি করেন, নিহতরা পাকিস্তানের নাগরিক—যদিও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ভবিষ্যৎ হামলার আশঙ্কায় সেই সময় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে কয়েক দিনের ক্ষণস্থায়ী সেনা সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বহু মানুষ নিহত হন, যা সাম্প্রতিক দশকগুলোর মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে পরিণত হয়, পরবর্তীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।

ভয়াবহ হামলা ও তদন্ত

২২ এপ্রিল পেহেলগামেগুলি চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করা হয়, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন হিন্দু পর্যটক। তাদের পরিবারের সামনেই ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়। এক স্থানীয় মুসলিম ঘোড়াচালক, যিনি সাহায্যের চেষ্টা করেছিলেন, তাকেও গুলি করে হত্যা করা হয়।

তদন্তে জানা গেছে, হামলার আগে স্থানীয় দুই ব্যক্তি এই তিনজনকে আশ্রয় দিয়েছিল। তাদের গ্রেফতারের পর বলা হয়, তিন জঙ্গিই পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়্যবার (এলইটি) সদস্য।

সংসদে শাহের বক্তব্য

স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ জুলাই) নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে শাহ জানান, তাদের নাম সুলেমান শাহ, আফগান ও জিবরান। শাহ বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে একটি মার্কিন ‘এম-৯’ রাইফেল এবং দুটি কালাসনিকভ (একে-৪৭) উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর ব্যালিস্টিক পরীক্ষা চণ্ডীগড়ের কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবে করা হয় এবং নিশ্চিত হয়া গেছে যে এগুলো দিয়েই নিরীহ নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছিল।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে রিপোর্টের কাগজ দেখিয়ে বলেন, ‘ছয়জন বিজ্ঞানী ক্রস-চেক করেছেন। ভিডিও কলে তারা আমাকে জানিয়েছেন, এই গুলিগুলোই ১০০% নিশ্চিতভাবে হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে।’

তবে এই অভিযান নিয়ে এখনো স্বাধীনভাবে যাচাই করা হয়নি এবং পাকিস্তানও ভারত সরকারের দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সমালোচনা ও প্রশ্ন

বিরোধী দল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য গৌরব গগৈ প্রশ্ন তোলেন, কেন ১০০ দিন পেরিয়ে গেলেও এত দেরিতে হামলাকারীদের খোঁজ পাওয়া গেল। তিনি বলেন, ‘এই হামলার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে দায় নিতে হবে।’

কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রশ্ন তোলেন, ‘হামলার সময় সেখানে কেন কোনো নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিল না?’

তিনি বলেন, ‘নাগরিকদের নিরাপত্তা কি প্রধানমন্ত্রীর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নয়?’

জবাবে শাহ বলেন, হামলার পরই তদন্ত জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে তুলে দেয়া হয় এবং সীমান্তে কড়া নজরদারি বসানো হয়েছিল যাতে কেউ দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে।

তবে বিরোধীদের অনেকেই সরকারের জবাবে সন্তুষ্ট নন এবং কাশ্মীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় ‘গুরুতর ঘাটতির’ অভিযোগ তুলছেন।

সূত্র: বিবিসি নিউজ।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।

সিউলের নতুন বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ংয়ের আন্ত:কোরীয় সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টার মধ্যে এ অবস্থান জানানো হয়। রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার মাধ্যমে সোমবার (২৮ জুলাই) এক বিবৃতিতে কিম ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ংয়ের পিয়ংইয়ংয়ের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেন।

উত্তেজনাপূর্ণ আন্ত:কোরীয় সীমান্তে লাউডস্পিকার প্রচারণা বন্ধের মতো পদক্ষেপগুলোকেও তিনি ‘যা শুরুই করা উচিত ছিল না, তার একটি প্রত্যাবর্তনমাত্র’ বলে আখ্যায়িত করেন।

কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ)-এর মাধ্যমে প্রচারিত বিবৃতিতে কিম ইয়ো জং বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া যদি মনে করে যে কয়েকটি আবেগপ্রবণ কথার মাধ্যমে পূর্বের সব সিদ্ধান্ত বদলে ফেলা যাবে, তাহলে এটি তাদের একটি মারাত্মক ভুল হিসাব।’

এছাড়াও, গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ মন্ত্রী চুং ডং-ইয়ং কিম জং উনকে অক্টোবরে সিউলে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করলে কিম ইয়ো জং লি প্রশাসনের এই অবস্থাকে “দিবাস্বপ্ন” বলে অভিহিত করেন।

কিম আরও বলেন, লি প্রশাসনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নিরাপত্তা জোটের প্রতি ‘অন্ধ বিশ্বাস’ এবং পিয়ংইয়ংয়ের সাথে ‘বিরোধিতা করার চেষ্টা’ ইয়ুন সুক-ইয়োলের রক্ষণশীল সরকারের নীতির থেকে আলাদা নয়।

কিম ইয়ো জং স্পষ্ট করে বলেন, ‘সিউল যেই নীতিই গ্রহণ করুক বা যে প্রস্তাবই দিক না কেন, আমরা এতে আগ্রহী নই। দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে আমাদের দেখা করার কোনো কারণ বা আলোচনার কোনো বিষয়ই নেই।’

গত মাসে, ইয়ুন সুক-ইয়োলের সংক্ষিপ্ত সামরিক শাসন জারির পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া লি জে-মিয়ং বিভক্ত কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয় যুদ্ধের পর থেকে দুই কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে।

লি জে-মিয়ংয়ের বামপন্থী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও এর পূর্বসূরিরা ঐতিহ্যগতভাবে উত্তর কোরিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পক্ষপাতী, যা ইয়ুন সুক-ইয়োলের রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টি ও তার পূর্বসূরিদের অবস্থানের বিপরীত।

গত মাসের শুরুতে, দক্ষিণ কোরিয়া জানায় যে তারা ছয়জন উত্তর কোরিয়াকে ফেরত পাঠিয়েছে, যাদের নৌকা চলতি বছরের শুরুতে সমুদ্রসীমা পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমায় প্রবেশ করেছিল।

সূত্র: আল জাজিরা।

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) স্থানীয় সময় রোববার (২৭ জুলাই) ঘোষণা করেছে যে নাহাল ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের তিন সৈন্যকে যুদ্ধের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গাজায় ফিরে যুদ্ধে অংশ নিতে অস্বীকার করায় তাদের বিরুদ্ধে ‘অনুগত্য হারানো’র অভিযোগ আনা হয়।

সৈন্যরা তাদের এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে ‘গভীর আত্মিক সংকট’ (deep internal crisis)-এর কথা উল্লেখ করেছে।

কান পাবলিক ব্রডকাস্টার প্রথম এই ঘটনার কথা জানায়, যা পরে আইডিএফ নিশ্চিত করে। রিপোর্ট অনুযায়ী, নাহাল ব্রিগেডের ৯৩১তম ব্যাটালিয়নের চার সদস্য গাজায় ফেরত যেতে অস্বীকার করায় তাদের যুদ্ধ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এর মধ্যে তিনজনকে ৭ থেকে ১২ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, চতুর্থ সদস্যের বিচার প্রক্রিয়া এখনও চলছে।

সৈন্যরা তাদের কমান্ডারদের জানিয়েছিল যে, গাজায় ফিরে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, কারণ যুদ্ধের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়, তারা যখন এই সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তাদের চিকিৎসার পরিবর্তে কারাগারে পাঠানো হয়।

একজন সৈন্যের মা কানকে বলেন, ‘তাদের অনেক সহযোদ্ধা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন, তারা ভয়াবহ দৃশ্য দেখেছেন এবং মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। এসব কিছু তাদের আত্মায় দগদগে দাগ রেখে গেছে।’

আইডিএফের প্রতিক্রিয়া

আইডিএফ জানিয়েছে যে, নাহাল ব্রিগেডের এই তিন সৈন্য গাজায় যুদ্ধে অংশ নিতে অস্বীকার করায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, সৈন্যরা একজন মানসিক স্বাস্থ্য কর্মীর সাথে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিল, যিনি তাদের যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য ‘সক্ষম’ বলে রায় দিয়েছিলেন। তবে শাস্তিমূলক প্রক্রিয়ার পরও তারা তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় তাদের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

আইডিএফ বলেছে, ‘এই বিষয়টি সংবেদনশীলতার সাথে এবং নিয়ম অনুযায়ী সমাধান করা হয়েছে এবং যুদ্ধের সময় আনুগত্য হারানোকে গুরুতরভাবে নেয়া হয়।’

সেনাবাহিনীতে মানসিক স্বাস্থ্য সংকট

এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপ ও অনাগ্রহের বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সেনাসদস্যদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনাও বেড়েছে।

গত কয়েক সপ্তাহে চার সৈন্য (একজন রিজার্ভ সদস্যসহ) আত্মহত্যার সন্দেহে মারা গেছেন, যা এ বছরের মোট আত্মহত্যার সংখ্যা ১৯-এ পৌঁছে দিয়েছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল।

ইউরোপের সকল পণ্যে ১৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার, স্কটল্যান্ডে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েনের সাথে বৈঠক হয় ট্রাম্পের।

দীর্ঘ আলোচনার পর ইইউর পণ্যে ১৫ শতাংশ ট্যারিফ নির্ধারনের সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে ইউরোপের সকল পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

চুক্তি অনুযায়ী, ইইউ পণ্যের উপর যুক্তরাষ্ট্র ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে, যা ট্রাম্পের পূর্বের ৩০% হুমকির অর্ধেক। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা, ২৭ সদস্যের এই ব্লক যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানিকারকদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু পণ্যে শূন্য শুল্কে তাদের বাজার উন্মুক্ত করবে।

ভন ডের লেনও এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি উভয় মিত্রের জন্য স্থিতিশীলতা আনবে, যারা সম্মিলিতভাবে বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের অংশীদার।