নারীর স্বাভাবিক জীবনচক্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ পিরিয়ড। অথচ আজও এই বিষয়টি ঘিরে রয়ে গেছে অসংখ্য ট্যাবু, কুসংস্কার আর নীরবতা। ২০২৫ সালে এসে, যখন পৃথিবীর সাথে মহাকাশের যোগাযোগ সহজ করার নানা উপায় বের করা হচ্ছে, তখন নারীর স্বাভাবিক জৈবপ্রক্রিয়া নিয়ে নিষিদ্ধ সব ট্যাবু বিরাজমান।

তবে কিছুটা হলেও, ধীরে ধীরে ভাঙছে এই নীরবতা। যেখানে একসময় পিরিয়ড ছিল গোপনীয়, লজ্জার সেখানে আজ মেয়েরাই বলছে নিজেদের কথা।

বদলাচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গি, ভাঙছে সামাজিক ট্যাবু। এই দলে যোগ দিয়েছেন পুরুষরাও। তারা বলছেন, পিরিয়ড বা মাসিক এখন আর শুধু নারীর বিষয় নয়, এটা পরিবার ও সমাজেরও দায়িত্ব।

পিরিয়ডের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, মানসিক সাপোর্ট এবং সামাজিক স্বীকৃতি— এই তিন বিষয় সবচেয়ে জরুরি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে যৌথ সচেতনতাই পারে সহনশীল ও স্বাস্থ্যবান সমাজ গঠন করতে।

প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শারমিন সিদ্দিকা ইসলাম বলেন, টয়লেটের সময় টয়লেট পেপার ব্যবহার করছি, সেটা যদি স্বাভাবিক হয়; তাহলে পিরিয়ডের সময় একজন নারী ন্যাপকিন ব্যবহার করবে, এটাও স্বাভাবিক। এখন সবাই অনেক সচেতন, শুধু বিষয়টিকে সহজভাবে নিলেই হয়।

মেয়েরা যেন নিরাপদ, সুস্থ ও সম্মানের সঙ্গে বেড়ে উঠতে পারে, সেই দৃষ্টিভঙ্গি গড়াই এখন সময়ের দাবি।

আমাদের অনুসরণ করুন

 

সর্বাধিক পড়ুন

  • সপ্তাহ

  • মাস

  • সব