কিছু দল জটিল পরিস্থিতি তৈরি করছে। তারা শুধু পিআর পদ্ধতির কথা বলছে। অপরদিকে, জুলাই সনদ জনগণের অভিপ্রায়, এটা আইনের ঊর্ধ্বে— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ২৩তম দিনের বৈঠকের বিরতিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা চাই, সংসদের উচ্চকক্ষের প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন নিম্নকক্ষের আসনের ভিত্তিতে। আর সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগও আইনের মাধ্যমে করতে চাই।
তিনি বলেন, ৩১ দফা কর্মসূচিতে আমরাই প্রথম সংসদের উচ্চকক্ষের প্রস্তাব দিয়েছি; যেখানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা বিশিষ্ট ও প্রতিভাবান ব্যক্তিরা থাকবেন। তবে তারা নির্বাচিত হবেন নিম্নকক্ষের আসনের ভিত্তিতে। আর তারা সংবিধান সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। কারণ তারা নির্বাচিত নন। এ ক্ষেত্রে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই আইন তৈরি করার এখতিয়ার রাখতে পারেন।
জুলাই সনদ ইস্যুতে বিএনপির এ নেতা বলেন, জুলাই সনদে সবার স্বাক্ষর থাকলে এর চেয়ে জাতীয় সম্মতি আর কী হতে পারে। সেখানে আইনের কী দরকার? জনগণের সার্বভৌম এখতিয়ারের ভিত্তিতেই আমরা এই জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করছি। এর চাইতে বড় জাতীয় সম্মতি আর নেই। এটা আইনের ঊর্ধ্বে। এটা জনগণের অভিপ্রায়। এটা সার্বভৌম ব্যাপারের কাছাকাছি হয়ে গেছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদের যে খসড়া বিএনপির কাছে পাঠিয়েছে, তাতে বাক্যগত কিছু অসামঞ্জস্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, অসামঞ্জস্যগুলো আমরা সংশোধন করেছি। সনদে প্রস্তাব করা হয়েছে, সরকার গঠনের দুই বছরের মধ্যে এই অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করার জন্য। আমরা এটার সাথে সম্পূর্ণ একমত। কমিশন বলেছিল এই প্রতিশ্রুতি পালন করতে, সংবিধানে এবং বিভিন্ন আইনে, বিধিবিধানে। সেখানে যা পরিবর্তন করতে হবে, সে বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। আমরা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছি।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মৌলিক অধিকারের বিষয়গুলোও নিশ্চিতের বিষয়ে আমরা জোর দিয়েছি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়তে চাই।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতিগত পরিবর্তন নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, সংসদ সদস্যরা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন। এতে সবাই একমত। কেউ ভিন্ন মত দেয়নি। তবে কিছু ক্ষমতা আমরা রাষ্ট্রপতিকে দিতে চাই।