• Colors: Purple Color

শৃঙ্খলা মেনে চললে দেশই লাভবান হবে। মানবিক ও ভালো মানুষ না হলে দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। এমন মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে মিরপুর সেনানিবাসে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এমআইএসটিতে ‘মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সাইন্স’ বিষয়ক তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেন সেনাপ্রধান।

এ সময় তিনি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পাঁচজনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নবায়নযোগ্য শক্তি, উৎপাদন কৌশল, তাপ প্রকৌশল ও মহাকাশ গবেষণাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, জাপান ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা গবেষক ও পেশাজীবীরা অংশ নেন।

গোপালগঞ্জে নিহতদের স্বজনেরা মরদেহ নিয়ে যাওয়ায় ময়নাতদন্ত হয়নি। তবে প্রয়োজন হলে মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তিটির ময়নাতদন্ত হচ্ছে। প্রয়োজন হলে বাকি নিহতদের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হবে। এ সময় গোপালগঞ্জের ঘটনায় প্রশাসনের দায় আছে কি না তা তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল চালু করতে ইমিগ্রেশনে জনবলের চাহিদার বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। তবে টার্মিনাল চালুর বিষয়ে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই।

নির্বাচন দেরিতে হওয়ায় গণঅভ্যুত্থান বিরোধী শক্তি সুসংগঠিত হবার সুযোগ পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে প্রেসক্লাবে ‘গণ-অভ্যুথানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, জনগণের অগ্রযাত্রায় বিশ্বাস করেনা, তা আবার সক্রিয় হচ্ছে। অযথা বিলম্ব না করে সরকারকে রাজনৈতিক দল গুলোর সাথে আলোচনা করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

বিরনপির এই নেতা বলেন, সংস্কার বিএনপিই করেছে, প্রস্তাবও বিএনপিই দিয়েছে, তাই অযথা বিলম্ব না করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে পরিস্থিতি ঠিক করার আহ্বান জানাই। এই দায়িত্ব এখন অন্তর্বর্তী সরকারের, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।

তিনি বলেন, ‘সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। হারিয়ে ফেললে অনেক বছর পিছিয়ে যাবে দেশ। প্রতিবার ছেলেরা প্রাণ দেবে, আন্দোলন হবে, তাই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। রাজনৈতিক দলগুলো প্রমাণ করেছে সবাই দেশকে ভালোবাসে। তাই তারা ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছে ত্যাগ স্বীকার করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের প্রতিটি পর্যায়ের যারা আছেন, তারা সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি বন্দোবস্ত দেবেন। সবাই মিলে দেশ গড়তে সেই বন্দোবস্ত নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। সবাই যেনো একটি বিষয়ে একমত হই, যেনো কেউ ফ্যাসিবাদের কাছে দেশকে ছেড়ে না দেই।

তিনি আরও জানান, বিপ্লব করে ক্ষমতায় যাওয়ার সামর্থ নেই, ইচ্ছেও নেই। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের সমর্থনে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠন করতে চায় বিএনপি। কোনো বাধাই থামাতে পারবে না। ’৭১- আর স্বাধীনতা মূল কথা, সেখানে কোনো ছাড় নেই। গণতন্ত্রের দিকে যেতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক মো. তৌহিদ হোসেন। 

শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে রাঙামাটির পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির সভায় এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, সমস্যা আছে বলেই দীর্ঘ সময়ে চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি। ভূমি কমিশনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া, ছোট ছোট বিষয় দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যৌতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গৌতম চাকমা।

এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, এই সভা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে যে, যদি সব পক্ষ সম্মিলিতভাবে চুক্তির বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে তাহলে পার্বত্য অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও উন্নয়ন সম্ভব।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, কমিটি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সুপারিশ প্রদান করবে এবং প্রয়োজনে সাব-কমিটি গঠন করে কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, পাহাড়ে রক্তপাত বন্ধে তৎকালীন সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা সেনাবাহিনীর বাস দিয়ে রাজনৈতিক দলকে সহায়তার দাবিটি মিথ্যা বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। শনিবার (১৯ জুলাই) আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য বাস সরবরাহ করেছে। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর, যা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার সুস্পষ্ট অপচেষ্টা।

বাস্তবতা হলো, সেনাবাহিনী পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বহির্ভূত উৎস থেকে অস্থায়ীভাবে কিছু বেসরকারি গণপরিবহন ভাড়া নেওয়া হয়। অনেক সময় এসব বাসে অস্থায়ীভাবে ‘Bangladesh Army’ লেখা বা লোগো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে কিছু গণপরিবহন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সড়কে কিছুটা সুবিধা পাওয়ার উদ্দেশ্যে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সেনাবাহিনীর নাম বা লোগো ব্যবহার করে, যা একটি আইন বহির্ভূত কাজ।

আরও বলা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে, সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য শেয়ার না করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সংবিধান, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও পেশাদারিত্বের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।

হাসপাতালে ভর্তি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে দেখতে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির মহাসচিবের সাথে রয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে যান তারা।

প্রসঙ্গত, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের সমাবেশে অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান শফিকুর রহমান। শেষ পর্যন্ত তিনি মঞ্চে বসে বক্তৃতা শেষ করেন।

হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল বলেছেন, রাজনৈতিক শিষ্টাচার হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা জামায়াত আমিরকে দেখতে এসেছি। তারেক রহমানের নির্দেশেই উনাকে দেখতে এসেছি। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পেক্ষাপটে জামায়াত আমিরের সুস্থ থাকা প্রয়োজন।আগের চেয়ে তিনি বেশ সুস্থ অনুভব করছেন।

এরপর রাজধানীর একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়। পরে চিকিৎসকরা জানান, তার রক্তচাপ ও সুগার লেভেল স্বাভাবিক আছে।

রাত সাড়ে আটটার দিকে দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানিয়েছেন, গরমের কারণে ডা. শফিকুর রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি এখন ভালো আছেন। তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য সমস্যা নাই। চিকিৎসকরা তত্ত্বাবধান করছেন।

বিশাল সমাবেশে বড় ধরনের কোনও অঘটন ঘটেনি উল্লেখ করে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, প্রোগ্রাম স্থগিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু আমির সাহেব তা চাননি।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব