সরকারি হস্তক্ষেপে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে অপসারণ করা হচ্ছে জানিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) অভিযোগ জানিয়েছেন ফারুক আহমেদ।
শুক্রবার (৩০ মে) সকালে যমুনা টেলিভিশনকে ফারুক আহমেদ এ তথ্য জানান। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মনোনয়ন বাতিল করার সঙ্গে সঙ্গেই আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।
এর আগে, ২৮ মে রাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেন ফারুক। সেখানেই তাকে জানানো হয়, সরকার আর তাকে বিসিবির নেতৃত্বে দেখতে চায় না। তবে ফারুক আহমেদ স্পষ্টভাবে জানান, তিনি পদত্যাগ করবেন না।
এরইমধ্যে বিসিবি সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জানিয়ে চিঠি দেন বোর্ডের ৮ পরিচালক। সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি।
২৯ মে রাতে পরিচালকদের অনাস্থা প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে এক অফিস আদেশে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এই বিজ্ঞপ্তির পর বিসিবি সভাপতির পদ শূন্য হয়। এখন নিয়মানুযায়ী নতুন কেউ বিসিবি সভাপতি হবেন বলেই ধরে নেয়া যাচ্ছে।
এদিকে আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী, একটি দেশের ক্রিকেট বোর্ড হবে স্বায়ত্বশাসিত এবং বোর্ড প্রশাসনের ওপর সরকারের কোনো ধরনের প্রভাব থাকবে না। কোনো ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসনে সরকারি হস্তক্ষেপ হলে তা সদস্যপদ স্থগিতের কারণ হতে পারে।
এক্ষেত্রে যদি বিসিবি সভাপতির অপসারণে সরকারি হস্তক্ষেপ প্রমাণিত হয়, তবে আইসিসি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে। যার মধ্যে সদস্যপদ স্থগিত করা, আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা, বা আর্থিক সহায়তা বন্ধ করা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। তবে, আইসিসি সাধারণত এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিস্তারিত তদন্ত করে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে।
২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড এবং ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে আইসিসি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তগুলোর পেছনে আইসিসির মূল যুক্তি ছিল, ক্রিকেট বোর্ডের স্বায়ত্তশাসনে সরকারি হস্তক্ষেপ আইসিসির নীতিমালার পরিপন্থী।