• Colors: Purple Color

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, মুক্ত জলাশয়ে মাছ চাষের নামে যাকে-তাকে জমি ইজারা দেওয়া যাবে না। যারা মৎস্য ব্যবস্থাপনায় জড়িত, তাদেরকেই জমি ইজারা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। মাছের প্রজনন পরিবেশ ঠিক রাখতে প্রজনন ক্ষেত্রগুলোতে পর্যটন (ট্যুরিজম) নিয়ন্ত্রণ করার কথাও বলেন। এ ছাড়া নির্বাচন প্রসঙ্গে বাইরের কারও কথায় মন্তব্য করবেন না বলেও জানান উপদেষ্টা।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দুর্গাপূজা ভালোভাবে সম্পন্ন হবে। এ নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তবে প্রতিবেশী দেশ ও ফ্যাসিস্টের সহযোগীরা বিভিন্ন গুজব সৃষ্টির চেষ্টা করবে।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ ও ফ্যাসিস্টের সহযোগিরা মিথ্যা খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রতিরোধ করে জনগণের সামনে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সারাদেশে দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সশস্ত্র বাহিনীর ১ লাখ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া, পুলিশের ৭০ হাজার সদস্য ও ৪৩০ প্লাটুন মাঠে থাকবে। এর সাথে বিজিবি ও অন্যান্য বাহিনীও থাকবে। পাশাপাশি মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় থেকে অনেক স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ সময় পূজাকে ঘিরে গুজব ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলেছে। ভোট নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে মন্ত্রণালয়।

এ সময় খাগড়াছড়ির ঘটনা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা সব পক্ষকে নিয়ে বসেছেন বলেও জানান তিনি।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেয়া বক্তব্যকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূস যখন কথা বলছিলেন, আমার বারবার মনে হচ্ছিল যে আমি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কণ্ঠ শুনছি।’

তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করার যে স্বপ্ন ছিল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের, তার সমস্ত কথাগুলো প্রফেসর ইউনূসের কথায় বের হয়ে আসছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের তরুণ প্রজন্ম আধুনিকভাবে চিন্তা করে এবং বিএনপি তাদের আধুনিক চিন্তাভাবনা গ্রহণ করার মানসিকতা রাখে।’

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে তরুণ-তরুণীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

জুলাই আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রামী, লড়াই তাদের সহজাত বৈশিষ্ট্য। যেকোনো বিপদে, যেকোনো সংকটকালে তারা জানে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে লড়াই করতে হয়। জুলাই মাস তা প্রমাণ করেছে। আমি সবার সামনে পরিষ্কার করে বলতে চাই- বিএনপি সেই কাজই করবে, যাতে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষ উপকৃত হয়।’’

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নিউইয়র্ক সফরে রয়েছেন ৬জন রাজনৈতিক নেতা, তাদের মধ্যে রয়েছেন মির্জা ফখরুলও।

নির্বাচনি আসনের যে কোনো কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ বা বিশৃঙ্খলা হলে, সেই আসনের ভোট স্থগিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে এমন কথা বলেন তিনি। সেইসাথে, নির্বাচন ঘিরে আয়োজিত সংলাপ কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে এই সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও মন্তব্য করেন সিইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ইসি বিশাল কর্মযজ্ঞে হাতে নিয়েছে। আরপিও সংশোধনসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। এ সময়, আইনে পোস্টাল ব্যালটের কথা থাকলেও এর প্রয়োগ ছিল না উল্লেখ করে সিইসি জানান, বর্তমান কমিশন এ নিয়ে কাজ করেছে।

তিনি আরও বলেন, পূর্বে নির্বাচনে সংশ্লিষ্টরা ভোট দিতে পারতেন না। তবে এবার নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতরাও ভোট দিতে পারবেন। এ ধরনের মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে, সংলাপে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণই ইসির চ্যালেঞ্জ।

উল্লেখ্য, ইসি ঘোষিত এই কর্মপরিকল্পনায় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুশীল সমাজ ও নারী সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যম সম্পাদক ও সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধি, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে এই সংলাপ শেষ করা যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।  

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে একটি রাসায়নিকের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনজন ফায়ার ফাইটারসহ চারজনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অগ্নিকাণ্ডে জীবন রক্ষার মহৎ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের তিনজন সাহসী ফায়ার ফাইটারসহ চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। এটি একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। আমি নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর সদস্যরা দিনরাত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় নিয়োজিত থাকেন। নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে তারা অন্যের জীবন বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাদের এই আত্মত্যাগের কাছে জাতি চিরঋণী। আজকের এই দুর্ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দিল যে দায়িত্ব পালনের সময় তারা কত বড় ঝুঁকি বহন করেন। তাদের এ মহৎ ত্যাগ জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই দুর্ঘটনায় শুধু কয়েকজন প্রাণ হারায়নি, বরং দৃষ্টান্ত দেখলাম আমাদের সাহস, মানবিকতা আর কর্তব্যনিষ্ঠার প্রতীকের। ফায়ার সার্ভিস দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং সাহসী বাহিনী। সংকটময় সময়ে তাঁরাই প্রথম ঝাঁপিয়ে পড়ে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। আজ সেই মহৎ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাদের জীবন দিতে হয়েছে। এটি সমগ্র জাতির জন্য গভীর শোকের বিষয়।

তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি সান্ত্বনা জানিয়ে বলেন, আপনাদের প্রিয়জনরা নিছক প্রাণ হারাননি, তারা জাতির জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। দেশের প্রতিটি মানুষ তাদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। আমি আপনাদের বেদনা ভাগ করে নিচ্ছি এবং দোয়া করছি এই কঠিন সময়ে আল্লাহ যেন আপনাদের ধৈর্য ও শক্তি দেন।

প্রধান উপদেষ্টা নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, এই বেদনাবহ ক্ষতি কখনো পূরণ হওয়ার নয়। তবে তাদের আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে— যাতে আমরা একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে পারি।

একটি জাতি গঠনে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। সেই মেরুদণ্ড গড়ার মহান দায়িত্ব পালন করে থাকেন শিক্ষকরা। মেধা বিকাশ, নীতি-নৈতিকতার শিক্ষাসহ জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ার তোলার পথ বাতলে দেন তারা। তাই শিক্ষকদের মানুষ গড়ার কারিগরও বলা হয়। আজকের দিনটি সেই শিক্ষকদের জন্য।

আজ (৫ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবস। ১৯৯৫ সাল থেকে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেস্কোর সদস্যভুক্ত প্রতিটি দেশে এই দিনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে থাকে। শিক্ষকদের সম্মান রক্ষা এবং সমাজে তাদের অবদান স্মরণে দিনটি পালন করা হয়ে থাকে।

এদিকে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়। কয়েকবছর ধরে সরকারিভাবে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হচ্ছে।

১৯৯৩ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ সভায় ৫ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালন শুরু হয়। ইউনেস্কোর অনুমোদনে প্রতিবছর পৃথক প্রতিপাদ্যে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব