• Colors: Purple Color

আবু সাঈদের হত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা এবং ১৬ জুলাই কে শহীদ আবু সাঈদ দিবস করার দাবি জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

সকালে রংপুরে নিজ বাড়িতে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলেন আবু সাইদের বাবা মকবুল হোসেন, মা মনোয়ারা বেগম ও বড় ভাই আবু হোসেন।

এসময় বাবা মকবুল হোসেন বলেন, আবু সাঈদ হত্যকাণ্ডে শুধু পুলিশ নয়, ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগসহ দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন ও রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টরসহ যেসকল কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত ছিলো তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।

এসময় মা মনোয়ারা বেগম বলেন, সমাজে যদি ধনী-গরীবের বৈষম্য নিরসন না হয় তবে, আবু সাঈদের রক্ত বৃথা যাবে। ১৬ জুলাই কে শহীদ আবু সাঈদ দিবস এবং জুলাইয়ের যেকোন এক দিনকে জুলাই শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবিও জানান পরিবারের সদস্যরা।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের বিষয়ে মুখ খুলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। গত ২৬ জুন দু’জনের মধ্যে বৈঠক হয়।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমকে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এটা একান্তই সৌজন‍্য সাক্ষাৎ ছিল, ফরমাল কোনও বৈঠক করিনি। যখন দলীয় সরকার থাকে তখন সরকারপ্রধানের সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ হয় না। কিন্তু এখন আমি যেমন নিরপেক্ষ, প্রধান উপদেষ্টাও নিরপেক্ষ।

তিনি আরও বলেছেন, এই মুহূর্তে নির্বাচন আলোচনার কেন্দ্রে। স্বভাবতই কথা প্রসঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন, অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন‍্য আমারা প্রস্তুত আছি কি না। আমি বলেছি, আমরা প্রস্তুতির ফুল গিয়ারে আছি।

গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়েজনে প্রধান উপদেষ্টা ও ইসির আন্তরিকতা প্রশ্নাতীত বলেও মন্তব্য করেন এ এম এম নাসির উদ্দীন। জানান, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলকে লক্ষ্য করে কমিশন এখন পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সিইসি আরও জানান, যথাসময়ে ভোটের তারিখ জানা যাবে। ইসি থেকেই জানতে পারবে সকলে। এজন্য একটু অপেক্ষা করার কথা বলেন তিনি।

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাংক খাতে বড় সংস্কারগুলো করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বুধবার (২ জুলাই) এসএমই ফাউন্ডেশন-ইআরএফ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) বিভক্তি ইস্যুর জটিলতায় কিস্তির ছাড়ের বৈঠকে বসতে চায়নি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এনবিআর চেয়ারম্যানের চিঠি আমলে না নেওয়ায় আমাকে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অর্থনীতিতে মাঝারি শিল্পের অবদান অনেক। শুধু স্বল্পোন্নত নয়, উন্নত দেশেও এসএমই’র অবদান আছে। এসএমই খাতে প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিকায়ন প্রয়োজন। নারীদের ক্ষমতায়ন এসএমই’র মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি হয়েছে। এই খাতের উন্নয়নে ব্যাংকার ও নীতিনির্ধারকদের নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে এগিয়ে আসতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে।

একই অনুষ্ঠানে এসএমই ফাউন্ডেশন-ইআরএফ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার রিমন রহমান।

১৯৭৩ সালের পর, যুক্তরাষ্ট্রের ডলার ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির কারণে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীরা ডলার বিক্রি করতে শুরু করেছেন, যা ডলারের ‘সেফ হ্যাভেন’ (নিরাপদ মুদ্রা) অবস্থানকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

ডলার সূচকে রেকর্ড পতন


ডলার ইনডেক্স, যা পাউন্ড, ইউরো ও ইয়েনসহ ছয়টি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মান পরিমাপ করে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ১০.৮% নিচে নেমেছে। ট্রাম্পের অস্থির ‘শুল্ক নীতি’ এবং ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতা নিয়ে তার সমালোচনা ডলারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়েছে।

এছাড়া, কংগ্রেসে আলোচিত ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল’ ট্যাক্স বিল নিয়ে অর্থনীতিবিদদের উদ্বেগ রয়েছে। এই বিলটি আগামী দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের বোঝা ট্রিলিয়ন ডলার বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ফলে ট্রেজারি বন্ড মার্কেট থেকে বিনিয়োগকারীরা সরে যাচ্ছেন।

ডলারের পতনের কারণ

 

১. ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ: গত ২ এপ্রিল, ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের পণ্য রফতানিতে শুল্ক আরোপ করে, যা মার্কিন অর্থনীতির প্রতি আস্থা কমায়। এরপর ‘এসঅ্যান্ডপি ৫০০’ সূচক তিন দিনে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্য হারায়

২. ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতা নিয়ে সংশয়: ট্রাম্পের ফেডের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপের অভিযোগ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

৩. বৃহৎ কর বিল: ট্রাম্পের প্রস্তাবিত কর কাটছাঁট ও ঋণ বৃদ্ধির পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ-টু-জিডিপি অনুপাত বাড়িয়ে দেবে, যা দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে।

৪. সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা: মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ চলতি বছরে ২-৩ বার সুদের হার কমাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ডলারের মান আরও দুর্বল করতে পারে।

 

স্বর্ণের দাম বেড়েছে, ডলারের মান কমেছে

ডলার দুর্বল হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের ‘ইউএস-ডলার’ রক্ষায় স্বর্ণে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে, যার ফলে সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।

ডলারের পতনের প্রভাব

  • মার্কিন রপ্তানি সস্তা হবে, কিন্তু শুল্ক নীতির কারণে এর সুবিধা অনিশ্চিত।
  • উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সুখবর: ডলার দুর্বল হলে জাম্বিয়া, ঘানা বা পাকিস্তানের মতো ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর ডলার-ঋণ পরিশোধের বোঝা কমবে।
  • কমোডিটির দাম বাড়বে: তেল, ধাতু ও কৃষিপণ্য রপ্তানিকারক দেশগুলো (ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, চিলি) লাভবান হবে।

অন্যান্য মুদ্রার অবস্থা

  • ইউরো ১৩% শক্তিশালী হয়েছে (১ ইউরো = ১.১৭ ডলার)।
  • জার্মানি ও ফ্রান্সের বন্ড-এ বিনিয়োগ বেড়েছে।
  • ইউরোপীয় শেয়ার মার্কেট ২০২৫ সালে ১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ডলারে হিসেব করলে ২৩% লাভ।

যদিও ডলার এখনও বিশ্বের প্রধান রিজার্ভ কারেন্সি, তবে ট্রাম্পের নীতির কারণে এর আস্থা কমছে। ব্যাংক জে সাফ্রা স্যারাসিনের প্রধান অর্থনীতিবিদ কার্স্টেন জুনিয়াস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখন বিনিয়োগের জন্য কম আকর্ষণীয়। সেই সাথে, মার্কিন সম্পদ আগের মতো নিরাপদ নয়।”

যদি বিনিয়োগকারীরা ডলার বিক্রি অব্যাহত রাখে, তবে ডলারের দাম আরও পড়তে পারে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত ডলারের পতন অব্যাহত থাকতে পারে।

সূত্র: আলেক্স কোজুল-রাইট (অর্থনৈতিক বিশ্লেষক), আল জাজিরা।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আগামী নির্বাচনে মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবে। নির্বাচনটি স্মরণকালের সবচেয়ে ভালো করতে সরকার বদ্ধ পরিকর।

শুক্রবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে জেলার মাদারগঞ্জে অনুসন্ধান কূপ খনন কাজ পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলপকালে এ কথা বলেন তিনি।

ফাওজুল কবির খান বলেন, আগামী নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থীর এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে থাকতে পারবেন। উন্মুক্ত ও সুষ্ঠুভাবে ভোট গণনার সুযোগ থাকবে। এ সময় নির্বাচনে জয়ীদের সরকার স্বাগত জানাবে বলেও জানান তিনি।

জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ পরিদর্শন শেষে মাদারগঞ্জের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শনের কথা রয়েছে বিদ্যুৎ উপদেষ্টার। এ সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান, বাপেক্সের এমডি প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক ও জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিগত সরকার আমলে যারা বিনা ভোটের নির্বাচন করেছে তাদেরকে চাকরি থেকে বিদায়ের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন। শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এ দাবি জানান তিনি।

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনও ছিল বির্তকিত। কারণ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্যই ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি করা হয়েছিল।

বির্তকিত নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনা হয়েছিল। ওই নির্বাচন বাংলাদেশকে ভারতের হাতে তুলে দেয়ার নীল নকশা ছিল বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই ভাইস প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে ছিল, জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। তাদের রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ এখন মুসলিম লীগের পথে বলেও জানান তিনি।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব