মালয়েশিয়ার রাজধানী পুত্রজায়ায় আজ মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী  আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারকের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

আলোচনায় কর্মীদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অভিবাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে দুই দেশের সরকার প্রধান একমত হয়েছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শিগগিরই স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে বাংলাদেশী শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। আগামী ৬ বছরে দেশটিতে কমপক্ষে ১২ লাখেরও বেশি শ্রমকি পাঠানোর সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে আশা করা যাচ্ছে। দুই দেশের সরকারের আলোচনায় সকল জটিলতা কেটে যাবে।

সংশ্লিষ্টরা আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বিদ্যমান আইন মেনে দেশটিতে কর্মী গেলেও উচ্চ অভিবাসন ব্যয়ের কারনে প্রক্রিয়াটি সমালোচনার মুখে পরে। নির্দিষ্ট সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও বিগত সরকার বিপুল সংখ্যক এজেন্সিকে এই প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করে। এতে অভিবাসন ব্যয় বেড়ে যায়। তবে কর্মীরা দেশটিতে যাওয়ার পর প্রায় সকলেই কাজ পেয়েছে এবং নিয়মিত বেতন ভাতা পাচ্ছেন। ফলে দেশটিতে যাওয়া শ্রমিকদের তেমন কোনো অভিযোগ নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭-১৮ এবং ২০২২-২৪ মেয়াদে অনলাইন ভিত্তিক ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে সাড়ে সাত লক্ষ বাংলাদেশী শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যান। দেশের অভ্যন্তরে রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের নেতিবাচক প্রচার-প্রচারনা, মামলা, নানান আন্দোলনের কারণে মালয়েশিয়া সরকার অনেকটা বিব্রত। তারা বাংলাদেশ থেকে নতুন করে কর্মী নিতে কিছুটা দ্বিধান্বিত ছিল।

তারা আরঅ জানায়, দুই দেশের সরকার প্রধানের এবারের আলোচনায় শ্রমিকের সুরক্ষা এবং স্বল্প ব্যয়ে লাভজনক কাজে নিয়োগের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আগে দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিক যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেই কিছু এজেন্সি আন্দোলন, মানববন্ধন করে প্রক্রিয়াটিকে বাধাগ্রস্ত করা হতো। এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই কর্মীদের অধিকার, সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তাসহ সামগ্রিক বিষয়ের নিশ্চয়তা দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের বিষয়ে দুইপক্ষ একমত হয়েছে ।

অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা বলেন, সৌদি আরবের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ১০ লাখেরও অধিক বাংলাদেশী কর্মী দেশটিতে কর্মরত রয়েছেন। এরইমধ্যে ভিসা পাওয়া পরও যে আট হাজার কর্মী দেশটিতে যেতে পারেননি তাদের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব