• Colors: Purple Color

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, সামগ্রিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষার মানের অবনতি ঘটেছে। মানের উন্নতি হলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে। তাছাড়া, অভিভাবকরাও বর্তমান কারিকুলাম গ্রহণ করেনি।

শনিবার (৩ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরষ্কার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার উপর অনেকগুলো ঝড়ঝাপটা গিয়েছে। কোভিডের সময় বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ছিল। ফলে অনেক বাচ্চারা ঝড়ে গেছে। সরকার প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুরা যুক্তিচর্চা ও দলগত কাজ শেখে। এগুলো করতে গিয়ে কথা বলার দক্ষতা ও সাহস বাড়ে। এছাড়া, তথ্য জোগাড় করতে গিয়ে শিশুদের পড়াশোনার আগ্রহ বাড়ে। বিতর্ক প্রতিযোগিতা শিক্ষার উন্নতিতে সহায়তা করে। এটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।

এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানাসহ বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বলেছেন, জনসংখ্যাকে সম্পদে রূপান্তর করতে হবে। অন্যথায় জনসংখ্যা দেশের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।

শনিবার (৩ মে) সকালে আগারগাঁওয়ের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাথে বুয়েট, রুয়েট, জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। সার্টিফিকেট অর্জনের সাথে জ্ঞান ও দক্ষতার সামঞ্জস্য না থাকায় শিক্ষার্থীরা হতাশায় ভুগেন। সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরের সমন্বিত উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে এ সমস্যার সমাধান হবে।

তিনি আরও বলেন, উন্নত বিশ্বে নার্সিং পেশার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু দক্ষ লোকবল তৈরির অভাবে তাদের পাঠানো যাচ্ছে না। এছাড়া বিভিন্ন ভাষা ওপরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

প্রায় ১৭ বছর পর শাশুড়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরছেন ডা. জোবাইদা রহমান। তার এই ফেরা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলছে। তিনি কি বিএনপির নেতৃত্বে আসবেন? নাকি ফিরবেন পুরনো চিকিৎসা পেশায়? বিষয়টি নিয়ে বিএনপির নেতারা মুখ খুলতে চাচ্ছেন না।

তারেক রহমানের আগে জোবাইদা রহমানের আগমন ঘিরে অনেকের মাঝে কৌতুহল দেখা দিয়েছে। এটি কি নিছক শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গী হওয়া? নাকি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর পাশে থাকা? তবে বহুবছর ধরে তার বিএনপিতে সক্রিয় হওয়ার যে গুঞ্জণ ছিল, তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, সিলেট অঞ্চলে জোবাইদা রহমানের অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে তিনি রাজনীতি আসবেন কি না তা আমার জানা নেই। তিনি যদি রাজনীতি আসতে চান তাহলে স্বাগত জানাবো।

ডা. জোবাইদা রহমান রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত হলে, তা কি নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি করবে?

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ বলেন, জোবাইদা রহমান দীর্ঘদিন রাজনৈতিক পরিবারের সাথে ছিলেন। ফলে তার রাজনৈতিক পরিপক্বতা এসেছে ও রাজনীতি শিখেছেন। ফলে রাজনীতি করা তার জন্য কঠিন কিছু হবে না।

তিনি আরও বলেন, জোবাইদা রহমান রাজনীতি আসলে বিএনপির জন্য ভালো হবে। কেন্দ্রীয় নেতার অভাবে এতোদিন বিএনপির মধ্যে একটা নৈতিক শূণ্যতা ছিল, সেটি তিনি অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হবে বলে মনে করি। এতে দলটির নৈতিক শক্তি ও জনপ্রিয়তা বাড়বে।

১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন জোবাইদা রহমান। জিয়া পরিবারের পুত্রবধূ হলেও জোবাইদা চিকিৎসা পেশায় ব্যস্ত জীবন কাটিয়েছেন। রাজনীতিতে না জড়ালেও তারেক রহমানসহ অন্যদের সঙ্গে দুর্নীতি মামলার শিকার হয়েছেন। একপর্যায়ে অসুস্থ স্বামীর পাশে থাকতে লন্ডনে চলে যান তিনি। এরপর ২০১৪ সালে কর্মস্হলে না থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনার সরকার তাকে চাকরিচ্যুত করে।

২০০৮ সালে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ডা. জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিচারিক আদালতের সেই সাজা স্থগিত হয়েছে।

পৃথিবীর মধ্যে ভারতই একমাত্র দেশ, যারা পানিকে মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আব্বাস। তিনি বললেন, বিগত সময়ে শেখ হাসিনার কারণে তিস্তায় পানি আসেনি। গণআন্দোলনের মাধ্যমেই তিস্তায় পানি নিশ্চিত করা হবে।

রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ দ্রুত শুরু করার দাবিতে রংপুরে সমাবেশ আয়োজন করে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’। গণপদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আগেই এই পানির হিস্যা আদায় করতে পারতাম, যদি শেখ হাসিনার মতো সরকার বাংলাদেশে না আসত। পানি নিয়ে তারা কোনোদিনও কথা বলেনি। ভারতকে এই ন্যায্য পানির হিস্যা দিতে হবে। না দেওয়া পর্যন্ত শুরু হওয়া এই আন্দোলন থামবে না।

সমাবেশ উপলক্ষে রংপুর মহানগরীর শাপলা চত্বরে বিকেল ৪টার আগেই হাজার মানুষের উপস্থিতিতে সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ অঞ্চলের ২ কোটি মানুষের লাইফলাইন তিস্তার পানির হিস্যা আদায় এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরুর দাবিতে গণপদযাত্রায় অংশ নেন।

আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। এছাড়াও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা যোগ দেন।

আসন্ন ঈদুল আজহার সময় কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ, পশু আনা নেওয়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (৪ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা দেখছি মানুষ কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সমাজের হতদরিদ্র মানুষ, যারা এই চামড়া বিক্রির টাকার উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। এই অব্যবস্থাপনার অবসান হওয়া প্রয়োজন।

পশুর চামড়ার দাম নিয়ন্ত্রণে একটি সিন্ডিকেট আছে উল্লেখ করে বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো যাতে কোনো সিন্ডিকেট বা অব্যবস্থাপনার কারণে মানুষ চামড়ার ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত না হয়।

অপরদিকে, কোরবানির পশু পরিবহণ ও হাটে বিক্রির সময় যাতে পশুর প্রতি কোন নির্দয় আচরণ করা না হয় সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে ইটিপির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দিনের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।কমিটিতে আরও থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সড়ক পরিবহণ ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সড়ক পরিবহণ ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

২০১৩ সালের ৫ মে। ইসলাম অবমাননাকারীদের শাস্তি ও নারীনীতির বিরোধীতা করে ১৩ দফা দাবিতে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ। দিনভর চলা সমাবেশে বিকেলের দিকে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন কওমী মাদরাসা ভিত্তিক সংগঠনটির নেতারা। দিনভর দফায় দফায় চলে নানামুখী সংঘর্ষ।

সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। মতিঝিল, পল্টন, বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন স্থানে জ্বলতে থাকে আগুন। হেফাজত নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে মধ্যরাতে অপারেশনের প্রস্তুতি নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাত তিনটার দিকে একদিক খোলা রেখে তিনদিক থেকে চালানো হয় অপারেশন। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে পুরো এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়।

মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচালিত অপারেশনে ঠিক কতজন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন- তার সঠিক সংখ্যা এখনও নির্ণয় করতে পারেনি সংগঠনটি। যদিও নিহত ৬১ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন, অধিকার।

শাপলা চত্বরে হামলা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে দেশ-বিদেশে। সেই সময়ে এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করতে পারেনি হেফাজত। উল্টো সংগঠনটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয় বিভিন্ন থানায়। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর শাপলার ঘটনাকে গণহত্যা উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দু’টি অভিযোগ জমা দেয় হেফাজত। যাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, জিয়াউল আহসানসহ অর্ধশত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

এ ঘটনার এক যুগ পর পাল্টেছে পরিস্থিতি। কিন্তু নিহতের সঠিক সংখ্যা কী নির্ণয় করতে পেরেছে হেফাজত? এ বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক জানান, বেশকিছু লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। চাপের মুখে অনেক পরিবার তাদের পরিবারের সদস্যের মারা যাওয়ার বিষয়টি চেপে গিয়েছেন। মে মাসের মধ্যেই নিহতদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

তিনি আরও জানান, শাপলা হত্যাকাণ্ডসহ যে কয়টি হত্যাযজ্ঞ হয়েছে সব কয়টিতে অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান হেফাজতে ইসলামের এই নেতা।

শাপলার ঘটনার পর ৬১ জন নিহতের একটি তালিকার কথা জানায় মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’। এরপরই ঘড়গ নেমে আসে সংগঠনটির উপর। তথ্য-প্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার করে কারাদণ্ড দেয়া হয় অধিকারের সম্পাদক ও বর্তমান উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানকে।

নিহতের তালিকা করতে গিয়ে কঠিন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয় অধিকারের তদন্ত দলকে। অধিকারের পরিচালক নাসির উদ্দিন এলান জানান, তথ্য অনুসন্ধান দল যখন বিভিন্ন জায়গায় যায় তখন জানতে পারে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা ভুক্তভোগী পরিবারদের ওপর নানা নিপীড়ন চালাচ্ছে। তাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। সিভিল এবং পুলিশ প্রশাসনও তাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছিল।

হেফাজতের দায়ের করা মামলার বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, দুইটি অভিযোগ একসাথে করে তদন্ত কর্যক্রম চালাচ্ছে তদন্ত সংস্থা। তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন ফাইল করা হয়। এর ওপর ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ছিল। অনেকে পলাতক আছে তাদের পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।

শাপলা চত্বরের ঘটনায় আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়, যা মতিঝিল থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব