পৃথিবীর মানচিত্রে নেই অস্তিত্ব; ওয়েস্টার্কটিকা, সাবোরগা নামের দেশের নামও কেউ কখনও শোনেনি। এমন একাধিক দেশের রাষ্ট্রদূত সেজে অভিনব পন্থায় প্রতারণার দায়ে একজনকে গ্রেফতার করেছে ভারতের পুলিশ। ৪৮ বছর বয়সী হর্ষবর্ধন জৈন নামের ওই প্রতারক বিদেশে চাকুরি দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের অর্থ। ভাড়া করা আলিশান বাড়িকে দূতাবাস বানিয়েও চালতো প্রতারণা।

দেশটির উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের অভিজাত এলাকা কাভি নগরের একটি আলিশান বাংলো থেকে আটক করা হয় ৪৮ বছর বয়সী হর্ষবর্ধন জৈনকে।

অভিযোগ উঠেছে বিশ্ব মানচিত্রে অস্তিত্ব নেই এমন সব দেশের নাম বানিয়ে গেলো ৬ মাস ধরে ভুয়া দূতাবাস পরিচালনা করছিলেন হর্ষবর্ধন জৈন। লাখো রুপি খরচ করতেন প্রতি মাসের ভাড়া বাবদ।

উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স জানায়, হর্ষবর্ধণ নিজেকে ওয়েস্টার্কটিকা, সাবোরগা, পলভিয়া এবং লোডোনিয়ার মতো ভুয়া দেশে কনসাল বা রাষ্ট্রদূত বলে পরিচয় দিতেন। সেসব দেশে চাকরির প্রলোভন দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নিতে মোটা অংকের অর্থ। জড়িত ছিলেন অর্থ পাচারের সাথেও।

এন্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াডের এস্ক পুলিশ কর্মকর্তা সুশীল ঘুলে বলেন, ভাড়া বাসা থেকে তিনি ভুয়া দূতাবাস চালাতেন। কূটনীতিকদের ব্যবহার করা গাড়ির নম্বর প্লেটের অনুকরণে তিনি নম্বর প্লেট তৈরি করেছিলেন। এমন ৪টি গাড়ি আমরা উদ্ধার করেছি। এতে কোনো অনুমোদিত সংস্থার স্বীকৃতি ছিল না।

তিনি আরও বলেন, অফিসে তল্লাশি অভিযানে বেআইনি বহু জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদের সামনে নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি জাহির করতে এবং তাদের ধোঁকা দিতে গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বের সঙ্গে নিজের এডিট করা ছবি ব্যবহার করতেন তিনি।

মানুষের বিশ্বাস অর্জনে বিদেশী কূটনীতিকসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে পরিচয় থাকার দাবি করতেন হর্ষবর্ধণ। এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বহু হাইপ্রোফাইল মানুষের সাথে তার এডিটেড ছবি জব্দ করেছে পুলিশ।

ভুয়া দূতাবাস থেকে গাড়ির অতিরিক্ত ১৮টি ভুয়া নম্বরপ্লেট, ১২টি অবৈধ পাসপোর্ট, দুটি ভুয়া প্যান কার্ড এবং ৩৪টা দেশ ও কোম্পানির জাল সিলমোহর জব্দ করে এসটিএফ। উদ্ধার করা হয় নগদ ৪৪ লাখ ৭০ হাজার রুপি, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা এবং নথিপত্র।

এর আগে, ২০১১ সালেও পুলিশের হাতে একবার আটক হয়েছিলেন হর্ষবর্ধণ জৈন। সেসময় তার কাছ থেকে একটি স্যাটেলাইট ফোন জব্দ করেছিল পুলিশ।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব