আজ সোমবার (৯ জুন) চারদিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সফরে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। রাজা চার্লসের হাত থেকে নেবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’। ১১ জুন প্রধান উপদেষ্টা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
গত বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে প্রবাসীদের সাথে সরকারের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার সুযোগ হিসেবে দেখছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা। ড. ইউনূসকে স্বাগত জানাতে এরইমধ্যে প্রস্তুতি শেষ করেছেন তারা।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের গভীরতা রয়েছে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং দেশটির বৃহত্তম প্রবাসী জনগণের আবাসস্থল।
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার সফরের সময় চেয়ে শেখ রেহানার মেয়ে ও সাবেক ব্রিটিশ মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চিঠি দিয়েছেন। এই তথ্য দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান বলছে, দুদকের দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন টিউলিপ।
উল্লেখ্য, সফর শেষে আগামী ১৪ জুন দেশে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা।
ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাতের অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। চিঠিতে টিউলিপ বলেছেন, মুখোমুখি বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন— দুদক এর ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অভিযোগের বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে চান তিনি। রোববার (৮ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ।
টিউলিপের খালা শেখ হাসিনা, যিনি ১৫ বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত সপ্তাহে অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিককে তার খালার শাসনামলে অবৈধ সুবিধা নেয়ার অভিযোগ অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন দাবি করেছে যে সিদ্দিক বা তার মা শেখ রেহানা ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রভাব’ কাজে লাগিয়ে ৭ হাজার ২০০ বর্গফুট জমি পেয়েছেন।
টিউলিপ সিদ্দিক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এগুলো ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ভিত্তিহীন। তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তাদের সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি।
অসদাচরণের প্রমাণ না পেলেও, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নতুন সরকারের জন্য এই ইস্যুটি বিভ্রান্তি তৈরি করায় টিউলিপ অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিক চলতি সপ্তাহে তার লন্ডন সফরে এই বিতর্ক নিয়ে আলোচনার সুযোগ চেয়েছেন। ড. ইউনূস যুক্তরাজ্য সফরে রাজা চার্লস ও কিয়ার স্টারমারের সাথে দেখা করবেন।
চিঠিতে সিদ্দিক লিখেছেন, ‘আমি আশা করি এই বৈঠক ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিটির তৈরি করা ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সাহায্য করবে, যেখানে আমার খালা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে জড়িত কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে হবে বলে দাবি করা হচ্ছে।’
তিনি চিঠিতে এ-ও উল্লেখ করেন, ‘আমি একজন ব্রিটিশ নাগরিক, লন্ডনে জন্মগ্রহণকারী এবং গত এক দশক ধরে হ্যাম্পস্টিড ও হাইগেটের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছি। বাংলাদেশে আমার কোনো সম্পত্তি বা ব্যবসায়িক স্বার্থ নেই। দেশটি আমার হৃদয়ের কাছাকাছি, কিন্তু এটা সেই দেশ নয় যেখানে আমি জন্মগ্রহণ করেছি, বসবাস করি বা ক্যারিয়ার গড়েছি।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা টিউলিপ সিদ্দিকের চিঠি
সিদ্দিক অভিযোগ করেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনকে আমি এ বিষয়ে স্পষ্ট করতে চেয়েছি, কিন্তু তারা আমার লন্ডনভিত্তিক আইনজীবীদের সাথে যোগাযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং ঢাকার একটি এলোমেলো ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই কাল্পনিক তদন্তের প্রতিটি পদক্ষেপ মিডিয়াকে লিক করা হচ্ছে, কিন্তু আমার আইনি টিমের সাথে কোনো আলোচনা করা হয়নি।’
গত মাসে বাংলাদেশে সিদ্দিকের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির খবর প্রকাশিত হয়। তবে তিনি জানান, এমন কোনো পরোয়ানা বা আদালতের শুনানির কথা তার জানা নেই। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে ২বি এক্সট্রাডিশন ক্যাটাগরিতে রাখায়, বাংলাদেশকে স্পষ্ট প্রমাণ দেখাতে হবে তাকে গ্রেফতারের আগে।
গত বছর মন্ত্রীদের নৈতিকতা উপদেষ্টার কাছে যুক্তরাজ্যে তার সম্পত্তি অর্জন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, জানুয়ারিতে তাকে নির্দোষ বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন। সোমবার (৯ জুন) থেকে তার এই সফর শুরু হবে। এই সফরে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন ড. ইউনূস। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে কর আরোপের ক্ষেত্রে বরাবরের মতো গরীবদের ওপর বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এই বাজেটে অর্থনৈতিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়াইয় এক কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বাজেটে শীর্ষ ধনীদের কাছ থেকে বেশি কর আরোপের ক্ষেত্রে কোনও লক্ষ্য রাখা হয়নি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে এমন উদ্যোগও নেয়া হয়নি। করদাতা আগের মতোই রয়েছে। কর ফাঁকি দেয়াদের আওতায় আনার প্রচেষ্টাও দেখা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, সরকার সমস্যাগুলো শনাক্ত করতে পারলেও সমাধানগুলো বাস্তবমুখী করতে পারেনি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেট আগের মতোই রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাজেট কমানো উচিত হয়নি। এই বাজেটে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে না। ই-কমার্সে কর বৃদ্ধি ফলে উদ্যোক্তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ সময় কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাজেটে জুলাই অভ্যুত্থানের আহতদের জন্য বরাদ্দ রাখায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, এই বরাদ্দের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। এটি হবে দেশের ৫৪তম বাজেট। সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় এই বাজেট উপস্থাপন করা হবে।
বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। এটি চলতি অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম হলেও সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা বেশি।
উন্নয়ন ব্যয় অর্থাৎ এডিপি চূড়ান্ত হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে কম। এনবিআরকে ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দিচ্ছেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এনবিআর ও কর-বহির্ভূত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংক খাতের পাশাপাশি দেশী-বিদেশী উৎস থেকে ঋণ নিয়ে এ ঘাটতি পূরণ করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে- কর ব্যবস্থায় আনা হচ্ছে বড় পরিবর্তন। ২০২৬-২০২৭ অর্থবছর থেকে কিছুটা বাড়বে ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা। এক্ষেত্রে, নিবন্ধিত জুলাই যোদ্ধারা পাবেন আরও বেশি ছাড়। বাড়তে পারে ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র, মোবাইল ফোন সেট, সাবান-স্যুাম্পু, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনারের দাম।
কমতে পারে অপরিশোধিত তেল, চিনি, টায়ার, টিউব, ব্রেক সু, বাস ও মাইক্রোবাসের দাম। নতুন বাজেটে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে পরিচালন ও নন-এডিপি খাতে।
এবার জাতীয় সংসদ না থাকায় ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হবে।
এছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সোমবার জাতির সামনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করবেন। পূর্ব-রেকর্ডকৃত বাজেট ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এবং বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে পূর্ব নির্ধারিত বিকেল ৪টার পরিবর্তে বিকেল ৩টায় সম্প্রচারিত হবে।
এছাড়াও, ব্যাপক প্রচার নিশ্চিত করার জন্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং রেডিও স্টেশনগুলোকে বিটিভি থেকে ফিড নিয়ে বাজেট ভাষণটি একই সময়ে সম্প্রচার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সংসদ না থাকায় আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না এবারের বাজেটে। তবে বাজেট ঘোষণার পর প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত চাইবে অর্থ মন্ত্রণালয়। মতামতের ভিত্তিতে তা চূড়ান্ত করা হবে। এরপর আগামী ২৩ জুনের পর যেকোনো একদিন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন নিয়ে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে তা আগামী এক জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে।
বাংলাদেশকে উৎপাদন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে চীনের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (১ জুন) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ ভবনে চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছর চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০বছর পূর্ণ হবে। আমাদের এমন একটি ভবিষ্যৎ তৈরি করতে হবে, যেটি আকাশ ছোঁয়া। এখানে চীনের ১৫০ জন ব্যবসায়ী উপস্থিত রয়েছেন। এটি কেবলমাত্র শুরু, এই পথ দুই দেশের জন্য আরও বড় হবে। এ সময় বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য আদর্শ স্থান বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, চীনা কোম্পানির বড় বিনিয়োগ দেশের রুপ পরিবর্তন করতে পারে। গত এপ্রিলে সফলভাবে বিজনেস সামিট আয়োজিত হয়েছিল। আজকে আবারও চায়না থেকে বড় ডেলিগেশন এসেছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দেশটির বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করবে।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। বাকি দুইজন আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
রোববার (১ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযোগ দাখিল করা হয়। এতে শেহ হাসিনাকে গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ দাখিলের শুনানি ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেইজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
চার্জ দাখিলের পর শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। তিনি আদালতকে বলেন, এ বিচার অতীতের প্রতিশোধ নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্য প্রতিজ্ঞা। এই আদালত এমন একটি সময়ের সাক্ষ্য বহন করছে, যা ইতিহাসে দলিল হয়ে থাকবে। আমরা চাই এ বিচার নিরপেক্ষ, প্রমাণ নির্ভর ও ন্যায়ভিত্তিক হোক।
এদিকে তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, অভিযোগের সপক্ষে আদালতে বেশকিছু সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করবে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে রয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শী ও জীবিত ভিকটিমদের সাক্ষ্য ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ, ড্রোন এবং সিসিটিভি ফুটেজ, আসামিদের মধ্যে কথপোকথনের অডিও কল রেকর্ড, ডিজিটাল এভিডেন্সের ফরেনসিক রিপোর্ট, আসামিদের স্বিকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত তথ্য ছবি এবং ফুটেজ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত তথ্যচিত্র।