• Colors: Purple Color

বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনার দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করা গার্মেন্টস শ্রমিকরা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন। টিএনজেড গ্রুপের ওয়াশিং প্ল্যান্ট ও মহাখালী ডিওএইচএস-এ মালিকের বাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনাদি আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে এমন ঘোষণার পর তারা আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়।

এর আগে, আজ মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে শ্রম ভবন থেকে মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আসেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। এ সময় কাকরাইল মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেন। পরে সেখানেই বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

শ্রমিকরা জানান, গাজীপুরের টিএনজেড গ্রুপের ৮টি গার্মেন্টস ও আশুলিয়ার চেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড দীর্ঘ সময় ধরে তাদের বেতন বন্ধ রেখেছে। এতে তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। বেশিরভাগ কর্মীরা টানা তিন মাসের বাসা ভাড়া দিতে পারেননি। এছাড়াও, বিভিন্ন দোকানের বাকি পরিশোধ করতে পারছেন না তারা। ফলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে মার্চ করতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

শ্রমিকরা তখন আরও জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে শ্রম ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও সরকার থেকে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ন্যায্য বেতন ভাতা পরিশোধ না করা পর্যন্ত কাকরাইল মোড়েই অবস্থান করবেন তারা। এ সময় বেতন-ভাতা পরিশোধে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপও কামনা করেন তারা।

পাঁচ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম। নতুন দাম অনুযায়ী, ভালো মানের (২২ ক্যারেট) প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবি (পাকা) স্বর্ণের দাম বাড়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

গতকাল বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন মূল্য তালিকা প্রকাশ করা হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২২ মে) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার  ৬৯৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬২ হাজার ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩০৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৭২ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ৮৪৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি রূপার ২ হাজার ৭১৮ টাকা। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রূপার ১ হাজার ৭৫০ টাকা।  

এর আগে, ১৮ মে সবশেষ স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছিল। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরিতে এক হাজার ৩৬৪ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮ টাকা। এ নিয়ে চলতি বছরের সাড়ে চার মাসে মোট ২৩ বার স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। তিনি আগামী অর্থবছরে এই রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যের কথাও জানান।

বুধবার (২১ মে) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পূর্বাভাসগুলোর কথা তুলে ধরেন গভর্নর।

ব্যাংকিং খাত এবং ক্ষুদ্রঋণ সম্পর্কেও কথা বলেন ড. মনসুর। তিনি বলেন, ২৬ শতাংশ সুদের হারে ক্ষুদ্রঋণ টিকতে পারে না।

গভর্নর বলেন, গ্রাহকরা এজেন্ট ব্যাংক শাখা থেকে অর্ধেক সুদে ঋণ পাচ্ছেন। এমতাবস্থায় ধীরে ধীরে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় উচ্চ সুদের ক্ষুদ্রঋণ বাজার থেকে বাদ দেয়া হবে।

রিজার্ভ সম্পর্কে ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, পরের মাসে রিজার্ভ ২৭ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে থাকবে। আগামী অর্থবছরে এই রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, চলতি মাসের ১৯ মে পর্যন্ত দেশের মোট রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ গণনা পদ্ধতি অনুসারে বর্তমানে দেশের রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) দেয়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। বুধবার (২১ মে) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

এদিন বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটির জনসংযোগ বিভাগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলে, পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটির নগর ভবনের সামনে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন।

প্রতিবাদে গণ অধিকার পরিষদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় ডিএনসিসি নগর ভবনের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে নুরুল হক নুর’— ডিএনসিসির জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এমন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি তাদের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে পরিষদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্‌রীর নেতা ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার স্পষ্ট তথ্য-প্রমাণের পর তিনি প্রশাসকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেন না।

নুরুল হক নুর। সভাপতি, গণ অধিকার পরিষদ।

গণ অধিকার পরিষদ বলছে, এজাজের হিযবুত তাহ্‌রীর ও জঙ্গিবাদের কার্যক্রমে যুক্ত থাকা ও ওই অভিযোগে ২০১৫ সালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সম্প্রতি আল–জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের ফেসবুক পোস্টেও উঠে এসেছে। এই সুস্পষ্ট তথ্য–প্রমাণের ভিত্তিতেই তাঁকে প্রশাসক পদ থেকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে গণ অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা ঢাকা উত্তর সিটির সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সেই কর্মসূচিতে সমর্থন জানায়।

এতে আরও বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটি বলেছে, নুরুল হকের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ না দেওয়ায় গণ অধিকার পরিষদ ঢাকা উত্তর সিটির সামনে বিশৃঙ্খলা করেছে। এটি একেবারে অসত্য, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। বরং দরপত্রে অংশগ্রহণ করে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েও গণ অধিকার পরিষদের একজন সদস্যকে ‘কমিশন’ ব্যতীত কাজ না দেওয়ার বিষয়টি প্রশাসক এজাজকে অবহিত করা হয়েছিল। তিনি বিষয়টি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে অবহিত করতে বলেন।

গণ অধিকার পরিষদ বলেছে, প্রশাসকের পরামর্শেই নুরুল হক বিষয়টি ওই কর্মকর্তাকে জানান। অন্যদিকে গাবতলী পশুর হাটসহ কয়েকটি বিষয় গণমাধ্যমে এসেছে যে কমিশন ও পছন্দের লোক ব্যতীত প্রশাসক এজাজ অন্য কাউকে কোনো ধরনের কাজ দেন না। মূলত নিজের অভিযোগ আড়াল করে অন্যত্র দৃষ্টি ঘোরাতেই এজাজ গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়াচ্ছেন।

উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সাথে সম্পৃক্ত এবং দুর্নীতিতে অভিযুক্ত থাকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের পদ থেকে মোহাম্মদ এজাজকে অপসারণের পাশাপাশি দ্রুত গ্রেফতারের দাবি-ও জানায় গণ অধিকার পরিষদ।

দেশের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। 

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ থেকে মুজিবুল আলম প্রকাশিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকালে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিষদ আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে ডা. শফিকুর রহমান দেশের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ ইউনূসকে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জনের খবর পেয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যার পর প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যার পর প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নিয়ে আজ বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে অনেকই অনেক কথা লিখছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে সন্ধ্যায় যমুনায় যান নাহিদ ইসলাম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে যমুনা টেলিভিশনকে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন জানান, প্রধান উপদেষ্টার কাজ করার মতো পরিস্থিতি না থাকলে তিনি তার পদে থাকার ব্যাপারটি বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও লাখো মানুষের ত্যাগ সেই ত্যাগের প্রতি দায়বদ্ধতা ও পুরো দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ জাতীয় ঐক্যের বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ ইসলাম।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব